বিষয়বস্তুতে চলুন

আর্মেনিয়া

স্থানাঙ্ক: ৪০°২২′৫৯.৯৯″ উত্তর ৪৪°৫৭′০.০০″ পূর্ব / ৪০.৩৮৩৩৩০৬° উত্তর ৪৪.৯৫০০০০০° পূর্ব / 40.3833306; 44.9500000
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
(আরমেনিয়া থেকে পুনর্নির্দেশিত)
প্রজাতন্ত্রী আর্মেনিয়া

Հայաստանի Հանրապետություն
হায়াস্তানি হান্‌রাপেতুথিউন্‌
আর্মেনিয়ার জাতীয় পতাকা
পতাকা
আর্মেনিয়ার জাতীয় মর্যাদাবাহী নকশা
জাতীয় মর্যাদাবাহী নকশা
নীতিবাক্য: আর্মেনীয়: Մեկ Ազգ, Մեկ Մշակույթ
(মেক্‌ আজ়্‌গ্‌, মেক্‌ ম্‌শাকুইথ্‌)
"এক জাতি, এক সংস্কৃতি")
জাতীয় সঙ্গীত: Mer Hayrenik
("আমাদের স্বদেশ")
আর্মেনিয়ার অবস্থান
রাজধানীইয়েরেভান1
বৃহত্তম নগরীইয়েরেভান
সরকারি ভাষাআর্মেনীয় ভাষা[]
সরকারপ্রজাতন্ত্র
• রাষ্ট্রপতি
ভাহাগন খাছাতুর্যন
• প্রধানমন্ত্রী
নিকোল পাশিনিয়ান
স্বাধীনতা 
• ঘোষিত
২৩শে আগস্ট ১৯৯০
• স্বীকৃত
২১শে সেপ্টেম্বর ১৯৯১
• চূড়ান্ত
২৫শে ডিসেম্বর ১৯৯১
• আর্মেনীয[] জাতির ঐতিহ্যবাহী স্থাপিত তারিখ
১১ই আগস্ট ২৪৯২ খ্রীষ্টপূর্বাব্দ
• উরারতু রাজ্যের প্রতিষ্ঠান
১০০০ খ্রীস্ট পূর্বাব্দ
• আর্মেনিয়ার রাজ্যের গঠন
৬০০ খ্রীষ্টপূর্বাব্দ
• সরকারিভাবে খ্রিষ্ট ধর্মের গ্রহণ
৩০১ AD
• আর্মেনিয়ার গনতন্ত্রী প্রজাতন্ত্রের প্রতিষ্ঠান
২৮শে মে, ১৯১৮
আয়তন
• মোট
২৯,৮০০ কিমি (১১,৫০০ মা) (১৪২তম)
• পানি (%)
৪.৭১[]
জনসংখ্যা
• 2011 আদমশুমারি
বৃদ্ধি 3,018,854[][] (134th)
• ঘনত্ব
১০১.৫/কিমি (২৬২.৯/বর্গমাইল) (99th)
জিডিপি (পিপিপি)2017 আনুমানিক
• মোট
$28,282 billion[]
• মাথাপিছু
$9,456[] (১৩০তম)
জিনি (2013)31.5[]
মাধ্যম
মানব উন্নয়ন সূচক (2015)বৃদ্ধি 0.743[]
উচ্চ · 84th
মুদ্রাদ্রাম (AMD)
সময় অঞ্চলইউটিসি+৪ (UTC)
• গ্রীষ্মকালীন (ডিএসটি)
ইউটিসি+৫ (DST)
কলিং কোড৩৭৪
আইএসও ৩১৬৬ কোডAM
ইন্টারনেট টিএলডি.am
1Also spelled Erivan, Erevan, or Jerevan

আর্মেনিয়া, আর্মানিয়া বা হায়াস্তান (আর্মেনীয়: Հայաստան হায়াস্তান্‌) পশ্চিম-উত্তর এশিয়ার[][১০] একটি রাষ্ট্র। জর্জিয়াআজারবাইজানের সাথে এটি দক্ষিণ ককেশাস অঞ্চলে কৃষ্ণ সাগরকাস্পিয়ান সাগরের স্থলযোজকের উপর অবস্থিত। ইয়েরেভান দেশটির রাজধানী ও বৃহত্তম শহর। আর্মেনীয় জাতি। জাতিগত আর্মেনীয়রা নিজেদের "হায়" (Հայ) বলে ডাকে এবং আর্মেনিয়ার ৯০% লোক হায় জাতির লোক। ১৯২২ সালে এটি সোভিয়েত ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত হয়। ১৯৯১ সালে এটি স্বাধীনতা লাভ করে। ১৯৯৫ সালে দেশটির প্রথম সোভিয়েত-পরবর্তী সংবিধান পাশ হয়।

ব্যুৎপত্তি

[সম্পাদনা]

And for Aram there came forth the fourth portion, all the land of Mesopotamia between the Tigris and the Euphrates to the north of the Chaldees to the border of the mountains of Asshur and the land of 'Arara'.[১১][১২]

দেশটির আদি স্থানীয় আর্মেনিয়ান নাম ছিল Հայք ( [[wiktionary:Հայք|Hayk']] ); তবে, বর্তমানে এটি খুব কমই ব্যবহৃত হয়। সমসাময়িক নাম হায়াস্তান ( Հայաստան) মধ্যযুগে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে ফারসি প্রত্যয় -স্তান (স্থান) যোগ করার মাধ্যমে। [১৩] তবে হায়াস্তান নামের উৎপত্তি অনেক আগের সময় থেকে এবং প্রথম প্রমাণিত হয়েছিল আনু. ৫ম শতকআগাথানজেলোসের রচনাবলীতে, বাইজেন্টিয়ামের ফস্টাস, গাজার পারপেটসি, কোরিয়ুন, এবং সেবাওস

নামটি ঐতিহ্যগতভাবে Hayk ( Հայկ ), আর্মেনিয়ানদের কিংবদন্তি পিতৃপুরুষ এবং নূহের প্রপৌত্র, যিনি ৫ম শতাব্দীর লেখক মোভসিস খোরেনাতসির মতে, ২৪৯২ খ্রিস্টপূর্বাব্দ সালে ব্যাবিলনীয় রাজা বেলকে পরাজিত করেছিলেন এবং আরারাত অঞ্চলে তার জাতি প্রতিষ্ঠা করেন। নামের আরও উৎপত্তি অনিশ্চিত। ধারণা করা হয় যে হে নামটি দুটি কনফেডারেটেড, হিট্টাইট ভাসাল রাজ্যের একটি থেকে এসেছে। – Ḫayasha -Azzi (1600-1200 BC)।

প্রাচীন ফার্সি বেহিস্তুন শিলালিপিতে (৫১৫ খ্রিস্টপূর্বাব্দ) আর্মেনিয়া শব্দটির বহিঃপ্রকাশ আর্মিনা ( 𐎠𐎼𐎷𐎡𐎴 )। প্রাচীন গ্রীক শব্দ Ἀρμενία ( আর্মেনিয়া ) এবং Ἀρμένιοι ( Arménioi, "আর্মেনিয়ান") সর্বপ্রথম মিলেটাসের হেকাটেউস দ্বারা উল্লেখ করা হয়েছে ( আনু. ৫৫০ খ্রিস্টপূর্বাব্দআনু. ৪৭৬ খ্রিস্টপূর্বাব্দ )। কিছু পারস্য অভিযানে কর্মরত গ্রীক সেনাপতি জেনোফোন, প্রায় ৪০১ খ্রিস্টপূর্বাব্দে আর্মেনীয় গ্রামীণ জীবন এবং আতিথেয়তার অনেক দিক বর্ণনা করেছেন। [১৪]

