প্রবেশদ্বার:আফগানিস্তান
ښه راغلاست / আফগানিস্তান প্রবেশদ্বারে স্বাগতমআফগানিস্তান (পশতু ভাষা/দারি: افغانستان, Afġānestān [avɣɒnesˈtɒn]), সরকারি নাম আফগানিস্তান ইসলামি আমিরাত, হলো পাহাড়ি স্থলবেষ্টিত রাষ্ট্র। এটি ইরান, পাকিস্তান, চীন, তাজিকিস্তান, উজবেকিস্তান, ও তুর্কমেনিস্তানের মধ্যস্থলে একটি ভূ-বেষ্টিত মালভূমির উপর অবস্থিত। আফগানিস্তানকে অনেক সময় দক্ষিণ এশিয়া এবং মধ্যপ্রাচ্যের অংশ হিসেবেও গণ্য করা হয়। আফগানিস্তানের পূর্বে ও দক্ষিণে পাকিস্তান , পশ্চিমে ইরান, উত্তরে তুর্কমেনিস্তান, উজবেকিস্তান ও তাজিকিস্তান এবং উত্তর-পূর্বে চীন। আফগানিস্তান শব্দটির অর্থ "আফগান (তথা পশতুন) জাতির দেশ"। আফগানিস্তান একটি রুক্ষ এলাকা যার অধিকাংশ এলাকা পর্বত ও মরুভূমি আবৃত।শুধু পার্বত্য উপত্যকা এবং উত্তরের সমভূমিতে গাছপালা দেখা যায়। এখানকার গ্রীষ্মকালীন আবহাওয়া গরম ও শুষ্ক এবং শীতকালে প্রচণ্ড শীত পড়ে। কাবুল দেশটির বৃহত্তম শহর ও রাজধানী। আফগানিস্তান প্রাচীনকাল থেকেই এশিয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল হিসেবে পরিচিত। বহু প্রাচীন বাণিজ্য ও বহিরাক্রমণ এই দেশের মধ্য দিয়েই সংঘটিত হয়েছে। শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে বহু লোক আফগানিস্তানের ভেতর দিয়ে চলাচল করেছেন এবং এদের মধ্যে কেউ কেউ এখানে বসতি স্থাপন করেছেন। দেশটির বর্তমান জাতিগত ও ভাষাগত বৈচিত্র্য এই ইতিহাসের সাক্ষ্য দেয়। আফগানিস্তানে বসবাসরত সবচেয়ে বড় জনগোষ্ঠী হল পশতুন জাতি। এরা আগে আফগান নামেও পরিচিত ছিল। তবে বর্তমানে আফগান বলতে কেবল পশতু নয়, বরং জাতি নির্বিশেষে রাষ্ট্রের সকল নাগরিককেই বোঝায়। (সম্পূর্ণ নিবন্ধ...) নির্বাচিত নিবন্ধ -তালেবান বা তালিবান (পশতু: طالبان, অনুবাদ 'ছাত্র') আফগানিস্তানের একটি দেওবন্দি-পশতুন ইসলামিক মৌলবাদী, ইসলামপন্থী ও জিহাদী রাজনৈতিক আন্দোলন এবং সামরিক সংগঠন। সংগঠনটি তার রাষ্ট্রের নাম আফগানিস্তান ইসলামি আমিরাত দিয়েও নিজেকে তুলে ধরে। ২০১৬ সাল থেকে মৌলভি হাইবাতুল্লাহ আখুন্দজাদা তালেবান নেতা। ২০২১ সালের হিসাবে তালেবানের আনুমানিক ২,০০,০০০ যোদ্ধা রয়েছে। ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত আফগানিস্তানের প্রায় তিন-চতুর্থাংশ অঞ্চল তালেবানের নিয়ন্ত্রণে ছিল এবং তারা সেখানে ইসলামি আইন (শরিয়ত) প্রণয়ন করেছিলো। ১৯৯৪ সালে আফগান গৃহযুদ্ধের অন্যতম প্রধান দল হিসেবে তালেবানের আবির্ভাব ঘটে। এই দলটি মূলত পূর্ব ও দক্ষিণ আফগানিস্তানের পশতুন এলাকার ছাত্রদের (তালিব) নিয়ে গঠিত হয় যারা ঐতিহ্যবাহী ইসলামি বিদ্যালয়ে শিক্ষা লাভ করেছিলো এবং সোভিয়েত–আফগান যুদ্ধের সময় যুদ্ধ করেছিলো। মোহাম্মদ ওমরের নেতৃত্বে, এই আন্দোলন আফগানিস্তানের বেশিরভাগ অংশে ছড়িয়ে পড়ে। ১৯৯৬ সালে আফগানিস্তান ইসলামি আমিরাত প্রতিষ্ঠিত হয় এবং আফগান রাজধানী কান্দাহারে স্থানান্তরিত হয়। ১১ সেপ্টেম্বরের হামলার পর ২০০১ সালের ডিসেম্বরে আফগানিস্তানে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে