দারুল উলুম দেওবন্দের শতবার্ষিকী সম্মেলন

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
শতবার্ষিকী সম্মেলনের শুরুতে কুরআন পাঠ করছেন মিশরের কারী আব্দুল বাসিত আব্দুস সামাদ, পিছনে ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী

দারুল উলুম দেওবন্দ ভারতের উত্তরপ্রদেশের সাহারানপুর জেলায় অবস্থিত একটি মাদ্রাসা, যা ১৮৬৬ সালের ৩০ মে প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৮০ সালের ২১, ২২ ও ২৩ মার্চ এই মাদ্রাসার শতবার্ষিকী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সৌদি আরবের বাদশাহর প্রতিনিধি আব্দুল্লাহ বিন আব্দুল মুহসিন আত তুর্কির সভাপতিত্ব, মিশরের কারী আব্দুল বাসিত আব্দুস সামাদের কুরআন তেলওয়াত, মাদ্রাসার মুহতামিম কারী মুহাম্মদ তৈয়বের উদ্ভোদনী ভাষণ ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর বক্তৃতার মাধ্যমে সম্মেলনের কার্যক্রম শুরু হয় এবং কারী মুহাম্মদ তৈয়বের মুনাজাতের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়। আকাশবাণীতে এটি সরাসরি সম্প্রচারিত হয়। সম্মেলন অনুষ্ঠানের জন্য ১০ লক্ষ বর্গমিটারের বিস্তীর্ণ জায়গা প্রস্তুত করা হয়। সম্মেলনে অংশগ্রহণকারীদের সংখ্যা ছিল ১৫ থেকে ২০ লাখ। এর মধ্যে ভারতীয় উপমহাদেশের বাইরে অংশগ্রহণকারীদের সংখ্যা ছিল ১৮,০০০। বিখ্যাত আরবি সাহিত্যিক আবুল হাসান আলী হাসানী নদভীর তার আত্মজীবনী কারওয়ানে যিন্দেগীতে এই সমাবেশকে আরাফাত ময়দানের সাথে তুলনা করেছেন।[১] এই সমাবেশে মাদ্রাসার দশ সহস্রাধিক শিক্ষা সমাপনকারীর দাস্তারবন্দীও করা হয়। সম্মেলনে মিন্নাতুল্লাহ রহমানির প্রচেষ্টায় আফগানিস্তানে রাশিয়ার আক্রমণের বিপক্ষে এবং আফগান মুজাহিদদের জন্য সহযোগিতামূলক সহ কয়েকটি কর্মসূচীও গৃহীত হয়। মূল সম্মেলনের পাশাপাশি দারুল হাদিসে মাদ্রাসা, এর দায়িত্ব ও সিলেবাস নিয়ে একটি বিশেষ আলোচনা মজলিসেরও ব্যবস্থা করা হয়।

প্রেক্ষাপট[সম্পাদনা]

১৯৪৯ সালে হুসাইন আহমদ মাদানির জীবদ্দশায় হিফজুর রহমান সিওহারভিমনজুর নোমানীর প্রচেষ্টায় দারুল উলুম দেওবন্দের মজলিসে শূরার এক বৈঠকে এই সম্মেলনের প্রস্তাবনা সামনে আসে। উদ্দেশ্য ছিল এই সম্মেলনের মাধ্যমে দেশ বিভক্তির ফলে সৃষ্ট সংকটে দারুল উলুম দেওবন্দের গুরুত্ব নিয়ে সরকারকে একটি বার্তা দেওয়া হবে। এর পূর্বে এধরনের সম্মেলন হয়েছিল অবিভক্ত ভারতে ১৯১০ সালের এপ্রিলে। তবে হুসাইন আহমদ মাদানির এই যুক্তির সাথে দ্বিমত পোষণ করে সম্মেলন সামাল দেওয়া কঠিন হওয়ার অজুহাত প্রদান করেন। শেষে সম্মেলন অনুষ্ঠানের পক্ষে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় এবং এজন্য একটি অফিস খোলা হয়। কিছুদিন পর সম্মেলন আয়োজনের কাজে ভাটা পড়ে যায়।[২]

