অভিযোজন
বিবর্তনীয় জীববিজ্ঞান |
---|
নিম্নোক্ত বিষয়ের উপর একটি ধারাবাহিকের অংশ |
জীববিজ্ঞানে, অভিযোজন (ইংরেজি:Adaptation) হল কোন জীবের জীবদ্দশায় ভূমিকা রাখা একটি উপস্থিত কর্মসম্পাদনকারী বৈশিষ্ট্য, যা প্রাকৃতিক নির্বাচনের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত ও বিবর্তিত হয়। অভিযোজন বলতে অভিযোজিত জীবের বর্তমান দশা এবং অভিযোজন পরিচালনাকারী সক্রিয় বিবর্তনীয় প্রক্রিয়া উভয়কেই বোঝায়। অভিযোজন কোন জীবের ফিটনেস ও টিকে থাকার যোগ্যতাকে বৃদ্ধি করে। বিভিন্ন জীব তাদের বৃদ্ধি ও বিকাশকালে বিভিন্ন প্রকার প্রাকৃতিক প্রতিকূলতার মুখোমুখি হয় এবং আরোপিত পরিস্থিতির প্রতিক্রিয়াস্বরূপ নিজ ফিনোটাইপ বা বাহ্যিক বৈশিষ্ট্য পুনঃবিকশিত করার মাধ্যমে একটি অভিযোজনযোগ্য নমনীয়তায় নিজেকে সুসজ্জিত করে। যে কোন প্রদত্ত বৈশিষ্ট্যের জন্য প্রতিক্রিয়ার বিকাশভিত্তিক স্বাভাবিকতা অভিযোজনের সঠিকতার জন্য অত্যাবশ্যক কারণ এটি বিভিন্ন বৈচিত্র্যময় পরিবেশে এক প্রকার জৈবিক নিরাপত্তা বা নমনীয়তার জোগান দেয়।
এককথায় নির্দিষ্ট পরিবেশে সুষ্ঠ ভাবে বেঁচে থাকা এবং বংশবিস্তারের জন্য জীবের যে অঙ্গসংস্থানিক,শারীরবৃত্তীয় ও আচরণগত দীর্ঘস্থায়ী পরিবর্তন ঘটে , তাকে অভিযোজন বলে।
অভিযোজনের সংজ্ঞা
[সম্পাদনা]কোনো বিশেষ পরিবেশে জীবনধারণের জন্য জীবের দেহে গঠনগত ও কার্যগত বৈশিষ্ট্য লাভ হয়, ফলে জীব পরিবেশ মানিয়ে নিয়ে সুষ্ঠুভাবে জীবনধারণ করতে পারে একেই অভিযোজন (Adaptation) বলা হয়।
অভিযোজন সংক্ষিপ্ত পথে ঘটে না। এর জন্য দীর্ঘ কালক্ষেপের প্রয়োজন। পৃথিবীর জীব জলাশয়, সমুদ্র, নদী, হ্রদ, পাহাড়-পর্বত, মরুভূমি, বনভূমি, মাটি, বায়ুমন্ডল ইত্যাদি বিভিন্ন পরিবেশের মধ্যে বসবাস করে। এইসব পরিবেশ মানিয়ে নিয়ে জীবনধারণ করাই অভিযোজনের মূল লক্ষ্য। (তথ্য সূত্র: জীবনবিজ্ঞান সহায়িকা, ষন্নিগ্রহী-ষন্নিগ্রহী, শ্রীভূমি পাবলিশিং কোম্পানি।এপ্রিল ১৯৮৬, পৃঃ১২৯)