হাবিবুল্লাহ মুখতার

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
মাওলানা ড.

হাবিবুল্লাহ মুখতার

শহিদ
مولانا ڈاکٹر محمد حبیب اللہ مختار شہیدؒ
ব্যক্তিগত তথ্য
জন্ম(১৯৪৪-০৪-২৮)২৮ এপ্রিল ১৯৪৪
মৃত্যু২ নভেম্বর ১৯৯৭(1997-11-02) (বয়স ৫৩)
ধর্মইসলাম
জাতীয়তা পাকিস্তানি
পিতামাতা
  • হাকিম মুখতার হাসান খান হাজেক (পিতা)
আখ্যাসুন্নি
আন্দোলনআলমি মজলিস তাহাফ্ফুজ খতমে নবুয়াত
যেখানের শিক্ষার্থীদারুল উলুম করাচি
জামিয়া উলুমুল ইসলামিয়া
করাচি বিশ্ববিদ্যালয়
মদিনা ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়
পেশাইসলামি পণ্ডিত, লেখক
৩য় চ্যান্সেলর জামিয়া উলুমুল ইসলামিয়া
কাজের মেয়াদ
১৯৯১ – ১৯৯৭
পূর্বসূরীমুফতি আহমদুর রহমান
উত্তরসূরীআব্দুর রাজ্জাক ইস্কান্দার
৫ম সাধারণ সম্পাদক, বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া পাকিস্তান
কাজের মেয়াদ
২৯ এপ্রিল ১৯৯১ – ১ নভেম্বর ১৯৯৭
পূর্বসূরীমুফতি আহমদুর রহমান
উত্তরসূরীমুহাম্মদ হানিফ জলন্ধরি
মুসলিম নেতা
শিক্ষকমুহাম্মদ ইউসুফ বিন্নুরী, মুফতি ওয়ালি হাসান টঙ্কী, আব্দুর রশিদ নোমানি,মুহাম্মদ ইদ্রিহ মির্টি
পেশাইসলামি পণ্ডিত, লেখক

মাওলানা হাবিবুল্লাহ মুখতার (২৮ এপ্রিল ১৯৪৪ - ২ নভেম্বর ১৯৯৭) (উর্দু: مولانا ڈاکٹر محمد حبیب اللہ مختار شہیدؒ) ছিলেন একজন পাকিস্তানি ইসলামি পণ্ডিত ও লেখক। তিনি জামিয়া উলুমুল ইসলামিয়ার চ্যান্সেলর এবং বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া পাকিস্তান-এর সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। [১]

প্রাথমিক এবং শিক্ষা জীবন[সম্পাদনা]

হাবিবুল্লাহ মুখতার ১৯৪৪ সালে দিল্লির হাকিম মুখতার হাসান খানের পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিন বছর বয়সে তিনি পরিবারের সাথে দিল্লি থেকে করাচিতে পাড়ি জমান। তিনি ১৯৫৯ সালে দারুল উলুম করাচি এবং দারসে নিজামি সিলেবাসে জামিয়া উলুমুল ইসলামিয়া থেকে প্রাথমিক ধর্মীয় শিক্ষা লাভ করেন। ১৯৬৬ সালে মুহাম্মদ ইউসুফ বিন্নুরীর নির্দেশে তিনি মদীনা ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন এবং চার বছর সেখানে পড়াশোনা করেন এবং ১৯৭০ সালে ফিরে আসেন। এরপর তিনি ১৯৭৩ সালে ইসলামিক স্টাডিজে এমএ এবং ১৯৮১ সালে করাচি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি অর্জন করেন। একই সময়ে তিনি শিক্ষকতা এবং জামিয়া উলুমুল ইসলামিয়ায় দারুল ইফতা অধ্যয়ন চালিয়ে যান[২][৩][৪]

কর্মজীবন[সম্পাদনা]

দারসে নিজামির প্রধান গ্রন্থ সহিহ বুখারিসহ প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ বইয়ের আদ্যোপান্ত তার আয়ত্বে ছিল জামিয়া উলুমুল ইসলামিয়ায়। ১৯৯১ সালে জামিয়ার দ্বিতীয় চ্যান্সেলর মাওলানা মুফতি আহমদুর রহমানের মৃত্যুর পর সর্বসম্মতিক্রমে মাওলানা হাবিবুল্লাহ মুখতারকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। একই সময়ে বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া পাকিস্তানের সাধারণ সম্পাদকের পদও খালি ছিল। মাওলানা হাবিবুল্লাহ মুখতার এই পদের দায়িত্ব গ্রহণের জন্যও নির্বাচিত হন। [২]

রচনাবলী[সম্পাদনা]

তিনি অনেকগুলি বই রচনা করেছিলেন এবং বহু আরবি বইও উর্দুতে অনুবাদ করেছিলেন। [৫][৬] যার মধ্যে রয়েছে:

  • ইসলামে শিশুদের লালনপালন [৭]
  • ইয়াকীন ওয়া ঈমান
  • মোমিন কা হাতিয়ার

মৃত্যু[সম্পাদনা]

১৯৯৭ সালের ২ নভেম্বর মুখতারকে তার চালক মুহাম্মদ তাহিরের সাথে গুলি করে হত্যা করা হয়। [৩][৮] তার শায়খ ও পরামর্শক আল্লামা বিন্নুরী ও মুফতি আহমদুর রহমানের পাশেই জামিয়া বিন্নুরী টাউন প্রাঙ্গণে তাকে সমাধিস্থ করা হয়।

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "General secretaries ناظم اعلیٰ"। wifaqulmadaris.org। ১৮ এপ্রিল ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০ এপ্রিল ২০২১ 
  2. "حضرت مولانا ڈاکٹر حبیب اللہ مختار شہید رحمۃ اللہ علیہ"Jamia Uloom-ul-Islamia। সংগ্রহের তারিখ ২০ এপ্রিল ২০২১ 
  3. مفتی غلام مصطفیٰ رفیق (৮ নভেম্বর ২০১৯)। "مولانا ڈاکٹر محمد حبیب اللہ مختار شہیدؒ"। jang.com.pk। সংগ্রহের তারিখ ২০ এপ্রিল ২০২১ 
  4. Mufti Waqas Rafi (১ নভেম্বর ২০১৬)। "02 نومبریوم شہادت.... مولانا ڈاکٹر حبیب اللہ مختار شہیدؒ"। juraat.com। সংগ্রহের তারিখ ২০ এপ্রিল ২০২১ 
  5. مفتی غلام مصطفیٰ رفیق (২ নভেম্বর ২০১৮)। "مولانا ڈاکٹرمحمدحبیب اللہ مختارشہید رحمہ اللہ علیہ"। jang.com.pk। সংগ্রহের তারিখ ২০ এপ্রিল ২০২১ 
  6. "Maulana Habibullah Mukhtar"। archive.org। সংগ্রহের তারিখ ২০ এপ্রিল ২০২১ 
  7. "Bringing up children in Islam / Muhammad Habibullah Mukhtar ; translated by Rafiq ʻAbdurrahman."। nlb.gov.sg। সংগ্রহের তারিখ ২০ এপ্রিল ২০২১ 
  8. "KARACHI: MQM slams killing of religious scholar"। dawn.com। ১১ জুলাই ২০০৫। সংগ্রহের তারিখ ২০ এপ্রিল ২০২১