১৯৭৫ সালে দারুল উলুম দেওবন্দের ভ্রাতৃপ্রতিম মাদ্রাসা দারুল উলুম নদওয়াতুল উলামার ৮৫ সালা শিক্ষা সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়। ফলশ্রুতিতে ১৯৮০ সালোর ২১, ২২, ২৩ মার্চ দেওবন্দের সম্মেলন অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্তও পাকাপোক্ত হয়ে যায়।[৩] ভারত ও পাকিস্তান সরকারের মধ্যে চুক্তির মাধ্যমে সম্মেলনে অংশগ্রহণকারীদের জন্য বিশেষ সুবিধাসমূহ প্রদান করা হয়। পাকিস্তান সরকার লাহোর থেকে আটারী পর্যন্ত একটি বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করে। আর ভারত সরকার আটারী থেকে দেওবন্দ পর্যন্ত বিশেষ ট্রেন চালু করে।[৪]

সম্মেলন স্থল[সম্পাদনা]

সম্মেলন অনুষ্ঠানের জন্য এক মিলিয়ন বর্গ মিটারের বিস্তীর্ণ এলাকা প্রস্তুত করা হয়। প্যান্ডেলের ক্ষেত্রফল ছিল ৬ লক্ষ বর্গফুট। স্টেজের আয়তন ১০ ফুট উচু, ১৫০×১৫০ ফুট প্রশস্ত। স্টেজে ৪০০ অতিথি ও দুইপাশে ১৫০ সাংবাদিক চেয়ার রাখা হয়।[৫] সমাবেশ স্থলের পশ্চিমপ্রান্ত রেল লাইন থেকে শুরু হয়েছে। আর পূর্বপ্রান্ত সেখান থেকে দুই আড়াই মাইল দূরের বাগান পর্যন্ত চলে গেছে। উত্তরে জিটি রোড এবং দক্ষিণে ঈদগাহ পর্যন্ত তার সীমানা। সমাবেশ স্থলের পূর্বাংশে বাহির থেকে আগমনকারী মেহমানদের অবস্থানের জন্য ক্যাম্প করা হয়। প্রত্যেক এলাকার মেহমানদের জন্য পৃথক ক্যাম্প করা হয়। প্রত্যেক ক্যাম্পে ঐ এলাকার নামে বোর্ড বসানো হয়। পানির জন্য কিছু দূর পর পর তিনশত হ্যাণ্ড পাম্প বসানো হয়। উত্তরাংশে পানাহার সামগ্রীর ষ্টল। পশ্চিমে সমাবেশ স্থল। সেখানে শামিয়ানার নীচে তিন লক্ষ লোকের বসার ব্যবস্থা এবং এই পরিমাণ জায়গাই শামিয়ানার বাইরে উন্মুক্ত ময়দান হিসেবে রাখা হয়েছে। এগুলোর পিছনে রয়েছে থাকার ক্যাম্প। সমাবেশ স্থলের পশ্চিম প্রান্তে পাকা ইট দ্বারা জাকজমক মঞ্চ তৈরী করা হয়।[৬]

সাধারণ অধিবেশন[সম্পাদনা]

প্রথম[সম্পাদনা]

১৯৮০ সালের ২১ মার্চ জুমার নামাজের পর দুপুর ২টায় প্রথম অধিবেশন শুরু হয়। এই প্রথম অধিবেশনের একটি চলমান ভাষ্য অল ইন্ডিয়া রেডিও, নিউ দিল্লি থেকে সম্প্রচার করা হয়েছিল।

এই উদ্বোধনী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন সৌদি আরবের বাদশাহ খালিদ ইবনে আবদ আল আজিজের বিশেষ প্রতিনিধি এবং প্রতিনিধি দলের নেতা শেখ আবদুল্লাহ আবদ আল-মোহসিন তুর্কি। কুয়েতের আওগাফের মন্ত্রী শেখ ইউসুফ জাসাম আল-হাজি এটি উদ্বোধন করেন। শুধুমাত্র সৌদি আরবের ছয়টি প্রতিনিধি দল ছিল এই অনুষ্ঠানে। বাদশাহ খালিদ কর্তৃক মনোনীত এর মধ্যে একজন সৌদি আরব সরকারের প্রতিনিধিত্ব করছিলেন এবং বাকি পাঁচটি প্রতিনিধি দল গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব নিয়ে গঠিত, সৌদি আরবের উত্তরাধিকারী প্রিন্স ফাহদও বার্তা প্রেরণ করেছিলেন। অনুষ্ঠানে একইভাবে জর্ডানের রাজা, ওমানের সুলতান, মিশরের প্রেসিডেন্ট সাদাত (আওগাফের মন্ত্রী শেখ আবদ আল-মুনিম আল-নামারের নেতৃত্বে), ইরাক, কুয়েত, লিবিয়া, শ্রীলঙ্কা এবং নেপালের প্রতিনিধিদল ছিল। যুক্তরাজ্যের আইসিয়ামিক সংস্থাগুলির একটি প্রতিনিধি দল এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে সাইয়্যেদ ইহতেশাম কাজীমি এসেছিলেন। এই সাধারণ অধিবেশনের প্রথম অধিবেশনটি সমসাময়িক বিখ্যাত কারী আব্দুল বাসিতের কুরআন তেলওয়াত দ্বারা উদ্ভোদন করা হয়।

