ভারতের সর্বোচ্চ আদালত: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

স্থানাঙ্ক: ২৮°৩৭′২০″ উত্তর ৭৭°১৪′২৩″ পূর্ব / ২৮.৬২২২৩৭° উত্তর ৭৭.২৩৯৫৮৪° পূর্ব / 28.622237; 77.239584
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
InternetArchiveBot (আলোচনা | অবদান)
5টি উৎস উদ্ধার করা হল ও 0টি অকার্যকর হিসেবে চিহ্নিত করা হল। #IABot (v2.0beta10ehf1)
NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান)
বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে। কোন সমস্যায় এর পরিচালককে জানান।
২১ নং লাইন: ২১ নং লাইন:
}}
}}
{{Courts of India}}
{{Courts of India}}
'''ভারতের সর্বোচ্চ ন্যায়ালয়''' বা '''ভারতের সুপ্রিম কোর্ট''' ([[ইংরেজি ভাষা|ইংরেজি]]: '''Supreme Court of India''') হল [[ভারত|ভারতের]] সর্বোচ্চ বিচারবিভাগীয় অধিকরণ ও [[ভারতের সংবিধান|ভারতের সংবিধানের]] অধীনে সর্বোচ্চ আপিল আদালত এবং সর্বোচ্চ সাংবিধানিক আদালত। ভারতের সর্বোচ্চ ন্যায়ালয় [[সাংবিধানিক পর্যালোচনা|সাংবিধানিক পর্যালোচনার]] অধিকারপ্রাপ্ত।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|title = Supreme Court of India|url = http://www.mapsofindia.com/government-of-india/judiciary/Supreme-Court.html|accessdate = 2015-10-03}}</ref>
'''ভারতের সর্বোচ্চ ন্যায়ালয়''' বা '''ভারতের সুপ্রিম কোর্ট''' ([[ইংরেজি ভাষা|ইংরেজি]]: '''Supreme Court of India''') হল [[ভারত|ভারতের]] সর্বোচ্চ বিচারবিভাগীয় অধিকরণ ও [[ভারতের সংবিধান|ভারতের সংবিধানের]] অধীনে সর্বোচ্চ আপিল আদালত এবং সর্বোচ্চ সাংবিধানিক আদালত। ভারতের সর্বোচ্চ ন্যায়ালয় [[সাংবিধানিক পর্যালোচনা|সাংবিধানিক পর্যালোচনার]] অধিকারপ্রাপ্ত।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|শিরোনাম = Supreme Court of India|ইউআরএল = http://www.mapsofindia.com/government-of-india/judiciary/Supreme-Court.html|সংগ্রহের-তারিখ = 2015-10-03}}</ref>


[[ভারতের প্রধান বিচারপতি]] ও অপর ৩০ জন বিচারপতিকে নিয়ে ভারতের সর্বোচ্চ ন্যায়ালয় গঠিত। এটির [[মৌলিক এক্তিয়ার|মৌলিক]], [[আপিল এক্তিয়ার|আপিল]] ও [[উপদেষ্টা এক্তিয়ার]] রয়েছে।
[[ভারতের প্রধান বিচারপতি]] ও অপর ৩০ জন বিচারপতিকে নিয়ে ভারতের সর্বোচ্চ ন্যায়ালয় গঠিত। এটির [[মৌলিক এক্তিয়ার|মৌলিক]], [[আপিল এক্তিয়ার|আপিল]] ও [[উপদেষ্টা এক্তিয়ার]] রয়েছে।
২৯ নং লাইন: ২৯ নং লাইন:
ভারতের নাগরিকদের মৌলিক অধিকার রক্ষার জন্য প্রসারিত মৌলিক এক্তিয়ার সর্বোচ্চ ন্যায়ালয়ের রয়েছে। ভারতের বিভিন্ন সরকারগুলির অভ্যন্তরীণ বিবাদ নিরসণের জন্যও এই আদালত কাজ করে। উপদেষ্টা আদালত হিসেবে সর্বোচ্চ ন্যায়ালয় [[ভারতের রাষ্ট্রপতি]] কর্তৃক বিশেষত সংবিধানের অধীনস্থ বিষয়গুলির শুনানি গ্রহণ করে। আবার কেউ এই আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ না করলেও, এটি নিজে থেকে বিভিন্ন বিষয়ে হস্তক্ষেপ (বা ‘সুয়ো মোটো’) করতে পারে। [[কলকাতা|কলকাতায়]] বিচারবিভাগীয় প্রশাসন পরিচালনার জন্য প্রথম এই আদালত গঠিত হয়েছিল।
ভারতের নাগরিকদের মৌলিক অধিকার রক্ষার জন্য প্রসারিত মৌলিক এক্তিয়ার সর্বোচ্চ ন্যায়ালয়ের রয়েছে। ভারতের বিভিন্ন সরকারগুলির অভ্যন্তরীণ বিবাদ নিরসণের জন্যও এই আদালত কাজ করে। উপদেষ্টা আদালত হিসেবে সর্বোচ্চ ন্যায়ালয় [[ভারতের রাষ্ট্রপতি]] কর্তৃক বিশেষত সংবিধানের অধীনস্থ বিষয়গুলির শুনানি গ্রহণ করে। আবার কেউ এই আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ না করলেও, এটি নিজে থেকে বিভিন্ন বিষয়ে হস্তক্ষেপ (বা ‘সুয়ো মোটো’) করতে পারে। [[কলকাতা|কলকাতায়]] বিচারবিভাগীয় প্রশাসন পরিচালনার জন্য প্রথম এই আদালত গঠিত হয়েছিল।