কিছু পণ্ডিত আর্মেনিয়া নামটিকে প্রাথমিক ব্রোঞ্জ যুগের আরমানি রাজ্য (আরমানুম, আরমি) বা শেষ ব্রোঞ্জ যুগের আরমে (শুপ্রিয়া) রাজ্যের সাথে যুক্ত করেছেন। [১৫] এই রাজ্যগুলিতে কোন কোন ভাষা প্রচলিত ছিল তা জানা না থাকায় এই সংযোগগুলি অনিশ্চিত। উপরন্তু, যদিও এটা একমত যে আরমে ভ্যান হ্রদের ঠিক পশ্চিমে অবস্থিত ছিল (সম্ভবত সাসনের আশেপাশে, এবং তাই বৃহত্তর আর্মেনিয়া অঞ্চলে), আরমানির প্রাচীন স্থানের অবস্থান বিতর্কের বিষয়। কিছু আধুনিক গবেষক এটিকে আধুনিক সামসাতের কাছাকাছি রেখেছেন, [১৬] এবং পরামর্শ দিয়েছেন যে এটি অন্তত আংশিকভাবে আদি ইন্দো-ইউরোপীয়-ভাষী লোকদের দ্বারা জনবহুল ছিল। [১৭] এটা সম্ভব যে আর্মেনিয়া নামটি আর্মিনি থেকে এসেছে, উরার্টিয়ান শব্দের অর্থ "আর্মের বাসিন্দা" বা "আর্মীয় দেশ"। উরার্তিয়ান গ্রন্থের আর্মে উপজাতি সম্ভবত উরুমু ছিল, যারা খ্রিস্টপূর্ব দ্বাদশ শতাব্দীতে তাদের মিত্র মুশকি এবং কাস্কিয়ানদের সাথে উত্তর দিক থেকে আসিরিয়া আক্রমণ করার চেষ্টা করেছিল। উরুমুরা স্পষ্টতই সাসনের আশেপাশে বসতি স্থাপন করেছিল, যার ফলে তাদের নামকরণ হয়েছিল আরমে অঞ্চল এবং নিকটবর্তী উর্মে এবং ইনার উরুমুর ভূমিতে।

মোভসিস খোরেনাতসি এবং মাইকেল চামচিয়ান উভয়ের ইতিহাস অনুসারে, আর্মেনিয়া হাইকের বংশধর আরামের নাম থেকে উদ্ভূত। [১৮] হিব্রু বাইবেলে, জাতি তালিকা অরামকে শেমের পুত্র হিসেবে তালিকাভুক্ত করে, যার সম্পর্কে জুবিলি বই সাক্ষ্য দেয়,

আর অরামের জন্য চতুর্থ অংশ বের হল, অর্থাৎ কল্‌দীয়দের উত্তরে টাইগ্রিস ও ইউফ্রেটিসের মধ্যবর্তী সমস্ত মেসোপটেমিয়া ভূমি, যা অশূর পর্বতমালার সীমানা ও 'অরারা' দেশ পর্যন্ত ছিল।[১১][১২]

জুবিলী ৮:২১ পদে আরারাত পর্বতমালা শেমের সাথে ভাগ করা হয়েছে, যা জুবিলী ৯:৫ পদে অরামের সাথে ভাগ করা হয়েছে বলে ব্যাখ্যা করা হয়েছে।

ইহুদি ইতিহাসবিদ ফ্ল্যাভিয়াস জোসেফাস তার "এন্টিকুইটিজ অফ দ্য ইহুদি" বইতে বলেছেন,

আরামে আরামীয়রা ছিল, যাদের গ্রীকরা সিরীয় বলত;... আরামের চার পুত্রের মধ্যে, উজ ট্রাকোনাইটিস এবং দামেস্ক প্রতিষ্ঠা করেছিলেন: এই দেশটি ফিলিস্তিন এবং সেলেসিরিয়ার মধ্যে অবস্থিত। উল আর্মেনিয়া প্রতিষ্ঠা করেছিলেন; এবং ব্যাক্ট্রিয়ানদের সংগ্রহ করেছিলেন; এবং মেসা মেসানিয়ানদের; এটি এখন চারাক্স স্পাসিনি নামে পরিচিত।[১৯]

ইতিহাস

[সম্পাদনা]
ঐতিহাসিক আর্মেনিয়া, ১৫০ খ্রিস্টপূর্বাব্দ

আর্মেনিয়ার প্রথম আত্মপ্রকাশ ঘটেছিল খ্রিস্টপূর্ব ৮০০ অব্দে, উরার্তু বা ভান রাজ্যের অংশ হিসেবে। রাজ্যটি ককেসাস অঞ্চল ও পূর্ব এশিয়া মাইনর এলাকাতে ৬০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দ পর্যন্ত সমৃদ্ধি লাভ করেছিল। সেলেউসিদ সাম্রাজ্যের ধ্বংসের পর ১৯০ খ্রিস্টপূর্বাব্দে প্রথম আর্মেনীয় রাষ্ট্রটি প্রতিষ্ঠিত হয়। ৯৫ থেকে ৬৫ খ্রিস্টপূর্বাব্দ পর্যন্ত এই নবগঠিত রাষ্ট্রের চরম উৎকর্ষের সময়। এসময় আর্মেনিয়া সমগ্র ককেসাস অঞ্চল তো বটেই, এরও বাইরে বর্তমান পূর্ব তুরস্ক, সিরিয়া এবং লেবানন পর্যন্ত সীমানা বিস্তার করে। কিছু সময়ের জন্য আর্মেনিয়া ছিল রোমান পূর্বাঞ্চলের সবচেয়ে শক্তিশালী রাজ্য। ৬৪ খ্রিস্টপূর্বাব্দে এটি রোমান সাম্রাজ্যের অংশে পরিণত হয় এবং রাজনৈতিক, দার্শনিক ও ধর্মীয়ভাবে পশ্চিমা দৃষ্টিভঙ্গি অণুসরণ করা শুরু করে।

৩০১ খ্রিষ্টাব্দে আর্মেনিয়া ইতিহাসের প্রথম রাষ্ট্র হিসেবে খ্রিস্টধর্মকে রাষ্ট্রধর্ম হিসেবে গ্রহণ করে এবং আর্মেনীয় গির্জাব্যবস্থার পত্তন করে। আজও আর্মেনীয় গির্জা রোমান ক্যাথলিক গির্জাব্যবস্থা এবং পূর্ব অর্থডক্স গির্জাব্যবস্থা অপেক্ষা স্বাধীন একটি গির্জাব্যবস্থা হিসেবে বিদ্যমান। পরবর্তীতে আর্মেনিয়ার রাজনৈতিক সংকটের সময় এই গির্জা আর্মেনিয়ার অদ্বিতীয় জাতীয় সত্তা সংরক্ষণে সাহায্য করে। আনুমানিক ১১০০ থেকে ১৩৫০ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত আর্মেনীয় জাতীয়তাবাদের কেন্দ্র দেশের দক্ষিণদিকে সরে যায়। এসময় আর্মেনীয় সিলিসিয়া রাজ্য ইউরোপীয় ক্রুসেডার রাজ্যগুলির সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক স্থাপন করে এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া মাইনর এলাকাতে সমৃদ্ধি অর্জন করে, যদিও রাজ্যটি শেষ পর্যন্ত মুসলমানদের করায়ত্ত হয়।

৪র্থ থেকে ১৯শ শতক পর্যন্ত আর্মেনিয়া বিভিন্ন বড় শক্তির শাসনাধীনে আসে। এদের মধ্যে পারসিক, বাইজেন্টীয়, আরব, মোঙ্গল এবং তুর্কি জাতি উল্লেখযোগ্য।

১৯১৫ সালে সংঘটিত আর্মেনিয় গণহত্যা দেশটির এক উল্লেখযোগ্য কালো অধ্যায়।

১৯১৮ থেকে ১৯২০ সাল পর্যন্ত ক্ষুদ্র সময়ের জন্য এটি একটি স্বাধীন প্রজাতন্ত্র ছিল। ১৯২০ সালে স্থানীয় সাম্যবাদীরা ক্ষমতায় আসে এবং সোভিয়েত সেনাবাহিনী দেশটি দখল করে। ১৯২২ সালে আর্মেনিয়া আন্তঃককেশীয় সোভিয়েত সমাজতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্রের অংশে পরিণত হয়। ১৯৩৬ সালে এটি আর্মেনীয় সোভিয়েত সমাজতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্রে পরিণত হয়। ১৯৯১ সালের ২১শে সেপ্টেম্বর আর্মেনিয়া সোভিয়েত ইউনিয়ন থেকে স্বাধীনতা ঘোষণা করে।

রাজনীতি

[সম্পাদনা]

আর্মেনিয়ায় ২০১৭ সালে একটি সাংবিধানিক গণভোট আয়োজিত হয়। সেখানে আর্মেনীয়রা সংসদীয় শাসনব্যবস্থার প্রতি সমর্থন জ্ঞাপন করেন। অতঃপর রাষ্ট্রপতি সার্জ সার্জিসান প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হলে তীব্র সরকারবিরোধী আন্দোলন হয়, যা আর্মেনীয় ভেলভেট বিপ্লব নামে পরিচিতি লাভ করেছে। সার্জিসান পদত্যাগ করলে বিরোধী নেতা নিকোল পাশিনিয়ান প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন। ২০১৮ সালের নির্বাচনে তঁার দল নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে।

ভূগোল

[সম্পাদনা]

