তাফসির শাস্ত্রে দারুল উলুম দেওবন্দ

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
২০১৮ সালে দারুল উলুম দেওবন্দ

দারুল উলুম দেওবন্দ ভারতের উত্তরপ্রদেশের সাহারানপুর জেলায় অবস্থিত একটি মাদ্রাসা, যা ১৮৬৬ সালের ৩০ মে প্রতিষ্ঠিত হয়। দারুল উলুম দেওবন্দের সাথে শাহ ওয়ালিউল্লাহ দেহলভী ও তার পুত্রদের শিষ্যত্বের সম্পর্ক রয়েছে, তাই তারা কুরআনের তাফসিরের ক্ষেত্রে তাদের পথ অনুসরণ করে। ওয়ালিউল্লাহ দেহলভি নিজে তাফসিরের সাথে যুক্ত ছিলেন এবং ফাতহুর রহমান নামে ফার্সি ভাষায় একটি তাফসির লিখেছেন। তারপর তার পুত্র শাহ আবদুল কাদির প্রথম সম্পূর্ণ উর্দু তাফসির মুযুহুল কুরআন রচনা করেন যা দারুল উলুম দেওবন্দের ব্যাখ্যামূলক প্রবণতার ভিত্তি হয়ে ওঠে। প্রকৃতপক্ষে দেওবন্দের আলেমগণ শাহ ওয়ালিউল্লাহ এবং তার ছেলেদের কাজকে প্রসারিত করেছিলেন। দারুল উলুম দেওবন্দের প্রখ্যাত মুফাসসিরদের মধ্যে রয়েছেন মাহমুদ হাসান দেওবন্দি, শাব্বির আহমদ উসমানি, আশরাফ আলী থানভী, শফি উসমানি, মুহাম্মদ ইদ্রিস কান্ধলভি প্রমুখ। দারুল উলুম দেওবন্দের আলেমদের লিখিত তাফসিরের মধ্যে রয়েছে: তাফসীরে উসমানী, বয়ানুল কুরআন, মাআরিফুল কুরআন, মাআরিফুল কুরআন (কান্ধলভি), হেদায়াতুল কুরআন। কুরআনের তাফসিরের জন্য দারুল উলুম দেওবন্দের উচ্চতর গবেষণা বিভাগ দারুত তাফসির নামে পরিচিত।[১][২]

প্রেক্ষাপট[সম্পাদনা]

১৯২৮ সালে আল কাসিমে প্রকাশিত মসজিদে সাত্তা, যেখানে দারুল উলুম দেওবন্দের সূচনা হয়।
তাফসীর শাস্ত্রে দারুল উলুম দেওবন্দের আলেমদের অবদান নিয়ে রচিত ফুজালায়ে দেওবন্দ কি কুরআনি খিদমাতের প্রচ্ছদ

৬০০ খ্রিস্টাব্দের দিকে আরবের মক্কায় ইসলামের প্রচার শুরু করেন মুহাম্মদ (স.)। ইসলামের ধর্মগ্রন্থ কুরআন নামে পরিচিত। এ গ্রন্থের পঠন-পাঠন ও চর্চা ইতোমধ্যে বিশ্বময় ছড়িয়ে পড়েছে। বিশ্বব্যাপী কুরআনের প্রচার ও প্রসারের মাধ্যমে সমগ্র মানব গোষ্ঠীকে ইসলামের ছায়ায় অন্তর্ভুক্ত করে আল্লাহর সন্তোষ অর্জন করাই ছিল মুহাম্মদ (স.) ও তার সাহাবাগণের জীবনোদ্দেশ্য। এ উদ্দেশ্যকে বাস্তবায়ন করার জন্য কুরআন নাজিল হওয়ার সূচনা থেকেই এর সংরক্ষণ, সংগ্রহ, সংকলন ও সম্প্রচারে সুশৃংখল ও সুদক্ষ ব্যবস্থাপনা গৃহীত হয়। কুরআন নাজিল হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই যুগপৎভাবে এর সংরক্ষণ, প্রচার ও প্রয়োগের প্রক্রিয়া শুরু হয়। একে যথাযথ ভাবে বুঝা এবং তা বাস্তবে আমলে পরিণত করার প্রয়োজনে এর ব্যাখ্যা জানাও জরুরী হয়ে পড়েছিল। তাই কুরআনের যাবতীয় অস্পষ্টতা দূরীকরণের নিমিত্ত আল্লাহ নিজেই সর্বপ্রথম কুরআনের এক অংশকে অন্য অংশ দিয়ে ব্যাখ্যা প্রদানে প্রয়াসী হয়েছেন। এরপরও কুরআনের যে অংশের ব্যাখ্যা সাহাবাগণের বুঝতে কষ্ট হতো তারা রাসূল (সা.) কে জিজ্ঞাসা করে তার ব্যাখ্যা জেনে নিতেন। প্রকৃত অর্থে রাসূল (সা.) কুরআনের বিস্তারিত ব্যাখ্যা প্রদান করেছিলেন। তাই বলা হয় তিনিই হলেন কুরআনের একমাত্র মুফাসসির।[৩]

