রেমা–কালেঙ্গা বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য
রেমা–কালেঙ্গা বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য | |
---|---|
আইইউসিএন বিষয়শ্রেণী II (জাতীয় উদ্যান) | |
![]() | |
অবস্থান | হবিগঞ্জ জেলা, বাংলাদেশ |
নিকটবর্তী শহর | হবিগঞ্জ |
স্থানাঙ্ক | ২৪°১০′৫৩″ উত্তর ৯১°৩৮′১৩″ পূর্ব / ২৪.১৮১৩৯° উত্তর ৯১.৬৩৬৯৪° পূর্বস্থানাঙ্ক: ২৪°১০′৫৩″ উত্তর ৯১°৩৮′১৩″ পূর্ব / ২৪.১৮১৩৯° উত্তর ৯১.৬৩৬৯৪° পূর্ব |
আয়তন | ১৭৯৫.৫৪ হেক্টর |
স্থাপিত | ১৯৮২ খ্রিস্টাব্দ |
রেমা–কালেঙ্গা বন্যপ্রাণ অভয়ারণ্য বা রেমা–কালেঙ্গা বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য বাংলাদেশের একটি সংরক্ষিত বনাঞ্চল এবং বন্যপ্রাণের অভয়ারণ্য। এটি একটি শুকনো ও চিরহরিৎ বন এবং সুন্দরবনের পর বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় প্রাকৃতিক বনভূমি।[১] এছাড়াও এটি দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বণ্যপ্রাণী অভয়ারণ্য এবং জীব ও উদ্ভিদবৈচিত্র্যে দেশের সবচেয়ে সমৃদ্ধ বনাঞ্চল। সিলেট বিভাগের হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট উপজেলায় এর অবস্থান। রেমা–কালেঙ্গা অভয়ারণ্য ১৯৮২ সালে প্রতিষ্ঠা করা হয় এবং পরবর্তীতে ১৯৯৬ সালে এটির আরো সম্প্রসারণ করা হয়। বর্তমানে (২০০৯) এই অভয়ারণ্যের আয়তন ১৭৯৫.৫৪ হেক্টর।[২] গোটা অঞ্চল রেমা, কালেঙ্গা, ছনবাড়ি ও রশিদপুর- এ চারটি বিটে ভাগ করা। বিস্তীর্ণ এ অঞ্চলটি যেহেতু প্রাকৃতিক বনাঞ্চল, এজন্য বনের দেখভালের জন্য রয়েছে ১১টি ইউনিট ও ৭টি ক্যাম্প।[৩] বাংলাদেশের যে কয়েকটি প্রাকৃতিক বনভূমি এখনো মোটামু্টি ভাল অবস্থায় টিকে আছে, রেমা-কালেঙ্গা তার মধ্যে অন্যতম। তবে নির্বিচারে গাছ চুরি ও বন ধ্বংসের কারণে এ বনভূমির অস্তিত্বও বর্তমানে হুমকির মুখে।
অবস্থান ও আয়তন[সম্পাদনা]
রেমা–কালেঙ্গা অভয়ারণ্য হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট উপজেলায় অবস্থিত। এটি মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল উপজেলার খুব কাছে এবং ভারতের ত্রিপুরা সীমান্ত সংলগ্ন। রাজধানী ঢাকা থেকে সড়রপথে এর দূরত্ব প্রায় ১৩০ কিলোমিটার। হবিগঞ্জ জেলায় বনবিভাগের কালেঙ্গা রেঞ্জের তিনটি বিট: কালেঙ্গা, রেমা আর ছনবাড়ী নিয়ে এই অভয়ারণ্য গঠিত।
জীব ও উদ্ভিদবৈচিত্র্য[সম্পাদনা]
রেমা–কালেঙ্গা অভয়ারণ্য বিরল প্রজাতির জীববৈচিত্র্যেসমৃদ্ধ। বর্তমানে এই বনে ৩৭ প্রজাতির স্তন্যপায়ী, ১৬৭ প্রজাতির পাখি, সাত প্রজাতির উভচর, ১৮ প্রজাতির সরীসৃপ ও ৬৩৮ প্রজাতির গাছপালা-লতাগুল্ম পাওয়া যায়। বিভিন্ন বিরল প্রজাতির পাখির জন্য এই বন সুপরিচিত এবং এদের মধ্যে রয়েছে — ভীমরাজ, টিয়া, হিল ময়না, লাল মাথা কুচকুচি, সিপাহি বুলবুল, বসন্তবৌরি, শকুন, মথুরা, বনমোরগ, পেঁচা, মাছরাঙা, ঈগল, চিল প্রভৃতি।
এই বনে তিন প্রজাতির বানরের বাস, এগুলো হল: উল্টোলেজি বানর, রেসাস ও নিশাচর লজ্জাবতী বানর। তাছাড়া এখানে পাঁচ প্রজাতির কাঠবিড়ালি দেখা যায়। এর মধ্যে বিরল প্রজাতির মালয়ান বড় কাঠবিড়ালি একমাত্র এ বনেই পাওয়া যায়। বন্যপ্রাণীর মধ্যে উল্ল্যেখযোগ্য আরও রয়েছে মুখপোড়া হনুমান, চশমাপরা হনুমান, উল্লুক, মায়া হরিণ, মেছোবাঘ, দেশি বন শুকর, গন্ধগোকুল, বেজি, সজারু ইত্যাদি। কোবরা, দুধরাজ, দাঁড়াশ, লাউডগা প্রভৃতি সহ এ বনে আঠারো প্রজাতির সাপের দেখা পাওয়া যায়।[৪]
শকুনের নিরাপদ এলাকা[সম্পাদনা]
শকুনের নিরাপদ এলাকা-২ তফসিল অনুসারে রেমা–কালেঙ্গা বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য শকুনের জন্য নিরাপদ বলে ঘোষিত।[৫]
আরো দেখুন[সম্পাদনা]
![]() |
উইকিমিডিয়া কমন্সে রেমা–কালেঙ্গা বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য সংক্রান্ত মিডিয়া রয়েছে। |
তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]
- ↑ দৈনিক প্রথম আলোর প্রতিবেদন, ৪ ডিসেম্বর ২০০৯।
- ↑ "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ২৩ আগস্ট ২০০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ এপ্রিল ২০১২।
- ↑ BanglaNews24.com। "জনপ্রিয়তা হারাচ্ছে রেমা-কালেঙ্গা"। banglanews24.com। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০২-২১।
- ↑ "দেশি ইনফো ডট কম ওয়েবসাইটে রেমা-কালেঙ্গা সংক্রান্ত রিপোর্ট"।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ "শকুনের নিরাপদ এলাকা"। রক্ষিত এলাকা। ২০১৭-০৯-১৪। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৬-২৮।
বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]
এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |