রেল জাদুঘর, হাওড়া
স্থাপিত | ২০০৬ |
---|---|
অবস্থান | ফোরশোর রোড, হাওড়া রেলওয়ে স্টেশন, হাওড়া, বৃহত্তর কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ |
স্থানাঙ্ক | ২২°৩৪′৪৩″ উত্তর ৮৮°২০′১৭″ পূর্ব / ২২.৫৭৮৭২৮৭° উত্তর ৮৮.৩৩৮১৫২২° পূর্ব |
ধরন | রেল |
পরিচালক | দেবাশীষ ঘোষাল[১] |
মালিক | ভারতীয় রেল |
নিকটতম গণপরিবহন সুবিধা | হাওড়া রেলওয়ে স্টেশন |
ওয়েবসাইট | রেল জাদুঘর - কলকাতা |
রেল জাদুঘর[২] হাওড়ার ফোরশোর রোডে অবস্থিত একটি জাদুঘর। এটি ভারতের রেল বিষয়ক অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ যাদুঘর[২] এবং কলকাতা মহানগর অঞ্চল ও হাওড়া শহরের অন্যতম প্রধান পর্যটন আকর্ষণ। জাদুঘরটি ২০০৬ সালে হাওড়া রেলওয়ে স্টেশন চত্বরে স্থাপন করা হয়।[১] এটি হাওড়া রেল মিউজিয়াম হিসাবে অধিক পরিচিত।
জাদুঘরটি ভারতীয় রেলওয়ে দ্বারা পরিচালিত হয়। এটি সাড়ে চার একর জমিতে স্থাপন করা হয়। এখানে পূর্ব ভারতের রেল চলাচল সম্পর্কে যাবতীয় উন্নয়ন ও বিবর্তনের তথ্য প্রদর্শিত হয়।[৩] জাদুঘর প্রদর্শনের জন্য নিদিষ্ট প্রবেশ মূল্য নির্ধারিত রয়েছে।
ইতিহাস
[সম্পাদনা]পূর্ব ভারতের প্রথম ট্রেনটি ১৮৫৪ সালের ১৫ অগস্ট হাওড়া ও হুগলির মধ্যে যাত্রা শুরু করে। সকাল সাড়ে আটটায় হাওড়া স্টেশন ছেড়ে ৯১ মিনিটে হুগলি পৌঁছেছিল ট্রেনটি। এর পরে সমগ্র ভারতের সাথে পূর্ব ভারতের রেলপথ ও রেল পরিচালনা ব্যবস্থা বহু পরিবর্তনের মধ্যদিয়ে বর্তমান অবস্থায় পৌঁছায়। জাদুঘরটি শতাব্দী প্রাচীন রেল ব্যবস্থায় ব্যবহৃত ট্রেন ও রেল ইঞ্জিন সহ বিভিন্ন সরঞ্জামসমূহ জনসাধারণের সম্মুখে তুলে ধরান জন্য ভারতীয় রেলের তত্বাবধানে ২০০৬ সালে চালু হয়।
সংগ্রহ
[সম্পাদনা]জাদুঘরে ট্রেন চলাচলের পুরানো লন্ঠন সিগন্যাল, টেলিফোন, যন্ত্রাংশ সহ বহু উপকরণ সংগৃহীত কারা হয়েছে। এখানে পূর্ব ভারতের রেল চলাচল সম্পর্কে যাবতীয় উন্নয়ন ও বিবর্তনের তথ্য রয়েছে। এছাড়াও দেড়শ বছরের পুরনো বাষ্পীয় ইঞ্জিন, ভিন্টেজ কামরা রয়েছে।[৩]
এখানে কবিগুরু এক্সপ্রেস- সহ বিভিন্ন এক্সপ্রেস ট্রেনের প্রতিরূপ-সংস্করণ সংরক্ষিত হয়েছে। জাদুঘরে হিন্দি চলচ্চিত্র পরিনীতার অন্তর্গত ‘কস্ত মজা’ গানের দৃশ্যায়নে ব্যবহৃত স্টিম ইঞ্জিনটি স্থান লাভ করেছে।[২]
জাদুঘরে হাওড়া স্টেশনের আদলে নির্মিত ভবন রয়েছে। জাদুঘরে টয় ট্রেনের ব্যবস্থা রয়েছে।[২]
প্রদর্শনী
[সম্পাদনা]- ডব্লিউসিএম-৫ রেল ইঞ্জিন- ভারতে নির্মিত প্রথম ব্রডগেজ বৈদ্যুতিক লোকোমোটিভ।
- এইচপিএস-৩২ - ইস্ট পাকিস্তান রেলওয়ের একটি ইঞ্জিন। ভারতীয় সেনা ১৯৭১-এর ভারত-পাক যুদ্ধের সময় এই পাক ইঞ্জিনটি আটক করে।
- ইন্দ্রপ্রস্থ - পরিষেবা প্রদান থেকে অবসরকারী ভারতীয় রেলের প্রাচীনতম লোকোমোটিভ।
প্রদর্শনের সময় ও প্রবেশ মূল্য
[সম্পাদনা]জাদুঘরটি রবিবার, সোমবার, মঙ্গলবার, বুধবার ও শুক্রবার, শনিবার জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত থাকে। সকাল ১০:৩০ ঘটিকা থেকে বিকাল ৫:৩০ ঘটিকা পর্যন্ত খোলা রাখা হয়।[১]
জাদুঘরে প্রবেশের জন্য প্রবেশ মূল্য নির্ধারিত রয়েছে। নির্ধারিত মাথাপিছু প্রবেশ মূল্য ১০ টাকা।[১]
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ ক খ গ ঘ "রেল জাদুঘর- কলকাতা"। www.museumsofindia.org। ২১ এপ্রিল ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ এপ্রিল ২০২১।
- ↑ ক খ গ ঘ "জাদুঘরের রেলগাড়িটা, অস্তাচলে ঘড়ির কাঁটা…"। bengali.indianexpress.com। ১০ মার্চ ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ২১ এপ্রিল ২০২১।
- ↑ ক খ "খুলছে হাওড়ার রেল মিউজিয়াম, মানতে হবে কোভিড বিধি"। www.kolkata24x7.com। ২১ এপ্রিল ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ এপ্রিল ২০২১।