কারেন্সি বিল্ডিং

স্থানাঙ্ক: ২২°৩৪′৩২″ উত্তর ৮৮°২১′০৮″ পূর্ব / ২২.৫৭৫৬৬৩° উত্তর ৮৮.৩৫২৩০৩° পূর্ব / 22.575663; 88.352303
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
কারেন্সি বিল্ডিং
Three-story building, viewed from the street with trees in the foreground
বি-বা-দী বাগ (ডালহৌসি স্কয়ার) থেকে দৃশ্যমান কারেন্সি বিল্ডিং
মানচিত্র
পূর্ব নামআগ্রা ব্যাঙ্ক
আগ্রা ও মাস্টারম্যান'স ব্যাঙ্ক
কারেন্সি অফিস
ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক
ওল্ড কারেন্সি বিল্ডিং[১]
স্থাপিত১৮৩৩ (নির্মিত)
১৮৬৮ (মুদ্রা কার্যালয়ে রূপান্তর)
২০২০ (সংস্কার-পরবর্তী উৎসর্গকরণ)
অবস্থানওল্ড কোর্ট হাউস রোড ও সুরেন্দ্র মোহন ঘোষ সরণি, লাল দিঘি,
বি-বা-দী বাগ (ডালহৌসি স্কয়ার),
কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত
স্থানাঙ্ক২২°৩৪′৩২″ উত্তর ৮৮°২১′০৮″ পূর্ব / ২২.৫৭৫৬৬৩° উত্তর ৮৮.৩৫২৩০৩° পূর্ব / 22.575663; 88.352303
ধরনযাদুঘর
তত্ত্বাবধায়কডিএজি যাদুঘর
রাষ্ট্রীয় আধুনিক কলা সংগ্রহালয় (এনজিএমএ)
নিকটতম গণপরিবহন সুবিধা লাইন ২  মহাকরণ মেট্রো স্টেশন, কলকাতা মেট্রো

কারেন্সি বিল্ডিং ১৯-শতকের গোড়ার দিকে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের রাজধানী শহর কলকাতার কেন্দ্রীয় ব্যবসায়িক জেলা বি-বা-দী বাগে (ডালহৌসি স্কয়ার) নির্মিত একটি ভবন। ভবনটি মূলত আগ্রা ব্যাঙ্কের কলকাতা শাখার জন্য ১৮৩৩ সালে নির্মিত হয়। এটি ১৮৬৮ সালে ব্রিটিশ রাজের অধীনে মুদ্রা নিয়ন্ত্রকের একটি কার্যালয়, সরকারি মুদ্রার প্রবর্তন ও বিনিময় কার্যালয় দ্বারা ব্যবহারের জন্য রূপান্তরিত হয়। রিজার্ভ ব্যাংক অব ইন্ডিয়া (আরবিআই) ভবনটিকে ১৯৩৩ সাল থেকে ১৯৩৭ সাল পর্যন্ত প্রথম কেন্দ্রীয় কার্যালয় হিসাবে ব্যবহার করে। ভবনটি ব্যবহারের মধ্যেই রয়েছে এবং একসময় কেন্দ্রীয় গণপূর্ত বিভাগ (সিপিডাব্লুডি) গুদাম হিসাবে ব্যবহার করত। কর্তৃপক্ষ ১৯৯৪ সালে ভবনটি ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে।

সিপিডাব্লুডি ১৯৯৬ সাল থেকে ১৯৯৯ সাল পর্যন্ত ভেঙে ফেলার কাজ করে; তবে ভবনটি সম্পূর্ণরূপে ভেঙে ফেলা থেকে ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল ট্রাস্ট ফর আর্ট অ্যান্ড কালচারাল হেরিটেজ (ইনট্যাক) ও কলকাতা পৌরসংস্থা কর্তৃক রক্ষা পায়। রক্ষাকারীকরণটি ২০০৩ সালে ভারতীয় প্রত্নতাত্ত্বিক জরিপে (এএসআই) উত্তীর্ণ হয়, যা ভবনটিকে ২০০৫ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত সংস্কার করে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ২০২০ সালের ১১ জানুয়ারি ভবনটিকে আনুষ্ঠানিকভাবে উৎসর্গ করেন এবং একটি যাদুঘর হিসাবে পুনরায় চালু করেন।

