২০১২ বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ
![]() ২০১২ বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের লোগো | |
তত্ত্বাবধায়ক | বিসিবি |
---|---|
ক্রিকেটের ধরন | টুয়েন্টি২০ |
প্রতিযোগিতার ধরন | ডাবল রাউন্ড-রবিন এবং নকআউট |
আয়োজক | ![]() |
বিজয়ী | ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটরস (১ম শিরোপা) |
অংশগ্রহণকারী দলসংখ্যা | ৬ |
খেলার সংখ্যা | ৩৩ |
প্রতিযোগিতার সেরা খেলোয়াড় | ![]() |
সর্বাধিক রান সংগ্রহকারী | ![]() |
সর্বাধিক উইকেটধারী | ![]() ![]() |
আনুষ্ঠানিক ওয়েবসাইট | BPL |
২০১২ বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ বা ২০১২ বিপিএল বাংলাদেশে আয়োজিত বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের প্রথম আসর। ২০১২ খ্রিষ্টাব্দে প্রথমবারের মত বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড এটি আয়োজন করে। ৯ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত প্রথম বিপিএল উদ্বোধন হয়। শের-ই-বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়াম, ঢাকায় উদ্বোধন করেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান। ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১২ থেকে ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০১২ পর্যন্ত এই প্রতিযোগিতায় ৩৩টি টি২০ ক্রিকেট ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়, যার ২৫টি ঢাকায়, আর বাকি ৮টি হয় চট্টগ্রামে। ২৯ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় ফাইনাল ম্যাচের মধ্যে দিয়ে শেষ হয় বিপিএল এর প্রথম আসর। প্রতিযোগিতায় জয়ী হয় ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটরস এবং রানার্স আপ হয় বরিশাল বার্নার্স।
খেলোয়াড় নিলাম[সম্পাদনা]
এই আয়োজনে বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের পাশাপাশি বিভিন্ন দেশ থেকে খেলোয়াড় ভাড়া করে আনা হয়। এর মধ্যে রয়েছেন পাকিস্তান, ইংল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা, অস্ট্রেলিয়া, শ্রীলঙ্কা, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, নিউজিল্যান্ড, আয়ারল্যান্ডসহ অন্যান্য দেশের খেলোয়াড়বৃন্দ।
আইকন খেলোয়াড়সমূহ[সম্পাদনা]
- মোহাম্মদ আশরাফুল (ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটরস)
- তামিম ইকবাল (চিটাগং কিংস)
- মুশফিকুর রহিম (দুরন্ত রাজশাহী)
- সাকিব আল হাসান (খুলনা রয়েল বেঙ্গলস)
- শাহরিয়ার নাফিস (বরিশাল বার্নার্স)
- অলোক কাপালি (সিলেট রয়্যালস)
বিপিলের মাঠসমূহ[সম্পাদনা]
২০১২ বিপিএলে ঢাকা ও চট্টগ্রামের মাঠে খেলা হয়।
ঢাকা | চট্টগ্রাম |
---|---|
শের-ই-বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়াম ধারণ ক্ষমতা : ২৬,০০০ |
জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়াম ধারণ ক্ষমতা : ২০,০০০ |
![]() |
![]() |
দলগুলোর পারফরমেন্স[সম্পাদনা]
দল | খেলেছে | জয় | হার | ড্র | ফ | প | এনআরআর |
---|---|---|---|---|---|---|---|
![]() |
১০ | ৭ | ৩ | ০ | ০ | ১৪ | +০.১১৪ |
![]() |
১০ | ৬ | ৪ | ০ | ০ | ১২ | +০.৬০৬ |
![]() |
১০ | ৫ | ৫ | ০ | ০ | ১০ | +০.২১০ |
![]() |
১০ | ৫ | ৫ | ০ | ০ | ১০ | +০.১৭৮ |
![]() |
১০ | ৫ | ৫ | ০ | ০ | ১০ | +০.০৭৮ |
![]() |
১০ | ২ | ৮ | ০ | ০ | ৪ | −১.২৩৪ |
গ্রুপ পর্ব[সম্পাদনা]
বরিশাল | চিটাগং | ঢাকা | রাজশাহী | খুলনা | সিলেট | ||
---|---|---|---|---|---|---|---|
![]() |
বরিশাল বার্নার্স | চিটাগং ৮ উইকেট |
ঢাকা ২১ রান |
বরিশাল ২২ রান |
খুলনা ৭ উইকেট |
বরিশাল ১০ উইকেট | |
![]() |
চিটাগং কিংস | বরিশাল ৫ উইকেট |
প্রথম প্রতিদ্বন্দ্বিতা → | ঢাকা ৬ উইকেট |
চিটাগং ৫৩ রান |
চিটাগং ৬ উইকেট |
চিটাগং ৭ উইকেট |
![]() |
ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটরস | ঢাকা ৫ উইকেট |
চিটাগং ১৩ রান |
রাজশাহী ১৪ রান |
খুলনা ১৯ রান |
ঢাকা ৭ উইকেট | |
![]() |
দুরন্ত রাজশাহী | রাজশাহী ৯ উইকেট |
রাজশাহী ৯ রান |
রাজশাহী ৩ উইকেট |
রাজশাহী ৬ উইকেট |
রাজশাহী ১৬ রান | |
![]() |
খুলনা রয়েল বেঙ্গলস | বরিশাল ৪ উইকেট |
খুলনা ৪৪ রান |
খুলনা ৭ উইকেট |
রাজশাহী ৮ উইকেট |
← দ্বিতীয় প্রতিদ্বন্দ্বিতা | খুলনা ২ রান |
![]() |
সিলেট রয়্যালস | বরিশাল ৯ উইকেট |
সিলেট ৩৫ রান |
ঢাকা ৮ উইকেট |
সিলেট ৯ উইকেট |
খুলনা ৬৯ রান |
- টীকা: ম্যাচের সারাংশ দেখার জন্য ফলাফলের উপর ক্লিক করুন।
সময়সূচী[সম্পাদনা]
গ্রুপ পর্ব[সম্পাদনা]
নক-আউট পর্ব[সম্পাদনা]
গ্রুপ পর্ব শেষে বরিশাল বার্নার্স ও চিটাগং কিংসের মধ্যে কোন দল সেমি-ফাইনালে যাবে তা নিয়ে সমালোচনার সৃষ্টি হয়। গ্রুপের খেলা শেষে দুই দলের পয়েন্ট সমান হওয়ায় টিভি সম্প্রচারকারী দুই দলের রানের গড়ে উপর ভিত্তি করে প্রচার করে যে বরিশাল বার্নার্স সেমি-ফাইনালে যাবে। কিন্তু পরে দিন ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১২ বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের অফিসিয়াল কর্মকর্তাগণ নিশ্চিত করে যে হেড-টু-হেড রেকর্ডের উপর ভিত্তি করে চিটাগং কিংস সেমি-ফাইনালে যাবে। এরপর দিন অফিসিয়ালগণ তাদের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে এবং রানের গড়ের উপর ভিত্তি করে ৪র্থ দল হিসাবে চিটাগং কিংসের পরিবর্তে বরিশাল বার্নার্সের নাম ঘোষণা করে।
সেমিফাইনাল | ফাইনাল | |||||||
১ | দুরন্ত রাজশাহী | ১৮৪/৬ | ||||||
৪ | বরিশাল বার্নার্স | ১৮৯/২ | ||||||
৪ | বরিশাল বার্নার্স | ১৪০/৭ | ||||||
৩ | ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটরস | ১৪৪/২ | ||||||
৩ | ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটরস | ১৯১/৪ | ||||||