আর্মেনিয়া রাশিয়ার দক্ষিণ-পশ্চিমে কৃষ্ণ সাগর ও কাস্পিয়ান সাগরের অন্তর্বর্তী অঞ্চলে অবস্থিত। উত্তর আর্মেনিয়া জুড়ে রয়েছে ক্ষুদ্রতর ককেশাস পর্বতমালা, যেটি সেভান হ্রদ ও আজারবাইজানের মধ্য দিয়ে বিস্তৃত হয়েছে এবং আর্মেনিয়া-আজারবাইজান সীমান্ত হয়ে ইরানে চলে গেছে। এই পর্বতগুলির কারণে আর্মেনিয়ার দক্ষিণ থেকে উত্তরে ভ্রমণ করা কষ্টকর। আর্মেনিয়ায় প্রায়ই ভূমিকম্প হয় এবং এর ফলে অনেক প্রাণহানি ঘটে।

আর্মেনিয়ার প্রায় অর্ধেক এলাকা সমুদ্র সমতল থেকে ২০০০ মিটারের বেশি উচ্চতায় অবস্থিত। দেশটির মাত্র ৩% ৬৫০ মিটারের নিম্ন উচ্চতায় অবস্থিত। আরাস নদী ও দেবেত নদীর উপত্যকাগুলি দেশের নিম্নতম এলাকা, এবং এগুলিও যথাক্রমে ৩৮০ মিটার ও ৪৩০ মিটার উচ্চতায় অবস্থিত। ককেশাস পর্বতমালার দক্ষিণে আছে আর্মেনীয় মালভূমি, যা দক্ষিণ-পশ্চিমে আরাস নদীর দিকে ঢালু হয়ে গেছে। মালভূমিটিতে পাহাড় পর্বত ও মৃত আগ্নেয়গিরি ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। এদের মধ্যে ৪৪৩০ মিটার উঁচু আরাগাৎস পর্বত আর্মেনিয়ার সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ।

৩৭৬ কিলোমিটার দীর্ঘ ও সর্বোচ্চ ৭২.৫ কিলোমিটার প্রস্থবিশিষ্ট সেভান হ্রদ আর্মেনিয়ার ভূগোলের অন্যতম বৈশিষ্ট্য। হ্রদটি সমুদ্রতল থেকে ২০৭০ মিটার উচ্চতায় অবস্থিত। আরাস নদী প্রধানতম নদী। সেভান হ্রদ থেকে উপনদী রাজদান প্রবাহিত হয়ে আরাসে পড়েছে। উল্লেখ্য বিতর্কিত নাগার্নো-কারাবাগ অঞ্চল নিয়ে আজারবাইজানের সাথে আর্মেনিয়ার ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২০ থেকে সামরিক সংঘাত চলে আসছে।এতে এ পর্যন্ত দু দেশের প্রায় ৩০০ এর বেশি বেসামরিক লোকজন নিহতের ঘটনা ঘটেছে।[২০]

সামরিক শক্তি

[সম্পাদনা]

চারদিকে স্থলবেষ্টিত হওয়ায় দেশটিতে মূলত স্থল বাহিনী ও বিমানবাহিনী রয়েছে। ভারতীয় সুখই-৩০ এর উন্নত ধরন সুখই-৩০এসএম এর ৪টি বিমান রয়েছে বাহিনীর কাছে। ৫০০ কিমি পরিসীমার 9K720 ইস্কান্দার ক্ষেপণাস্রো ব্যবস্থা রয়েছে।

অর্থনীতি

[সম্পাদনা]

১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন থেকে স্বাধীনতা লাভের পর আর্মেনিয়াতে অর্থনৈতক মন্দা দেখা দিলেও দেশটি ধীরে ধীরে তা কাটিয়ে উঠছে। তবে ১৯৮৮ সালের ভয়াবহ ভূমিকম্প এবং ১৯৯০-এর দশকে আজারবাইজানের সাথে নাগোর্নো-কারাবাখ নিয়ে যুদ্ধ আর্মেনিয়ার অর্থনীতিতে আজও প্রভাব রেখে চলেছে। ২৭-০৯-২০ যুদ্ধে কারাবাখ আজারভাইজানের হাতে চলে যাবে..

আর্মেনিয়াতে নগরায়নের হার উচ্চ। এখানে প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ লোক শহরে বাস করে। নদী উপত্যকায়, বিশেষত হ্রাজদান নদীর তীরে বসতির ঘনত্ব বেশি। হ্রাজদান নদীর তীরেই আর্মেনিয়ার বৃহত্তম শহর ও রাজধানী ইয়েরেভান অবস্থিত। আর্মেনিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর হল গিয়ুম্‌রি। ১৯৮৮ সালে গিয়ুম্‌রি শহর এক ভয়াবহ ভূমিকম্পের শিকার হয়।

আর্মেনিয়ার ৯৮% অধিবাসী আর্মেনীয় ভাষায় কথা বলে থাকেন। আর্মেনীয় ভাষা দেশটির রাষ্ট্রভাষা। আর্মেনীয় ভাষাকে পূর্ব ও পশ্চিম এই দুইটি সাহিত্যিক আদর্শ ভাষায় ভাগ করা যায়। এদের মধ্যে পূর্ব আর্মেনীয়কেই বর্তমানে সরকারি ভাষার মর্যাদা দেয়া হয়েছে। ১৯১৫ সালে আর্মেনিয়ার গণহত্যার সময় অনেক আর্মেনীয় পশ্চিম আর্মেনিয়াতে (বর্তমান তুরস্ক) পালিয়ে যান এবং বর্তমান আর্মেনিয়ার বাইরে বসতি স্থাপন করেন। তাদের ব্যবহৃত ভাষাই পশ্চিম আর্মেনীয় ভাষা। এছাড়াও আর্মেনীয় গির্জাগুলিতে গ্রাবার নামের একটি প্রাচীন লিখিত আর্মেনীয় ভাষা ব্যবহৃত হয়।

সংখ্যালঘুদের মধ্যে প্রচলিত ভাষাগুলির মধ্যে আছে রুশ ভাষা, কুর্মান্‌জি (ইয়েজিদীয়) নামের একটি কুর্দি উপভাষা, নব্য-আসিরীয়, গ্রিকইউক্রেনীয় ভাষা। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের লোকেরা নিজেদের ভাষা ছাড়াও রুশ কিংবা আর্মেনীয়তে কথা বলতে পারে।

আর্মেনিয়ায় দ্বিবিধ ভাষারীতি (diglossia) বিদ্যমান। লিখিত মাধ্যমে, নথিপত্রে ও শিক্ষাক্ষেত্রে আর্মেনীয়রা আদর্শ পূর্ব আর্মেনীয় ভাষা ব্যবহার করে। কিন্তু প্রাত্যহিক কাজেকর্মে ও কথাবার্তায় স্থানীয় উপভাষাই বেশি চলে।

আর্মেনীয়দের ভাষার আরেকটি বৈশিষ্ট্য হল প্রায় ৯০% আর্মেনীয় আর্মেনীয় ও রুশ উভয় ভাষাতেই স্বচ্ছন্দে কথা বলতে পারেন। আর্মেনিয়া যখন সোভিয়েত ইউনিয়নের অংশ ছিল তখন রুশ ভাষার এখানে একটি বিশেষ অবস্থান ছিল। রুশ ভাষার সাথে তুলনায় আর্মেনীয় ভাষার মর্যাদা ছিল কম। তবে আর্মেনিয়ার স্বাধীনতার পর দৃশ্যপট বদলেছে। বর্তমানে আর্মেনীয় ভাষাই দেশের মূল ভাষা।

আর্মেনীয়রা স্কুলে রুশ ও ইংরেজি এই দুই বিদেশী ভাষা সম্পর্কেই ছোটবেলা থেকেই শিক্ষা গ্রহণ করে। তবে ইদানীং ইংরেজির আধিপত্য বেড়েছে।

জনসংখ্যা

[সম্পাদনা]

২০১১ এর আদমশুমারি অনুযায়ী আর্মেনিয়ার জনসংখ্যা প্রায় ৩০ লাখ ১৮ হাজার।

খ্রিস্টানধর্ম, আরো বিশেষ করে বলতে গেলে, আর্মেনিয় অ্যাপসল গির্জার ধর্ম, আর্মেনিয়ার প্রায় ৯৫% অধিবাসীর ধর্ম। যিশুর দুই শিষ্য বার্থেলেমিউ ও থাদেউস প্রথম শতকেই এখানে খ্রিস্টধর্ম প্রচার করেন। ৩য় শতকে আর্মেনিয়ার রাজা খ্রিস্টধর্মে ধর্মান্তরিত হন এবং একে দেশটির রাষ্ট্রধর্ম হিসেবে প্রচলিত করেন। এছাড়া দেশটিতে স্বল্পসংখ্যক ইহুদি, ইয়াজিদিমুসলমান অধিবাসী বসবাস করেন।

