কুড়মালি ভাষা
কুড়মালি | |
---|---|
পঞ্চপরগনিয়া | |
কুড়মালি, কুর্মালী, कुड़मालि, କୁଡ଼ମାଲି | |
দেশোদ্ভব | ভারত |
অঞ্চল | আসাম, ঝাড়খণ্ড, উড়িষ্যা এবং পশ্চিম বঙ্গ[১] |
মাতৃভাষী | ৫৫৬,০৮৯ (২০১১ সালের জনগণনা)[২] এই জনগণনায় বাংলা, ওড়িয়া এবং হিন্দিভাষীদের সাথে কিছু কুড়মালিভাষীকে গুলিয়ে ফেলা হয়েছে[তথ্যসূত্র প্রয়োজন] |
দেবনাগরী, বাংলা, ওড়িয়া, চিসোই | |
সরকারি অবস্থা | |
সরকারি ভাষা | ![]()
|
ভাষা কোডসমূহ | |
আইএসও ৬৩৯-৩ | দুইয়ের মধ্যে এক:kyw – কুড়মালিtdb – পঞ্চপরগনিয়া |
গ্লোটোলগ | kudm1238 (কুড়মালি)[৩]panc1246 (পঞ্চপরগনিয়া)[৪] |
![]() ভারতের কুড়মালি-ভাষী অঞ্চল |
কুড়মালি (দেবনাগরী: कुड़मालि, বাংলা: কুর্মালী, কুড়মালি, ওড়িয়া: କୁଡ଼ମାଲି/କୁର୍ମାଲି, kur(a)mālī) বিহারি ভাষাদলের অধীনস্থ একটি ইন্দো-আর্য শ্রেণীভুক্ত ভাষা। পূর্ব ভারতে ব্যবহৃত এই ভাষাটি ঝাড়খণ্ড, উড়িষ্যা, বিহার এবং পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের কুড়মি মাহাতো জন সম্প্রদায়ের সাথে জড়িত। কুড়মি মাহাতোরা, মাহাতো, মোহান্ত এবং মহন্ত নামেও পরিচিত যাদের অত্যল্প পরিমাণ বাংলাদেশেও বসবাস করে। চা বাগানের শ্রমিক হিসেবে এসব অঞ্চলের কুড়মি সম্প্রদায়ের আসামে আগমন ঘটলে সেখানকার চা বাগান ও অন্যান্য অঞ্চলে এ ভাষা ছড়িয়ে পড়ে।[১] কুড়মালি ভাষাটি চর্যাপদে ব্যবহৃত ভাষার নিকটতম রূপ হতে পারে বলে বিশেষজ্ঞরা দাবি করেন।[৫] পাঁচটি অঞ্চল বা তামারিয়ায় এই ভাষা প্রচলিত থাকায় এটি পঞ্চপরগনিয়া নামক একটি বাণিজ্যিক উপভাষা হিসেবে স্বীকৃত।
ভৌগোলিক বিস্তৃতি[সম্পাদনা]
দক্ষিণ-পূর্ব ঝাড়খণ্ডের সরাইকেল্লা খরসোয়া, পূর্ব সিংভূম, পশ্চিম সিংভূম ও রাঁচি জেলা এবং উত্তর-পূর্ব উড়িষ্যার ময়ূরভঞ্জ, কেন্দুঝর, যাজপুর, সুন্দরগড় জেলা উপরন্তু পশ্চিম বঙ্গের পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রাম ও পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় কুড়মালি ভাষা ব্যবহার করা হয়।
ময়ূরভঞ্জের কুড়ুমালি উপ কথ্যভাষা[সম্পাদনা]
ময়ূরভঞ্জ অঞ্চলের কুড়ুমালি উপ কথ্যভাষার সাথে মানভূমের কুড়মালি থরের সাথে অনেকটাই মিল পাওয়া যায়।[৬]
বাণিজ্যিক ভাষা[সম্পাদনা]
বাণিজ্যিক উপভাষা হল ব্যবসা এবং ব্যবসায়িক উদ্দেশ্য ব্যবহৃত লিঙ্গুয়া ফ্রাঙ্কাবিশেষ। ঝাড়খণ্ডের রাঁচি জেলার বুন্দু, তামার, সিল্লি, সোনাহাতু, অর্কি এবং আঙ্গারা ব্লকে যোগাযোগের সাধারণ ভাষা পঞ্চপরগনিয়া ব্যবহার করা হয়।
তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]
- ↑ ক খ "Kudmali"। Ethnologue (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ১৮ মে ২০১৯।
- ↑ "Statement 1: Abstract of speakers' strength of languages and mother tongues – 2011" (PDF)। www.censusindia.gov.in। Office of the Registrar General & Census Commissioner, India। সংগ্রহের তারিখ ৭ জুলাই ২০১৮।
- ↑ হ্যামারস্ট্রোম, হারাল্ড; ফোরকেল, রবার্ট; হাস্পেলম্যাথ, মার্টিন, সম্পাদকগণ (২০১৭)। "কুড়মালি"। গ্লোটোলগ ৩.০ (ইংরেজি ভাষায়)। জেনা, জার্মানি: মানব ইতিহাস বিজ্ঞানের জন্য ম্যাক্স প্লাংক ইনস্টিটিউট।
- ↑ হ্যামারস্ট্রোম, হারাল্ড; ফোরকেল, রবার্ট; হাস্পেলম্যাথ, মার্টিন, সম্পাদকগণ (২০১৭)। "পঞ্চপরগনিয়া"। গ্লোটোলগ ৩.০ (ইংরেজি ভাষায়)। জেনা, জার্মানি: মানব ইতিহাস বিজ্ঞানের জন্য ম্যাক্স প্লাংক ইনস্টিটিউট।
- ↑ Basu, Sajal (১৯৯৪)। Jharkhand movement: ethnicity and culture of silence – Sajal Basu – Google Books। আইএসবিএন 9788185952154। সংগ্রহের তারিখ ২৫ আগস্ট ২০১২।
- ↑ Grierson, George Abraham (১৯২৮)। "Linguistic Survey of India"। Nature। 121 (3055): 173। এসটুসিআইডি 4079658। ডিওআই:10.1038/121783a0। বিবকোড:1928Natur.121..783T।