কারেন্সি বিল্ডিং একটি তিনতলা বিশিষ্ট ইতালীয় কাঠামো, এতে মার্বেল ও চুনার বেলেপাথরের দ্বারা আবৃত মেঝে রয়েছে। ভবনের প্রধান প্রবেশপথটিতে পেটা লোহা এবং খড়খড়িযুক্ত জানালা দিয়ে তৈরি তিন-অংশে ভিভক্ত প্রবেশদ্বার রয়েছে। ভবনের কেন্দ্রীয় হল, বর্তমানে একটি উন্মুক্ত-আঙ্গিনা, এর আগে তিনটি বৃহত গম্বুজযুক্ত শীর্ষে স্কাইলাইটস স্থাপিত ছিল। মুদ্রা কার্যালয় হিসাবে ব্যবহারের সময়, কেন্দ্রীয় হলটিতে ব্যঙ্ক নোট, স্বর্ণ, রৌপ্য ও ছোট বিনিময়ের জন্য বিনিময় কাউন্টার (এক্সচেঞ্জ কাউন্টার) অন্তর্ভুক্ত ছিল। ভবনের সংস্কারের সময়, কেন্দ্রীয় হলটি উন্মুক্ত-আঙ্গিনার অনুষ্ঠানসমূহের জন্য একটি স্থান হিসাবে পুনর্গঠিত করা হয়।

ভূগোল ও স্থাপন[সম্পাদনা]

কারেন্সি বিল্ডিং-এর সম্মুখভাগ, বকুলতলা, বি বা দী বাগ, জুন ২০২২।

কারেন্সি বিল্ডিংটি ওল্ড কোর্ট হাউস রোড ও সুরেন্দ্র মোহন ঘোষ সরণির মোড়ে বি বা দী বাগের (যা কলকাতার কেন্দ্রীয় ব্যবসায় জেলা, পূর্বে ডালহৌসি স্কয়ার নামে পরিচিত ছিল) ১১বি তে অবস্থিত।[২][৩][৪] ভবনের মূল অংশটি বি বা দী বাগের দিকে পশ্চিমমুখীভাবে অবস্থিত।[২][৫] ভবনের ১০০ মিটার (৩৩০ ফুট) উত্তর-পশ্চিমে লাল দিঘি, কলকাতা মেট্রো লাইন ২-এর মহাকরণ মেট্রো স্টেশন ও বি বা দী বাগ ট্রাম স্টেশন তত্ক্ষণাত পশ্চিমে[২][৬] এবং হুগলি নদী প্রায় ৬৬০ মিটার (২,১৭০ ফুট) পশ্চিমে অবস্থিত।[২]

ইতিহাস[সম্পাদনা]

ব্যাংক সদর দফতর ও মুদ্রা কার্যালয়[সম্পাদনা]

কলকাতা আঠারো শতক থেকে নতুন দিল্লিতে রাজধানী স্থানান্তরের পূর্বে ১৯১১ সাল পর্যন্ত ব্রিটিশ রাজের রাজধানী হিসাবে কাজ করে।[৭] রাজধানী হিসাবে কলকাতার শাসনামলে ডালহৌসি স্কয়ার ছিল শহরের আর্থিক, সামাজিক ও রাজনৈতিক কেন্দ্র।[৭] কারেন্সি বিল্ডিং বর্তমান সময়ে ডালহৌসি স্কয়ারেয় যে প্লটের উপরে দাঁড়িয়ে আছে, সেটি মূলত কলকাতা নিলাম সংস্থার কার্যালয় ভবনের স্থান।[৮] আগ্রা ব্যাংক[ক] গভর্নর জেনার উইলিয়াম বেন্টিংকের শাসনকালে কলকাতা শাখার জন্য প্লটটি ১৮২৫ সালে অধিগ্রহণ করে[৮] এবং বর্তমান ভনটি ১৮৩৩ সালে নির্মাণ করে।[১৪][১৫][১৬] আগ্রা ব্যাংক ১৮৬৬ সালে কার্যক্রম স্থগিত করে।[১২][খ]