২ | খুলনা রয়েল বেঙ্গলস | ১৮২/৭ |
সেমি-ফাইনাল[সম্পাদনা]
ব
|
||
- বরিশাল বার্নার্স টসে জয়ী হয় এবং ফিল্ডিং করার সিন্ধান্ত নেয়।
ব
|
||
- ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটরস টসে জয়ী হয় এবং ব্যাট করার সিন্ধান্ত নেয়।
ফাইনাল[সম্পাদনা]
ব
|
||
- ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটরস টসে জয়ী হয় এবং ফিল্ডিং করার সিন্ধান্ত নেয়।
পরিসংখ্যান[সম্পাদনা]
দলীয় সর্বোচ্চ রান[সম্পাদনা]
নিম্নলিখিত টেবিলটি এই আসরের দলীয় সর্বোচ্চ রানের তালিকা (পাঁচটি)।
দল | মোট রান | বিপক্ষ | মাঠ |
---|---|---|---|
![]() |
২০৮/৫ (২০ ওভার) | ![]() |
শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম |
![]() |
২০৬/৪ (২০ ওভার) | ![]() |
শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম |
![]() |
১৯২/৩ (২০ ওভার) | ![]() |
জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়াম |
![]() |
১৯১/৪ (২০ ওভার) | ![]() |
শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম |
![]() |
১৮৯/২ (২০ ওভার) | ![]() |
শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম |
সর্বশেষ হালনাগাদ ২১ জানুয়ারি ২০১৩।
সর্বাধিক রান[সম্পাদনা]
নিম্নলিখিত টেবিলটি এই আসরের সর্বাধিক রান সংগ্রাহকের তালিকা।
খেলোয়াড় | দল | ম্যাচ | ইনিংস | নট আউট | রান | বল | সর্বোচ্চ | গড় | স্ট্রাইক রেট | ১০০ | ৫০ | শূন্য | ৪ | ৬ |
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
![]() |
![]() |
১২ | ১২ | ০২ | ৪৮৬ | ৩১২ | ১১৩* | ৪৮.৬০ | ১৫৫.৭৬ | ১ | ৪ | ১ | ৪৬ | ২৫ |
![]() |
![]() |
১১ | ১১ | ০২ | ৩৯০ | ২৫০ | ৭৫ | ৪৩.৩৩ | ১৫৬.০০ | ০ | ৪ | ০ | ৩৮ | ১৮ |
![]() |
![]() |
১০ | ১০ | ০১ | ৩৫৬ | ২৪৭ | ৮২ | ৩৯.৫৫ | ১৪৪.১২ | ০ | ৫ | ১ | ৪৩ | ১৬ |
![]() |
![]() |
১২ | ১১ | ০৩ | ৩৪৬ | ২৬৩ | ৭০ | ৪৩.২৫ | ১৩১.৫৫ | ০ | ৩ | ২ | ৩০ | ১৮ |
![]() |
![]() |
১১ | ১১ | ০৩ | ৩৪৬ | ২৫২ | ১০৩* | ৪৩.২৫ | ১৩৭.৩০ | ১ | ২ | ১ | ২২ | ২০ |
- ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রান
ওয়েস্ট ইন্ডিজের মারকুটে ব্যাটসম্যান ক্রিস গেইল বরিশাল বার্নার্সের পক্ষে ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১২ সালে ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটর্সের বিপক্ষে এ প্রতিযোগিতায় এক ইনিংসে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ১১৬ রান করেন।[১]
সর্বোচ্চ উইকেট[সম্পাদনা]
- ইলিয়াস সানি (ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটরস), ১৭
- মোহাম্মদ সামি (দুরন্ত রাজশাহী), ১৭
- সাকিব আল হাসান (খুলনা রয়েল বেঙ্গলস), ১৫
- এনামুল হক জুনিয়র (চিটাগং কিংস), ১৩
- সোহেল তানভির (সিলেট রয়্যালস), ১৩