সর্বোচ্চ আদালত কর্তৃক ঘোষিত আইন ভারতের সকল আদালত মেনে চলতে বাধ্য।<ref name="History PDF">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|title=History of Supreme Court of India|url=http://supremecourtofindia.nic.in/supct/scm/m2.pdf|publisher=Supreme Court of India|accessdate=30 August 2014|format=PDF|আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20141222100038/http://www.supremecourtofindia.nic.in/supct/scm/m2.pdf|আর্কাইভের-তারিখ=২২ ডিসেম্বর ২০১৪|অকার্যকর-ইউআরএল=হ্যাঁ}}</ref>
সর্বোচ্চ আদালত কর্তৃক ঘোষিত আইন ভারতের সকল আদালত মেনে চলতে বাধ্য।<ref name="History PDF">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|শিরোনাম=History of Supreme Court of India|ইউআরএল=http://supremecourtofindia.nic.in/supct/scm/m2.pdf|প্রকাশক=Supreme Court of India|সংগ্রহের-তারিখ=30 August 2014|বিন্যাস=PDF|আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20141222100038/http://www.supremecourtofindia.nic.in/supct/scm/m2.pdf|আর্কাইভের-তারিখ=২২ ডিসেম্বর ২০১৪|অকার্যকর-ইউআরএল=হ্যাঁ}}</ref>
[[চিত্র:Hon'ble_Apex_Court.jpg|থাম্ব|ভারতের সুপ্রীম কোর্ট, নতুন দিল্লী]]
[[চিত্র:Hon'ble_Apex_Court.jpg|থাম্ব|ভারতের সুপ্রীম কোর্ট, নতুন দিল্লী]]


৩৭ নং লাইন: ৩৭ নং লাইন:
১৯৫০ সালের ২৮ জানুয়ারি তদনীন্তন ভারতের সর্বোচ্চ বিচারব্যবস্থার দুই কেন্দ্র ফেডেরাল কোর্ট অফ ইন্ডিয়া ও [[জুডিশিয়াল কমিটি অফ দ্য প্রিভি কাউন্সিল|জুডিশিয়াল কমিটি অফ দ্য প্রিভি কাউন্সিলের]]<ref name="history"/> পরিবর্তে ভারতের সর্বোচ্চ ন্যায়ালয় বা সুপ্রিম কোর্ট গঠিত হয়।<ref name="history">[http://www.supremecourtofindia.nic.in/history.htm History of the Supreme Court of India] {{ওয়েব আর্কাইভ|ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20111019224421/http://supremecourtofindia.nic.in/history.htm |তারিখ=১৯ অক্টোবর ২০১১ }}, Supreme Court of India</ref>
১৯৫০ সালের ২৮ জানুয়ারি তদনীন্তন ভারতের সর্বোচ্চ বিচারব্যবস্থার দুই কেন্দ্র ফেডেরাল কোর্ট অফ ইন্ডিয়া ও [[জুডিশিয়াল কমিটি অফ দ্য প্রিভি কাউন্সিল|জুডিশিয়াল কমিটি অফ দ্য প্রিভি কাউন্সিলের]]<ref name="history"/> পরিবর্তে ভারতের সর্বোচ্চ ন্যায়ালয় বা সুপ্রিম কোর্ট গঠিত হয়।<ref name="history">[http://www.supremecourtofindia.nic.in/history.htm History of the Supreme Court of India] {{ওয়েব আর্কাইভ|ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20111019224421/http://supremecourtofindia.nic.in/history.htm |তারিখ=১৯ অক্টোবর ২০১১ }}, Supreme Court of India</ref>


