হিমছড়ি জাতীয় উদ্যান
হিমছড়ি জাতীয় উদ্যান | |
---|---|
আইইউসিএন বিষয়শ্রেণী II (জাতীয় উদ্যান) | |
![]() হিমছড়ি পাহাড় | |
অবস্থান | কক্সবাজার জেলা, চট্টগ্রাম বিভাগ, বাংলাদেশ |
স্থানাঙ্ক | ২১°২০′৫৮″ উত্তর ৯২°০২′২৪″ পূর্ব / ২১.৩৪৯৩৯২৯° উত্তর ৯২.০৩৯৮৭৩২° পূর্বস্থানাঙ্ক: ২১°২০′৫৮″ উত্তর ৯২°০২′২৪″ পূর্ব / ২১.৩৪৯৩৯২৯° উত্তর ৯২.০৩৯৮৭৩২° পূর্ব |
আয়তন | ১৭২৯ হেক্টর |
স্থাপিত | ১৯৮০ |
হিমছড়ি জাতীয় উদ্যান বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বিভাগের কক্সবাজার জেলার হিমছড়িতে অবস্থিত। উদ্যানটি ১৯৮০ খ্রিষ্টাব্দে কক্সবাজার শহর থেকে ১২ কিলোমিটার দূরে ১৭২৯ হেক্টর (১৭.২৯ বর্গ কিলোমিটার) জায়গা জুড়ে প্রতিষ্ঠিত হয়।[১] হিমছড়ি জাতীয় উদ্যান স্থাপনের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে গবেষণা ও শিক্ষণ, পর্যটন ও বিনোদন এবং বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ। হিমছড়ির একপাশে রয়েছে সুবিস্তৃত সমুদ্র সৈকত আর অন্যপাশে রয়েছে সবুজ পাহাড়ের সারি। উদ্যানে অনেকগুলো জলপ্রপাত রয়েছে, যার মধ্যে হিমছড়ি জলপ্রপাতটি সবচেয়ে বিখ্যাত। হিমছড়ি জাতীয় উদ্যান একটি জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র।[২]
জীববৈচিত্র্য[সম্পাদনা]
হিমছড়ি জাতীয় উদ্যান একটি চিরসবুজ ও প্রায়-চিরসবুজ ক্রান্তীয় বৃক্ষের বনাঞ্চল। বনের ১১৭ প্রজাতির উদ্ভিদের মধ্যে ৫৮ প্রজাতির বৃক্ষ,১৫ প্রজাতির গুল্ম, ৪ প্রজাতির তৃণ, ১৯ প্রজাতির লতা এবং ২১ প্রজাতির ভেষজ।[১]
হিমছড়ি বনাঞ্চল হাতির আবাসস্থল বলে ধারনা করা হয়। এছাড়া এ বনে মায়া হরিণ, বন্য শুকর ও বানর দেখা যায়। এ বনে ৫৫ প্রজাতির স্তন্যপায়ী, ২৮৬ প্রজাতির পাখি, ৫৬ প্রজাতির সরীসৃপ ও ১৬ প্রজাতির উভচর প্রাণী পাওয়া যায়।[১] হিমছড়ি বনাঞ্চল উল্লুকের আবাসস্থল।[৩]
পাখিপ্রেমীদের জন্য হিমছড়ি জাতীয় উদ্যান একটি আদর্শ স্থান। এর ২৮৬ প্রজাতির পাখির মধ্যে ময়না, ফিঙ্গে ও তাল বাতাসি উল্লেখযোগ্য।[৪]
চিত্রশালা[সম্পাদনা]
তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]
- ↑ ক খ গ [১] ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২৩ মার্চ ২০১২ তারিখে, বাংলাদেশ বন অধিদপ্তর, Himchari National Park.
- ↑ দৈনিক ইত্তেফাকে ৬জুন ২০১৪ প্রকাশিত প্রতিবেদন
- ↑ [২] ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৭ মার্চ ২০১২ তারিখে, অতিবিপন্নের কাতারে উল্লুক, বার্তা২৪.নেট.
- ↑ [৩], Himchari National Park - A Birdwatcher's Paradise.
বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]
![]() |
উইকিভ্রমণে হিমছড়ি জাতীয় উদ্যান সম্পর্কিত ভ্রমণ নির্দেশিকা রয়েছে। |
![]() |
উইকিমিডিয়া কমন্সে হিমছড়ি জাতীয় উদ্যান সংক্রান্ত মিডিয়া রয়েছে। |