রামকৃষ্ণ মিশন স্বামী বিবেকানন্দের পৈতৃক বাসভবন ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র
রামকৃষ্ণ মিশন স্বামী বিবেকানন্দের পৈতৃক বাসভবন ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র | |
---|---|
রামকৃষ্ণ মিশন স্বামী বিবেকানন্দের পৈতৃক বাসভবন ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের প্রবেশদ্বার | |
প্রাক্তন নাম | স্বামী বিবেকানন্দের পৈতৃক বাসস্থান দত্তদের পৈতৃক বাসভবন |
সাধারণ তথ্য | |
অবস্থা | সক্রিয় |
ধরন | ঐতিহ্যবাহী স্থান, জাদুঘর |
ঠিকানা | ৩ গৌরমোহন মুখোপাধ্যায় স্ট্রিট |
শহর | কলকাতা |
দেশ | ভারত |
স্থানাঙ্ক | ২২°৩৫′১০.৮″ উত্তর ৮৮°২২′২.৫″ পূর্ব / ২২.৫৮৬৩৩৩° উত্তর ৮৮.৩৬৭৩৬১° পূর্ব |
সংস্কারণ করা হয়েছে | ২০০৪ |
স্বত্বাধিকারী | রামকৃষ্ণ মিশন |
রামকৃষ্ণ মিশন স্বামী বিবেকানন্দের পৈতৃক বাসভবন ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র হল একটি জাদুঘর ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র। এটি ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের রাজধানী কলকাতা শহরের ৩ নম্বর গৌরমোহন মুখোপাধ্যায় স্ট্রিটে অবস্থিত।[১] ১৮৬৩ খ্রিস্টাব্দের ১২ জানুয়ারি এই বাড়িতেই স্বামী বিবেকানন্দ (পূর্বাশ্রমের নাম নরেন্দ্রনাথ দত্ত) জন্মগ্রহণ করেছিলেন।[২] বিবেকানন্দের পুরো শৈশব ও প্রথম যৌবন এই বাড়িতেই কাটে।[৩][৪] ভারতের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি এ পি জে আব্দুল কালাম এই বাড়ির সাংস্কৃতিক কেন্দ্রটি উদ্বোধন করেন।[৫]
ইতিহাস[সম্পাদনা]
১৮৮৪ খ্রিস্টাব্দে বিবেকানন্দের বাবা বিশ্বনাথ দত্তের দেহাবসান হয়। সেই সময় বিবেকানন্দের কাকীমাও তাঁদের বাড়িতে থাকতেন। বিশ্বনাথ দত্তের মৃত্যুর পর তিনি বাড়ির সম্পূর্ণ অধিকার দাবি করে বিবেকানন্দের মা ভুবনেশ্বরী দেবী ও তার পরিবারবর্গের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন।[৩] এই মামলায় বিবেকানন্দ জয়ী হন। তবে উচ্চতর আদালতে পুনর্বিচারের জন্য মামলাটি আবার দায়ের করা হয়।[৬] উচ্চতর আদালতে মামলাটি অনেক দিন ধরে চলে। ১৯০২ খ্রিস্টাব্দে বিবেকানন্দের মৃত্যুর কিছুদিন আগে মামলাটি শেষ হয়। সেখানেও বিবেকানন্দ জয়ী হন।
সংস্কার[সম্পাদনা]
কালক্রমে বিবেকানন্দের পৈতৃক বাসভবনটি জীর্ণ হয়ে পড়েছিল। ১৯৬২ খ্রিস্টাব্দে রামকৃষ্ণ মিশন কর্তৃপক্ষ সম্পত্তিটি অধিগ্রহণ করে একটি জাদুঘর স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেন। ১৯৯৯ খ্রিস্টাব্দের মে মাসে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সহায়তায় রামকৃষ্ণ মিশন জমি ও পার্শ্ববর্তী স্থানটি অধিগ্রহণ করে। প্রকল্প রূপায়ণের জন্য একটি কমিটি গঠিত হয়। কমিটি কেন্দ্রীয় সরকার, রাজ্য সরকার ও সাধারণের দান থেকে ১০ কোটি টাকা জোগাড় করতে সমর্থ হয়। এর মধ্যে কেন্দ্রীয় সরকারই দান করেছিল ৯.৯ কোটি টাকা।[৫] ২০০৪ খ্রিস্টাব্দে সংস্কারের পর বাড়িটিকে একটি জাদুঘর ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে রূপায়ণের কাজ শেষ হয়।[১]
বর্তমানে এই বাড়িতে একটি জাদুঘর, একটি গবেষণা কেন্দ্র, একটি স্মারক মন্দির, একটি গ্রন্থাগার, একটি ইংরেজি শিক্ষা কেন্দ্র, একটি কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ও একটি দাতব্য চিকিৎসালয় রয়েছে। এখানে নিয়মিত সেমিনার ও আলোচনা সভা আয়োজিত হয়।[৪]
ছবি[সম্পাদনা]
পাদটীকা[সম্পাদনা]
- ↑ ক খ "Ancestral House of Swami Vivekananda"। Indfy। ৬ জানুয়ারি ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ জানুয়ারি ২০১৩।
- ↑ Chattopadhyay Rajagopal (১ জানুয়ারি ১৯৯৯)। Swami Vivekananda in India: A Corrective Biography। Motilal Banarsidass Publ.। পৃষ্ঠা 28–। আইএসবিএন 978-81-208-1586-5। সংগ্রহের তারিখ ১৩ জানুয়ারি ২০১৩।
- ↑ ক খ Chaturvedi Badrinath (১ জুন ২০০৬)। Swami Vivekananda: The Living Vedanta। Penguin Books India। পৃষ্ঠা 2–। আইএসবিএন 978-0-14-306209-7। সংগ্রহের তারিখ ১২ জানুয়ারি ২০১৩।
- ↑ ক খ "Ramakrishna Mission Swami Vivekananda's Ancestral House and Cultural Centre, Swamiji's House"। BM Ramakrishna Mission Swami Vivekananda’s Ancestral House and Cultural Centre, Swamiji’s House। সংগ্রহের তারিখ ১২ জানুয়ারি ২০১৩।
- ↑ ক খ "Datta Ancestral Home - Birthplace of Vivekananda"। Press Information Bureau (Government of India)। সংগ্রহের তারিখ ১২ জানুয়ারি ২০১৩।
- ↑ Bhawan Singh Rana; Mīnā Agravāla Meena Agrawal (২০০৫)। The Immortal Philosopher Of India Swami Vivekananda। Diamond Pocket Books (P) Ltd.। পৃষ্ঠা 41–। আইএসবিএন 978-81-288-1001-5। সংগ্রহের তারিখ ১২ জানুয়ারি ২০১৩।