বিষয়বস্তুতে চলুন

ধর্মীয় সম্প্রদায় দ্বারা বিবর্তনবাদ প্রত্যাখান

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
(সৃষ্টি–বিবর্তন বিতর্ক থেকে পুনর্নির্দেশিত)
১৮৮২ সালে প্রকাশিত একটি ব্যঙ্গচিত্র, যেখানে বিজ্ঞানী চার্লস ডারউইনকে তার বিবর্তন তত্ত্বের উপর প্রকাশনার (১৮৮১) জন্য ব্যঙ্গ করা হয়েছে।

সৃষ্টি–বিবর্তন বিতর্ক ( সৃষ্টি বনাম বিবর্তন বিতর্ক কিংবা জীবনের ভিত্তি বিতর্ক নামেও পরিচিত) হল পৃথিবী, মানবতা, ও অন্যান্য জীবের উৎপত্তি সম্পর্কিত একটি চলমান, পুনরাবৃত্তিমূলক সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক, এবং ধর্মতাত্ত্বিক বিতর্ক। খ্রিস্টান বিশ্বে সৃষ্টিবাদকে একসময় বিশাল পরিসরে সত্য হিসেবে বিশ্বাস করা হত। কিন্তু ১৯ শতকের মাঝামাঝি  সময় থেকে প্রাকৃতিক নির্বাচনের মাধ্যমে বিবর্তন একটি পরীক্ষিত সত্য হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেয়েছে।[] তবে পৃথিবীতে বিবর্তন তত্ত্বের ওপর সাধারণ মানুষের আস্থা ক্রমশঃ হ্রাস পাচ্ছে এবং স্কুলে বিবর্তন পড়ানো কমছে।[][]

বৈজ্ঞানিক প্রেক্ষাপট থেকে নয় বরং দার্শনিক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে এই বিতর্কে অস্তিত্ব রয়েছে। কেননা, বিজ্ঞান সমাজে বিবর্তন ইতিমধ্যেই প্রতিষ্ঠিত ও প্রমাণিত।[] শুধু তাই নয়, সৃষ্টবাদের মত প্রাচীন চিন্তাভাবনাকে অপবিজ্ঞান বলে বিশ্বজুড়ে আখ্যায়িত করা হয়।[][][] যদিও এই বিতর্কের একটি সুপ্রাচীন ইতিহাস রয়েছে,[][]}তবে বর্তমানে বিজ্ঞান শিখার প্রসারের মাধ্যমে এই বিতর্কের অবসান ঘটেছে।[১০][১১] যদিও শিক্ষাক্ষেত্রে সৃষ্টবাদ শেখানোর প্রবণতা এখনও বিরাজ করছে।[১২][১৩][১৪][১৫][১৬] যা নিয়ে খ্রিস্টান প্রধান দেশগুলোতে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের বেশ কিছু দেশে এই নিয়ে রাজনৈতিক বিতর্ক চলমান।[১৭] এই বিতর্ককে অনেক সময়ই সংস্কৃতি যুদ্ধ হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে।[১৮] সমধর্মী বিতর্ক ইহুদী ও ইসলাম ধর্মের মত অন্যান্য ধর্মের সম্প্রদায়ের মাঝেও দৃশ্যমান।

খ্রিষ্টীয় মৌলবাদীগণ আধুনিক জীবাষ্মবিদ্যা, বংশগতিবিদ্যা, টিস্যুতত্ত্ব, ক্ল্যাডিস্টিক্স এবং অন্যান্য শাখার দেখানো মানুষ ও অন্যান্য প্রাণীর সাধারণ পূর্বপুরুষ এর সাক্ষ্যপ্রমাণ নিয়ে বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়ে, যেখানে এই জীবাষ্মবিদ্যা, বংশগতিবিদ্যা সহ অন্যান্য শাখাগুলো আধুনিক বিবর্তনীয় জীববিজ্ঞান, ভূতত্ত্ব, মহাবিশ্ববিজ্ঞান এবং অন্যান্য প্রাসঙ্গিক শাখার জ্ঞান থেকে প্রাপ্ত উপসংহারের উপর উপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে। তারা সৃষ্টির ইব্রাহিমীয় ধারণা থেকে যুক্তি দান করেন এবং বিজ্ঞানের জগতে একটি স্থান অর্জনের জন্য তারা বিবর্তনীয় জীববিজ্ঞানের পাশাপাশি "সৃষ্টি-বিজ্ঞান" (Creation Science) নামক একটি বাগাড়ম্বরপূরণ কাঠামো দাঁড় করান।[১৯] যুক্তরাষ্ট্রের আদালতে কিটজমিলার বনাম ডোভার বিতর্কে এই সৃষ্টি বিজ্ঞান পূর্ণাঙ্গভাবে ধর্মীয় ভিত্তির উপর প্রতিষ্ঠিত হিসেবে প্রকাশিত হয়, সেইসাথে এও প্রকাশিত হয় যে এখানে কোন আনুষ্ঠানিক বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই।[২০]

ইতিহাস

[সম্পাদনা]

সুচনা

[সম্পাদনা]

অষ্টাদশ শতকে ইউরোপ এবং উত্তর আমেরিকায় সৃষ্টি–বিবর্তন বিতর্ক শুরু হয়, যখন ভূতাত্ত্বিক সাক্ষ্যপ্রমাণগুলো প্রাচীন পৃথিবী সংক্রান্ত বিভিন্ন নতুন ব্যাখ্যা সামনে নিয়ে আসা শুরু করে, এবং বিভিন্ন ফসিল জিওলজিকাল সিকোয়েন্সের সাহায্যে প্রাপ্ত বিলুপ্ত প্রজাতিসমূহ বিবর্তনের প্রাথমিক ধারণাগুলো যেমন ল্যামার্কিজমের জন্ম দেয়। যুক্তরাজ্যে এই ধারাবাহিক পরিবর্তনের ধারণাগুলোকে প্রথমে বিদ্যমান "স্থির" সামাজিক শৃঙ্খলার জন্য হুমকি হবে বলে ধরা হয়, এবং চার্চ ও রাষ্ট্র উভয়ই এগুলোকে অবদমিত করার চেষ্টা করে।[২১] এই অবস্থাটি ধীরে ধীরে সহজ হয়, এবং ১৮৪৪ সালে রবার্ট চ্যাম্বারস এর বিতর্কিত ভেস্টিজেস অফ দ্য ন্যাচারাল হিস্টোরি অফ ক্রিয়েশন নামক গ্রন্থটি প্রজাতিসমূহের ক্রমশ রূপান্তরের ধারণাটিকে জনপ্রিয়করে। এই বৈজ্ঞানিকভাবে প্রতিষ্ঠাকে প্রথমে চার্চ অফ ইংল্যান্ড ঘৃণা ও রাগের সাথে পরিত্যাগ করে, তবে অনেক ইউনিটেরিয়ান, কোয়াকার এবং বাপ্টিস্ট দল প্রতিষ্ঠিত চার্চের সুবিধার প্রতিবাদ করে এবং এরকম প্রাকৃতিক উপায়ে ঈশ্বর কাজ করেন- এরকম ধারণাকে সমর্থন করে।[২২][২৩]

ডারউইনের প্রতি তৎকালীন সমসাময়িক প্রতিক্রিয়া

[সম্পাদনা]
একটি এপ হিসেবে ডারউইনের বিদ্রুপাত্মক চিত্র যা ১৮৭১ সাল থেকে মানুষ ও এপ এর সাধারণ বংশধারা আছে- এই মতবাদ নিয়ে সামাজিক বিতর্কের প্রতিফলন ঘটায়।
ডারউইনিয়ানা গ্রন্থের প্রকাশের সময় আসা গ্রে