প্রথম দিকে সর্বোচ্চ ন্যায়ালয় [[ভারতের সংসদ|সংসদ ভবনের]] [[চেম্বার অফ প্রিন্সেস]] কক্ষে বসত। এখানেই ১৯৩৭ সাল থেকে ১৯৫০ সাল পর্যন্ত ফেডেরাল কোর্ট অফ ইন্ডিয়া বসত। ভারতের প্রথম প্রধান বিচারপতি ছিলেন স্যার এইচ. জে. কানিয়া। প্রথম বাঙালী প্রধান বিচারপতি স্যার [[বিজন কুমার মুখার্জী]] (১৯৫৪-১৯৫৬)। ১৯৫৮ সালে সর্বোচ্চ আদালত তার বর্তমান ভবনে উঠে আসে।<ref name="history"/> প্রথম দিকে [[ভারতের সংবিধান]] সর্বোচ্চ ন্যায়ালয়ে একজন প্রধান বিচারপতি ও ৭ জন বিচারপতির ব্যবস্থা রেখেছিল এবং বিচারপতির সংখ্যা বৃদ্ধির ক্ষমতা সংসদের হাতের ন্যস্ত করেছিল।<ref name=SCcosnti>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|title=Constitution of Supreme Court of India|url=http://www.supremecourtofindia.nic.in/constitution.htm|publisher=Supreme Court of India|accessdate=29 March 2014|আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20130330233810/http://supremecourtofindia.nic.in/constitution.htm|আর্কাইভের-তারিখ=৩০ মার্চ ২০১৩|অকার্যকর-ইউআরএল=হ্যাঁ}}</ref> প্রথম বছরগুলিতে সর্বোচ্চ ন্যায়ালয় বছরে ২৮ দিন সকাল ১০টা থেকে ১২টা এবং দুপুর ২টো থেকে বিকেল ৪টে অবধি বসত।<ref name="History PDF" />
প্রথম দিকে সর্বোচ্চ ন্যায়ালয় [[ভারতের সংসদ|সংসদ ভবনের]] [[চেম্বার অফ প্রিন্সেস]] কক্ষে বসত। এখানেই ১৯৩৭ সাল থেকে ১৯৫০ সাল পর্যন্ত ফেডেরাল কোর্ট অফ ইন্ডিয়া বসত। ভারতের প্রথম প্রধান বিচারপতি ছিলেন স্যার এইচ. জে. কানিয়া। প্রথম বাঙালী প্রধান বিচারপতি স্যার [[বিজন কুমার মুখার্জী]] (১৯৫৪-১৯৫৬)। ১৯৫৮ সালে সর্বোচ্চ আদালত তার বর্তমান ভবনে উঠে আসে।<ref name="history"/> প্রথম দিকে [[ভারতের সংবিধান]] সর্বোচ্চ ন্যায়ালয়ে একজন প্রধান বিচারপতি ও ৭ জন বিচারপতির ব্যবস্থা রেখেছিল এবং বিচারপতির সংখ্যা বৃদ্ধির ক্ষমতা সংসদের হাতের ন্যস্ত করেছিল।<ref name=SCcosnti>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|শিরোনাম=Constitution of Supreme Court of India|ইউআরএল=http://www.supremecourtofindia.nic.in/constitution.htm|প্রকাশক=Supreme Court of India|সংগ্রহের-তারিখ=29 March 2014|আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20130330233810/http://supremecourtofindia.nic.in/constitution.htm|আর্কাইভের-তারিখ=৩০ মার্চ ২০১৩|অকার্যকর-ইউআরএল=হ্যাঁ}}</ref> প্রথম বছরগুলিতে সর্বোচ্চ ন্যায়ালয় বছরে ২৮ দিন সকাল ১০টা থেকে ১২টা এবং দুপুর ২টো থেকে বিকেল ৪টে অবধি বসত।<ref name="History PDF" />


