ভাওয়াল জাতীয় উদ্যান

স্থানাঙ্ক: ২৪°৫′৪৫″ উত্তর ৯০°২৪′১৪″ পূর্ব / ২৪.০৯৫৮৩° উত্তর ৯০.৪০৩৮৯° পূর্ব / 24.09583; 90.40389
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
ভাওয়াল জাতীয় উদ্যান
আইইউসিএন বিষয়শ্রেণী IV (বাসস্থান/প্রজাতি ব্যবস্থাপনা অঞ্চল)
ভাওয়াল জাতীয় উদ্যান
মানচিত্র ভাওয়াল জাতীয় উদ্যানের অবস্থান দেখাচ্ছে
মানচিত্র ভাওয়াল জাতীয় উদ্যানের অবস্থান দেখাচ্ছে
বাংলাদেশে অবস্থান
অবস্থানগাজীপুর, ঢাকা বিভাগ, বাংলাদেশ
স্থানাঙ্ক২৪°৫′৪৫″ উত্তর ৯০°২৪′১৪″ পূর্ব / ২৪.০৯৫৮৩° উত্তর ৯০.৪০৩৮৯° পূর্ব / 24.09583; 90.40389
আয়তন৫০২২ হেক্টর
স্থাপিত১৯৮২

ভাওয়াল জাতীয় উদ্যান বাংলাদেশের একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় উদ্যান[১][২] এই উদ্যানটি রাজধানী ঢাকা থেকে উত্তরে প্রায় ৪০ কিলোমিটার দূরে গাজীপুর জেলার গাজীপুর সদর ও শ্রীপুর উপজেলায় অবস্থিত। ১৯৭৪ সালে বাংলাদেশ বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইন (১৯৭৪) আইন অনুসারে বাংলাদেশ সরকার ৫,০২২ হেক্টর (১২,৪০৯ একর) জায়গা জুড়ে পৃথিবীর অন্যান্য উন্নত দেশের মতো করে ভাওয়াল শালবনে এই উদ্যান গড়ে তোলে। তবে এটি ১৯৭৪ সালে প্রতিষ্ঠা পেলেও ১৯৮২ সালের আগে এটি আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় উদ্যান হিসেবে ঘোষিত হয় নি।[৩]

প্রাণিবৈচিত্র্য[সম্পাদনা]

ভাওয়াল জাতীয় উদ্যানে একসময় বাঘ, কালোচিতা, চিতাবাঘ, মেঘলা চিতা, হাতি, ময়ূর, মায়া হরিণসম্বর হরিণ দেখা যেত। ১৯৮৫ সালে এ বনে খেঁকশিয়াল, গন্ধগোকুল, বেজি, কাঠবিড়ালী, গুই সাপ আর কয়েক প্রজাতির সাপ দেখা গেছে।[৪] একটি হিসাব অনুযায়ী, ভাওয়াল গড়ে ৬৪ প্রজাতির প্রাণী রয়েছে যার মধ্যে ৬ প্রজাতির স্তন্যপায়ী, ৯ প্রজাতির সরীসৃপ, ১০ প্রজাতির উভচর ও ৩৯ প্রজাতির পাখি রয়েছে। বনবিভাগ এ বনে অজগর, ময়ূর, হরিণ ও মেছোবাঘ ছেড়েছে।[৫] এছাড়া ২০১২ সালে ভাওয়াল জাতীয় উদ্যানে ১৬টি তক্ষক ছাড়া হয়।[৬]

উদ্ভিদ[সম্পাদনা]

ভাওয়াল জাতীয় উদ্যান মূলত ক্রান্তীয় পতনশীল পত্রযুক্ত বৃক্ষের বনভূমি। এ বনে ২২১ প্রজাতির উদ্ভিদ রয়েছে যার মধ্যে ২৪ প্রজাতির লতা, ২৭ প্রজাতির তৃণ, ৩ প্রজাতির পামজাতীয় বৃক্ষ, ১০৫ প্রজাতির ঔষধি, ১৯ প্রজাতির গুল্ম, ৪৩ প্রজাতির বৃক্ষ। শাল (Shorea robusta) এ উদ্যানের প্রধান বৃক্ষ। অন্যান্য বৃক্ষের মধ্যে কাঁঠাল, আজুলি, কুম্ভী, গান্ধী গজারি ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। এছাড়া এ বনে কৃত্রিমভাবে ইউক্যালিপটাস আর রাবারের বনায়ন করা হয়েছে।

পিকনিক স্পট[সম্পাদনা]

ভাওয়াল জাতীয় উদ্যান বাংলাদেশের আকর্ষণীয় একটি পর্যটন কেন্দ্র। এখানে বেশ কয়েকটি পিকনিক স্পট রয়েছে। স্পটগুলোর হলো আনন্দ, কাঞ্চন, সোনালু, অবকাশ, অবসর, বিনোদন। এখানকার কটেজগুলো হলো: বকুল, মালঞ্চ, মাধবি, চামেলী, বেলী, জুঁই ইত্যাদি। এখানে ১৩টি কটেজ ও ৬টি রেস্টহাউজ রয়েছে। রাত্রি যাপনের জন্য এখানে অনুমতি দেওয়া হয় না। পিকনিক স্পট কিংবা রেস্ট হাউস ব্যবহার করতে হলে বন বিভাগের মহাখালী কার্যালয় থেকে আগাম বুকিং দিতে হয়। ভাওয়াল জাতীয় উদ্যানে প্রবেশ ফি ১০ টাকা (২০১৭)। প্রতিবছর প্রায় ১৫,০০,০০০ দেশি-বিদেশি পর্যটক এখানে বেড়াতে আসেন।[৫][৭]

চিত্রশালা[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "বার্ষিক প্রতিবেদন ২০১৮-১৯" (পিডিএফ)বন অধিদপ্তর। সংগ্রহের তারিখ ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১ 
  2. "বার্ষিক প্রতিবেদন ২০১৭-১৮" (পিডিএফ)বন অধিদপ্তর। সংগ্রহের তারিখ ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১ 
  3. "ভাওয়াল উদ্যান [গাজীপুর]"বাংলাদেশ প্রতিদিন। ৯ জানুয়ারি ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১ 
  4. Sarker, N.M. and Huq, A.F. (১৯৮৫)। "Country report on national parks, wildlife sanctuaries and game reserves of Bangladesh"। 25th Working Session of IUCN's Commission on National Parks and Protected Areas 
  5. "Eco-tourism in Bangladesh"বন অধিদপ্তর। ১৩ অক্টোবর ২০০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১ 
  6. "তক্ষক ছাড়া হয়েছে ভাওয়াল উদ্যানে"দৈনিক প্রথম আলো। ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১২। ১৫ মে ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১ 
  7. "বার্ষিক প্রতিবেদন২০২২-২০২৩"। সংগ্রহের তারিখ ২৪ আগস্ট ২০২৩