আক্রমণের পর ক্ষমতাচ্যুত না হওয়া পর্যন্ত দেশের বেশিরভাগ অংশ তালেবানের নিয়ন্ত্রণে ছিল। তালেবান সরকারকে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দিয়েছিলো মাত্র তিনটি দেশ: পাকিস্তান, সৌদি আরব এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত। পরে এই দলটি আফগানিস্তান যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত কারজাই প্রশাসন এবং ন্যাটো নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা সহায়তা বাহিনীর (আইএসএএফ) বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য একটি বিদ্রোহ আন্দোলন হিসেবে পুনরায় একত্রিত হয়। (সম্পূর্ণ নিবন্ধ...)নির্বাচিত স্থান -বামিয়ান উপত্যকার (পুস্তু/দারি: بامیان বা-মি-ইয়ান) অবস্থান আফগানিস্তানের একেবারে মধ্যভাগে সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে গড়ে প্রায় ২৪০০ মিটার বা ৮০০০ ফিট উচ্চতায়। ঐ একই নামে পরিচিত আফগান প্রদেশটিও এই উপত্যকার নামেই পরিচিত। বর্তমানে উপত্যকাটিতে মূলত হাজারা উপজাতির বাস। হাজারা উপজাতির বাসভূমি হজরজৎ'এর একেবারে কেন্দ্রস্থলে এর অবস্থান। বর্তমানে এই উপত্যকার অধিবাসীরা প্রায় সকলেই ইসলাম অনুরাগী হলেও ইতিহাস থেকে আমরা জানতে পারি, এই অঞ্চলে একসময় জরাথ্রুস্টবাদ ও বৌদ্ধধর্মের প্রবল প্রভাব ছিল। বিশেষ করে খ্রিস্টিয় তৃতীয় থেকে দশম শতক পর্যন্ত এই উপত্যকার পাহাড়ের গায়ে অসংখ্য কৃত্রিম গুহা খনন করে বৌদ্ধ সন্ন্যাসী ও ভিক্ষুরা এই উপত্যকায় বাস করতেন। তাদের কেন্দ্র করেই এই সময়ে এই উপত্যকা ও তৎসন্নিহিত সমগ্র অঞ্চলেই বৌদ্ধ ধর্ম ও সংস্কৃতির প্রভাব ছড়িয়ে পড়ে। বৌদ্ধ সংস্কৃতির সাথে এই অঞ্চলে পারসিক ও খ্রিস্টপূর্ব ৩৩০ অব্দেআলেকজান্ডারের আক্রমণের পর থেকে গড়ে ওঠা গ্রিক সংস্কৃতি ও শিল্পরীতির সংমিশ্রণে এক নতুন ধরনের শিল্পরীতি গড়ে ওঠে, যা ইতিহাসে গান্ধার শিল্প নামে পরিচিত। সমগ্র মধ্য এশিয়া ও উত্তর-পশ্চিম ভারতীয় উপমহাদেশে এই শিল্পরীতি এই সময় প্রভূত প্রভাব বিস্তার করে। বামিয়ানে এই শিল্পরীতির অনুকরণেই পাহাড়ের গায়ে পাথর কুঁদে বিভিন্ন মুদ্রার অসংখ্য বুদ্ধমূর্তি খোদাই করা হয়। এদের মধ্যে খ্রিস্টিয় ষষ্ঠ শতাব্দীতে তৈরি দুটি বিশালাকার মূর্তি সবচেয়ে বিখ্যাত। এগুলির দৌলতেই এই উপত্যকার ঐ অংশটি ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থানের তালিকায় স্থান পায়। কিন্তু আফগানিস্তানের তালিবান শাসকরা অ-ইসলামীয় বিবেচনায় ২০০১ সালের মার্চ মাসে ডিনামাইট বিস্ফোরণ ঘটিয়ে প্রায় দেড় হাজার বছরের পুরনো আফগান ইতিহাসের তথা বিশ্ব ঐতিহ্যের এই অনন্য নিদর্শন দুটিকে ধ্বংস করে। বর্তমানে তালিবানরা সেদেশে ক্ষমতাচ্যূত হবার পর আন্তর্জাতিক উদ্যোগে এই মূর্তিদুটির পুনর্নির্মাণ, ঐতিহ্যবাহী সমগ্র পাথুরে দেওয়ালটি ও সাথে সাথে ঐ সমগ্র অঞ্চলটিরই ঐতিহাসিক নিদর্শনগুলির সংরক্ষণের বিষয়ে সবিশেষ গুরুত্ব আরোপিত হয়েছে। মনোরম প্রাকৃতিক দৃশ্য ও ঐতিহাসিক নিদর্শনের প্রাচূর্যের কারণে এই অঞ্চলের পর্যটন শিল্প বিশেষভাবে বিকাশ লাভ করেছে। আফগানিস্তানে আগত ভ্রমণার্থীদের এক বড় অংশই তাই সাধারণভাবে এই উপত্যকা পর্যটন করে থাকেন। (সম্পূর্ণ নিবন্ধ...)স্বীকৃত ভুক্তিআজাকি নিবন্ধ