মুদ্রা বিভাগের দায়িত্বাধীন অবস্থায় কারেন্সি বিল্ডিং

মুদ্রার ইম্পেরিয়াল কন্ট্রোলার ১৮৬৮ সালে কারেন্সি বিল্ডিংয়ের একটি বড় অংশকে সরকারি মুদ্রার প্রবর্তন ও বিনিময় কার্যালয় দ্বারা ব্যবহারের জন্য রূপান্তর করে, এর পরে এটি কারেন্সি বিল্ডিং হিসাবে পরিচিতি পায়।[১৪][১৫][১৬] কলকাতা টাকশাল মুদ্রার কার্যকরী সংরক্ষণের জন্য মুদ্রা কার্যালয়ে রৌপ্য মুদ্রা প্রেরণ করে, যখন ভারতের রৌপ্যের বেশিরভাগ অংশ ফোর্ট উইলিয়ামে ছিল।[১৮][১৯] ভারত সরকার ভবনটিকে মুদ্রা প্রবর্তন ও সংরক্ষণের পাশাপাশি, নোট বা কাগজের মুদ্রা প্রবর্তন করার জন্যও ব্যবহার করেছিল।[২০] কলকাতা নাগরিক ভবনগুলির রক্ষণাবেক্ষণের অংশ হিসাবে ১৮৮৯ সাল থেকে ১৮৯৯ সালের মধ্যে বেঙ্গল সরকার ভবনের জল নিষ্কাশনকে উন্নত করে।[২১]

ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংক (আরবিআই) ১৯৩৩ সালের ১ এপ্রিল প্রতিষ্ঠার পরে,[২২] কারেন্সি বিল্ডিংটি ১৯৩৫ থেকে ১৯৩৭ সাল পর্যন্ত আরবিআই-এর প্রথম কেন্দ্রীয় কার্যালয় হিসাবে কাজ করে।[১৬][২০][২৩] আরবিআই ব্যাংক নোট প্রবর্তন নিয়ন্ত্রণ, আর্থিক স্থিতিশীলতা সুরক্ষার জন্য মজুদ রক্ষণ এবং ভারতের মুদ্রা ও ঋণ ব্যবস্থা পরিচালনা করার জন্য প্রতিষ্ঠিত হয়।[২৪] আরবিআই ১৯৩৭ সালে কারেন্সি বিল্ডিং থেকে বোম্বাইতে কেন্দ্রীয় কার্যালয় স্থানান্তরিত করে।[১৬][২০][২৩] ভবনটি ১৯৩৭ সাল থেকে ১৯৯৪ সাল পর্যন্ত ব্যবহৃত হয়, তবে এটি অবহেলার শিকার হয়। এটি এক পর্যায়ে সিপিডব্লিউডি দ্বারা গুদাম হিসাবে ব্যবহার করা হত।[৫][১৫][২০]

সংস্কার[সম্পাদনা]

কাঠামোগত অবনতির কারণে ১৯৯৪ সালে কর্তৃপক্ষসমূহ কারেন্সি বিল্ডিংটি ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে;[১৫] এবং তত্ত্বাবধায়কের দায়িত্ব সিপিডব্লিউডি-কে প্রদান করা হয়, যারা ভনটির স্থানে একটি সু-উচ্চ ভবন নির্মাণের পরিকল্পনা করে।[৫][১৬][২৫] সিপিডব্লিউডি ১৯৯৬ সালে ভবনটি ভাঙা শুরু করে।[১৫] ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল ট্রাস্ট ফর আর্ট অ্যান্ড কালচারাল হেরিটেজ (ইনট্যাক) ও কলকাতা পৌরসংস্থা ১৯৯৯ সালে হস্তক্ষেপ ও ভাঙার কাজ স্থগিত করার পর্বেই বিভাগটি ভবনের কেন্দ্রীয় হলেরে তিনটি বৃহৎ গম্বুজ ভেঙে ফেলেছিল।[৫][১৫][১৬] ভারতীয় প্রত্নতাত্ত্বিক জরিপকে (এএসআই) তত্ত্বাবধায়কের হিসাবে নিয়োগের অনুমতি ২০০৩ সালের স্বীকৃতি লাভ করে এবং তারা ২০০৫ সালে ভবনটির দায়িত্বভার গ্রহণ করে।[৫][১৫][১৬]