সংস্কৃতি

[সম্পাদনা]

আর্মেনীয়রা সাধারণত পারিবারিক বন্ধন সুদৃঢ় রাখে এবং তাদের বিশেষ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য টিকিয়ে রাখে। আর্মেনীয় সঙ্গীত ও রান্না অন্যান্য মধ্যপ্রাচ্যীয় দেশগুলির মত। খাবারের মধ্যে দোলমা বা শর্মা এবং পানীয়ের মধ্যে ওয়াইন ও ব্র‌্যান্ডি গুরুত্বপূর্ণ। উৎসবের সময় আর্মেনীয়রা ঐতিহ্যবাহী লোকসঙ্গীত গাইতে এবং বৃত্তাকারে গাইতে পছন্দ করে। বাস্কেটবল, ফুটবল ও টেনিস জনপ্রিয় খেলা। আন্তর্জাতিক অঙ্গণে আর্মেনীয়রা কুস্তি, মুষ্টিযুদ্ধ, ভারোত্তোলন এবং জিমন্যাস্টিক্‌সে সাফল্য লাভ করেছে। আর্মেনীয়রা অবসর সময়ে দাবা ও অন্যান্য বোর্ড খেলা খেলতেও পছন্দ করে। শহরের বেশির ভাগ অধিবাসী সোভিয়েত আমলে নির্মিত অ্যাপার্টমেন্ট ভবনে বাস করে; যেগুলির বর্তমান অবস্থা তেমন ভাল নয়। গ্রামের লোকেরা সাধারণত এক পরিবারের জন্য নির্মিত বাড়িতে বাস করে। অনেক সময় যৌথ পরিবারের অনেক সদস্য একই ছাদের নিচে বাস করে। পরিবার ও বন্ধুবান্ধব সামাজিক জীবনের কেন্দ্র। আর বড়দের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শনের মাধ্যমে প্রজন্মে প্রজন্মে সংযোগ স্থাপিত হয়।

বিখ্যাত ভারতীয় শাস্রীয় সঙ্গীত গায়িকা গওহর জান ছিলেন আর্মেনিয়ান বংশোদ্ভূত।

Yerevan .
ইয়েরেভান

সরকার এবং রাজনীতি

[সম্পাদনা]
ইয়েরেভানে জাতীয় পরিষদ

আর্মেনিয়া একটি প্রতিনিধিত্বশীল সংসদীয় গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র।আর্মেনিয়ান সংবিধান ২০১৮ সালের এপ্রিল পর্যন্ত আধা-রাষ্ট্রপতিশাসিত প্রজাতন্ত্রের মডেল মেনে চলেছিল।

আর্মেনিয়ার বর্তমান সংবিধান অনুসারে, রাষ্ট্রপতি হলেন রাষ্ট্রপ্রধান যিনি মূলত প্রতিনিধিত্বমূলক দায়িত্ব পালন করেন, অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রী হলেন সরকারপ্রধান এবং নির্বাহী ক্ষমতা প্রয়োগ করেন।

১৯৯৫ সাল থেকে আইন প্রণয়নের ক্ষমতা আজগাইন ঝোঘোভ বা জাতীয় পরিষদের উপর ন্যস্ত, যা ১০৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি এককক্ষবিশিষ্ট সংসদ[২১]

২০০৬ সালে প্রথম প্রতিবেদন থেকে ২০১৯ সালে সর্বশেষ প্রতিবেদন পর্যন্ত ভঙ্গুর রাষ্ট্র সূচক ধারাবাহিকভাবে আর্মেনিয়াকে তার সমস্ত প্রতিবেশী দেশের তুলনায় ভালো স্থান দিয়েছে (২০১১ সালে একটি ব্যতিক্রম ছাড়া)। [২২]

আর্মেনিয়ায় আঠারো বছরের বেশি বয়সীদের সর্বজনীন ভোটাধিকার রয়েছে। [২৩] [২৪]

বৈদেশিক সম্পর্ক

[সম্পাদনা]
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের সাথে আর্মেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী নিকোল পাশিনিয়ান

আর্মেনিয়া ১৯৯২ সালের ২রা মার্চ জাতিসংঘের সদস্যপদ লাভ করে এবং এর বেশ কয়েকটি সংস্থা এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক চুক্তিতে স্বাক্ষরকারী দেশ। আর্মেনিয়া ইউরোপ কাউন্সিল, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক, পুনর্গঠন ও উন্নয়নের জন্য ইউরোপীয় ব্যাংক, ইউরোপীয় রাজনৈতিক সম্প্রদায়, স্বাধীন রাষ্ট্রগুলির কমনওয়েলথ, ইউরোপে নিরাপত্তা ও সহযোগিতা সংস্থা, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল, বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা, বিশ্ব শুল্ক সংস্থা, কৃষ্ণ সাগর অর্থনৈতিক সহযোগিতা সংস্থা এবং লা ফ্রাঙ্কোফোনির মতো আন্তর্জাতিক সংস্থারও সদস্য। এটি CSTO সামরিক জোটের সদস্য, এবং ন্যাটোর শান্তির জন্য অংশীদারিত্ব কর্মসূচি এবং ইউরো-আটলান্টিক অংশীদারিত্ব কাউন্সিলেও অংশগ্রহণ করে। ২০০৪ সালে, এর বাহিনী কসোভোতে ন্যাটো-নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক বাহিনী KFOR-তে যোগদান করে। আর্মেনিয়া আরব লিগ, [২৫] আমেরিকান রাষ্ট্র সংস্থা, প্রশান্ত মহাসাগরীয় জোট, জোট নিরপেক্ষ আন্দোলনের পর্যবেক্ষক সদস্য এবং সাংহাই সহযোগিতা সংস্থার একটি সংলাপ অংশীদার।ফ্রান্সের সাথে ঐতিহাসিক সম্পর্কের ফলে, আর্মেনিয়া ২০১৮ সালে দ্বিবার্ষিক ফ্রাঙ্কোফোনি শীর্ষ সম্মেলনের আয়োজনের জন্য নির্বাচিত হয়েছিল।

প্রতিবেশী দেশ আজারবাইজান এবং তুরস্কের সাথে আর্মেনিয়ার সম্পর্ক কঠিন।সোভিয়েত ইউনিয়নের শেষ বছরগুলিতে আর্মেনিয়ান এবং আজারবাইজানিদের মধ্যে উত্তেজনা চরমে ছিল।১৯৯০-এর দশক জুড়ে নাগোর্নো-কারাবাখ সংঘাত এই অঞ্চলের রাজনীতিতে আধিপত্য বিস্তার করেছিল। [২৬]আজও, তুরস্ক এবং আজারবাইজানের সাথে আর্মেনিয়ার সীমান্ত কঠোর অবরোধের মধ্যে রয়েছে। এছাড়াও, ওএসসিই-এর মতো সংস্থাগুলির মধ্যস্থতা সত্ত্বেও নাগোর্নো-কারাবাখ সংঘাতের স্থায়ী সমাধানে পৌঁছানো যায়নি।

আর্মেনিয়ান গণহত্যা স্বীকার করতে অস্বীকৃতি জানানোর কারণে তুরস্কের সাথে আর্মেনিয়ার সম্পর্কের দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে, যদিও ১৯৯১ সালে ইউএসএসআর থেকে স্বাধীনতার পর আর্মেনিয়া প্রজাতন্ত্রকে (তৃতীয় প্রজাতন্ত্র) স্বীকৃতি দেওয়া প্রথম দেশগুলির মধ্যে এটি একটি ছিল। তা সত্ত্বেও, বিংশ শতাব্দীর বেশিরভাগ সময় এবং একবিংশ শতাব্দীর গোড়ার দিকে, সম্পর্ক উত্তেজনাপূর্ণ ছিল এবং বিভিন্ন কারণে তুরস্ক তাদের প্রতিষ্ঠা করতে অস্বীকৃতি জানানোর কারণে দুই দেশের মধ্যে কোনও আনুষ্ঠানিক কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই। প্রথম নাগোর্নো-কারাবাখ যুদ্ধের সময়, এবং এটিকে কারণ হিসেবে উল্লেখ করে, তুরস্ক ১৯৯৩ সালে আর্মেনিয়ার সাথে তার সীমান্ত বন্ধ করে দেয়।আর্মেনিয়ান বাজারের প্রতি আগ্রহী শক্তিশালী তুর্কি ব্যবসায়িক লবির চাপ সত্ত্বেও এটি তার অবরোধ প্রত্যাহার করেনি। [২৬]