নির্বাচিত জীবনী -মুহাম্মদ নজিবউল্লাহ আহমেদজাই (পশতু: ډاکټر محمد نجیب ﷲ احمدزی; ফেব্রুয়ারি ১৯৪৭ – ২৭ সেপ্টেম্বর ১৯৯৬) ছিলেন আফগানিস্তানের রাষ্ট্রপতি। ১৯৮৭ সাল থেকে ১৯৯২ সাল পর্যন্ত তিনি রাষ্ট্রপতির পদে ছিলেন। তিনি সাধারণভাবে নজিবউল্লাহ বা ড. নজিব নামে পরিচিত। তিনি কাবুল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক হন। রাষ্ট্রপতি হওয়ার পূর্বে তিনি পিপল'স ডেমোক্রেটিক পার্টি অব আফগানিস্তানের (পিডিপিএ) বিভিন্ন দায়িত্বপালন করেছেন। হাফিজউল্লাহ আমিনের শাসনামলে তাকে রাষ্ট্রদূত হিসেবে ইরানে প্রেরণ করে নির্বাসিত করা হয়। সোভিয়েত হস্তক্ষেপের পর তিনি আফগানিস্তানে ফিরে আসেন। বাবরাক কারমালের শাসনামলে তিনি গোয়েন্দা সংস্থার (খাদামাতে আয়েতলাতে দাওলাতি, সংক্ষেপে খাদ) প্রধান হন। তিনি পিডিপিএর পারচাম গ্রুপের সদস্য ছিলেন। নজিবউল্লাহ খাদের প্রধান থাকাকালীন সময়ে এটি সরকারের সবচেয়ে সহিংস অঙ্গ হিসেবে পরিচিত হয়ে উঠে। ১৯৮১ সালে তিনি পিডিপিএর পলিটব্যুরোতে নিযুক্ত হন। ১৯৮৫ সালে তিনি পিডিপিএ সেক্রেটারিয়েটে নিয়োগ পান। ১৯৮৬ সালে কারমালের পদত্যাগের পর নজিবউল্লাহ পিডিপিএর মহাসচিব হন। নজিবউল্লাহ এরপর কয়েক মাস ধরে রাষ্ট্রপতি কারমালের সাথে ক্ষমতার লড়াইয়ে লিপ্ত ছিলেন। নজিবউল্লাহ অভিযোগ করেন যে কারমাল তার জাতীয় সমঝোতার নীতি ধ্বংস করতে চাইছেন। (সম্পূর্ণ নিবন্ধ...)সংস্কৃতি -সঙ্গীত সর্বদাই আফগানদের জীবনাচারের একটি অংশ হিসাবে গণ্য হয়, কিন্তু ১৯৭০'এর দশকের শেষ দিক থেকে দেশটিতে ধারাবাহিকভাবে যুদ্ধ চলতে থাকে এবং এর ফলে মানুষ সঙ্গীতের প্রতি কম আকৃষ্ট হওয়ার সুযোগ পায়। যেমন, আফগানিস্তানের একটি সমৃদ্ধশালী সঙ্গীত ঐতিহ্যের পরও এটি দমিয়ে রাখা হয় এবং বহিরাগতদের জন্য খুব কম সঙ্গীত রেকর্ডিং করা হয়। অনেকগুলি বাণিজ্য পথের মধ্যবর্তী পার্শ্ববর্তী পথে অবস্থিত হওয়ায় আফগানিস্তানের সঙ্গীত ঐতিহ্য আরব, পারসিয়ান, ভারতীয়, মঙ্গোলিয়ান, চীনা এবং আরও অনেক এলাকার পরিব্রাজকদের দ্বারা প্রভাবিত হয়েছে। এর ফলে আফগান সঙ্গীত পার্সি সুর, আরব লয়, ভারতীয় সঙ্গীত রচনারীতির পাশাপাশি পশতুন বা তাজিকের মত জাতিগত গোষ্ঠীগুলির শব্দসমূহ এবং ভারতীয় তবলা থেকে শুরু করে লম্বা-গলার লুতির সংমিশ্রণে গড়ে উঠেছে। এতে কোনো সন্দেহ নেই যে এক্ষেত্রে উপমহাদেশের সবচেয়ে প্রভাবশালী সঙ্গীত ঐতিহ্য - ভারতীয় সঙ্গীত ঐতিহ্য - আফগানিস্তানের সঙ্গীতের ক্ষেত্রেও একটি গুরুত্বপূর্ণ ঋণ প্রদায়ী ভূমিকা রেখেছে। (সম্পূর্ণ নিবন্ধ...)উল্লিখিত তথ্যগুলি উইকিপিডিয়া:আপনি জানেন কি প্রকল্পের অংশ হিসেবে প্রধান পাতায় প্রদর্শিত হয়েছে।
নির্বাচিত চিত্র-আফগানিস্তান সম্পর্কিত বিভিন্ন নিবন্ধে ব্যবহৃত চিত্র
বিষয়শ্রেণীসমূহউপবিষয়শ্রেণী দেখার জন্য [►] চিহ্নে ক্লিক করুন
আপনি যা করতে পারেন
বিষয়সম্পর্কিত প্রবেশদ্বারউইকিমিডিয়া |