উনিশ শতকের শেষের দিকে সাধারণ পূর্বপুরুষ থেকে পরিবর্তনের মাধ্যমে সকল জীবের আবির্ভাব ঘটে - এই মৌলিক বিবর্তনীয় মতবাদের কোন গুরুতর বৈজ্ঞানিক বিরোধিতা ছিল না।

— থমাস ডিক্সন, সায়েন্স এন্ড রেলিজিয়ন: এ ভেরি শর্ট ইন্ট্রোডাকশন" [২৪]

১৮৫৯ সালে ডারউইনের অন দ্য অরিজিন অফ স্পিসিজ এর প্রকাশ বিবর্তনের উপর বৈজ্ঞানিক বিশ্বাসযোগ্যতা এনে দেয়, এবং এটাকে একটি সম্মানিত শিক্ষার বিষয়ে পরিণত করে।[২৫]

যদিও ডারউইনের বইতে কোন রকম ধর্মীয় ব্যাপারে কথা ছিল না, এরপরও এসেস এন্ড রিভিউজ (১৮৬০) গ্রন্থের উচ্চতর সমালোচনা নিয়ে যে ধর্মতাত্ত্বিক বিতর্কের সূচনা হয় তা খুব ভালভাবেই চার্চ অফ ইংল্যান্ডের মনোযোগ আকর্ষণ করতে সসক্ষম হয়। সেই রচনার কোন কোন উদারপন্থী লেখক ডারউইনের প্রতি সমর্থন জ্ঞাপন করেন, অনেক ননকনফরমিস্টও ডারউইনকে সমর্থন করেন, যেমন রেভারেন্ড চার্ল কিংগসলে এই ধারণাকে সমর্থন করেছিলেন যে, ঈশ্বর বিবর্তনের মাধ্যমে সৃষ্টির সব জীবকে তৈরি করেছেন।[২৬] অন্যান্য খ্রিস্টানগণ এই ধারণাটির বিরুদ্ধে যান, চার্লস লাইয়েল, আসা গ্রে সহ ডারউইনের নিকট বন্ধুগণ এবং সমর্থকগণও প্রথম দিকে তার কিছু ধারণার প্রতি অসমর্থন প্রকাশ করেন।[২৭] পরবর্তীতে গ্রে যুক্তরাষ্ট্রে ডারউইনের অন্যতম সমর্থকে পরিণত হন, এবং তার অনেক রচনাকে সংগ্রহ করে একটি প্রভাবশালী গ্রন্থ তৈরি করেন, যার নাম ছিল ডারউইনিয়ানা (১৮৭৬)। এই রচনাগুলোতে ডারউইনীয় বিবর্তন এবং আস্তিক্যবাদী মতবাদসমূহের মধ্যকার মীমাংসা নিয়ে কিছু যুক্তিপূর্ণ লেখালেখি ছিল। আর এটা সেইসময়কার ঘটনা যখন দুই পক্ষেরই অনেক ব্যক্তি এই দুটো বিষয়কে পরষ্পর স্বতন্ত্র বলে মনে করতেন।[২৮]

ধর্মতত্ত্বে সৃষ্টিবাদ

[সম্পাদনা]

সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্ব এর পক্ষে প্রথাগত ধর্মতাত্ত্বিক যুক্তির একটি আধুনিক রূপ। ১৯৮৭ সালে সৃষ্টিতত্ত্বকে পাঠ্যবইয়ের অংশ হিসেবে বিজ্ঞানের সাথে পড়ানোর বিরুদ্ধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আদালতে একটি রায় দেয়া হয়েছিল। এই রায়ের উপযুক্ত জবাব হিসেবেই প্রথমদিকে বুদ্ধিদীপ্ত অনুকল্পের বিকাশ ঘটেছিল। এই অনুকল্পের প্রাথমিক প্রস্তাবকদের সবাই ছিলেন মার্কিন ভিত্তিক খ্রিস্টান ধর্মীয় সংস্থা ডিসকভারি ইনস্টিটিউটের সদস্য বা সহযোগী।[২৯] তারা ধারণা পোষণ করেছিলেন যে, এই বুদ্ধিমান পরিকল্পনাকারী হলেন খ্রিস্টান ধর্মের ঈশ্বর। এর প্রবক্তারা এটিকে বৈজ্ঞানিক বলে মনে করেন এবং বিজ্ঞানকে বিভিন্ন অতিপ্রাকৃত ঘটনা বিশ্বাস করানোর ক্ষেত্রে তারা এই তত্ত্ব অনুকল্প প্রয়োগ করেন।

সাম্প্রতিক উন্নয়ন

[সম্পাদনা]

নব্য পৃথিবী সৃষ্টিবাদ

[সম্পাদনা]

নব্য পৃথিবী সৃষ্টিবাদ এক ধরনের ধর্মীয় বিশ্বাস যা অনুসারীরা বিশ্বাস করেন পৃথিবী স্রষ্টা কর্তৃক ১০ হাজার বছর পূর্বে সৃষ্ট। এই সংখ্যা মূলতঃ জেনেসিস থেকে প্রাপ্ত। নব্য পৃথিবী সৃষ্টিবাদীরা প্রায়ই পৃথিবী ও বিশ্বব্রহ্মান্ডের বয়স একই বলে বিশ্বাস করেন।[৩০] সৃষ্টিবাদ বিজ্ঞান প্রধানত বাইবেলের সাহিত্যের ভিত্তিতে তৈরি, যা বিজ্ঞানের ধারেকাছেও যায় না। সৃষ্টিবাদ বিজ্ঞান একটি অপবিজ্ঞান, যা সৃষ্টিবাদের সাথে বিজ্ঞানের সাথে সম্পর্ক প্রমাণের চেষ্টা করে।[৩১][৩২][৩৩][৩৪][৩৫]

আদি পৃথিবী সৃষ্টিবাদ

[সম্পাদনা]

আদি পৃথিবী সৃষ্টিবাদীরা বিশ্বব্রহ্মাণ্ড ঈশ্বরের সৃষ্ট বলে বিশ্বাস করেন। তারা ইব্রাহিমীয় ধর্মসমূহে উল্লেখ্য ৬ দিনে বিশ্বব্রহ্মাণ্ড তৈরির ব্যাপারটি আক্ষরিক অর্থে মানেন না। এই দল বিশ্বব্রহ্মাণ্ড ও পৃথিবীর বয়স নির্ধারনে জ্যোতির্বিদ ও ভূগোলবিশারদদের মতামতকে প্রাধান্য দেন। কিন্তু বিবর্তন তত্ত্বের বিশদ আলোচনার ক্ষেত্রে তাদের প্রশ্ন রয়ে যায়। আদি পৃথিবী সৃষ্টিবাদীরা জেনেসিসের ব্যাখ্যা বিভিন্নভাবে দিয়ে থাকেন। কখনো সেটা ৬ দিন থেকে নব্য সৃষ্টিবাদীদের মতো ২৪ ঘণ্টাও দাবী করে থাকেন।

নব্য সৃষ্টিবাদ

[সম্পাদনা]

নব্য সৃষ্টিবাদীরা নিজেদের সৃষ্টিবাদীদের চেয়ে ভিন্ন বলে দাবী করে, যদিও প্রকৃতপক্ষে এটি একই ধারণার শাখা বিশেষ। তারা জীবনের উৎপত্তি নিয়ে বিতর্ক নতুন কাঠামোতে সাজাতে চায়, যেখানে ধর্মীয় শব্দমালার প্রয়োগ লক্ষণীয়। নব্য সৃষ্টিবাদীরা ধর্মীয় বাণীসমূহের নতুন ব্যাখ্যা দাঁড় করিয়েছে, এটি ছাড়া তাদেরকে আদি পৃথিবী সৃষ্টিবাদী বা নব্য পৃথিবী সৃষ্টিবাদী বলে চিহ্নিত করা যায়। বর্তমানে নব্য সস্রিষ্টিবাদীরা বুদ্ধিদীপ্ত অনুকল্প আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে যার ফলাফলে নতুন নব্য সৃষ্টিবাদীর দেখা পাওয়া যায়।