দ্বিতীয়[সম্পাদনা]

২১ মার্চ রাত ৯টা বাজে দ্বিতীয় অধিবেশন শুরু হয়, যা শেষ হয় রাত ১টায়।

কোরআন তেলাওয়াতের পর অনুষ্ঠান শুরু হয়। কুয়েত সরকারের আওগাফের মন্ত্রী ইউসুফ জাসাম আল-হাজ্জি সভাপতিত্ব করেন এবং ইউসুফ আল-কারজাভি সহ-সভাপতি ছিলেন।

তৃতীয়[সম্পাদনা]

পরদিন ২২ মার্চ সকাল ৯টা থেকে তৃতীয় অধিবেশনের কার্যক্রম শুরু হয়। যা দুপুর ১টা ৩০মিনিটে সমাপ্ত হয়।

এই অধিবেশনের সভাপতি মদীনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর ডক্টর শায়খ আবদুল্লাহ আল-জায়েদ কিছুটা দেরিতে আসেন এবং তার আগমনের আগ পর্যন্ত অধিবেশনের সভাপতিত্ব করেন আবুল হাসান আলী হাসানী নদভী। কোরআন তেলাওয়াতের পর যথারীতি অধিবেশনের কার্যক্রম শুরু হয়। এই বৈঠকে কারি মুহাম্মদ তৈয়্যব ভারতের রাষ্ট্রপতি সঞ্জীব রেড্ডির বাণী পাঠ করেন। তারপর বক্তব্য রাখেন পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়ার মুখ্যমন্ত্রী মুফতি মাহমুদ। তার বক্তৃতায় তিনি দারুল উলুম দেওবন্দকে সমস্ত মাদ্রাসার মা উল্লেখ করেন। তারপর পাকিস্তানের রাষ্ট্রপতি জিয়াউল হকের বাণী পাঠ করেন তার পাঠানো দূত।

চতুর্থ[সম্পাদনা]

২২ মার্চ দুপুর ৩টায় চতুর্থ অধিবেশনের কার্যক্রম শুরু হয়।

এই বৈঠকে কারী আব্দুল বাসিত দেড় ঘন্টা ধরে কুরআন তেলাওয়াত করেন।

পঞ্চম[সম্পাদনা]

পঞ্চম অধিবেশন শুরু হয় ২২ মার্চ রাত ৯টায়, শেষ হয় রাত ১২.৩০টায়। এই বৈঠকের সভাপতিত্ব করেন মাওলানা গোলামুল্লাহ।

ষষ্ঠ[সম্পাদনা]

২৩ মার্চ ৮টা ৩০ মিনিটে ষষ্ঠ বা শেষ অধিবেশন শুরু হয়। যা শেষ হয় দুপুর ১.৩০টায়। কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে কার্যক্রম শুরু হয়। এইবার শতবর্ষী অধিবেশনের সাফল্য এবং দারুল উলুমের ঐতিহাসিক সেবায় মুগ্ধ হয়ে বেশ কয়েকজন কবিতা পড়েন। কারী মুহাম্মদ তৈয়ব, আসআদ মাদানী এবং সাহিওয়াল মাদ্রাসার মুহতামিম আলসা বক্তৃতা দেন। রাশিয়ার একজন প্রতিনিধি একটি বিবৃতি প্রকাশ করেন। ভারতের প্রাক্তন উপ-প্রধানমন্ত্রী জগজীবন রামও বক্তৃতা দেন।

বিশেষ সেমিনার[সম্পাদনা]

