বিষয়বস্তুতে চলুন

ঈদ গাহ্ মসজিদ

ঈদ গাহ্ মসজিদ
ঈদ গাহ্ মসজিদ, কাবুল ।
ধর্ম
অন্তর্ভুক্তিইসলাম
জেলাকাবুল
প্রদেশকাবুল প্রদেশ
অঞ্চলশর-ই-বারক, কাবুল
ধর্মীয় অনুষ্ঠানআবদালী
নেতৃত্ববাবর অথবা জাহাঙ্গীর
পবিত্রীকৃত বছর১৬ শতাব্দী
অবস্থান
অবস্থানকাবুল, আফগানিস্তান
স্থানাঙ্ক৩৪°৩১′০৪″ উত্তর ৬৯°১১′২৪″ পূর্ব / ৩৪.৫১৭৮° উত্তর ৬৯.১৯০০° পূর্ব / 34.5178; 69.1900
স্থাপত্য
ধরনমসজিদ
স্থাপত্য শৈলীইসলামী স্থাপত্য, মুঘল স্থাপত্য

ইদ গাহ মসজিদ বা ঈদগাহ মসজিদ আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে অবস্থিত দ্বিতীয় বৃহত্তম মসজিদ । এটি দেশের প্রধান ধর্মীয় মসজিদ হিসেবে বিবেচিত, যেখানে এক মিলিয়ন মানুষ বছরে দুবার ঈদ নামাজ  পড়তে সমবেত হয় । এটি কাবুলের শর-ই-বারাক শহরে অবস্থিত মাহমুদ খান সেতু এবং শহরের পূর্ব অংশে অবস্থিত ন্যাশনাল স্টেডিয়ামের কাছে অবস্থিত । এটি শহরের আভ্যন্তরীণ এলাকার একটি অংশ । "ইদ গাহ" বা "ঈদগাহ" বলতে একটি খোলা জায়গা বোঝায় যেখানে মানুষ জাতীয় ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানগুলির সময় মিলিত হয়। ঈদ গাহের খোলা মাঠগুলি কুরবানির পশুর পরিবহন সামগ্রীগুলির জন্য পার্কিং লট হিসেবে ব্যবহার করা হয়।[]

বেশিরভাগ তথ্যসূত্রে বলা হয়েছে সম্রাট বাবরের সময়ে একজন মুসলমান যোদ্ধা ভারতে আক্রমণ করেছিলেন এবং ভারতকে ধ্বংস করে দিয়েছিলেন এবং ইসলামকে গৌরবান্বিত করার জন্য একটি মসজিদ নির্মাণের নির্দেশ দিয়েছিলেন । তিনি তার যোদ্ধাদের দ্বারা পাঞ্জাব, সিন্ধু এবং আশেপাশের এলাকা থেকে বহুমূল্য পাথর ফিরিয়ে নিয়েছিলেন পাথর নিয়ে নিয়েছিলেন । পারস্যের স্থপতিরা তাদের কাবুলের প্রজন্মের জন্য একটি কাঠামো নির্মাণ করেন । এটি ধর্মীয় বিভিন্ন ধর্মীয় উৎসব , ধর্মীয় অনুষ্ঠান, রাজকীয় এবং রাজকীয় ধর্মীয় অনুষ্ঠানগুলি আয়োজিত হত ।  সে সকল উৎসবে বিভিন্ন রাজা এবং আমির উপস্থিত থাকতেন  । এই মসজিদটিতে ১৯১২ সালে তৎকালীন আমির হাবিবুল্লাহ তার দেশের স্বাধীনতার ঐতিহাসিক ঘোষণা প্রদান করেছিলেন। [][][][]

এই ঈদ গাহ মসজিদকে ১০ ফেব্রুয়ারি ২০০৬ সালে আক্রমণের লক্ষ্য হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছিল, যখন দুইজন সন্দেহভাজনকে  গ্রেফতার করা হয় । সে সময় তাদের গাড়িতে 8 কেজি বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয়েছিল।.[]

স্থাপত্য

[সম্পাদনা]

ঈদ গাহ মসজিদ কাবুলের একটি ঐতিহ্যবাহী অংশে অবস্থিত এবং এই ঐতিহ্যবাহী মুসলিম স্থাপত্য ও ঐতিহ্যকে প্রতিফলিত করে।  এই পবিত্র স্থান দেখার জন্য প্রতিদিনই দূরদূর থেকে তীর্থযাত্রীদের আগমন দেখা যায় । মসজিদটি বেইজ এবং সাদা রঙের ডিজাইন করা ।  সামনে দিকে চারটি মিনারের , উচ্চ কেন্দ্রীয় খিলানবিশিষ্ট দুটি এবং কেন্দ্রীয় খিলান উভয় পাশের খিলানবিশিষ্ট অংশের উভয় পাশে এর কাজ দেখা যায় । চারদিকে গোলাকার চারটি মিনারা একই দিকে এবং ছাদের মাঝখানে ভিন্ন রঙের একটি ছোট ছোট মিনার অবস্থিত । মসজিদ দীর্ঘ  দৈর্ঘ্য এবং প্রস্থ প্রশস্ত বিশিস্থ । ৩ টি খিলানবিশিষ্ট কেন্দ্রীয় খিলানে আঁকা এলাকা বাদে মসজিদটির দৈর্ঘ্যের দিকে ১৮ টি অন্ধকার কুঠি রয়েছে।.[]  ঈদগাহ স্কয়ার নামে পরিচিত এই বিশাল এলাকাটি  প্রার্থনা মৌসুমে মসজিদে প্রচুর সংখ্যক লোক ধারণ করতে সক্ষম । 

তথ্যসূত্র 

[সম্পাদনা]
  1. "Kabul"। Let Us Explore। 2011-11-14bot: unknown তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ 2010-10-27 {{ওয়েব উদ্ধৃতি}}: |আর্কাইভের-তারিখ= এর মান পরীক্ষা করুন (সাহায্য)
  2. "An Historical Guide to Kabul"[51] Return to the Stadium। American International School of Kabul। ১৩ নভেম্বর ২০১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ২৬ অক্টোবর ২০১০
  3. "Id Gah Mosque"। Arch Net Digital Library। ২৯ জুন ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ২৬ অক্টোবর ২০১০
  4. "Kabul Travel"Id Gah Mosque। Kabul Travel। ২১ আগস্ট ২০১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ২৬ অক্টোবর ২০১০
  5. "Urban History and Development of Kabul" (পিডিএফ)। Switzerland: 10th Architecture Behavious Colloqium। ২০০৪। পৃ. ১৫–১৬। ৬ জুলাই ২০১১ তারিখে মূল থেকে (pdf) আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ২৫ অক্টোবর ২০১০
  6. IntelCenter Terrorism Incident Reference (TIR): Afghanistan, 2000-2007। Tempest Publishing। ২০০৮। পৃ. ২০৯। আইএসবিএন ০-৯৬৬৫৪৩৭-৮-৫। সংগ্রহের তারিখ ২৭ অক্টোবর ২০১০
  7. (মানচিত্র)। {{মানচিত্র উদ্ধৃতি}}: |title= অনুপস্থিত বা খালি (সাহায্য)|title= অনুপস্থিত বা খালি (সাহায্য)