আস্তিক্যবাদী বিবর্তন

[সম্পাদনা]

আস্তিক্যবাদী বিবর্তনের সমর্থকগণ সাধারণত ধর্ম ও বিজ্ঞানের সম্পর্ককে গুরুত্ব দিয়ে সাংঘর্ষিক যুক্তিকে প্রত্যাখ্যান করেন ও বিবর্তনীয় মতবাদকে ঈশ্বর বা সৃষ্টিকর্তা এর উপর বিশ্বাসের সাথে খাপ খাইয়ে নেন, – তারা এই মতের উপর দণ্ডায়মান থাকেন যে, সৃজনবাদ সম্পর্কিত ধর্মীয় শিক্ষা এবং বিবর্তনের তত্ত্বকে পরস্পরবিরোধী হওয়ার কোন প্রয়োজন নেই।[৩৬][৩৭]

অজ্ঞেয়বাদী বিবর্তন ও বস্তুবাদী বিবর্তন

[সম্পাদনা]

অজ্ঞেয়বাদী বিবর্তন জীববিজ্ঞানীয় বিবর্তনকে এমন অবস্থান থেকে সমর্থন করে, যেখানে ঈশ্বর বা স্রষ্টার উপস্থিতি বা উক্ত কর্মে তার অবদান থাকার সম্ভাবনা মোটেও জরুরি কিছু না।[৩৮]

বস্তুবাদী বিবর্তন

বিজ্ঞানের সংজ্ঞা ও সীমারেখা নিয়ে বিতর্ক

[সম্পাদনা]

বাস্তবতা বনাম তত্ত্ব

[সম্পাদনা]

বিজ্ঞান ও ধর্মের সংঘর্ষ

[সম্পাদনা]

বিজ্ঞান সম্পর্কিত বিতর্ক

[সম্পাদনা]

জীববিজ্ঞান

[সম্পাদনা]

বিবর্তনীয় জীববিজ্ঞান হচ্ছে সৃষ্টি–বিবর্তন বিতর্কে সৃজনবাদী ও বিজ্ঞানমনস্কদের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু। সাধারণ পূর্বপুরুষ (বিশেষ করে মানববিবর্তনে এইপ হতে মানুষের বিবর্তন), ম্যাক্রোইভোলিউশন, ফসিলের অস্তিত্ব ইত্যাদি বিবর্তনীয় জীববিজ্ঞানের আলোচনার বিষয়বস্তু সৃষ্টি -বিবর্তন বিতর্কে গুরুত্ব বহন করে।

সাধারণ পূর্বপুরুষ

[সম্পাদনা]

বিবর্তনবিদ জন টিমার তার "হোয়াট'স রিয়েল কন্ট্রোভার্সি?" রচনায়[৩৯] মন্তব্য করেছেন, [The] Discovery [Institute] presents common descent as controversial exclusively within the animal kingdom, as it focuses on embryology, anatomy, and the fossil record to raise questions about them. In the real world of science, common descent of animals is completely noncontroversial; any controversy resides in the microbial world. There, researchers argued over a variety of topics, starting with the very beginning, namely the relationship among the three main branches of life.

জীবকূলের একটি দলের যদি সাধারণ পূর্বপুরুষ থাকে, তাহলে তাদের সাধারণ উত্তরসূরী বলা হয়। বিজ্ঞানী চার্লস ডারউইন কর্তৃক প্রদত্ত সাধারণ উত্তরসূরী নির্ভর একটি তত্ত্বের উপর ব্রহ্মাণ্ডের বিবর্তনের খুঁটি দাঁড়িয়ে, যা সচরাচর জীববিজ্ঞানীদের স্বারা সমর্থিত। বর্তমানে জীবিত জীব সম্প্রদায়ের নিকটবর্তী সাধারণ পূর্বপুরুষ প্রায় ৩.৯ বিলিয়ন বছর আগে এসেছিল বলে বিশ্বাস করা হয়। যদিও কিছু স্বল্প সংখ্যক (যেমনঃ মাইকেল বেহে) সৃজনবাদী ব্যতীত অধিকংশক সৃজনবাদী সাধারণ পূর্বপুরুষের ধারণা বাতিল করে, ত্রিশ মিলিয়ন প্রজাতির সাধারণ নকশাবিদ (স্রষ্টা) ধারণা প্রতিস্থাপনের পক্ষে।[৪০][৪১][৪২] অন্যান্য সৃজনবাদীর মতে, ভিন্ন ভিন্ন প্রজাতির সাধারণ পূর্বপুরুষ আলাদা আলাদাভাবে সৃষ্ট, যা থেকেই পরবর্তীকালে নিকটবর্তী প্রজাতির বিবর্তন ঘটেছে। সাধারণ পূর্বপুরুষের অস্তিত্ব জিনেটিক্স, ফসিল রেকর্ড, তুলনামূলক দেহ নকশা, প্রজাতির ভৌগোলিক অবস্থান, তুলনামূলক জীবরসায়ন ইত্যাদি কর্তৃক প্রমাণিত।

মানব বিবর্তন

[সম্পাদনা]
Overview of speciation and hybridization within the genus Homo over the last two million years.
মানব বিবর্তনের সরলীকৃত রেখাচিত্র

মানব বিবর্তন বা মানুষের উৎপত্তি বলতে বিবর্তন এর মাধ্যমে অন্যান্য হোমিনিড থেকে একটি আলাদা প্রজাতি হিসেবে হোমো স্যাপিয়েন্স-দের উদ্ভবকে বোঝায়। এই বিষয়টি নিয়ে অধ্যয়ন করতে হলে বিজ্ঞানের অনেক শাখার সাহায্য নিতে হয়, যেমন: নৃবিজ্ঞান, প্রাইমেটবিজ্ঞান, জীবাশ্মবিজ্ঞান, প্রত্নতত্ত্ব, ভাষাতত্ত্ব এবং জিনতত্ত্ব[৪৩]

"মানুষ" বা "হিউম্যান" শব্দটি দ্বারা এখানে প্রকৃতপক্ষে কেবল হোমো গণের অন্তর্ভুক্ত প্রাণীদেরকে বোঝানো হচ্ছে, যদিও মানব বিবর্তন গবেষণা করতে গিয়ে অস্ট্রালোপিথেকাস গণের অনেক প্রজাতি নিয়ে অধ্যয়ন করতে হয়- স্বভাবত সেগুলোর আলোচনাও এই বিষয়ের অধীনেই হয়। আনুমানিক ২৩ লক্ষ থেকে ২৪ লক্ষ বছর পূর্বে আফ্রিকাতে হোমো গণটি অস্ট্রালোপিথেকাস গণ থেকে পৃথক হয়ে গিয়েছিল।[৪৪][৪৫] হোমো গণে অনেক প্রজাতিরই উদ্ভব ঘটেছিল যদিও একমাত্র মানুষ ছাড়া তাদের সবাই বিলুপ্ত হয়ে গেছে। এ ধরনের বিলুপ্ত মানব প্রজাতিগুলোর মধ্যে রয়েছে হোমো ইরেক্টাস যারা এশিয়ায় বাস করতো এবং হোমো নিয়ানডার্টালেনসিস যারা ইউরোপ ও মধ্যপ্রাচ্য জুড়ে ছড়িয়ে ছিল। আর্কায়িক হোমো স্যাপিয়েন্স-দের উদ্ভব ঘটেছিল আনুমানিক ৪০০,০০০ থেকে ২৫০,০০০ পূর্বের সময়কালের মধ্যে। আর্কায়িক বলতে হোমো স্যাপিয়েন্সদের প্রাচীনতম সদস্যদের বোঝানো হয় যারা প্রজাতিগত দিক দিয়ে এক হলেও আধুনিক মানুষের চেয়ে কিছু ক্ষেত্রে পৃথক ছিল।