২০১৮ সালে রাশিয়ার রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুতিন আর্মেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী নিকোল পাশিনিয়ানের সাথে করমর্দন করছেন।

১০ অক্টোবর ২০০৯ তারিখে, আর্মেনিয়া এবং তুরস্ক সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণের জন্য একটি প্রোটোকল স্বাক্ষর করে, যা কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনরুদ্ধার এবং তাদের যৌথ সীমান্ত পুনরায় খোলার জন্য একটি সময়সূচী নির্ধারণ করে। [২৭]জাতীয় সংসদে এগুলোর অনুমোদন করতে হয়েছিল।আর্মেনিয়ায়, প্রোটোকলগুলি সংসদে পাঠানোর আগে, তাদের সাংবিধানিক বৈধতা অনুমোদনের জন্য সাংবিধানিক আদালতে পাঠানো হয়েছিল।সাংবিধানিক আদালত তিনটি প্রধান বিষয়ের অন্তর্নিহিত প্রোটোকলের প্রস্তাবনার উল্লেখ করেছে। [২৮]তাদের মধ্যে একজন বলেছেন যে প্রোটোকল বাস্তবায়নের অর্থ কার্স চুক্তি দ্বারা প্রতিষ্ঠিত বিদ্যমান তুর্কি-আর্মেনিয়ান সীমান্তের আর্মেনিয়ার আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি নয়।এর মাধ্যমে, সাংবিধানিক আদালত প্রোটোকলের একটি প্রধান ভিত্তি, অর্থাৎ "আন্তর্জাতিক আইনের প্রাসঙ্গিক চুক্তি দ্বারা সংজ্ঞায়িত দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান সীমান্তের পারস্পরিক স্বীকৃতি" প্রত্যাখ্যান করেছে। [২৮] [২৯]এটিই ছিল তুর্কি সরকারের প্রোটোকল থেকে সরে আসার কারণ। [৩০]আর্মেনিয়ার রাষ্ট্রপতি আর্মেনিয়া এবং বিদেশে একাধিক প্রকাশ্য ঘোষণা করেছিলেন যে, আর্মেনিয়ার রাজনৈতিক সংখ্যাগরিষ্ঠের নেতা হিসেবে, তুরস্কও যদি প্রোটোকলগুলি অনুমোদন করে তবে তিনি সংসদীয়ভাবে প্রোটোকলগুলি অনুমোদনের আশ্বাস দিয়েছেন।তা সত্ত্বেও, প্রক্রিয়াটি বন্ধ হয়ে যায়, কারণ তুরস্ক ক্রমাগত তার অনুমোদনে আরও পূর্বশর্ত যোগ করে এবং "যে কোনও যুক্তিসঙ্গত সময়কালের বাইরে এটি বিলম্বিত করে"।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন][ তথ্যসূত্র প্রয়োজন ]

দুই প্রতিকূল প্রতিবেশীর মধ্যে অবস্থানের কারণে, আর্মেনিয়ার রাশিয়ার সাথে ঘনিষ্ঠ নিরাপত্তা সম্পর্ক রয়েছে।আর্মেনিয়ান সরকারের অনুরোধে, রাশিয়া তুরস্কের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ হিসেবে উত্তর-পশ্চিম আর্মেনিয়ায় অবস্থিত গিউমরি শহরে একটি সামরিক ঘাঁটি বজায় রেখেছে [৩১][ তথ্যসূত্র প্রয়োজন ] তা সত্ত্বেও, সাম্প্রতিক বছরগুলিতে আর্মেনিয়া ইউরো-আটলান্টিক কাঠামোর দিকেও নজর দিচ্ছে।আর্মেনিয়া বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম আর্মেনীয় প্রবাসী সম্প্রদায়ের আবাসস্থল, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে ইতিবাচক সম্পর্ক বজায় রেখেছে।মার্কিন আদমশুমারি ব্যুরো অনুসারে, দেশে ৪২৭,৮২২ জন আর্মেনীয় আমেরিকান রয়েছেন। [৩২]

ইয়েরেভানে আর্মেনিয়ান গণহত্যার স্মৃতিসৌধে রাশিয়ার রাষ্ট্রপতি দিমিত্রি মেদভেদেভ

আজারবাইজান এবং তুরস্কের অবৈধ সীমান্ত অবরোধের কারণে, আর্মেনিয়া তার দক্ষিণ প্রতিবেশী ইরানের সাথে, বিশেষ করে অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে, দৃঢ় সম্পর্ক বজায় রেখেছে।দুই দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক প্রকল্পগুলি তৈরি করা হচ্ছে, যার মধ্যে ইরান থেকে আর্মেনিয়া পর্যন্ত একটি গ্যাস পাইপলাইনও রয়েছে।

আর্মেনিয়া ইউরোপ কাউন্সিলের সদস্য এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রাখে; বিশেষ করে এর সদস্য রাষ্ট্র ফ্রান্স এবং গ্রিসের সাথে।২০০২ সালের জানুয়ারিতে, ইউরোপীয় পার্লামেন্ট উল্লেখ করে যে আর্মেনিয়া ভবিষ্যতে ইইউতে প্রবেশ করতে পারে। [৩৩]২০০৫ সালের একটি জরিপে দেখা গেছে যে ৬৪% আর্মেনিয়ান ইইউতে যোগদানের পক্ষে ছিলেন, [৩৪] এই পদক্ষেপের পক্ষে একাধিক আর্মেনিয়ান কর্মকর্তা সমর্থন জানিয়েছেন। [৩৫]

সোভিয়েত ইউনিয়নের একটি প্রাক্তন প্রজাতন্ত্র এবং একটি উদীয়মান গণতন্ত্র, আর্মেনিয়া একটি সহযোগী ইইউ অংশীদার হওয়ার জন্য আলোচনা করছিল এবং ২০১৩ সালে ইইউর সাথে একটি গভীর এবং ব্যাপক মুক্ত বাণিজ্য অঞ্চলের সাথে একটি অ্যাসোসিয়েশন চুক্তি স্বাক্ষরের জন্য আলোচনা সম্পন্ন করেছিল।তবে, সরকার চুক্তিটি চূড়ান্ত না করার সিদ্ধান্ত নেয় এবং এর পরিবর্তে ইউরেশিয়ান অর্থনৈতিক ইউনিয়নে যোগ দেয়। [৩৬] [৩৭] [৩৮]তা সত্ত্বেও, আর্মেনিয়া এবং ইইউ ২৪ নভেম্বর ২০১৭ তারিখে আর্মেনিয়া-ইইউ ব্যাপক এবং বর্ধিত অংশীদারিত্ব চুক্তি (CEPA) চূড়ান্ত করে।এই চুক্তি আর্মেনিয়া এবং ইইউর মধ্যে সম্পর্ককে একটি নতুন অংশীদারিত্বের স্তরে উন্নীত করে, অর্থনৈতিক, বাণিজ্য এবং রাজনৈতিক ক্ষেত্রে সহযোগিতা আরও বিকশিত করে, বিনিয়োগের পরিবেশ উন্নত করার লক্ষ্য রাখে এবং আর্মেনিয়ান আইনকে ধীরে ধীরে ইইউ অধিগ্রহণের কাছাকাছি নিয়ে আসার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। [৩৯] [৪০] [৪১]

আইনগতভাবে বলতে গেলে, আর্মেনিয়াকে সম্ভাব্য ইইউ সদস্য হিসেবে বিবেচনা করার অধিকার রয়েছে যদি তারা প্রয়োজনীয় মানদণ্ড এবং মানদণ্ড পূরণ করে, যদিও আনুষ্ঠানিকভাবে ব্রাসেলসে এই ধরণের কোনও পরিকল্পনা বিদ্যমান নেই। [৪২] [৪৩] [৪৪] [৪৫]আর্মেনিয়া ইইউর ইউরোপীয় প্রতিবেশী নীতি (ENP) এর অন্তর্ভুক্ত এবং পূর্ব অংশীদারিত্ব এবং ইউরোনেস্ট সংসদীয় পরিষদ উভয়েই অংশগ্রহণ করে, যার লক্ষ্য ইইউ এবং তার প্রতিবেশীদের আরও কাছাকাছি আনা।