স্কয়ারের ভবনসমূহ সংরক্ষণের জন্য বিশ্ব স্মৃতিসৌধ তহবিল ২০০৪ সাল থেকে ২০০৬ সালে স্থানীয় সংরক্ষণবাদীদের জন্য তহবিল সংগ্রহ ও সহায়তা প্রদানের জন্য ডালহৌসি স্কয়ারের ঐতিহাসিক ভবনসমূহকে তার বিশ্ব স্মৃতিসৌধ দর্শনে অন্তর্ভুক্ত করে।[৭][২৬] পশ্চিমবঙ্গ সরকার এই দর্শন তালিকা দ্বারা প্রবর্তিত জেলার ভবনসমূহ সংরক্ষণ করার প্রতিশ্রুতি প্রদান করে।[৭][২৬] কলকাতা পৌরসংস্থা ২০০৯ সালে ঐতিহাসিক নিদর্শনসমূহের একটি মান তালিকা অনুমোদিত করে, যা কারেন্সি বিল্ডিংকে প্রথম মানের ঐতিহ্যবাহী ভবন হিসাবে তালিকাভুক্ত করে।[২৭]

এএসআই'কে কারেন্সি বিল্ডিংয়ের সংরক্ষণ ও পুনরুদ্ধারের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল, যার নেতৃত্বে ছিলেন প্রকৌশলী ও প্রত্নতাত্ত্বিকদের একটি প্রযুক্তিগত দল।[৫][১৫][১৬] ধ্বংসস্তূপের ধ্বংসাবশেষ অপসারণে দুই বছর অতিবাহিত হয় এবং এর পরে ভবনের কেন্দ্রীয় হলের চারপাশে ভাঙা অংশসমূহ মেরামত ও পুনর্নির্মাণের মাধ্যমে ভবনের পুনরুদ্ধার শুরু হয়।[১৬] প্রকল্পটি চুন প্লাস্টারিংয়ের ক্ষেত্রে দক্ষ শ্রমিকদের অভাবের কারণে বিলম্বিত হয়।[১৬] এএসআই ২০১৯ সালের মধ্যে কারেন্সি বিল্ডিংয়ে একটি প্রদর্শনীর স্থান ও বইয়ের দোকান চালু করে।[৪]

যাদুঘর ও অনুষ্ঠানের স্থান[সম্পাদনা]

অভ্যন্তরীণ প্রদর্শনী স্থান

ভবনটির পুনরুদ্ধারের পরে, কারেন্সি বিল্ডিং ২০১২ সালে ভারতের জাতীয় পাট বোর্ড আয়োজিত একটি পাট ও রেশম প্রদর্শনীর আয়োজন করে।[৫] ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ২০২০ সালের ১১ জানুয়ারী পুনঃ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কারেন্সি বিল্ডিংকে সরকারি জাদুঘর হিসাবে আনুষ্ঠানিকভাবে উৎসর্গ করেন।[১৫] এটি মেটকাফ হল, বেলভেডিয়ার হাউসভিক্টোরিয়া স্মৃতিসৌধের সাথে মোদী দ্বারা উৎসর্গীকৃত কলকাতার চারটি পুনরুদ্ধারকৃত উপনিবেশিক ভবনসমূহের মধ্যে একটি ছিল।[১][২৫][২৮]

ভবনটির পুনঃ উদ্বোধনটি তার উদ্বোধনী শিল্প প্রদর্শনীর সূচনা করে, ২০২০ সালের ২০ জানুয়ারি ঘরে বাইরে | দ্য ওয়ার্ল্ড, দ্য হোম অ্যান্ড বায়োড: বাংলায় ১৮তম-২০তম শতাব্দীর শিল্পকলা জন সাধারণের উন্মুক্ত করা হয়।[৩][১৫] প্রদর্শনীটি ভারতের সংস্কৃতি মন্ত্রক দ্বারা পরিচালিত হয় এবং ডিএজি যাদুঘর দ্বারা সংগঠিত ও সজ্জিত হয়—এক ব্যক্তিগত শিল্পকলা ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান—ন্যাশনাল গ্যালারী অব মডার্ন আর্ট (এনজিএমএ) এর সহযোগিতায়।[৩][১৫] ডিএজি অনুসারে প্রদর্শনীটি "বাংলার শিল্প ও শিল্পীদের প্রথম বিস্তৃত প্রদর্শন" ছিল।[৩] প্রদর্শনীতে বিনামূল্যে প্রবেশাধিকার প্রদান করা হয়।[১৫] করোনাভাইরাস রোগ ২০১৯ (কোভিড-১৯) মহামারীর কারণে যাদুঘর ও প্রদর্শনীটি সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য বন্ধ ছিল।[১৫] পাকিস্তানের জাতীয় শিল্পী হিসাবে বিবেচিত আবদুর রহমান চুঘতাইয়ের দুটি শিল্পকর্ম ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে প্রথমবারের মতো কারেন্সি বিল্ডিংয়ে ঘরে বাইরে প্রদর্শনের অংশ হিসাবে প্রদর্শিত হয়।[২৯][৩০] কারেন্সি বিল্ডিং ২০২১ সালের জানুয়ারি মাসে ‘এপিজে কলকাতা সাহিত্য উৎসব ২০২১’ এর অংশ হিসাবে প্রদত্ত আলোচনার অনুষ্ঠান স্থান হিসাবে কাজ করে।[৩১]

স্থাপত্য[সম্পাদনা]

মুক্তাঙ্গন বিশিষ্ট কেন্দ্রীয় হল

কারেন্সি বিল্ডিং ইতালীয় স্থাপত্য শৈলীতে নির্মিত একটি তিনতলা ইটের কাঠামো।[১৪][১৯] ভবনের খিলানযুক্ত ছাদটি লোহার কড়িকাঠ দ্বারা সমর্থিত।[১৪][২০] এর মেঝেসমূহ মার্বেল ও চুনার বেলেপাথর দ্বারা আবৃত।[১৪][২০] ভবনের পশ্চিমে প্রধান প্রবেশপথটিতে পেটা লোহা[১৪]খড়খড়িযুক্ত জানালা দিয়ে তৈরি তিন-অংশে ভিভক্ত প্রবেশদ্বার রয়েছে।[১][২০][২৫] ভবনের কেন্দ্রীয় হল, বর্তমানে একটি উন্মুক্ত-আঙ্গিনা, এর আগে তিনটি বৃহত গম্বুজযুক্ত শীর্ষে স্কাইলাইটস স্থাপিত ছিল।[১৪][১৮] মুদ্রা কার্যালয় হিসাবে ব্যবহারের সময়, কেন্দ্রীয় হলটিতে ব্যঙ্ক নোট, স্বর্ণ, রৌপ্য ও ছোট বিনিময়ের জন্য বিনিময় কাউন্টার (এক্সচেঞ্জ কাউন্টার) অন্তর্ভুক্ত ছিল।[১৮][১৯] দ্বিতীয় তলায় ইতালীয় মার্বেল মেঝে সহ অতিশয় বিস্তৃত-নিখুঁত কক্ষ রয়েছে।[১৯] তৃতীয় তলায় ইতালীয় মার্বেল মেঝে রয়েছে এবং মুদ্রা কার্যালয়ের দায়িত্বে থাকা সহকারী কমিশনারের বাসভবন রাখা হয়েছিল।[১৪][১৯]

