সোয়াচ অব নো গ্রাউন্ড মেরিন সংরক্ষিত এলাকা

স্থানাঙ্ক: ২১°১৫′০০″ উত্তর ৮৯°২৮′০০″ পূর্ব / ২১.২৫০০° উত্তর ৮৯.৪৬৬৭° পূর্ব / 21.2500; 89.4667
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
সোয়াচ অব নো গ্রাউন্ড মেরিন সংরক্ষিত এলাকা
মানচিত্র সোয়াচ অব নো গ্রাউন্ড মেরিন সংরক্ষিত এলাকার অবস্থান দেখাচ্ছে
মানচিত্র সোয়াচ অব নো গ্রাউন্ড মেরিন সংরক্ষিত এলাকার অবস্থান দেখাচ্ছে
বাংলাদেশে অবস্থান
অবস্থানবঙ্গোপসাগর, বাংলাদেশ
স্থানাঙ্ক২১°১৫′০০″ উত্তর ৮৯°২৮′০০″ পূর্ব / ২১.২৫০০° উত্তর ৮৯.৪৬৬৭° পূর্ব / 21.2500; 89.4667
আয়তন১৭৩৮০০ হেক্টর
স্থাপিত২০১৪
কর্তৃপক্ষবাংলাদেশ বন বিভাগ

সোয়াচ অব নো গ্রাউন্ড মেরিন সংরক্ষিত এলাকা (ইংরেজি: Swatch of No Ground marine protected area) বাংলাদেশের বঙ্গোপসাগরে অবস্থিত একটি সংরক্ষিত এলাকা। ২০১৪ সালের ২৭ অক্টোবর এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। ১,৭৩,৮০০ হেক্টর (৪,২৯,০০০ একর) জায়গা নিয়ে এই সংরক্ষিত এলাকাটি গঠিত।[১]

অবস্থান[সম্পাদনা]

সোয়াচ অব নো গ্রাউন্ড হচ্ছে একটি ১৪ কিলোমিটার ব্যাপী বঙ্গোপসাগরের গভীর খাদ। এটি সুন্দরবনের দুবলার চর থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। গভীরতম এই উপত্যকার রেকর্ডকৃত আয়তন প্রায় ১৩৪০ মিটার[২] এবং গড় গভীরতা প্রায় ১২০০ মিটার। এখানকার ডুবো গিরিখাত বঙ্গীয় উপবদ্বীপের অংশ, যা বিশ্বের বৃহত্তম ডুবো গিরিখাত।[৩][৪]

ইতিহাস[সম্পাদনা]

গঙ্গা -ব্রহ্মপুত্র ব-দ্বীপের পশ্চিমে অবস্থিত বঙ্গোপসাগরের ভেতরে রয়েছে গভীর খাদের মত একটি জায়গা। এটি গঙ্গা খাদ নামে পরিচিত। এখানে কয়েক প্রজাতির ডলফিন, তিমিহাঙ্গরসহ বিচিত্র জাতের বড় বড় মাছ পাওয়া যায়। জেলেরা তাদের বাঁশের হিসাব 'বাম' অনুযায়ী কোন হিসাব না পেয়ে নাম রাখেন 'না বাম'। এটি বিশ্বের ১১টি বড় উপত্যকার অন্যতম।

কথিত আছে, এখানেই ১৮৬৩ সালে গ্যাডফ্লাই নামে ২১২ টন ওজন বিশিষ্ট গানবোট ভারত থেকে ইংল্যান্ডে বিপুল পরিমাণ ধনরত্ন নিয়ে যাওয়ার সময় ঝড়ের কবলে পড়ে ডু্বে যায়।[৫]

জীব বৈচিত্র্য[সম্পাদনা]

এই অঞ্চলে বিভিন্ন প্রজাতির তিমি, সামুদ্রিক কচ্ছপ, মাছ এবং সামুদ্রিক পাখিদের উল্লেখযোগ্য জীববৈচিত্র্য রয়েছে। অতীতের গবেষণার তথ্য অনু্যায়ী, এখানে প্রধানত বিভিন্ন প্রজাতির তিমি, মূল প্রজাতির মধ্যে রয়েছে ব্রাইডস তিমি, স্পিনার ডলফিন, ইন্দো-প্যাসিফিক বটলনোজ ডলফিন, ইন্দো-প্যাসিফিক হাম্পব্যাক ডলফিন, প্যানট্রপিকাল স্পটড ডলফিন, ইরাওয়াড্ডি ডলফিন, ইন্দো-প্যাসিফিক ফিনলেস পোরপোইস এবং প্রজাতির মধ্যে রয়েছে কম-ডোলফিনস, ফ্রেক্স-ফ্রেসেডস এবং রোপস দেখতে পাওয়া যায়। কিছু প্রজাতি জিনগতভাবে অনন্য এবং বিপন্ন প্রজাতির মধ্যে আক্রমণকারী তিমিও রয়েছে।

এই এলাকায় তিমি হাঙর, হ্যামারহেড হাঙর, টুনাস, গ্রুপার, হকসবিল কচ্ছপ, অলিভ রিডলি কচ্ছপ, মাস্কড বুবিস, গ্রেট ব্ল্যাক-ব্যাকড গল, ক্রেস্টেড টার্নস, সাঁতার কাটা কাঁকড়া ইত্যাদির মতো অন্যান্য উল্লেখযোগ্য বন্যপ্রাণী রয়েছে।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "বন্যপ্রানী অভয়ারণ্য"জীববৈচিত্র্য ও বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ। ২০১৭-০১-৩১। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০২-০২ 
  2. Morphological features in the Bay of Bengal ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১৪ জুন ২০০৭ তারিখে URL accessed 21 January 2007
  3. Curray, Joseph R.; Frans J. Emmel; David G. Moore (ডিসেম্বর ২০০২)। "The Bengal Fan: morphology, geometry, stratigraphy, history and processes"। Marine and Petroleum Geology। Elsevier Science Ltd। 19 (10): 1191–1223। ডিওআই:10.1016/S0264-8172(03)00035-7 
  4. France-Lanord, Christian; Volkhard Spiess; Peter Molnar; Joseph R. Curray (মার্চ ২০০০)। "Summary on the Bengal Fan: An introduction to a drilling proposal" (পিডিএফ)। Woods Hole Oceanographic Institution। ৫ অক্টোবর ২০১১ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ 
  5. কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স জানুয়ারি ২০১৭, পৃষ্ঠা-৯১