== গঠনশৈলী ==
== গঠনশৈলী ==

১৯:৫০, ৭ মার্চ ২০১৯ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

ভারতের সর্বোচ্চ ন্যায়ালয়
Supreme Court of India
ভারতের সর্বোচ্চ ন্যায়ালয়ের সিলমোহর
প্রতিষ্ঠাকাল১ অক্টোবর, ১৯৩৭
(ফেডেরাল কোর্ট অফ ইন্ডিয়া)
২৮ জানুয়ারি, ১৯৫০
(ভারতের সর্বোচ্চ ন্যায়ালয়)
অধিক্ষেত্রভারত
অবস্থানভগবান দাস রোড, নতুন দিল্লি, ভারত – ১১০ ০০১
স্থানাঙ্ক২৮°৩৭′২০″ উত্তর ৭৭°১৪′২৩″ পূর্ব / ২৮.৬২২২৩৭° উত্তর ৭৭.২৩৯৫৮৪° পূর্ব / 28.622237; 77.239584
প্রণয়ন পদ্ধতিকলেজিয়াম ব্যবস্থা
অনুমোদনকর্তাভারতের সংবিধান
বিচারকের মেয়াদ৬৫ বছর বয়স
পদের সংখ্যা৩১ (৩০+১)
তথ্যক্ষেত্রsupremecourtofindia.nic.in
নীতিবাক্য
যতো ধর্মস্ততো জয়ঃ॥ (यतो धर्मस्ततो जयः॥)
যেখানে ধর্ম সেখানে জয়
ভারতের প্রধান বিচারপতি
সম্প্রতিজে এস কেহর

ভারতের সর্বোচ্চ ন্যায়ালয় বা ভারতের সুপ্রিম কোর্ট (ইংরেজি: Supreme Court of India) হল ভারতের সর্বোচ্চ বিচারবিভাগীয় অধিকরণ ও ভারতের সংবিধানের অধীনে সর্বোচ্চ আপিল আদালত এবং সর্বোচ্চ সাংবিধানিক আদালত। ভারতের সর্বোচ্চ ন্যায়ালয় সাংবিধানিক পর্যালোচনার অধিকারপ্রাপ্ত।[১]

ভারতের প্রধান বিচারপতি ও অপর ৩০ জন বিচারপতিকে নিয়ে ভারতের সর্বোচ্চ ন্যায়ালয় গঠিত। এটির মৌলিক, আপিলউপদেষ্টা এক্তিয়ার রয়েছে।

দেশের সর্বোচ্চ আপিল আদালত হিসেবে ভারতের সর্বোচ্চ ন্যায়ালয় প্রাথমিকভাবে ভারতের বিভিন্ন রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির উচ্চ ন্যায়ালয় ও অন্যান্য আদালত ও ট্রাইবুন্যালের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল গ্রহণ করে।

ভারতের নাগরিকদের মৌলিক অধিকার রক্ষার জন্য প্রসারিত মৌলিক এক্তিয়ার সর্বোচ্চ ন্যায়ালয়ের রয়েছে। ভারতের বিভিন্ন সরকারগুলির অভ্যন্তরীণ বিবাদ নিরসণের জন্যও এই আদালত কাজ করে। উপদেষ্টা আদালত হিসেবে সর্বোচ্চ ন্যায়ালয় ভারতের রাষ্ট্রপতি কর্তৃক বিশেষত সংবিধানের অধীনস্থ বিষয়গুলির শুনানি গ্রহণ করে। আবার কেউ এই আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ না করলেও, এটি নিজে থেকে বিভিন্ন বিষয়ে হস্তক্ষেপ (বা ‘সুয়ো মোটো’) করতে পারে। কলকাতায় বিচারবিভাগীয় প্রশাসন পরিচালনার জন্য প্রথম এই আদালত গঠিত হয়েছিল।

সর্বোচ্চ আদালত কর্তৃক ঘোষিত আইন ভারতের সকল আদালত মেনে চলতে বাধ্য।[২]