রাসূল (সা.) এর তিরোধানের পর সাহাবাগণ ইসলাম সম্প্রসারের কাজে বিশ্বময় ছড়িয়ে পড়েন। আর তখন বাস্তবতার আলোকে কোন আয়াতের ব্যাখ্যা যদি তারা কুরআনহাদিসে খুঁজে না পেতেন তখন তারা নিজস্ব ইলমের আলোকে সে আয়াতের ব্যাখ্যা করতে প্রয়াসী হতেন। আর এটা রাসূল (সা.) এর পক্ষ থেকে অনুমোদিতও ছিল। তবে এ কাজটি সব সাহাবাই করেন নি; বরং তাদের মধ্যে যারা ইলমে কুরআনের ব্যাপারে পাণ্ডিত্যের অধিকারী ছিলেন শুধু তারাই এ কাজে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। যেমন: হুজাইফা ইবনুল ইয়ামান, আযারবাইযান, আর্মানিয়া, সিরিয়া ও ইরাকে যুদ্ধরত মুসলিম মুজাহিদগণকে ইলমে কুরআন শিক্ষা দিতেন। আমর ইবনুল আস মিশরে, মুয়াজ ইবনে জাবাল সিরিয়ায়, সাদ ইবনে আবি ওয়াক্কাস ইরাকে ইলমে কুরআন শিক্ষা দেয়ার দায়িত্ব পালন করেছেন। সাহাবাগণের সাহচর্যে থেকে তাবিঈগণের মাঝেও ইলমে কুরআন চর্চার প্রেরণা তৈরী হয়। ইবনে আব্বাসইবনে মাসউদের শিষ্যগণ এ ক্ষেত্রে অনবদ্য ভূমিকা পালন করেন। ইবনে আব্বাসের ছাত্রগণের মধ্যে সাঈদ ইবনে জুবাইর, মুজাহিদ, ইকরামা, তাউস, আতা ইবনে আবি রাবা এবং ইবনে মাসউদের শিষ্যগণের মধ্যে আলকামা, মাসরূক, আসওয়াদ, মুররা, আমর বিন শুরাহিল, হাসান বসরি, কাতাদা ইবনুল নু’মান, শুরাইহ, ইব্রাহিম ও উবায়দা আস সালামী প্রমুখ উল্লেখযোগ্য। তাবিঈগনের নিকট হতে তাবি-তাবিঈগণ ইলমে তাফসীর শিক্ষা করেন। তারা তাদের পূর্বসূরীদের তাফসীর সংক্রান্ত বর্ণনা সমূহ সংগ্রহ ও গ্রন্থনায় আত্মনিয়োগ করেন। এ পর্যায়ে যে সকল মনীষির নাম উল্লেখ করা যায় তারা হলেন: সুফিয়ান ইবনে উয়ায়না, ওয়াকী ইবনুল জাররাহ, শুবা ইবনুল হাজ্জাজ, ইয়াজিদ ইবনে হারুন ও আবদ ইবনে হুমাইদ।[৩]

