কপিলপুরাণ

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

কপিলপুরাণ (সংস্কৃত: कपिल पुराण, Kapila Purāṇa) (খ্রিস্টীয় ১১শ শতাব্দী) হল একটি হিন্দু ধর্মগ্রন্থ। এই গ্রন্থটিকে ১৮টি উপপুরাণের অন্যতম মনে করা হয়। এই গ্রন্থের অধ্যায়সংখ্যা ২১। এতে মূলত উৎকলের (অধুনা ভারতের ওড়িশা রাজ্যের উপকূলবর্তী অঞ্চল) 'পুণ্যক্ষেত্র' বা তীর্থস্থানগুলির মাহাত্ম্য বর্ণিত হয়েছে। এই পুরাণে ক্রমান্বয়ে পুরুষোত্তম ক্ষেত্র (জগন্নাথ মন্দির, পুরী), বিমলা ক্ষেত্র (পুরীর জগন্নাথ মন্দির চত্বরে অবস্থিত বিমলা মন্দির), মৈত্রেয় বন (কোণার্ক) ও একাম্র তীর্থের (ভুবনেশ্বর) শ্রেষ্ঠত্ব বর্ণনা করা হয়েছে। ঋষি কপিল এই পুরাণের কথক। তিনি রাজা শল্যজিতের কাছে উৎকল রাজ্যের মাহাত্ম্যের বর্ণনা করেন। এই পুরাণটি ঋষি ভরদ্বাজপুষ্কর ক্ষেত্রে তপস্যাকারী ঋষিদের মধ্যে কথোপকথনের আকারে বর্ণিত হয়েছে।[১] এই পুরাণে ওড়িশার শিব, দুর্গা, বিষ্ণুসূর্য মন্দিরগুলির বর্ণনা পাওয়া যায়। পুরাণের শেষ অধ্যায়ে জ্ঞানযোগ বর্ণিত হয়েছে।

টীকা[সম্পাদনা]

  1. Rocher, Ludo (১৯৮৬)। "The Purāṇas"। Jan Gonda (ed.)। A History of Indian Literature। Vol.II, Epics and Sanskrit religious literature, Fasc.3। Wiesbaden: Otto Harrassowitz Verlag। পৃষ্ঠা 184। আইএসবিএন 3-447-02522-0 

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  • Tripathi, Shrikrishnamani (ed.). Kapilapuranam: A critical edition, Varanasi: Chaukhamba Surbharati Prakashan, 1981.

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]