দেহের অভ্যন্তরীন গড়নের দিক থেকে সম্পূর্ণ আধুনিক মানুষের উদ্ভব নিয়ে বিজ্ঞানীদের মধ্যে বর্তমানে সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য অনুকল্প হচ্ছে "আউট অফ আফ্রিকা" বা "আফ্রিকা থেকে বহির্গমন" অনুকল্প যার সারকথা হচ্ছে আমরা আফ্রিকাতে উদ্ভূত হওয়ার পর আনুমানিক ৫০,০০০-১০০,০০০ বছর পূর্বে বিভিন্ন মহাদেশে ছড়িয়ে পড়েছি।[৪৬][৪৭][৪৮][৪৯]

ম্যাক্রোবিবর্তন

[সম্পাদনা]
একটি বিবর্তন বৃক্ষ তিন-রাজ্য ব্যবস্থা দেখাচ্ছে। ইউকারিয়োট গুলি লাল, আর্চিয়া সবুজ এবং ব্যাকটিরিয়া নীল বর্ণে দেখানো হয়েছে।

জীববিজ্ঞানে ম্যাক্রোইভোলিউশন বা ম্যাক্রোবিবর্তন বলতে একই প্রজাতির মধ্যে নয় এমন বিবর্তনকে বোঝায়। যদিও, মাইক্রো এবং ম্যাক্রো বিবর্তনের আলাদাকরনের নির্দিষ্ট কোন মাত্রা নেই। কেননা, মাইক্রো বিবর্তন বা ছোট ছোট বিবর্তনই সময়ের প্রেক্ষিতে নতুন প্রজাতির সৃষ্টি করে, যা ম্যাক্রোবিবর্তন নামে অভিহিত।[৫০] সৃজনবাদীরা জেনেসিসের বিভিন্ন প্রকারের জীব কথাটি দ্বারা বিভিন্ন প্রজাতিকে ব্যাখ্যা করেন এবং যুক্তি দেখান, বিভিন্ন প্রজাতি আলাদা আলাদাভাবে তৈরি করা হয়েছিল।[৫১] আদি সৃজনবাদীরা এই কথাটি এতদিন ধরে বলে আসলেও বর্তমানে নব্য সৃজনবাদীরা নতুন প্রজাতি জীবজগতে আত্মপ্রকাশ করতে পারে এটা মানেন। এটা শুধুমাত্র জীববৈচিত্র্যে নিত্যন্তুন প্রজাতির সংযোজন হচ্ছে বলেই নয় বরং, নূহের নৌকায় সব প্রজাতির জোড়ার জায়গা ধারণ সম্ভব না বলেই মেনে নিতে বাধ্য হন।[৫২] সৃজনবাদে বলা, "বিভিন্ন প্রজাতির" সৃষ্টি মূলত জীববিজ্ঞানের ট্যাক্সোনমির দিকে দিয়ে "পরিবার"(Family)কে বোঝায়। কিন্তু পরিবার একই হলেও "গণ"(genus) ভিন্ন হয়।[৫৩] সৃজনবাদীদের যুক্তিখন্ডন এখানেই হয়ে গেলেও, বর্তমানে অন্যান্য প্রাণী যেমন কুকুর বা বেড়ালের ক্ষেত্রে সাধারণ পূর্বপুরুষ বা কমন এনসেস্টরের ধারণা তারা মেনে নিলেও মানুষ ও এপদের সাধারণ পূর্বপুরুষের ধারণা সৃজনবাদীরা এখনো মেনে নিতে পারে নাই।[৫৩]

সৃজনবাদীরা ম্যাক্রোবিবর্তনের বিপক্ষে যুক্তি হিসেবে নতুন সংযোজন এনেছে যে, প্রতিটি প্রজাতির গঠন এতটাই জটিল যে এরজন্য নির্দিষ্ট বুদ্ধিমত্তার ব্যবহারে তৈরি নকশা প্রয়োজন। যা মূলত বুদ্ধিদীপ্ত অনুকল্পকে ইঙ্গিত করে। যদিও এই যুক্তির স্বপক্ষে প্রমাণ হিসেবে কোন পিয়ার রিভিউড বিজ্ঞান সাময়িকীতে এখন পর্যন্ত কোন নিবন্ধ প্রকাশিত হয়ন এবংবিজ্ঞানমহলে এই ব্যাখ্যাকে অপবিজ্ঞান বলে অভিহিত করা হয়।

বিবর্তন বিরোধীরা প্রায়ই বলে থাকেন যে এখন পর্যন্ত কোন ফসিল পাওয়া যায় নি যা পরিবর্তিত রূপ প্রকাশ করে।[৫৪][৫৫] এই বিবর্তনীয় ফসিল সম্পর্কে এই ভ্রান্ত ধারণা তৈরি হয়েছে এ ব্যাপারে সঠিক জ্ঞানের অভাবে। সৃষ্টিবাদীদের একটি সাধারণ দাবী হল, এখন পর্যন্ত কোন ফসিল দেখা যায় নি যার সাংগঠনিক কোন বৈশিষ্ট্য রয়েছে। একটি জটিল সাংগঠনিক বৈশিষ্ট্য বিবর্তন প্রক্রিয়ায় সম্পূর্ণ ভিন্ন সাংগঠনিক বৈশিষ্ট্যের কাজ করার মতো ক্ষমতা অর্জন করতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, ডানার বিবর্তন লক্ষ করা যায়। প্রধানত উড়ন্ত শিকার ধরার মতো কাজের জন্য প্রয়োজনীয় হলেও সময়ের প্রেক্ষিতে বিবর্তনের দরুন এখন ঊড়ার জন্যেও ব্যবহৃত হয়।

এম্বুলোসিটাস এর পুনর্গঠন। যা স্তন্যপায়ী কুমিরের মতো প্রাণী,তিমির বিবর্তনের প্রমান।

এলান হেওয়ার্ড তার "সৃষ্টি ও বিবর্তন" (১৯৮৫) গ্রন্থে মন্তব্য করেছেন, "ডারউইনবাদীরা তিমির বিবর্তন নিয়ে খুব কম কথা বলেন কেননা এটা তাদের একটি সমাধানহীন ধাঁধায় ফেলে দেয়। তারা মনে করে, স্থলবাসী তিমি সাগরে গিয়ে পা হারিয়েছে। কিন্তু স্থলবাসী স্তন্যপায়ী, যা তিমিতে বিবর্তিত হওয়ার পথে ছিল তা স্থল কিংবা সমুদ্রের জল কিছুতেই নিজেকে যোগ্যভাবে ধরে রেখে টিকে থাকার আশা পারতো না।" [৫৬] তিমির বিবর্তন গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে এবং এম্বুলোসিটাসের অস্তিত্ব এতে উঠে এসেছে। যা তিন মিটার লম্বা স্তন্যপায়ী কুমিরের ন্যায় প্রাণী। এই প্রানীর ফসিলই তিমির বিবর্তনীয় ফসিলের অন্যতম প্রমাণ।[৫৭]

ভূতত্ত্ব

[সম্পাদনা]

বিজ্ঞানের অন্যান্য শাখায়

[সম্পাদনা]

মহাকাশবিজ্ঞান

[সম্পাদনা]