তারপর তৃতীয় হিজরী শতকে আবু উবায়েদ কাসেম ইবনে সালাম, বাকী ইবনে মোখাল্লাদ কুরতুবী ও আবু মোহাম্মদ সাহাল ইবনে আব্দুল্লাহ আত্তাসতারী প্রমুখ ইলমে তাফসীর চর্চায় ব্যাপক অবদান রাখেন। অতপর চতুর্থ হিজরী শতকে ইবনে জারীর তাবারী, আবুল হাসান আল-আশআরিআবু মনসুর আল-মাতুরিদি ইলমে তাফসীর চর্চায় এগিয়ে আসেন। হিজরী পঞ্চম শতকে আবু আব্দুর রহমান মোহাম্মদ ইবনে হুসাইন ও আবু ইসহাক আহমদ ইবনে মোহাম্মদ ইব্রাহীম আস্সালাবী তাফসীর শাস্ত্রে বিশেষ অবদান রাখেন। অতপর হিজরী ষষ্ঠ শতকে আবু মোহাম্মদ হোসাইন ইবনু মাসউদুল কোররা আল বাগাভীমাহমুদ ইবনে ওমর জামাখশারী এবং সপ্তম হিজরী শতকে ফখরুদ্দীন মোহাম্মদ ইবনে ওমর রাযী, আবু বকর মহিউদ্দিন ইবনে আরাবী, আবু আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ ইবনে আবি বাকর আল কুরতুবী ও কাজী নাসির উদ্দীন বায়যাবী ইলমে তাফসীর চর্চায় অনবদ্য অবদান রেখেছেন। তারপর পর্যায়ক্রমে তাফসীর শাস্ত্র গবেষণার ধারা ব্যাপক আকার ধারণ করে। ইসলামি চিন্তাবিদগণ তাদের নিজ নিজ জ্ঞান ও প্রতিভার আলোকে ইলমে কুরআনের অবদান রাখতে থাকেন। রচিত হয় তাফসীর শাস্ত্রের বিশাল ভাণ্ডার। আরবী ভাষায় রচিত এ তাফসীর গ্রন্থগুলো অনারবদের কুরআনের জ্ঞান পিপাসা নিবৃত্ত করতে পারে নি। তাই পৃথিবীর বিভিন্ন ভাষায় কুরআনের তাফসীর চর্চা আবশ্যিক হয়ে পড়ে। পৃথিবীর বিভিন্ন ভাষাভাষী পণ্ডিত মনীষিগণ নিজ নিজ ভাষায় কুরআনের ব্যাখ্যা চর্চায় আত্মনিয়োগ করেন।[৩]

বাণিজ্যের হাত ধরে ভারতীয় উপমহাদেশে আরবের মুসলিম ধর্ম প্রচারকদের আনাগোনা শুরু হয়। পরবর্তীতে ভারতীয় উপমহাদেশের প্রচুর মানুষ ইসলাম গ্রহণ করে।[৪] ১২শ থেকে ১৬শ শতাব্দীতে মুসলমানদের ভারত বিজয়ের সূচনা হয়। ১৭০৭ সালে সম্রাট আওরঙ্গজেবের মৃত্যুর পরই ভারতে মুসলমানদের শাসন ক্ষমতা খর্ব হতে থাকে। এ শতাব্দীর মধ্যবর্তী সময়ে ভারতে কোম্পানি শাসনের সূচনা ঘটে যা পরবর্তীতে ভারতকে ব্রিটিশদের অধীনে চলে যেতে সাহায্য করে। ব্রিটিশদের হাতে ইসলামি শিক্ষা ও সংস্কৃতির প্রচার বাধাগ্রস্ত হয়। ফলশ্রুতিতে ১৮৫৭ সালে মুসলমানরা সিপাহি বিদ্রোহ সংগঠিত করে। এটি ব্যর্থ হবার পর এর ক্ষত মিটানোর উদ্দেশ্যে আপাততঃ সশস্ত্র সংগ্রামের ধারা স্থগিত রেখে সাম্রাজ্যবাদউপনিবেশবাদ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলন ও ইসলামের চেতনায় একদল কর্মী তৈরির লক্ষ্যে ইমদাদুল্লাহ মুহাজিরে মক্কির ইঙ্গিতে ও কাসেম নানুতুবির নেতৃত্বে এবং সিপাহি বিদ্রোহে অংশগ্রহণকারী কয়েকজন ব্যক্তির মাধ্যমে ১৮৬৬ সালের ৩০ মে ভারতের উত্তরপ্রদেশস্থ সাহারানপুর জেলার দেওবন্দ নামক বস্তিতে সাত্তা মসজিদের প্রাঙ্গনে ছোট্ট একটি ডালিম গাছের ছায়ায় দারুল উলুম দেওবন্দের গোড়া পত্তন করা হয়।[৫] ফিকহ, হাদিস, সীরাতের ন্যায় তাফসীর শাস্ত্রেও দারুল উলুম দেওবন্দের আলেমগণ উল্লেখযোগ্য অবদান রেখে যাচ্ছেন।