সংস্কারের সময় প্রাথমিক পরিকল্পনাটি ছিল, তিনটি গম্বুজ যেখানে আগে অবস্থিত ছিল, সেই কেন্দ্রীয় হলটির উপরে কাচের ছাদ নির্মাণ করা; তবে এএসআই এই পরিকল্পনা বাতিল করে কেন্দ্রীয় হলটিকে মুক্তাঙ্গন অনুষ্ঠানের জন্য একটি স্থান হিসাবে পুনর্গঠিত করে।[৫] এএসআই কেন্দ্রীয় হল ও সংলগ্ন অভ্যন্তর করিডোরসমূহের মধ্যে প্রবেশাধিকার সরবরাহের জন্য গতি-সেন্সর-সজ্জিত কাচের দরজা স্থাপন;[১][৫] পশ্চিম শাখায় জানালা ও দরজা পালিশ; বহিরংশ পুনরায় রঙ সাদা;[৫] অভ্যন্তর প্রাচীর প্লাস্টার; মেঝে মেরামত; ক্ষয়িষ্ণু কাঠের সিঁড়ি পুনরুদ্ধার;[১][১৬] এবং পার্শ্ববর্তী ভবনসমূহের নিকাশী লাইন থেকে জলাবদ্ধতা প্রশমিত করার জন্য নিষ্কাশন ব্যবস্থা সংস্কার করে।[১][১৬] এই প্রকল্পের সময়, এএসআই প্রত্নতাত্ত্বিকেরা নিকটবর্তী হুগলি নদীর থেকে একটি ভূগর্ভস্থ খালের প্রমাণ খুঁজে পায়, যার জল সদ্য-মুদ্রিত মুদ্রা শীতল করতে ব্যবহৃত হত।[২০]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

ব্যাখ্যামূলক টীকা[সম্পাদনা]

  1. The Agra Bank was established in 1833.[৯] The Agra Bank became the Agra and United Service Bank, Limited, in 1862, and it subsequently merged with Masterman, Peters, Mildred, Birkbeck and Company, in 1864, and became the Agra and Masterman's Bank, Limited.[১০][১১] Agra and Masterman's Bank ceased operation in June 1866,[১১][১২] and in December 1866, all "property and effects" of the bank were transferred to Agra Bank, Limited,[১২][১৩] which was reincorporated in 1867.[১১] Agra Bank, Limited, continued operation until its liquidation in 1900.[১১]
  2. While sources differ on the year of the Agra Bank's failure (1866 or 1886) and on the year of the Currency Department's acquisition of the Currency Building (1868, 1886, or 1888), the Reserve Bank of India, the Court of Chancery, and statistician John Biddulph Martin state that the Agra Bank failed in 1866.[৯][১২][১৭]

উদ্ধৃতিসমূহ[সম্পাদনা]