২০২৩ সালে নাগোর্নো-কারাবাখে আজারবাইজানি আক্রমণের পর, দীর্ঘমেয়াদী মিত্র রাশিয়ার সাথে আর্মেনিয়ার সম্পর্কের অবনতি হতে শুরু করে।২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে, আর্মেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী নিকোল পাশিনিয়ান বলেছিলেন যে সিএসটিও "আর্মেনিয়া প্রতি তার নিরাপত্তা বাধ্যবাধকতা পূরণ করেনি" এবং "বাস্তবে আমরা মূলত সিএসটিওতে আমাদের অংশগ্রহণ স্থগিত করে রেখেছি"। [৪৬]২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ তারিখে, জাতীয় পরিষদে দেওয়া এক বক্তৃতার সময়, পাশিনিয়ান আরও বলেন যে সিএসটিও "আর্মেনিয়ার জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি"। [৪৭]২০২৪ সালের মার্চ মাসে, আর্মেনিয়া আনুষ্ঠানিকভাবে ইয়েরেভানের জভার্টনটস আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে রাশিয়ান সীমান্তরক্ষীদের বহিষ্কার করে। [৪৮]

২ মার্চ ২০২৪ তারিখে, আর্মেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী নিকোল পাশিনিয়ান পরামর্শ দেন যে আর্মেনিয়া "আগামী দিনে, সর্বাধিক এক মাসের মধ্যে, ইইউ সদস্যপদ প্রার্থী হওয়ার জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে আবেদন করবে"। [৪৯] [৫০]৫ মার্চ, পাশিনিয়ান বলেন যে আর্মেনিয়া ২০২৪ সালের শরৎকালের মধ্যে ইইউ প্রার্থিতার জন্য আবেদন করবে। [৫১]৮ মার্চ ২০২৪ তারিখে, আর্মেনিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরারাত মিরজোয়ান বলেন, "রাশিয়ার সাথে সম্পর্কের অবনতির মধ্যেও আর্মেনিয়া পশ্চিমাদের আরও ঘনিষ্ঠ হতে চাইছে" এবং "আজকাল আর্মেনিয়ায় নতুন সুযোগ নিয়ে আলোচনা হচ্ছে, যার মধ্যে রয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্যপদ"। [৫২] [৫৩]

১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ তারিখে, আর্মেনিয়ার সংসদ আনুষ্ঠানিকভাবে আর্মেনিয়ার ইইউতে যোগদানকে সমর্থন করে একটি বিল অনুমোদন করে।সরকারের বিলটি পাস করার সিদ্ধান্তকে "ইউরোপীয় ইউনিয়নে আর্মেনিয়ার যোগদান প্রক্রিয়ার শুরুর" প্রথম পদক্ষেপ বলে জানা গেছে। [৫৪]

সামরিক

[সম্পাদনা]
সামরিক কুচকাওয়াজের সময় আর্মেনিয়ান বিমান বাহিনীর Su-25s।

আর্মেনিয়ান সেনাবাহিনী এবং বিমান বাহিনী হল আর্মেনিয়ার সশস্ত্র বাহিনীর দুটি শাখা।১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর এবং ১৯৯২ সালে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠার পর আর্মেনিয়ান সামরিক বাহিনী গঠিত হয়।সেনাবাহিনীর সর্বাধিনায়ক হলেন আর্মেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী নিকোল পাশিনিয়ান ।প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় রাজনৈতিক নেতৃত্বের দায়িত্বে থাকে, যার নেতৃত্বে থাকেন ডেভিট টোনোয়ান, অন্যদিকে সামরিক কমান্ড থাকে জেনারেল স্টাফের হাতে, যার নেতৃত্বে থাকেন চিফ অফ স্টাফ, যিনি হলেন লেফটেন্যান্ট-জেনারেল ওনিক গ্যাসপারিয়ান ।

সক্রিয় বাহিনীর সংখ্যা এখন প্রায় ৮১,০০০, এবং অতিরিক্ত ৩২,০০০ সৈন্যের রিজার্ভ রয়েছে ।আর্মেনিয়ান সীমান্তরক্ষীরা জর্জিয়া এবং আজারবাইজানের সাথে দেশের সীমান্তে টহল দেওয়ার দায়িত্বে রয়েছে, অন্যদিকে রাশিয়ান সৈন্যরা ইরান এবং তুরস্কের সাথে তার সীমান্ত পর্যবেক্ষণ করে চলেছে।আক্রমণের ক্ষেত্রে, আর্মেনিয়া ১৫ থেকে ৫৯ বছর বয়সী প্রতিটি সুস্থ পুরুষকে সামরিক প্রস্তুতির সাথে একত্রিত করতে সক্ষম।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন][ তথ্যসূত্র প্রয়োজন ]

ইউরোপে প্রচলিত সশস্ত্র বাহিনীর চুক্তি, যা সামরিক সরঞ্জামের মূল শ্রেণীর উপর ব্যাপক সীমা নির্ধারণ করে, ১৯৯২ সালের জুলাই মাসে আর্মেনিয়ান সংসদ কর্তৃক অনুমোদিত হয়েছিল।১৯৯৩ সালের মার্চ মাসে, আর্মেনিয়া বহুপাক্ষিক রাসায়নিক অস্ত্র কনভেনশনে স্বাক্ষর করে, যা রাসায়নিক অস্ত্রের চূড়ান্ত নির্মূলের আহ্বান জানায়।১৯৯৩ সালের জুলাই মাসে আর্মেনিয়া একটি অ-পারমাণবিক অস্ত্র রাষ্ট্র হিসেবে পারমাণবিক অস্ত্র বিস্তার রোধ চুক্তি (এনপিটি) তে যোগদান করে।আর্মেনিয়া যৌথ নিরাপত্তা চুক্তি সংস্থার (CSTO) সদস্য।আর্মেনিয়ার ন্যাটোর সাথে একটি ব্যক্তিগত অংশীদারিত্ব কর্ম পরিকল্পনাও রয়েছে এবং এটি ন্যাটোর শান্তির জন্য অংশীদারিত্ব (PiP) প্রোগ্রাম এবং ইউরো-আটলান্টিক অংশীদারিত্ব কাউন্সিল (EAPC) তে অংশগ্রহণ করে।

২০১৮ সালের এপ্রিল মাসে, আর্মেনিয়ায় দেশব্যাপী প্রতিবাদ আন্দোলনের ফলে একটি আধা-কর্তৃত্ববাদী শাসনের পতন ঘটে।

আর্মেনিয়ায় মানবাধিকার বেশিরভাগ প্রাক্তন সোভিয়েত প্রজাতন্ত্রের তুলনায় ভালো এবং গ্রহণযোগ্য মানদণ্ডের কাছাকাছি চলে এসেছে, বিশেষ করে অর্থনৈতিকভাবে।[ তথ্যসূত্র প্রয়োজন ] তবুও, এখনও বেশ কিছু উল্লেখযোগ্য সমস্যা রয়ে গেছে।

২০২৩ সালের জানুয়ারিতে প্রকাশিত দ্য ইকোনমিস্ট ডেমোক্রেসি ইনডেক্সে (২০২২ সালের তথ্য) আর্মেনিয়া ৫.৬৩ স্কোর করেছে।যদিও এখনও " হাইব্রিড শাসন " হিসাবে শ্রেণীবদ্ধ, আর্মেনিয়া ইউরোপীয় দেশগুলির মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী উন্নতি রেকর্ড করেছে এবং ২০০৬ সালে গণনা শুরু হওয়ার পর থেকে এটি সর্বকালের সেরা স্কোরে পৌঁছেছে। [৫৫]

ফ্রিডম হাউসের ২০১৯ সালের প্রতিবেদনে (২০১৮ সালের তথ্য সহ) আর্মেনিয়াকে "আংশিক মুক্ত" হিসেবে শ্রেণীবদ্ধ করা হয়েছে, যা এটিকে ১০০ এর মধ্যে ৫১ স্কোর দেয়, [৫৬] যা পূর্ববর্তী অনুমানের চেয়ে ৬ পয়েন্ট এগিয়ে। [৫৭]

রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডার্স কর্তৃক প্রকাশিত ২০১৯ সালের বিশ্ব প্রেস স্বাধীনতা সূচকে আর্মেনিয়া অভূতপূর্ব অগ্রগতি অর্জন করেছে, তাদের অবস্থান ১৯ পয়েন্ট উন্নত করেছে এবং তালিকায় ৬১তম স্থানে রয়েছে।এই প্রকাশনাটি নিহত সাংবাদিক, নাগরিক সাংবাদিক বা মিডিয়া সহকারীদের মামলার অনুপস্থিতি নিশ্চিত করে। [৫৮] [৫৯]

আমেরিকান ক্যাটো ইনস্টিটিউট এবং কানাডার ফ্রেজার ইনস্টিটিউট দ্বারা প্রকাশিত দ্য হিউম্যান ফ্রিডম ইনডেক্সের ২০২২ সালের প্রতিবেদনে আর্মেনিয়া ২৬ তম স্থানে রয়েছে। [৬০]