দারুত তাফসির[সম্পাদনা]

তাফসির গ্রন্থ[সম্পাদনা]

তাফসিরের বিকাশে দারুল উলুম দেওবন্দের আলেমগণ বিপুল সংখ্যক তাফসির এবং বিষয়ের সাথে প্রাসঙ্গিক বই লিখেছেন।

তাফসীরে উসমানী[সম্পাদনা]

এটি লিখেছেন মাহমুদ হাসান দেওবন্দিশাব্বির আহমেদ উসমানি। মাহমুদ হাসান দেওবন্দি ১ম মনজিল রচনার পর মৃত্যুবরণ করলে তার ছাত্র শাব্বির আহমেদ উসমানি বাকি ৬ মনজিল রচনা করেন। পরবর্তীতে এটি তাফসীরে উসমানী নামে প্রসিদ্ধি লাভ করে।

বয়ানুল কুরআন[সম্পাদনা]

আশরাফ আলী থানভী তিন খণ্ডে এ গ্রন্থটি সমাপ্ত করেন। উর্দু ভাষায় রচিত এ গ্রন্থটি গায়রে আলেমদের দিকে লক্ষ্য রেখে লেখা হয়। আশরাফ আলী থানভী এই কিতাবে প্রথমে কুরআনের সহজ ও সাবলীল উর্দূ তরজমা করেছেন। এই তরজমাকে তিনি শাব্দিকতার কাছাকাছি রেখে সহজবোদ্ধ আকারে উপস্থাপন করেছেন। সেইসঙ্গে আয়াতসমূহের পারস্পরিক সম্পর্ক ও বক্তব্যের ধারাবাহিকতা স্পষ্ট করেছেন; কোথাও বর্ণনাভঙ্গিতে কোথাও ‘রবত‘ শিরোনামে সুস্পষ্টভাবে। ফিকহ সংশ্লিষ্ট আয়াতে তিনি কেবল হানাফী মাযহাবের বক্তব্য উল্লেখ করেছেন আর নিতান্ত প্রয়োজনে অন্যকোনো মাযহাবের বক্তব্য উল্লেখ করেছেন হাশিয়ায়। কোনো আয়াতের তাফসীরের ক্ষেত্রে পূর্বসূরি মুফাসসিরগণের বিভিন্ন মত থাকলে তিনি কেবল অগ্রগণ্য বা রাজেহ মতকেই উল্লেখ করেছেন। তবে কোথাও কোথাও একাধিক মতও পেশ করেছেন।

মাআরিফুল কুরআন[সম্পাদনা]

এটি লিখেছেন শফি উসমানি। এটি উর্দু ভাষায় মোট ৮ খণ্ডে সমাপ্ত হয়েছে। বিগত শতাব্দীর সত্তরের দশকে গ্রন্থটি প্রকাশিত হওয়ার পর থেকে বিভিন্ন ভাষায় ও বিভিন্ন প্রকাশনী থেকে এর প্রকাশনা অব্যাহত আছে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা উত্তর বাংলাদেশ সরকারের ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের অনুবাদ প্রকল্পের অধীনে ১৯৮০ সালে সর্বপ্রথম এর বাংলা অনুবাদ প্রকাশিত হয়। তিন মাসে এর অনুবাদ শেষ করেন মাওলানা মুহিউদ্দীন খান। ১৯৯২ সালে সৌদি সরকার কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং প্রেস কর্তৃক এর ১০ লক্ষ কপি ছাপিয়ে সারাবিশ্বে বিনামূল্যে বিতরণ করে।

