হাজার দুয়ারী রাজপ্রাসাদ

স্থানাঙ্ক: ২৪°১১′১১″ উত্তর ৮৮°১৬′০৭″ পূর্ব / ২৪.১৮৬৪° উত্তর ৮৮.২৬৮৭° পূর্ব / 24.1864; 88.2687
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
হাজার দুয়ারী
রাতে আলোকিত হাজার দুয়ারী রাজপ্রাসাদ
মানচিত্র
প্রাক্তন নামবরা কোঠি
বিকল্প নামনিজামৎ কিলা
সাধারণ তথ্য
স্থাপত্য রীতিউনিশ শতকে ইতালীয়-শৈলীতে নির্মিত প্রাসাদ
অবস্থানমুর্শিদাবাদ জেলা
দেশভারত
স্থানাঙ্ক২৪°১১′১১″ উত্তর ৮৮°১৬′০৭″ পূর্ব / ২৪.১৮৬৪° উত্তর ৮৮.২৬৮৭° পূর্ব / 24.1864; 88.2687
নির্মাণকাজের আরম্ভ উদযাপন৯ আগস্ট ১৮২৯
নির্মাণকাজের সমাপ্তিডিসেম্বর, ১৮৩৭
নির্মাণব্যয়16.50 লক্ষ স্বর্ণমুদ্রা।
স্বত্বাধিকারীভারতীয় পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণ
উচ্চতা৮০ ফুট
মাত্রা
অন্যান্য মাত্রাদৈর্ঘ্য: ১৩০ মিটার এবং প্রস্থ: ৬১ মিটার
কারিগরী বিবরণ
তলার সংখ্যাতিন
নকশা এবং নির্মাণ
স্থপতিকর্নেল ডানকান ম্যাকলিওড
অন্যান্য তথ্য
গাড়ি রাখার স্থানউপলব্ধ

ব্রিটিশ যুগে বাংলার এক বৈশিষ্ট্যপূর্ণ ঐতিহাসিক নিদর্শন হল হাজারদুয়ারি। বিশালাকার এই প্রাসাদে প্রত্যেকটি হলঘর অনুপম সৌন্দর্যের আলোকে সজ্জিত। বাংলার নবাবি আমলে স্থাপত্যকলার এক উজ্জল প্রতিফলন হল এই হাজারদুয়ারি প্রাসাদ।

হাজারদুয়ারি প্রাসাদ এখন ভারতীয় কেন্দ্রীয় সরকার দ্বারা নিয়ন্ত্রিত, এখানে দেশ বিদেশের ভ্রমণ পিপাসু মানুষদের জন্য একটি অন্যতম সেরা ঐতিহাসিক নিদর্শন এখানে মাসে অন্তত ৩০০০০ মানুষ এর অনুগমন হয়, হাজারদুয়ারির অবস্থান ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের মুর্শিদাবাদ জেলায় লালবাগ নামক অঞ্চলে। এর পাশ দিয়ে ভাগীরথী আপন রূপ নিয়ে প্রবাহিত হয়েছে বহুদূরে। সাধারণত এই প্রাসাদটি বহু দরজাবিশিষ্ট বলে তাই একে 'হাজারদুয়ারি' নামকরণ করা হয়ে থাকে। বাইরে থেকে ও ভিতর থেকে হাজারদুয়ারিতে অনেক দরজা দৃশ্যমান হলেও এর মধ্যে অনেক দরজাই আদপে নকল। অথচ দূর থেকে পুরোপুরি আসল বলে মনে হয়। হাজারদুয়ারির চমক শুধু তার দুয়ারেই না, ঘরগুলোও মনোমুগ্ধকর। ভারতের পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশের মুর্শিদাবাদে অবস্থিত একটি রাজপ্রাসাদ।[১] এই প্রাসাদে অনেক দরজা আছে৷ তার থেকেই প্রাসাদের এই নামকরণ হয়েছে৷ অবশ্য সব দরজা সত্য নয়, অনেক নকল দরজাও রয়েছে ৷[২]

হাজার দুয়ারী রাজপ্রাসাদের পাশে ঘড়ির টাওয়ার

১৭শ শতাব্দী থেকে ইংরেজ শাসনের আগে পর্যন্ত সুবা বাংলা, বিহার ও ওড়িষার রাজধানী ছিল মুর্শিদাবাদ শহর৷ এখানে রাজত্ব করতেন নবাবরা ৷এখানকার নবাব হুমায়ুন জা ইউরোপিয় স্থপতি দিয়ে এই প্রাসাদ বানান৷ অনেকে ভুল করে ভাবেন যে, এই প্রাসাদ বুঝি নবাব সিরাজউদ্দৌলার দৌলার তৈরি। এই প্রাসাদ তৈরী হয় সিরাজ জমানার পরে। সিরাজের প্রাসাদের নাম ছিল হীরাঝিল প্রাসাদ৷ তা এখন ভাগীরথী নদীতে তলিয়ে গেছে৷ এই প্রাসাদ ইউরোপিয় ধাঁচে বানানো। এটি ভাগীরথী নদীর তীরে অবস্থিত৷ তিনতলায় বেগম ও নবাবদের থাকার ঘর, দোতলায় দরবার হল, পাঠাগার, অতিথিশালা এবং একতলায় নানা অফিসঘর ও গাড়ি রাখার জায়গা ছিল।

বর্তমানে ভারতের পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণ এখানে একটা সংগ্রহশালা বানিয়েছেন৷ তবে দুর্বল কাঠামোর জন্য দর্শকদের তিনতলায় উঠতে দেওয়া হয় না৷ শুক্রবার মিউজিয়াম বন্ধ থাকে।[৩]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "History of Murshidabad"। সংগ্রহের তারিখ মার্চ ২৮, ২০১২ 
  2. "Hazarduari Palace"। সংগ্রহের তারিখ মার্চ ২৮, ২০১২ 
  3. "মুর্শিদাবাদ পর্যটন"। Maps of India। ১৫ জুলাই ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ 17.01.2017  এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |সংগ্রহের-তারিখ= (সাহায্য)

৪. পর্যটনে মুর্শিদাবাদ : দীননাথ মণ্ডল, অণিমা প্রকাশনী।