২০২৩ সালের অক্টোবরে আর্মেনিয়া রোম সংবিধানে স্বাক্ষর করে, যার ফলে আর্মেনিয়া আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের পূর্ণ সদস্য হবে। [৬১]

প্রশাসনিক বিভাগ

[সম্পাদনা]

টেমপ্লেট:Armenia Labelled Map

গেগার্ড মঠ, কোটায়ক প্রদেশ

আর্মেনিয়া দশটি প্রদেশে বিভক্ত ( মারজার, একক মার্জ ), ইয়েরেভান ( Երևան ) শহর ( কাঘক ) সহ। ) দেশের রাজধানী হিসেবে বিশেষ প্রশাসনিক মর্যাদাপ্রাপ্ত।দশটি প্রদেশের প্রতিটিতে প্রধান নির্বাহী হলেন মারজপেট ( মার্জ গভর্নর), যিনি আর্মেনিয়া সরকার কর্তৃক নিযুক্ত হন।ইয়েরেভানে, প্রধান নির্বাহী হলেন মেয়র, যিনি ২০০৯ সাল থেকে নির্বাচিত।

প্রতিটি প্রদেশের মধ্যেই কিছু সম্প্রদায় রয়েছে ( হামায়ঙ্কনার, একক হামায়ঙ্ক )।প্রতিটি সম্প্রদায় স্ব-শাসিত এবং এক বা একাধিক বসতি নিয়ে গঠিত ( bnakavayrer, একবচন bnakavayr )।বসতিগুলিকে শহর ( কাঘাকনার, একবচন কাঘাক ) অথবা গ্রাম ( গিউঘের, একবচন গিউঘ ) হিসেবে শ্রেণীবদ্ধ করা হয়।২০০৭-এর হিসাব অনুযায়ী আর্মেনিয়ায় ৯১৫টি সম্প্রদায় রয়েছে, যার মধ্যে ৪৯টি শহর এবং ৮৬৬টি গ্রামীণ বলে বিবেচিত।রাজধানী ইয়েরেভানও একটি সম্প্রদায়ের মর্যাদা পেয়েছে। [৬২]উপরন্তু, ইয়েরেভান বারোটি আধা-স্বায়ত্তশাসিত জেলায় বিভক্ত।

প্রদেশ রাজধানী আয়তন (কিমি ) জনসংখ্যা (২০১১ সালের আদমশুমারি) [৬৩] জনসংখ্যা (২০২২ সালের আদমশুমারি)
আরাগাটসোটন Արագածոտն আশতারক Աշտարակ ২,৭৫৬ ১৩২,৯২৫ ১২৮,৯৪১
আরারাত Արարատ আর্তাশত Արտաշատ ২,০৯০ ২৬০,৩৬৭ ২৪৮,৯৮২
আরমাভির Արմավիր আরমাভির Արմավիր ১,২৪২ ২,৬৫,৭৭০ ২,৫৩,৪৯৩
গেঘারকুনিক   Գեղարքունիք   গাভার Գավառ ৫,৩৪৯ ২৩৫,০৭৫ ২০৯,৬৬৯
কোটায়ক Կոտայք হ্রাজদান Հրազդան ২,০৮৬ ২৫৪,৩৯৭ ২,৬৯,৮৮৩
লরি Լոռի ভানাডজোর Վանաձոր ৩,৭৯৯ ২৩৫,৫৩৭ ২২২,৮০৫
শিরাক Շիրակ গিউম্রি Գյումրի ২,৬৮০ ২,৫১,৯৪১ ২৩৫,৪৮৪
সিউনিক Սյունիք কাপান Կապան ৪,৫০৬ ১৪১,৭৭১ ১১৪,৪৮৮
তাভুশ Տավուշ ইজেভান Իջևան ২,৭০৪ ১২৮,৬০৯ ১১৪,৯৪০
ভায়োটস ডিজোর Վայոց Ձոր ইয়েগেগনাডজোর   Եղեգնաձոր   ২,৩০৮ ৫২,৩২৪ ৪৭,৩৬৯
ইয়েরেভান Երևան ২২৩ ১,০৬০,১৩৮ ১,০৮৬,৬৭৭

আরও দেখুন

[সম্পাদনা]