মাআরিফুল কুরআন (কান্ধলভি)[সম্পাদনা]

মাআরিফুল কুরআন নামে মুহাম্মদ ইদ্রিস কান্ধলভি আরেকটি উর্দু তাফসীর রচনা করেন। কান্ধলভি তার পীর আশরাফ আলী থানভীর রচিত বয়ানুল কুরআন থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে এবং বয়ানুল কুরআনের ধারা ও বর্ণনাভঙ্গি বজায় রেখে গ্রন্থটি রচনা শুরু করেন। তবে তিনি পূর্ণাঙ্গ রচনা করতে পারেন নি। তার মৃত্যুর পর তার ছাত্র মুহাম্মদ মালিক কান্ধলভি বাকি অংশের কাজ সমাপ্ত করে গ্রন্থটি ৮ খণ্ডে প্রকাশ করেন। এটি পূর্বসূরি মুফাসিরগণের জ্ঞান ও প্রজ্ঞার একটি সার-নির্যাস। এতে শাহ আব্দুল কাদির দেহলভীর কুরআনের ব্যবহারিক অনুবাদ এবং শাহ রফিউদ্দিনের শব্দানুবাদ উভয়টিকে সমন্বিত করা হয়েছে।

হেদায়াতুল কুরআন[সম্পাদনা]

দারুল উলুম দেওবন্দের সাবেক সদরুল মুদাররিস সাঈদ আহমদ পালনপুরীর লিখিত তাফসীর হেদায়াতুল কুরআন। ২০১৬ সালে মাকতাবাতুল হিজাজ থেকে এটি ৮ খণ্ডে প্রকাশিত হয়। এর অর্ধ শতাব্দী পূর্বে দারুল উলুম দেওবন্দের শিক্ষক ওসমান কাশেফ হাশেমি এটি রচনা শুরু করেন। কিন্তু তিনি ৯ পারা পর্যন্ত রচনা করতে পেরেছিলেন। পরবর্তীতে তার অনুরোধে সাঈদ আহমদ পালনপুরী যদিও ১০ম পারা থেকে শুরু করেন কিন্তু তিনি নিজস্ব রচনাশৈলী অনুসরণ করে পূর্ণাঙ্গ তাফসীর রচনা করেন। পালনপুরির কয়েকজন ছাত্র গ্রন্থটির বঙ্গানুবাদ করেন, যা ২০২১ সালে মাকতাবাতুল মদীনা থেকে প্রকাশিত হয়।

অন্যান্য গ্রন্থ[সম্পাদনা]