ভারতের সুপ্রীম কোর্ট, নতুন দিল্লী

ইতিহাস

১৮৬১ সালে ভারতীয় হাইকোর্ট আইন পাস হয়। এই আইনবলে বিভিন্ন প্রদেশে হাইকোর্ট গঠিত হয় এবং কলকাতা, মাদ্রাজ ও বোম্বাই সুপ্রিম কোর্ট ও প্রেসিডেন্সি শহরগুলির সদর আদালত অবলুপ্ত করা হয়। উক্ত আদালতগুলিই এর আগে সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের সর্বোচ্চ আদালত হিসেবে কাজ করত। নবগঠিত হাইকোর্ট গুলি সকল মামলার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ আদালত হিসেবে কাজ করতে থাকে। এরপর ১৯৩৫ সালের ভারত শাসন আইন বলে ফেডেরাল কোর্ট অফ ইন্ডিয়া গঠিত হয়। এখানে বিভিন্ন প্রদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রীয় রাজ্যগুলির মধ্যে বিবাদ নিরসন ও হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল গ্রহণ করা হত।[২]

১৯৫০ সালের ২৮ জানুয়ারি তদনীন্তন ভারতের সর্বোচ্চ বিচারব্যবস্থার দুই কেন্দ্র ফেডেরাল কোর্ট অফ ইন্ডিয়া ও জুডিশিয়াল কমিটি অফ দ্য প্রিভি কাউন্সিলের[৩] পরিবর্তে ভারতের সর্বোচ্চ ন্যায়ালয় বা সুপ্রিম কোর্ট গঠিত হয়।[৩]

প্রথম দিকে সর্বোচ্চ ন্যায়ালয় সংসদ ভবনের চেম্বার অফ প্রিন্সেস কক্ষে বসত। এখানেই ১৯৩৭ সাল থেকে ১৯৫০ সাল পর্যন্ত ফেডেরাল কোর্ট অফ ইন্ডিয়া বসত। ভারতের প্রথম প্রধান বিচারপতি ছিলেন স্যার এইচ. জে. কানিয়া। প্রথম বাঙালী প্রধান বিচারপতি স্যার বিজন কুমার মুখার্জী (১৯৫৪-১৯৫৬)। ১৯৫৮ সালে সর্বোচ্চ আদালত তার বর্তমান ভবনে উঠে আসে।[৩] প্রথম দিকে ভারতের সংবিধান সর্বোচ্চ ন্যায়ালয়ে একজন প্রধান বিচারপতি ও ৭ জন বিচারপতির ব্যবস্থা রেখেছিল এবং বিচারপতির সংখ্যা বৃদ্ধির ক্ষমতা সংসদের হাতের ন্যস্ত করেছিল।[৪] প্রথম বছরগুলিতে সর্বোচ্চ ন্যায়ালয় বছরে ২৮ দিন সকাল ১০টা থেকে ১২টা এবং দুপুর ২টো থেকে বিকেল ৪টে অবধি বসত।[২]

গঠনশৈলী

বর্তমানে একজন প্রধান বিচারপতি এবং ত্রিশ জন অন্যান্য বিচারপতি নিয়ে সুপ্রিমকোর্ট গঠিত।প্রয়োজনে অস্হায়ী বিচারপতি নিয়োগের ব্যবস্হা সংবিধানে রয়েছে(ধারা নং-127)।এছাড়া প্রধান বিচারপতি রাষ্ট্রপতির সম্মতি সাপেক্ষে কোনো অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতিকে সাময়িক কালের জন্য বিচারক হিসেবে মনোনীত করতে পারেন (ধারা নং 128)।

  সংবিধান অনুযায়ী সুপ্রিমকোর্টের বিচারপতি পদপ্রার্থীকে অবশ্যই ভারতীয় নাগরিক হতে হবে।তাঁকে ভারতের কোনো হাইকোর্টে 5 বছর বিচারপতিরূপে অভিজ্ঞ থাকতে হবে অথবা কোনো হাইকোর্টে 10 বছরের অ্যাডভোকেট হিসেবে অভিজ্ঞতা থাকা দরকার।বিচারপতিগন 65 বছর বয়স পর্যন্ত স্বপদে অধিষ্ঠিত থাকেন।

তথ্যসূত্র

  1. "Supreme Court of India"। সংগ্রহের তারিখ ২০১৫-১০-০৩ 
  2. "History of Supreme Court of India" (পিডিএফ)। Supreme Court of India। ২২ ডিসেম্বর ২০১৪ তারিখে মূল (PDF) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩০ আগস্ট ২০১৪ 
  3. History of the Supreme Court of India ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১৯ অক্টোবর ২০১১ তারিখে, Supreme Court of India
  4. "Constitution of Supreme Court of India"। Supreme Court of India। ৩০ মার্চ ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৯ মার্চ ২০১৪ 

বহিঃসংযোগ