শতবার্ষিকী মাহফিল চলাকালে দারুল উলুমের দারুল হাদীসে একটি বিশেষ আলোচনা মজলিসেরও ব্যবস্থা করা হয়। এই আলোচনা মজলিসের আলোচ্য বিষয় ধর্মীয় মাদ্রাসা ও বর্তমান যুগে তার দায়িত্ব। এর অধীনে মাদ্রাসাসমূহের নিসাবে তালিম (পাঠ্যসূচী) এর বিষয়টিও ছিল। এজন্য দুটি অধিবেশন করা হয়। প্রথম অধিবেশনের সভাপতি ছিলেন সাঈদ আহমাদ আকবারাবাদী। দ্বিতীয় অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন আবুল হাসান আলী হাসানী নদভী। প্রথম অধিবেশন বসে ২২ মার্চ বিকাল ৩টায়। এশার নামাজের পর দ্বিতীয় অধিবেশন শুরু হয়। জয়নুল আবেদীন সাজ্জাদ মিরাটি অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন।[৭][৮]

সম্মেলন পরবর্তী[সম্পাদনা]

শতবর্ষপূর্তি সম্মেলন পরবর্তী সময়ে দারুল উলুম দেওবন্দের মুহতামিম কারী মুহাম্মদ তৈয়ব এবং দারুল উলুম দেওবন্দের পরিচালনা কমিটি মজলিসে শূরার মধ্যে মতবিরোধ শুরু হয়। মতবিরোধের এক পর্যায়ে কারী মুহাম্মদ তৈয়ব দিল্লির এক সাধারণ সভায় দারুল উলুম দেওবন্দের সংবিধান ও মজলিসে শূরার বিলুপ্তি ঘোষণা করে একটি এডহক কমিটি গঠন করে দেন। অপরদিকে ১৯৮২ সালের ১৭ ও ১৮ জানুয়ারি দেওবন্দে অনুষ্ঠিত সভায় মজলিসে শূরা কারী মুহাম্মদ তৈয়বকে তার পদ থেকে অব্যাহতি দিয়ে একজন নতুন মুহতামিম নির্বাচন করে সাথে বেশ কয়েকজন শিক্ষক ও কর্মচারীকে অব্যাহতি দেয়। তার বিপরীতে কারী মুহাম্মদ তৈয়বের কয়েকজন অনুসারী দেওবন্দের জামে মসজিদে একটি সমান্তরাল মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করে, যা বর্তমানে দারুল উলুম ওয়াকফ দেওবন্দ নামে পরিচিত। দারুল উলুমের সঞ্চিত অর্থ ফ্রিজ করে দেওয়া হয়। ১৯৮৩ সালের ১৭ জুলাই কারী মুহাম্মদ তৈয়ব মৃত্যুবরণ করেন।[৯]

সমালোচনা[সম্পাদনা]

এই সম্মেলনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী প্রথম অধিবেশনে অংশগ্রহণ করেন। একটি ইসলামি মহাসম্মেলনে একজন মহিলা প্রধানমন্ত্রীর অংশগ্রহণকে কেন্দ্র করে সমালোচনার সৃষ্টি হয়। পাকিস্তানের ইসলামি পণ্ডিত মুহাম্মদ তাকি উসমানি তার বই অমুসলিম দেশে মুসলিম পর্যটক বইতে লিখেন,

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. নদভী, আবুল হাসান আলী (২০১৫)। কারওয়ানে যিন্দেগী। বাংলাবাজার, ঢাকা: মুহাম্মদ ব্রাদার্স। পৃষ্ঠা ২৮৩। আইএসবিএন 978-984-91840-1-0 
  2. নদভী ২০১৫, পৃ. ২৭৭–২৭৮।
  3. নদভী ২০১৫, পৃ. ২৭৯।
  4. তাকি উসমানি ২০০৩, পৃ. ৪১।
  5. রিজভী, সৈয়দ মেহবুব (১৯৮১)। History of Darul Uloom Deoband [দারুল উলুম দেওবন্দের ইতিহাস]। । এফ. কুরাইশি, মুরতাজ হুসাইন কর্তৃক অনূদিত। দেওবন্দ: ইদারায়ে এহতেমাম। পৃষ্ঠা ৩৫৭। ওসিএলসি 20222197 
  6. তাকি উসমানি, মুহাম্মদ (২০০৩)। অমুসলিম দেশে মুসলিম পর্যটক। বাংলাবাজার, ঢাকা: মাকতাবাতুল আশরাফ। পৃষ্ঠা ৪৯। আইএসবিএন 984-8291-06-7 
  7. রিজভী ১৯৮১, পৃ. ৩৮৫।
  8. তাকি উসমানি ২০০৩, পৃ. ৫৫।
  9. নদভী ২০১৫, পৃ. ২৮৯।
  10. তাকি উসমানি ২০০৩, পৃ. ৫১।

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]