পান্তা ভাত: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান)
বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে। কোন সমস্যায় এর পরিচালককে জানান।
নকীব বট (আলোচনা | অবদান)
৩৭ নং লাইন: ৩৭ নং লাইন:


[[বিষয়শ্রেণী:গ্রামীণ খাদ্যরীতি]]
[[বিষয়শ্রেণী:গ্রামীণ খাদ্যরীতি]]
[[বিষয়শ্রেণী:বাংলাদেশী সংস্কৃতি]]
[[বিষয়শ্রেণী:বাংলাদেশি সংস্কৃতি]]
[[বিষয়শ্রেণী:পশ্চিমবঙ্গের সংস্কৃতি]]
[[বিষয়শ্রেণী:পশ্চিমবঙ্গের সংস্কৃতি]]
[[বিষয়শ্রেণী:বাংলাদেশের খাদ্য]]
[[বিষয়শ্রেণী:বাংলাদেশের খাদ্য]]

১০:৪২, ২ এপ্রিল ২০২০ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

পান্তা ভাত
পান্তা-ইলিশ -- ইলিশ মাছের সাথে পান্তা ভাত ও শুঁটকি মাছ, আঁচার, ডাল, কাচা মরিচ, এবং পিয়াঁজ কুঁচির সংমিশ্রণের এই খাদ্যটি পহেলা বৈশাখ এর উৎসবের জনপ্রিয় খাদ্য।
প্রকারসকালের নাশতা
উৎপত্তিস্থলবাংলাদেশ
ভারত(পশ্চিম বঙ্গ)
অঞ্চল বা রাজ্যগ্রামীণ মানুষ
প্রধান উপকরণভাত, পানি
ভিন্নতাপাখাল, Poitabhat

পান্তা ভাত গ্রামীণ বাঙালি জনগোষ্টির একটি জনপ্রিয় খাবার। নৈশভোজের জন্য রান্না করা ভাত বেঁচে গেলে সংরক্ষণের জন্য পানিতে ভিজিয়ে রাখা হতো। পরদিন এই পানিতে রাখা ভাতের নাম হতো পান্তা ভাত।, পান্তা ভাত গ্রামীণ মানুষ সকালের নাশতা হিসাবে খেয়ে থাকে। সাধারণত লবণ, কাচা মরিচ ও পেঁয়াজ মিশিয়ে পান্তা ভাত খাওয়া হয়, অনেকেই আবার এর সাথে আলু ভর্তা,বেগুন ভর্তা,ডাউল ভর্তা,শুটকি ভর্তা বা সরিষার তেল দিয়ে পান্তা ভাতের রুচি বৃদ্ধি করে থাকে।

ইতিহাস

মুঘল শাসনামলে সামাজিক-সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানের সদস্যরা মুক্ত অনুষ্ঠানের আয়োজন করতো, আগত দর্শক শ্রোতাগণ ঐতিহ্যবাহী পান্তাভাত খেতো।[১] বিংশ শতাব্দীর শেষ পাদে শহুরে বাঙালী বাংলা নববর্ষকে ঘটা করে উদযাপন শুরু করে। এই দিন বাঙালিয়ানার প্রতীক হিসেবে ভাজা ইলিশ মাছ সহযোগে পান্তা ভাত খাওয়া রেওয়াজে পরিণত হয়। একুশ শতাব্দীর প্রথম দশকে নববর্ষের সকালে ইলিশ মাছ সহযোগে পান্তা ভাত বাঙালি সংস্কৃতির অন্তর্ভুক্ত হয়ে যায়।

ঐতিহ্যে পান্তা ভাত

প্রতি বছর পহেলা বৈশাখে পান্তা উৎসবের মাধ্যমে নতুন বছরকে বরণ করে নেয়ার সংস্কৃতি চালু ও পরিব্যাপ্ত হয়েছে।

তৈরি প্রণালী

নির্দিষ্ট পরিমাণ ভাতকে পানিতে প্রায় এক রাত ডুবিয়ে রাখলেই তা পান্তায় পরিণত হয়। ভাত মূলত পুরোটাই শর্করা (Carbohydrate)। ভাতে পানি দিয়ে রাখলে বিভিন্ন গাজনকারি (Fermentation) ব্যাক্টেরিয়া (Bacteria) বা ইস্ট (Yeast) শর্করা ভেঙ্গে ইথানলল্যাকটিক এসিড তৈরি করে। এই ইথানলই পান্তাভাতের ভিন্ন রকম স্বাদের জন্য দায়ী। পান্তা ভাত মূলত ভাত সংরক্ষণের একটি পদ্ধতি। ভাত বেশিক্ষণ রেখে দিলে তা পচে খাবার অনুপযোগী হয়ে পড়ে। কিন্তু পানি দিয়ে রাখলে গাজনকারি ব্যাক্টেরিয়া সেখানে ল্যাকটিক এসিড তৈরি করে যার ফলে পান্তা ভাতের অম্লত্ব বেড়ে যায় (pH কমে)। তখন পচনকারি ও অনান্য ক্ষতিকারক ব্যাক্টেরিয়া, ছত্রাক ভাত নষ্ট করতে পারে না।

১২-২৪ ঘণ্টা পরে পান্তা ভাত তৈরী হয়।[২] কোন প্রকার সংক্রমন এড়াতে খাবারের পাত্রটি সতর্কতার সংগে ঢেকে রাখতে হবে।[৩] সকাল বেলা পান্তাভাত লবন, লেবু, মরিচ এবং কাটা পেঁয়াজ দিয়ে খাওয়া হয়।[৪][৫] খাওয়ার সময় পানি আলাদা করা হয় অনেকসময়। অনেকে পান্তাভাতের সঙ্গে ভোজ্য তেল ব্যবহার করে।[৬]

তথ্যসুত্র

  1. Golam Rabbani (১৯৯৭)। Dhaka: From Mughal Outpost to Metropolis। Dhaka: University Press Limited। পৃষ্ঠা 168। আইএসবিএন 9789840513741 
  2. Jitendra Nath Rakshit (১৯১৬)। "Rice, as Prepared for Food in Bengal"The Agricultural Journal of India। Calcutta: Government of India, Central Publication Branch for the Imperial Council of Agricultural Research11: 189। 
  3. Brian J.B. Wood (১৯৮৫)। Microbiology of Fermented Foods। Springer। পৃষ্ঠা 796। আইএসবিএন 9780751402162 
  4. Akhter Hameed Khan, The Works of Akhter Hameed Khan (Volume 1), page 288, Bangladesh Academy for Rural Development, 1983
  5. Debates: official report (Volume 2, Issues 16-30), page 1092, Pakistan. National Assembly, 1966
  6. Narendra S. Bisht and T. S. Bankoti, Encyclopaedic Ethnography of the Himalayan Tribes: R-Z (Volume 4), Page 1336, Global Vision, 2004, আইএসবিএন ৯৭৮৮১৮৭৭৪৬৯৫৯