যদিও নব্য সৃষ্টিবাদীরা দাবী করে পৃথিবী এবং সমগ্র মহাবিশ্ব একই সাথে প্রায় ছয় হাজার বছর আগে স্রষ্টা কর্তৃক সৃষ্ট। তবে আধুনিক বিজ্ঞানের কল্যাণে সবাই জানেন বিগব্যাং এর মাধ্যমে বিশ্বব্রহ্মাণ্ড শুরুর কথা।[৫৮] নাসার উইলকিনসন মাইক্রোওয়েভ অ্যানিসোট্রপি প্রোব তথা ডব্লিউএমএপি নামক প্রকল্প অনুসারে মহাবিশ্বের বয়স প্রায় (১৩.৭ ± .২) × ১০ বছর[৫৯]

পারমাণবিক পদার্থবিজ্ঞান

[সম্পাদনা]

বিজ্ঞানের ভুল ব্যাখ্যা

[সম্পাদনা]

ডিস্কভারি ইন্সটিটিউটের একটি "ডারউনিজমের বৈজ্ঞানিক " শিরোনামের একটি "আনুষ্ঠানিক ঘোষণা" রয়েছে। অবশ্য অনেক জীববিজ্ঞান এবং ভূতত্ত্বর সাথে সম্পর্কহীন মানুষেরা এতে স্বাক্ষর করেছেন।এমন অনেক জীববিদ্যা গবেষক এতে স্বাক্ষর করেছেন, যাদের কাজ বিবর্তনের সাথে সরাসরি সম্পর্কযুক্ত নয়।[৬০] এমনকি কোন ক্ষেত্রে কিছু জীববিদ্যা গবেষকদের সাথে ভণ্ডামি করে স্বাক্ষর আদায়ের ঘটনাও ঘটেছে, যার প্রতিবাদে প্রজেক্ট স্টিভ কার্যকর হয়।

সরকারি নীতি নিয়ে আলোচনা

[সম্পাদনা]

বিজ্ঞান শিক্ষা

[সম্পাদনা]

সৃষ্টিবাদীরা প্রচারকরে বিবর্তন একটি দূর্যোগ সৃষ্টিকারী তত্ত্ব।[৬১][৬২] যা বিজ্ঞানীরাও সমালোচনা করেন।[৬৩] সৃষ্টিবাদীরা দাবী করেন যে, শিক্ষার্থীদের বিবর্তন সংক্রান্ত বিতর্ক শিক্ষা দেয়া দরকার। অপরদিকে বেশিরভাগ বিজ্ঞান শিক্ষা দল ও বৈজ্ঞানিক সম্প্রদায় [৬৪] উক্ত দাবীর প্রত্যুত্তরে দেখান, সত্যি বলতে বিবর্তনবাদ নিয়ে কোন বৈজ্ঞানিক বিতর্ক নেই। যে বিতর্ক আছে তা সম্পূর্ণই ধর্মীয় এবং রাজনৈতিক।[৬১][৬৩] জর্জ মেসন বিশ্ববিদ্যালয়ের জীববিজ্ঞান অনুষদে সৃষ্টি/বিবর্তন বিতর্ক বিষয়ে একটি কোর্স চালু করা হয়। কিন্তু শিক্ষার্থীরা জীববিজ্ঞান নিয়ে জ্ঞান লাভ করে বৈজ্ঞানিকভাবে বিবর্তন নিয়ে বিতর্ক করার মতো কোন তথ্য পায় না। তাই শিক্ষার্থীরা "বিবর্তন বিতর্ক শিক্ষা দিতে" বিজ্ঞানের দর্শন বা বিজ্ঞানের ইতিহাসের উপর আরেকটি কোর্স চালু করার দাবী করে।[৬৫]

বিভিন্নদেশে বিবর্তন সম্পর্কে দৃষ্টিভঙ্গি

[সম্পাদনা]

যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে অবস্থা

[সম্পাদনা]
২০০৮ সালে বিবর্তন তত্বের প্রতি মানুষের দৃষ্টিভঙ্গী[৬৬][৬৭]

যদিও এই বিতর্ক যুক্তরাষ্ট্রেই বেশি প্রখ্যাত, তবে অন্যান্য দেশেও এর প্রভাব পরিলক্ষিত হয়েছে।[৬৮][৬৯][৭০]

ইউরোপ

[সম্পাদনা]

ইউরোপীয়ানরা এই সৃষ্টি–বিবর্তন বিতর্ককে মার্কিনদের বিষয় হিসেবে অভিহিত করেছে।[৬৯] তবে সাম্প্রতিক বছরে, এই বিতর্কটা জার্মানি, যুক্তরাজ্য, ইটালী, নেদারল্যাণ্ড, পোল্যান্ড, তুরস্ক এবং সেবরিয়াতে বর্তমানে ইস্যু হয়ে উঠেছে।[৬৯][৭০][৭১][৭২][৭৩]

১৭ ডিসেম্বর ২০০৭ এ পার্লামেন্টারী এসেম্বলী অব দ্য কাউন্সিল অব ইউরোপের (PACE) বিজ্ঞান বিভাগের দাখিল করা প্রতিবেদনে বলা হয়; মার্কিন সৃজনবাদীদের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে ইউরোপের বিদ্যালয় গুলোতেও সৃজনবাদীরা সৃজনবাদের চর্চা করতে চাইছে। সেই প্রতিবেদনের শেষে বলা হয় "যদি আমরা সতর্ক না হই, সৃজনবাদ মানবাধিকারের জন্য হুমকি হয়ে উঠতে পারে... এই সৃজনবাদের চর্চা ধর্মীয় ভাব ধারা প্রভাবিত, এবং এর ফলে উগ্র ডানপন্থার উথ্থান ঘটতে পারে।"[৭৪] ইউরোপীয় কাউন্সিল সম্পুর্ণভাবে সৃজনবাদকে খারিজ করে দিয়েছে।[৭৫]

অস্ট্রেলিয়া

[সম্পাদনা]

১৯৮০ সালে প্রাক্তন কুইনস রাজ্যের সরকার জো বেজলকে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে[৭৬] সৃষ্টিবাদ কে পাঠ্যে অন্তর্ভুক্ত করে। ২০১০ সালে, কুইনসল্যান্ড সরকার সৃষ্টবাদকে "প্রাচীন পাঠ" নামক বিষয়ের অংশে অন্তর্ভুক্ত করে; যেখানে প্রকৃতি ও মানবসুচনাকে বিতর্কিত ভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে।[৭৭] বিশ্ববিদ্যালয়ে মার্কিন বক্তাদের আমন্ত্রণ করে নিয়ে আসা হত।[৭৮][পৃষ্ঠা নম্বর প্রয়োজন] বিজ্ঞান ভিত্তিক টেলিভিশন প্রোগ্রাম সবচেয়ে বিখ্যাত কোয়ান্টামে বহুদিন ধরে এই বিষয়ে বিতর্ক চলেছিল এবং মেলবোর্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূপ্রকৃতবিদ্যার অধ্যাপক আইয়ান প্লিমিয়ার কর্তৃক এলেন রবার্টস এর বিরুদ্ধে কেস দাখিল করা রবার্টস দাবী করেছিলেন নুহের নৌকার অবশিষ্টাংশ পূর্ব তুরস্কে আছে। যদিও আদালত পর্যবেক্ষণে দেখে যে, রবার্টের দাবী মিথ্যা, তাই সে কেস ফেইল হয়।[৭৯]

মুসলিম বিশ্বে

[সম্পাদনা]