  1. Madhukalya, Amrita (১১ জানুয়ারি ২০২০)। "PM Modi to begin two-day visit to Kolkata, inaugurate 4 revamped buildings"Hindustan Times। New Delhi। ১৬ জানুয়ারি ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৯ ডিসেম্বর ২০২০ 
  2. "Map centered on the Currency Building"Google Maps। ২০২০। ১৯ ডিসেম্বর ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৯ ডিসেম্বর ২০২০ 
  3. "Ghare Baire"DAG website। DAG। ২০২০। ২৭ অক্টোবর ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৯ ডিসেম্বর ২০২০ 
  4. Lonely Planet 2019, পৃ. BBD Bagh section.
  5. Roy, Subhajoy (৫ জানুয়ারি ২০১৯)। "Currency Building, a Calcutta heritage, turns into an exhibition hub"The Telegraph। Kolkata। ১৯ ডিসেম্বর ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৯ ডিসেম্বর ২০২০ 
  6. Chakraborty, Ajanta (২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২০)। "Kolkata: After work for 29 months, station structure ready at Mahakaran"The Times of India। Mumbai। ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ এপ্রিল ২০২১ 
  7. "Dalhousie Square"World Monuments Fund websiteWorld Monuments Fund। ২০২১। সংগ্রহের তারিখ ৩ এপ্রিল ২০২১ 
  8. Chaudhuri, Drimi (৩১ মে ২০১৫)। "Restoring glory of Currency Building"Deccan Chronicle। Hyderabad। ৩১ ডিসেম্বর ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২২ ডিসেম্বর ২০২০ 
  9. "Museum: The Advent of Modern Banking in India, 1720 to 1850s"Reserve Bank of India websiteReserve Bank of India। ২০২০। ৩১ ডিসেম্বর ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২২ ডিসেম্বর ২০২০ 
  10. Mäkitie 2016, পৃ. 36.
  11. Jones 1995, পৃ. 403.
  12. Hemming 1870, পৃ. 730.
  13. "নং. 23192"দ্যা লন্ডন গেজেট (ইংরেজি ভাষায়)। ৩০ নভেম্বর ১৮৬৬। 
  14. "Monuments"Archaeological Survey of India, Kolkata Circle websiteArchaeological Survey of India, Kolkata Circle। ২০২০। ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৯ ডিসেম্বর ২০২০ 
  15. Ghosh, Bishwanath (১৪ ডিসেম্বর ২০২০)। "1833 building that escaped demolition is now a goldmine of art"The Hindu। Chennai। ১৯ ডিসেম্বর ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৯ ডিসেম্বর ২০২০ 
  16. "ASI steps to restore 200-year-old Currency building in Dalhousie"The Economic Times। Mumbai। ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ১৯ ডিসেম্বর ২০২০ 
  17. Martin 1879, পৃ. 678.
  18. Suhrawardy 1936, পৃ. 74.
  19. Cotton 1980, পৃ. 744.
  20. Singh, Shiv Sahay (১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৫)। "Restoring value to the Currency Building"The Hindu। Chennai। ৭ মে ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৯ ডিসেম্বর ২০২০ 
  21. Administration of Bengal 1890, পৃ. 207–208.
  22. Kisch, Cecil (১৯৪৯)। "Review 'The Monetary Policy of Reserve Bank of India' by Rohit"The Economic Journal। Oxford। 59 (235): 436–438। জেস্টোর 2226888ডিওআই:10.2307/2226888 
  23. "Kolkata Regional Office of the Reserve Bank of India Profile"Reserve Bank of India websiteReserve Bank of India। ২০২০। ১৯ ডিসেম্বর ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৯ ডিসেম্বর ২০২০ 
  24. "Milestones"Reserve Bank of India websiteReserve Bank of India। ২০২১। ৮ মার্চ ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৮ মার্চ ২০২১ 
  25. Times Travel Editor (১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৫)। "3 colonial structures restored in Kolkata; PM to do the re-dedication"The Times of India। Mumbai। ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৯ ডিসেম্বর ২০২০ 
  26. "A tale of two cities"Deccan Herald। Bengaluru। ২ জুলাই ২০১১। সংগ্রহের তারিখ ৩ এপ্রিল ২০২১ 
  27. Kolkata Municipal Corporation 2009, পৃ. 4 & 46.
  28. Press Information Bureau (১১ জানুয়ারি ২০২০)। "Prime Minister Dedicates Four Refurbished Heritage Buildings in Kolkata to the Nation" (সংবাদ বিজ্ঞপ্তি)। Delhi: Press Information BureauMinistry of Culture। ১৯ ডিসেম্বর ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৯ ডিসেম্বর ২০২০ 
  29. Dasgupta, Priyanka (১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২১)। "Pak artist's paintings on display at Kolkata expo"The Times of India। Mumbai। ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৮ মার্চ ২০২১ 
  30. "Abdur Rahman Chughtai, Pakistani artist"Encyclopædia Britannica। ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৮ মার্চ ২০২১ 
  31. "While some of the talks will be held at the newly renovated Heritage Currency Building under strict COVID-19 safety protocols, others will be conducted in a live streaming format"Outlook। New Delhi। ২২ জানুয়ারি ২০২১। ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৮ মার্চ ২০২১ 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]