বইসমূহ
নং নাম ভাষা লেখক
তাফসীরে দরসে কুরআন উর্দু আব্দুল হাই ফারুকী
মাওযাহ আল ফারুকান উর্দু মাহমুদ হাসান দেওবন্দি
তাফসিরুল কুরআন উর্দু মুহাম্মদ তাহির দেওবন্দি
তাফসীরে হাবিবি পশতু হাবিবুর রহমান মারদানি
আনোয়ারুল কুরআন পশতু আনোয়ারুল হক কাকাখাইল
মিফতাহুল কুরআন উর্দু শাবির আজহার মিরাঠি
ফয়জুর রহমান উর্দু ইয়াকুবুর রহমান উসমানি
ফাহমে কুরআন উর্দু সাইদ আহমদ আকবরাবাদী
দরসে কুরআন উর্দু জাফিরুদ্দিন
১০ মুকাদিমাহ তাফসিরে নিজামুল কুরআন উর্দু জাফিরুদ্দিন
১১ তাফসীরে সূরা ফাতিহ উর্দু আবুল কালাম কাসেমি
১২ কুরআনী তাকরিরকিন উর্দু ইমাম আলী
১৩ কুরআনী মুহকাম উর্দু আব্দুস সামাদ রাহমানী
১৪ তাদভীনে কুরআন উর্দু মানাজির আহসান গিলানি
১৫ মওদুদী কি তাফসির পার মুহাক্কিকনাহ নজর উর্দু ইখলাক হুসাইন কাসেমী
১৬ আনোয়ারুল কুরআন উর্দু মুহাম্মদ নাঈম দেওবন্দি
১৭ আহসানুত তাফাসির উর্দু সৈয়দ মুহাম্মদ
১৮ খুলাসা আত তাফসির উর্দু ফাতাহ মুহাম্মদ
১৯ গায়াতুল বুরহান ফী তাওয়িল কুরআন আরবি হাকিম সৈয়দ হাসসান
২০ তাফসীর কালাম আর রেহমান আরবি গোলাম মুহাম্মদ
২১ তাফসীর তালিমুল কুরআন উর্দু কাজী জাহিদ আল হুসাইনি
২২ তালিমুল কুরআন উর্দু আব্দুর রহমান হায়দ্রাবাদী
২৩ তাফসীরে ফাতহুল আজিজ উর্দু মুহাম্মদ হাসান মোস্তফাবাদী
২৪ আযম আল তাফসীর তাজবিদ আল কুরআন উর্দু রহিম বখশ
২৫ আলতাফ আল রেহমান বিতাফসির-আল-কুরআন আরবি আব্দুল বারী
২৬ জাওয়াহিরুল তাফসির আরবি আব্দুল হাকিম লখনৌভী
২৭ মাআরিফুল কুরআন আরবি কাজী জাহিদ আল হুসাইনি
২৮ তাফসীরুল কুরআন উর্দু মুহাম্মদ তাহির কাসেমি
২৯ দরসে কুরআন উর্দু ইখলাখ আহমদ সিদ্দিকী
৩০ তরজুমায়ে কুরআন হিন্দি আরশাদ মাদানি
৩১ তাফসীরে সূরা ফাতিহা উর্দু সালমান মনসুরপুরী

মুফাসসির[সম্পাদনা]

দারুল উলুম দেওবন্দের প্রখ্যাত মুফাসসিরদের মধ্যে রয়েছেন:

মাহমুদ হাসান দেওবন্দি[সম্পাদনা]

শাব্বির আহমদ উসমানি[সম্পাদনা]

আশরাফ আলী থানভী[সম্পাদনা]

ইদ্রিস কান্ধলভি[সম্পাদনা]

শফি উসমানি[সম্পাদনা]

শামসুল হক আফগানি[সম্পাদনা]

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Wani, Bilal Ahmad (২০১৪)। Contribution of Darul 'Ulum Deoband to the Development of Tafsir (1. Aufl সংস্করণ)। Saarbrücken। আইএসবিএন 978-3-659-56556-4ওসিএলসি 892098479 
  2. উদ্দিন, শাহাব (২০১৮)। Beeswin Sadi Main Ulama-E-jamia Azhar, Misr or Ulama-E-Darul Uloom, Deoband Ki Tafseeri Khidmaat Ka Taqabuli Mutalah (পিডিএফ) (গবেষণাপত্র)। ভারত: আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়। hdl:10603/250326 
  3. আজাদ, আবুল কালাম (২০১৩)। বাংলা ভাষায় তাফসীর চর্চা : বিশেষত তফসীরে নূরুল কোরআন (পিডিএফ) (পিএইচডি)। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। পৃষ্ঠা ৮–১২। ২১ ডিসেম্বর ২০২১ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ জুলাই ২০২২ 
  4. জিয়া, আশরাফ (৩ সেপ্টেম্বর ২০২১)। "আমরা যেভাবে ইসলাম পেলাম"দৈনিক যুগান্তর 
  5. মুহাম্মদ ইয়াহইয়া, আবুল ফাতাহ (১৯৯৮)। দেওবন্দ আন্দোলন: ইতিহাস ঐতিহ্য অবদান (পিডিএফ)। ঢাকা: আল-আমীন রিসার্চ একাডেমী বাংলাদেশ। পৃষ্ঠা ১৫৮।