সাম্প্রতিক সময়ে এই বিতর্ক ইসলামিক দেশগুলোতেও আলোচিত হয়ে উঠেছে।[৮০] মিশরে, বিদ্যালয়ে বিবর্তন নিয়ে বর্তমানে পাঠ দেওয়া হচ্ছে, কিন্তু সৌদি আরব এবং সুদানে; বিদ্যালয়ে বিবর্তন পাঠ দেওয়া সম্পুর্ণভাবে নিষিদ্ধ।[৬৮][৮১] সৃষ্টি বাদ বিজ্ঞানকে তুরস্কে এবং পশ্চিম ইউরোপে প্রাথমিক ভাবে হারুন ইয়াহিয়ার কারণে পাঠ দানে বেশ তোড়জোড় শুরু হয়েছে।[৭০] ইরানকে শিয়া ইসলাম সৌদি আরবের ন্যায় আচ্ছন্ন করে নি, এবং জনসম্মুখে ইরানি বিশেষজ্ঞরা বিবর্তনের বিরুদ্ধে না বললেও, তাদের অধিকাংশের ধারণা (যাদের বিরাট অংশ ইসলামিক ইরানের নের্তৃত্ব দিয়েছিল) বিবর্তনের মূলধারার ইসলামের বিরোধ আছে।[৮১] বাংলাদেশে বেশির ভাগ মুসলিমগণ বিবর্তন তত্ত্বে বিশ্বাসী নয়। অনেকে ভেবে থাকে যে এটি ইসলামী মূল্যবোধের সাথে সাংঘর্ষিক।