ককেশাসের ইতিহাস
জর্জিয়া
আজারবাইজান

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. "Constitution of Armenia, Article 20"। president.am। 
  2. আর্মেনিয়াস
  3. "The World Fact Book – Armenia"। Central Intelligence Agency। ১৯ জুলাই ২০১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ জুলাই ২০১০ 
  4. "Statistical Service of Armenia" (পিডিএফ)। Armstat। সংগ্রহের তারিখ ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ 
  5. "Armenia Population"। countrymeters.info। 
  6. "Report for Selected Countries and Subjects"World Economic Outlook Database, April 2018। Washington, D.C.: International Monetary Fund। ৪ অক্টোবর ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ ১৭ জানুয়ারি ২০১৮ 
  7. "Gini index"World Bank। সংগ্রহের তারিখ ১২ মে ২০১৬ 
  8. "Human Development Report 2016" (পিডিএফ)। United Nations। ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৭ 
  9. Central Intelligence Agency (২০১৪)। The CIA World Factbook 2015। Skyhorse Publishing। পৃষ্ঠা 5241। আইএসবিএন 978-1-62914-903-5 
  10. The UN classification of world regions places Armenia in Western Asia; the CIA World Factbook "Armenia"The World FactbookCIA। ১০ অক্টোবর ২০১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ সেপ্টেম্বর ২০১০  "Armenia"National Geographic , "Armenia"Encyclopædia Britannica , Calendario Atlante De Agostini (Italian ভাষায়) (111 সংস্করণ)। Novara: Istituto Geografico De Agostini। ২০১৫। পৃষ্ঠা sub voce। আইএসবিএন 9788851124908  and Oxford Reference Online "Oxford Reference"। Oxford Reference Online। ডিওআই:10.1093/acref/9780199546091.001.0001/acref-9780199546091-e-652 (নিষ্ক্রিয় ২০১৭-০৯-২৩)। সংগ্রহের তারিখ ২০ অক্টোবর ২০১২  also place Armenia in Asia.
  11. "Charles, R.H. (1913). The Book of Jubilees 9:5 from The Apocrypha and Pseudepigrapha of the Old Testament. Clarendon Press"www.pseudepigrapha.com। ১৪ জুন ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ জুন ২০১৮ 
  12. "Charles, R.H. (1913). The Book of Jubilees 8:21 from The Apocrypha and Pseudepigrapha of the Old Testament. Clarendon Press."digitalcommons.andrews.edu। ১৩ জুন ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ জুন ২০১৮ 
  13. Acharian, Hrachia (১৯৪৬)। Hayocʿ anjnanunneri baṙaran (আর্মেনিয় ভাষায়)। Yerevan University Press। পৃষ্ঠা 29। ৫ অক্টোবর ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ অক্টোবর ২০২৩ 
  14. XenophonAnabasis। পৃষ্ঠা IV.v.2–9। 
  15. Ibp Inc (১ সেপ্টেম্বর ২০১৩)। Armenia Country Study Guide Volume 1 Strategic Information and Developments। International Business Publications, USA। পৃষ্ঠা 42। আইএসবিএন 978-1-4387-7382-7 
  16. Archi, Alfonso (২০১৬)। "Egypt or Iran in the Ebla Texts?": 3। ১৫ আগস্ট ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ জুন ২০১৯ 
  17. Kroonen G, Barjamovic G, Peyrot M (৯ মে ২০১৮)। "Linguistic supplement to Damgaard et al. 2018: Early Indo-European languages, Anatolian, Tocharian and Indo-Iranian": 3। ডিওআই:10.5281/zenodo.1240524। ২৯ জুন ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ জুন ২০১৯ 
  18. Moses of Chorene,The History of Armenia ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১৯ এপ্রিল ২০০৩ তারিখে, Book 1, Ch. 12 (রুশ ভাষায়)
  19. Josephus, Flavius। Antiquities of the Jews। পৃষ্ঠা Book 1, section 143। ১৪ অক্টোবর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ অক্টোবর ২০১৭ 
  20. ডেস্ক, ইনকিলাব। "আজারবাইজান-আর্মেনিয়া যুদ্ধ : প্রায় ৩০০ মানুষের প্রাণহানি!"DailyInqilabOnline। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৯-২১ 
  21. Fischer Weltalmanach 2019- Zahlen Daten Fakten। Fischer। ১ জুলাই ২০১৮। পৃষ্ঠা 45। আইএসবিএন 978-3-596-72019-4 
  22. "Global Data | Fragile States Index"fragilestatesindex.org। ১৫ জুলাই ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৪ অক্টোবর ২০১৯ 
  23. "Armenia 1995 (rev. 2005) Constitution - Constitute"www.constituteproject.org (ইংরেজি ভাষায়)। ২ এপ্রিল ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০২-২৫ 
  24. "Archive —"aceproject.org। ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০২-২৫ 
  25. "Armenia invited as observer for Arab League"। Azad Hye। ১৯ জানুয়ারি ২০০৫। ২১ এপ্রিল ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০ মে ২০১৪ 
  26. "Nagorno-Karabakh: The Crisis in the Caucasus"। ২১ জুলাই ২০০৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৪ মে ২০১৯ 
  27. "Armenia and Turkey sign peace deal"। ১৪ অক্টোবর ২০০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। 
  28. Nona Mikhelidze (৫ মার্চ ২০১০)। "The Turkish-Armenian Rapprochement at the Deadlock" (পিডিএফ)IAI Istituto Affari Internazionali। পৃষ্ঠা 3। ১৬ মে ২০১৮ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ জুন ২০২০ 
  29. "Protocol on the Establishment of Diplomatic Relations between the Republic of. Turkey and the Republic of Armenia" (পিডিএফ)Ministry of Foreign Affairs of Turkey। ২৬ জুলাই ২০২০ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ জুন ২০২০ 
  30. "Relations between Turkey and Armenia"Ministry of Foreign Affairs of Turkey। ২৬ জুলাই ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ জুন ২০২০ 
  31. "Baku and Moscow – 'One Hundred Percent Strategic Partners'"। Hetq Online। ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০০৬। ১ জুলাই ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০ এপ্রিল ২০০৮ 
  32. "Ancestry Data"। U.S. Census Bureau। ২০০৬। ৪ আগস্ট ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২২ জুলাই ২০০৯ 
  33. European Parliament on the European Union's relations with the South Caucasus, ২ জুলাই ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা, সংগ্রহের তারিখ ৪ অক্টোবর ২০২০ 
  34. "RFE/RL Caucasus Report"। Armenian Ministry of Foreign Affairs। ৭ জানুয়ারি ২০০৫। ২০ নভেম্বর ২০১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২২ জুলাই ২০০৯ 
  35. "Interview with RA National Assembly Speaker Artur Baghdasaryan"। ArmInfo News Agency। ২৬ অক্টোবর ২০০৫। ১৩ জানুয়ারি ২০০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২২ জুলাই ২০০৯ 
  36. "Eurasian Economic Commission"www.eurasiancommission.org। ৮ অক্টোবর ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ অক্টোবর ২০১৫ 
  37. "ДОГОВОР О ПРИСОЕДИНЕНИИ РЕСПУБЛИКИ АРМЕНИЯ К ДОГОВОРУ О ЕВРАЗИЙСКОМ ЭКОНОМИЧЕСКОМ СОЮЗЕ ОТ 29 МАЯ 2014 ГОДА (Минск, 10 октября 2014 года)"www.customs-code.ru। ২৫ ডিসেম্বর ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ অক্টোবর ২০১৫ 
  38. "Armenia To Join Russian-Led Customs Union"Radio Free Europe/Radio Liberty। ৩ সেপ্টেম্বর ২০১৩। ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৩ 
  39. "New agreement signed between the European Union and Armenia set to bring tangible benefits to citizens"EEAS (ইংরেজি ভাষায়)। European Commission। নভেম্বর ২৪, ২০১৭। ১৬ জানুয়ারি ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ জানুয়ারি ২০১৮ 
  40. "Joint Proposal for a Council Decision on the conclusion, on behalf of the European Union, of the Comprehensive and Enhanced Partnership Agreement between the European Union and the European Atomic Energy Community and their Member States, of the one part, and the Republic of Armenia, of the other part"EUR-Lex। সেপ্টেম্বর ২৫, ২০১৭। ৫ ডিসেম্বর ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২০ 
  41. "EU and Armenia take stock on Comprehensive and Enhanced Partnership Agreement implementation"EU Neighbours। ডিসেম্বর ১৮, ২০১৯। ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২০ 
  42. Zahorka, Hans-Juergen। "How Armenia Could Approach the European Union" (পিডিএফ)Europäisches Institut GmbH। ২৮ এপ্রিল ২০০৮ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ মার্চ ২০১৩ 
  43. "EU launches negotiations on Association Agreements with Armenia, Azerbaijan and Georgia"Europa (web portal)। ১৫ জুলাই ২০১০। ৪ ডিসেম্বর ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ সেপ্টেম্বর ২০১১ 
  44. "Armenia-EU association agreement may be concluded shortly | Armenia News"। News.am। ৮ অক্টোবর ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ সেপ্টেম্বর ২০১১ 
  45. "3rd Plenary Round of the EU–Armenia Negotiation on the Association Agreement"। Ec.europa.eu। ১৫ ডিসেম্বর ২০১০। ১১ মে ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৮ আগস্ট ২০১২ 
  46. Gavin, Gabriel (২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪)। "Putin loses grip on member of his military alliance"Politico.eu। ৭ এপ্রিল ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ মার্চ ২০২৪ 
  47. "Pashinyan warns of potential de jure freeze of Armenia's activities in CSTO if the current process continues"Armenpress। ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪। ২০২৪-০২-২৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৩-০৪ 
  48. Leven, Denis (১২ মার্চ ২০২৪)। "Armenia moves to expel Russian border guards from Yerevan's airport"Politico.eu। ১২ মার্চ ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ মার্চ ২০২৪ 
  49. "Armenia's bid for EU membership - Yerevan's shift away from Russia"trend.az। ২ মার্চ ২০২৪। ১৬ মার্চ ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ মার্চ ২০২৪ 
  50. "Will Armenia apply to become a candidate for EU membership in the coming days?"radar.am। ৪ মার্চ ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ মার্চ ২০২৪ 
  51. "NIKOL PASHINYAN SAID THAT YOU SHOULD APPLY TO BECOME A CANDIDATE FOR EU MEMBERSHIP BEFORE AUTUMN AT THE LATEST"hraparak.am। ৫ মার্চ ২০২৪। ১৪ মার্চ ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ মার্চ ২০২৪ 
  52. "Armenia mulling EU membership application, foreign minister says"politico.eu। ৯ মার্চ ২০২৪। ১০ মার্চ ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ মার্চ ২০২৪ 
  53. "Armenia is considering seeking EU membership, foreign minister says"euractiv.com। ১০ মার্চ ২০২৪। ১০ মার্চ ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ মার্চ ২০২৪ 
  54. "Armenia approves EU membership bid further straining ties with Russia"www.intellinews.com। জানুয়ারি ৯, ২০২৫। 
  55. "The retreat of global democracy stopped in 2018"The Economist। ৮ জানুয়ারি ২০১৯। আইএসএসএন 0013-0613। ৯ জানুয়ারি ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ জানুয়ারি ২০১৯ 
  56. "Armenia"freedomhouse.org (ইংরেজি ভাষায়)। ৩১ জানুয়ারি ২০১৯। ৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ 
  57. "Armenia"freedomhouse.org (ইংরেজি ভাষায়)। ৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ 
  58. "Armenia: A revolution live-streamed | Reporters without borders"RSF (ইংরেজি ভাষায়)। ২৩ এপ্রিল ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৮ এপ্রিল ২০১৯ 
  59. "Armenia improves positions in World Press Freedom Index by 19 points: Pashinyan confident in continuation of progress"armenpress.am (ইংরেজি ভাষায়)। ১৮ এপ্রিল ২০১৯। ১৮ এপ্রিল ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৮ এপ্রিল ২০১৯ 
  60. "The Human Freedom Index 2023" (পিডিএফ)Fraser Institute। ২২ জুন ২০২৩ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২২ জুন ২০২৩ 
  61. "The Armenian Parliament ratified the Rome Statute. What was it necessary for?"। ৩ অক্টোবর ২০২৩। ৫ অক্টোবর ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩ অক্টোবর ২০২৩ 
  62. "Regional Administration Bodies"। The Government of the Republic of Armenia। ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১১ সেপ্টেম্বর ২০০৮ 
  63. "Armstat:Provinces, area and population" (পিডিএফ)। ১০ অক্টোবর ২০১৭ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৬ জানুয়ারি ২০১৪ 

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]
সরকারী
সাধারণ তথ্য

 চিসাম, হিউ, সম্পাদক (১৯১১)। ব্রিটিশ বিশ্বকোষ (১১তম সংস্করণ)। কেমব্রিজ ইউনিভার্সিটি প্রেস। 

পর্যটন
অন্যান্য