যাইহোক, সারা বিশ্ব থেকে এখনও প্রচুর মুসলমান রয়েছেন যারা বিবর্তন তত্ত্বে বিশ্বাস করেন এবং এটিকে ইসলামী বিশ্বাসের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ বলে মনে করেন। এর মধ্যে রয়েছেন রানা দাজানি (জর্ডান)[৮২], মুহাম্মদ ইকবাল (পাকিস্তান)[৮৩], নিধাল গেসুম (আলজেরিয়া)[৮৪], ইসরার আহমেদ (পাকিস্তান)[৮৫], টিও শানাভাস (ভারত)[৮৬], বাসিল আলতাই (ইরাক)[৮৩], দাউদ আবদুল ফাত্তাহ ব্যাচেলর (মালয়েশিয়া)[৮৩], ক্যানের তাসলামান (তুরস্ক)[৮৭], ডেভিড সলোমন জালাজেল (দাউদ সুলাইমান জালাজেল) (সৌদি আরব)[৮২], শোয়েব আহমেদ মালিক (যুক্তরাজ্য)[৮৩], নুহ হা মিম কেলার(মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র)[৮৮], ইয়াসির ক্বাদি (পাকিস্তানি-আমেরিকান)[৮৯], নাজির খান (আমেরিকান)[৯০], ইত্যাদি। বিবর্তনবাদ সম্পর্কে মুসলমানদের অবস্থানকে চার ভাগে ভাগ করা যায়: (১) অ-বিবর্তনবাদ (বিবর্তন তত্ত্বের সম্পূর্ণ প্রত্যাখ্যান) (২) মানব ব্যতিক্রমবাদ [1] (মানুষ ব্যতীত পৃথিবীর সমস্ত জীবের সাধারণ পূর্বপুরুষে বিশ্বাস) (৩) আদমীয় ব্যতিক্রমবাদ [2] (আদম, হাওয়া এবং তাদের প্রাচীনতম বংশধর ব্যতীত আধুনিক মানুষ সহ পৃথিবীর সমস্ত জীবের সাধারণ পূর্বপুরুষে বিশ্বাস) (৪) অ-ব্যতিক্রমবাদ (সমস্ত জীবের সাধারণ পূর্বপুরুষে বিশ্বাস, আদম ও হাওয়া সহ)।[৮৩]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. Skoog, Gerald (২০০৭)। "An NSTA Evolution Q&A"National Science Teachers Association। Arlington, VA: National Science Teachers Association। সংগ্রহের তারিখ ২০১৪-০৮-২৭ 
  2. US schools ban Darwin from class
  3. Turkey Bans the Teaching of Evolution in Public Schools
  4. IAP Statement on the Teaching of Evolution ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১৭ জুলাই ২০১১ তারিখে Joint statement issued by the national science academies of 67 countries, including the United Kingdom's Royal Society (PDF file)
  5. IAP Member Academies (জুন ২১, ২০০৬)। "IAP Statement on the Teaching of Evolution"IAP। Trieste, Italy: The World Academy of Sciences। জুলাই ১৭, ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৪-০৮-২৭ 
  6. টেমপ্লেট:Cite court Whether ID Is Science, p. 83.
  7. [[#CITEREF|]]: "Virtually no secular scientists accepted the doctrines of creation science; but that did not deter creation scientists from advancing scientific arguments for their position."
  8. Numbers 1992, পৃ. 3–240
  9. Montgomery, David R. (নভেম্বর ২০১২)। "The evolution of creationism" (পিডিএফ)GSA TodayGeological Society of America22 (11): 4–9। ডিওআই:10.1130/GSATG158A.1। ২০১৭-০৮-১৮ তারিখে মূল (PDF) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-০১-২৮ 
  10. Peters, Ted; Hewlett, Martinez (ডিসেম্বর ২২, ২০০৫)। "The Evolution Controversy: Who's Fighting with Whom about What?" (পিডিএফ)Pacific Lutheran Theological Seminary। Berkeley, CA: Pacific Lutheran Theological Seminary। Evolution Brief E2। ২৯ নভেম্বর ২০১০ তারিখে মূল (PDF) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৪-০৮-২৭ 
  11. টেমপ্লেট:Cite court Context, p. 20.
  12. Slevin, Peter (মার্চ ১৪, ২০০৫)। "Battle on Teaching Evolution Sharpens"The Washington Post। পৃষ্ঠা A01। সংগ্রহের তারিখ ২০১৪-০৮-২৭ 
  13. Renka, Russell D. (নভেম্বর ১৬, ২০০৫)। "The Political Design of Intelligent Design"Renka's Home Page। Round Rock, TX। এপ্রিল ১১, ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৪-০৮-২৭ 
  14. Wilgoren, Jodi (আগস্ট ২১, ২০০৫)। "Politicized Scholars Put Evolution on the Defensive"The New York Times। সংগ্রহের তারিখ ২০১৪-০৮-২৭ 
  15. Forrest, Barbara (এপ্রিল ২০০২)। "The Newest Evolution of Creationism"Natural History। Research Triangle Park, NC: Natural History Magazine, Inc.। 111 (3): 80। আইএসএসএন 0028-0712। সংগ্রহের তারিখ ২০১৪-০৬-০৬ 
  16. টেমপ্লেট:Cite court Introduction, pp. 7–9, also Whether ID Is Science, pp. 64–89, and Promoting Religion, p. 90.
  17.   |শিরোনাম= অনুপস্থিত বা খালি (সাহায্য)|title= অনুপস্থিত বা খালি (সাহায্য)
  18. [[#CITEREF|]]
  19. Skoog, Gerald (অক্টোবর ১৯৭৯)। "Topic of Evolution in Secondary School Biology Textbooks: 1900–1977"Science Education। New York: John Wiley & Sons63 (5): 621–640। আইএসএসএন 1098-237Xডিওআই:10.1002/sce.3730630507বিবকোড:1979SciEd..63..621S 
  20. টেমপ্লেট:Cite court
  21. Desmond ও Moore 1991, পৃ. 34–35
  22. van Wyhe, John (২০০৬)। "Charles Darwin: gentleman naturalist"The Complete Work of Charles Darwin Online। John van Wyhe। সংগ্রহের তারিখ ২০১৪-০৮-২৭ 
  23. Desmond ও Moore 1991, পৃ. 321–323, 503–505
  24. Dixon 2008, পৃ. 77
  25. van Wyhe 2006
  26. Hale, Piers (জুলাই ২০১২)। "Darwin's Other Bulldog: Charles Kingsley and the Popularisation of Evolution in Victorian England" (পিডিএফ)Science & Education। Netherlands: Springer Science+Business Media21 (7): 977–1013। আইএসএসএন 0926-7220ডিওআই:10.1007/s11191-011-9414-8বিবকোড:2012Sc&Ed..21..977H। ২০১৬-০৩-০৪ তারিখে মূল (PDF) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৪-০৮-২৭ 
  27. AAAS 2006
  28. Baxter, Craig; Darwin Correspondence Project (research collaborator)। "Re: Design"Darwin Correspondence Project (Dramatisation script)। Cambridge, England: University of Cambridge। সংগ্রহের তারিখ ২০১৪-০৮-২৭ 
    • "Dramatisation of the correspondence"Darwin Correspondence Project। Cambridge, England: University of Cambridge। ২০১৪-০৮-১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৪-০৮-২৭ 
  29. "Media Backgrounder: Intelligent Design Article Sparks Controversy"Center for Science and Culture। Seattle, WA: Discovery Institute। সেপ্টেম্বর ৭, ২০০৪। সংগ্রহের তারিখ ২০১৪-০২-২৮ 
  30. Scott, Eugenie Carol (with foreword by Niles Eldredge) (২০০৪)। "Evolution vs. Creationism: an Introduction"। Berkeley & Los Angeles, California: University of California Press: xii। আইএসবিএন 0-520-24650-0। সংগ্রহের তারিখ ৩ জুন ২০১৪Creationism is about maintaining particular, narrow forms of religious belief – beliefs that seem to their adherents to be threatened by the very idea of evolution. 
  31. NAS 1999, p. R9
  32. "Edwards v. Aguillard: U.S. Supreme Court Decision"TalkOrigins Archive। Houston, TX: The TalkOrigins Foundation, Inc.। সংগ্রহের তারিখ ২০১৪-০৯-১৮ 
  33. Ruse, Michael (১৯৮২)। "Creation Science Is Not Science" (পিডিএফ)Science, Technology, & Human Values7 (40): 72–78। 
  34. Sarkar ও Pfeifer 2006, পৃ. 194
  35. Scott, Eugenie C.; Cole, Henry P. (১৯৮৫)। "The elusive basis of creation "science""The Quarterly Review of Biology60 (1): 21–30। ডিওআই:10.1086/414171 
  36. Numbers 2006, পৃ. 34–38
  37. Evolution Vs. Creationism, Eugenie Scott, Niles Eldredge, p62-63
  38. Scott 2005, পৃ. 65
  39. Timmer, John (মে ৭, ২০০৮)। "Evolution: what's the real controversy?"Ars Technica। সংগ্রহের তারিখ ২০১৪-০৮-২৭ 
  40. Wise, Kurt"The Discontinuity of Life"Answers in Genesis। Hebron, KY: Answers in Genesis। সংগ্রহের তারিখ ২০১৪-০৮-২৭ 
  41. Luskin, Casy (মে ১২, ২০০৯), "A Primer on the Tree of Life", Evolution News & Views, Seattle, WA: Discovery Institute, সংগ্রহের তারিখ ২০১৪-০৮-০৬ 
  42. Morris, Henry M. (মে ২০০২)। "Evolution Versus the People" (PDF)Back to Genesis। El Cajon, CA: Institute for Creation Research (161): a–c। ওসিএলসি 26390403। সংগ্রহের তারিখ ২০১৪-০৮-২৭ 
  43. Heng HH (২০০৯)। "The genome-centric concept: resynthesis of evolutionary theory"। Bioessays31 (5): 512–25। ডিওআই:10.1002/bies.200800182পিএমআইডি 19334004  অজানা প্যারামিটার |month= উপেক্ষা করা হয়েছে (সাহায্য)
  44. Stringer, C.B. (১৯৯৪)। "Evolution of early humans"। Steve Jones, Robert Martin & David Pilbeam (eds.)। The Cambridge Encyclopedia of Human Evolution। Cambridge: Cambridge University Press। পৃষ্ঠা 242। আইএসবিএন 0-521-32370-3  Also আইএসবিএন ০-৫২১-৪৬৭৮৬-১ (paperback)
  45. McHenry, H.M (২০০৯)। "Human Evolution"। Michael Ruse & Joseph Travis। Evolution: The First Four Billion Years। Cambridge, Massachusetts: The Belknap Press of Harvard University Press। পৃষ্ঠা 265আইএসবিএন 978-0-674-03175-3 
  46. "Out of Africa Revisited - 308 (5724): 921g - Science"। Sciencemag.org। ২০০৫-০৫-১৩। ডিওআই:10.1126/science.308.5724.921g। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-১১-২৩ 
  47. Nature (২০০৩-০৬-১২)। "Access : Human evolution: Out of Ethiopia"। Nature। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-১১-২৩ 
  48. "Origins of Modern Humans: Multiregional or Out of Africa?"। ActionBioscience। ২০১০-১১-২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-১১-২৩ 
  49. "Modern Humans - Single Origin (Out of Africa) vs Multiregional"। Asa3.org। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-১১-২৩ 
  50. Kutschera, Ulrich; Niklas, KarlJ. (১৭ মার্চ ২০০৪)। "The modern theory of biological evolution: an expanded synthesis"। Naturwissenschaften91 (6): 255–76। ডিওআই:10.1007/s00114-004-0515-yপিএমআইডি 15241603বিবকোড:2004NW.....91..255K 
  51. Morris, Henry M. (১৯৭৭)। The Genesis record : a scientific and devotional commentary on the book of Beginnings (27th সংস্করণ)। Grand Rapids: Baker Book House। পৃষ্ঠা 63আইএসবিএন 0-8010-6004-4 
  52. Awbrey, Frank T. (Summer ১৯৮১)। "Defining "Kinds" — Do Creationists Apply a Double Standard?"Creation Evolution Journal2 (3): 1–6। সংগ্রহের তারিখ ৩১ মার্চ ২০১৬ 
  53. Bishlick, Alan; College, Gustavus Adolphus (জুলাই–আগস্ট ২০০৬)। "Baraminology"Reports of the National Center for Science Education26 (4): 17–21। ১৪ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩১ মার্চ ২০১৬ 
  54. Morris 1985, পৃ. 78–90
  55. Watchtower Bible and Tract Society of New York ও International Bible Students Association 1985, পৃ. 57–59
  56. Gould, Stephen Jay (মে ১৯৯৪)। "Hooking Leviathan by Its Past"Natural History। Research Triangle Park, NC: Natural History Magazine, Inc.। 103 (4): 8–15। আইএসএসএন 0028-0712। ২০১৪-০৮-৩০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৪-০৮-২৭  Gould quotes from Hayward 1985.
  57. Fordyce, R. Ewan; Barnes, Lawrence G. (মে ১৯৯৪)। "The Evolutionary History of Whales and Dolphins"। Annual Review of Earth and Planetary Sciences। Palo Alto, CA: Annual Reviews22: 419–455। আইএসএসএন 1545-4495ডিওআই:10.1146/annurev.ea.22.050194.002223বিবকোড:1994AREPS..22..419F 
  58. del Peloso, E. F.; da Silva, L.; de Mello, G. F. Porto (এপ্রিল ২০০৫)। "The age of the Galactic thin disk from Th/Eu nucleocosmochronology"। Astronomy and Astrophysics। Les Ulis: EDP Sciences; European Southern Observatory434 (1): 275–300। arXiv:astro-ph/0411698অবাধে প্রবেশযোগ্যআইএসএসএন 0004-6361ডিওআই:10.1051/0004-6361:20047060বিবকোড:2005A&A...434..275D 
  59. "Cosmic Detectives"European Space Agency। ২ এপ্রিল ২০১৩। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-০৪-১৫ 
  60. Chang, Kenneth (ফেব্রুয়ারি ২১, ২০০৬)। "Few Biologists but Many Evangelicals Sign Anti-Evolution Petition"The New York Times। সংগ্রহের তারিখ ২০১৪-০২-১১ 
  61. "Statement on the Teaching of Evolution" (পিডিএফ)। Washington, D.C.: American Association for the Advancement of Science। ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০০৬। ২০০৬-০২-২১ তারিখে মূল (PDF) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৪-০৭-৩১Some bills seek to discredit evolution by emphasizing so-called 'flaws' in the theory of evolution or 'disagreements' within the scientific community. Others insist that teachers have absolute freedom within their classrooms and cannot be disciplined for teaching non-scientific 'alternatives' to evolution. A number of bills require that students be taught to 'critically analyze' evolution or to understand 'the controversy.' But there is no significant controversy within the scientific community about the validity of the theory of evolution. The current controversy surrounding the teaching of evolution is not a scientific one. 
  62. টেমপ্লেট:Cite court Whether ID Is Science, p. 89, support the view that "ID's backers have sought to avoid the scientific scrutiny which we have now determined that it cannot withstand by advocating that the controversy, but not ID itself, should be taught in science class. This tactic is at best disingenuous, and at worst a canard. The goal of the IDM is not to encourage critical thought, but to foment a revolution which would supplant evolutionary theory with ID."
  63. Annas, George J. (মে ২৫, ২০০৬)। "Intelligent Judging — Evolution in the Classroom and the Courtroom"The New England Journal of Medicine। Waltham, MA: Massachusetts Medical Society354 (21): 2277–2281। আইএসএসএন 0028-4793ডিওআই:10.1056/NEJMlim055660পিএমআইডি 16723620। সংগ্রহের তারিখ ২০১২-০৭-০১That this controversy is one largely manufactured by the proponents of creationism and intelligent design may not matter, and as long as the controversy is taught in classes on current affairs, politics, or religion, and not in science classes, neither scientists nor citizens should be concerned. 
  64. See:
  65. Via, Sara (Lecturer); Holman, Emmett (Respondent) (এপ্রিল ২০, ২০০৬)। The Origin of Species: What Do We Really Know? (Speech)। AAAS Dialogue on Science, Ethics, and Religion। Washington, D.C.। ২০০৬-০৪-২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৪-০৮-২৭ 
  66. Le Page, Michael (এপ্রিল ১৯, ২০০৮)। "Evolution myths: It doesn't matter if people don't grasp evolution"New Scientist। Reed Business Information। 198 (2652): 31। আইএসএসএন 0262-4079ডিওআই:10.1016/S0262-4079(08)60984-7। সংগ্রহের তারিখ ২০১৪-০৮-২৭ 
  67. Hecht, Jeff (আগস্ট ১৯, ২০০৬)। "Why doesn't America believe in evolution?"New Scientist। Reed Business Information। 191 (2565): 11। আইএসএসএন 0262-4079ডিওআই:10.1016/S0262-4079(06)60136-X। সংগ্রহের তারিখ ২০১৪-০৮-২৭ 
  68. Pitock, Todd (জুন ২১, ২০০৭)। "Science and Islam in Conflict"Discover। Waukesha, WI: Kalmbach Publishing। 28 (6): 36–45। আইএসএসএন 0274-7529। সংগ্রহের তারিখ ২০১৪-০৮-২৭ 
  69. Katz, Gregory (ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০০৮)। "Clash Over Creationism Is Evolving In Europe's Schools"The Tampa Tribune। Tampa, FL: Tampa Media Group, Inc.। Associated Press। অক্টোবর ৪, ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-০২-১৭ 
  70. Edis, Taner (নভেম্বর–ডিসেম্বর ১৯৯৯)। "Cloning Creationism in Turkey"Reports of the National Center for Science Education। Berkeley, CA: National Center for Science Education। 19 (6): 30–35। আইএসএসএন 2158-818X। ২০১৬-০৪-১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-০২-১৭ 
  71. "Serbia reverses Darwin suspension"BBC News। London: BBC। সেপ্টেম্বর ৯, ২০০৪। সংগ্রহের তারিখ ২০১৪-০৮-২৭ 
  72. Highfield, Roger (অক্টোবর ২, ২০০৭)। "Creationists rewrite natural history"The Daily Telegraph। London: Telegraph Media Group। ডিসেম্বর ২১, ২০০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-০২-১৭ 
  73. Blancke, Stefaan (ডিসেম্বর ২০১০)। "Creationism in the Netherlands"Zygon। Hoboken, NJ: Wiley-Blackwell45 (4): 791–816। আইএসএসএন 0591-2385ডিওআই:10.1111/j.1467-9744.2010.01134.x। সংগ্রহের তারিখ ২০১৪-০৮-২৭ 
  74. "Recognition for Our Noodly Friend"New Scientist (Feedback)। Reed Business Information। 196 (2629): 112। নভেম্বর ১০, ২০০৭। আইএসএসএন 0262-4079ডিওআই:10.1016/S0262-4079(07)62868-1। সংগ্রহের তারিখ ২০১৪-০৮-২৭ 
  75. "'Evolution abroad'"National Center for Science Education। Berkeley, CA: National Center for Science Education। মার্চ ৪, ২০১১। মার্চ ৪, ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৪-০৫-০২ 
  76. Numbers 1998
  77. Hennessy, Carly (মে ৩০, ২০১০)। "Creationism to be taught in Queensland classrooms"Herald Sun। Melbourne: The Herald and Weekly Times। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-০৭-২২ 
  78. Plimer 1994
  79. Campbell, Richard (producer); Smith, Robyn (researcher); Plimer, Ian (জুলাই ১৭, ২০০৭)। "'Telling Lies for God'? One Man's Crusade"QuantumTranscript। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-০২-০৫ 
  80. "In the beginning"The Economist। London: The Economist Newspaper Limited। এপ্রিল ১৯, ২০০৭। সংগ্রহের তারিখ ২০০৭-০৪-২৫  This article gives a worldwide overview of recent developments on the subject of the controversy.
  81. Burton, Elise K. (মে–জুন ২০১০)। "Teaching Evolution in Muslim States:Iran and Saudi Arabia Compared"Reports of the National Center for Science Education। Berkeley, CA: National Center for Science Education। 30 (3): 25–29। আইএসএসএন 2158-818X। সংগ্রহের তারিখ ২০১৪-০১-১৩ 
  82. "Islamic views on evolution"Wikipedia (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২৪-০৪-০১। 
  83. Malik, Shoaib Ahmed। Islam and Evolution Al Ghazali and Modern Evolutionary Paradigm 
  84. "Does Islam Forbid Even Studying Evolution?"HuffPost (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১২-০১-০৪। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৪-১৬ 
  85. Ahmed, Israr। The Process Of Creation 
  86. "t. o. shanavas - IslamiCity"www.islamicity.org। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৪-১৬ 
  87. "Caner Taslaman – Kişisel web sitesi" (তুর্কি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৪-১৬ 
  88. Keller, Nuh Ha Mim। "Evolution Theory and Islam: Letter to Suleman Ali"। 
  89. Moran, Glen (2021-03)। "THE FINAL DOMINO: YASIR QADHI, YOUTUBE, AND EVOLUTION"Zygon® (ইংরেজি ভাষায়)। 56 (1): 34–53। আইএসএসএন 0591-2385ডিওআই:10.1111/zygo.12666  এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |তারিখ= (সাহায্য)
  90. "Dr. Nazir Khan"Yaqeen Institute for Islamic Research (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৪-১৬