রুডল্ফ ম্যোসবাউয়ার
রুডল্ফ লুডউইগ ম্যোসবাউয়ার | |
---|---|
জন্ম | |
মৃত্যু | ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১১ | (বয়স ৮২)
মাতৃশিক্ষায়তন | টেকনিক্যাল ইউনিভার্সিটি অব মিউনিখ |
পরিচিতির কারণ | ম্যোসবাউয়ার ইফেক্ট ম্যোসবাউয়ার স্পেক্ট্রোস্কপি |
পুরস্কার | পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার (১৯৬১) ইলিয়ট ক্রেসন মেডেল (১৯৬১) লোমোনোসভ গোল্ড মেডেল (১৯৮৪) |
বৈজ্ঞানিক কর্মজীবন | |
কর্মক্ষেত্র | নিউক্লিয় পদার্থবিজ্ঞান and পারমাণবিক পদার্থবিজ্ঞান |
প্রতিষ্ঠানসমূহ | টেকনিক্যাল ইউনিভার্সিটি অব মিউনিখ ক্যালটেক |
ডক্টরাল উপদেষ্টা | Heinz Maier-Leibnitz |
রুডল্ফ লুডভিগ ম্যোসবাউয়ার (জার্মান: Rudolf Ludwig Mößbauer; জন্ম: জানুয়ারি ৩১, ১৯২৯) একজন জার্মান পদার্থবিজ্ঞানী যিনি নিউক্লীয় অবস্থান্তর অবস্থায় গামা রশ্মি নিয়ে গবেষণা করেছেন। তিনি ১৯৬১ সালে মার্কিন বিজ্ঞানী রবার্ট হফষ্টাটারের সাথে যৌথভাবে পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। তিনি ১৯৫৭ সালে ম্যোসবাউয়ার ক্রিয়া আবিষ্কার করেন যার জন্য তাকে নোবেল পুরস্কার প্রদান করা হয়।
জীবনী
[সম্পাদনা]ম্যোসবাউয়ার জার্মানির মিউনিখে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি পড়াশোনা করেছেন টেকনিক্যাল ইউনিভার্সটি অফ মিউনিখে (টিইউএম) অধ্যয়ন করেছেন এবং হাইন্জ মায়ার-লাইবনিজের সাথে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেছেন। হাইডেলবের্গের মাক্স প্লাংক ইনস্টিটিউট ফর মেডিকেল রিসার্চে পিএইচডি গবেষণার সময়ই তিনি বিখ্যাত ম্যোসবাউয়ার ক্রিয়া আবিষ্কার করেছিলেন।
শিক্ষকতা
[সম্পাদনা]১৯৬১ সালে ম্যোসবাউয়ার ক্যালটেকের অধ্যাপক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। মাত্র তিন বছর পরে তিনি যে প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়ন করেছেন অর্থাৎ "টিইউএম" তাকে ফিরিয়ে আনতে সমর্থ হয়। টিইউএম-এ তিনি পূর্ণ অধ্যাপক হিসেবে যোগ দেন এবং বর্তমানে সেখানকার এমিরেটাস অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত আছেন। শিক্ষকতায় তিনি বিশেষ খ্যাতি অর্জন করেছিলেন। তিনি বিভিন্ন বিষয়ে অতি উচ্চমানের লেকচার প্রদান করতেন। বিষয়গুলোর মধ্যে রয়েছে নিউট্রিনো পদার্থবিজ্ঞান, নিউট্রিনো স্পন্দন, তাড়িতচৌম্বক এবং দুর্বল বলের একীকরণ কিংবা পদার্থের সাথে নিউট্রিনো ও ফোটনের মিথস্ক্রিয়া। তিনি তার ছাত্রদের বলে থাকেন:
“ | Explain it! The most important thing is, that you are able to explain it! You will have exams, there you have to explain it. Eventually, you pass them, you get your diploma and you think, that's it! – No, the whole life is an exam, you'll have to write applications, you'll have to discuss with peers... So learn to explain it! You can train this by explaining to another student, a colleague. If they are not available, explain it to your mother – or to your cat! | ” |
নেতৃত্ব
[সম্পাদনা]১৯৭২ সাল থেকে ম্যোসবাউয়ার Institute Laue Langevin-এর পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। এই আন্তর্জাতিক নিউট্রন গবেষণা প্রতিষ্ঠানটি তার প্রচেষ্টায়ই পৃথিবীর বৃহত্ত্ম নিউট্রন গবেষণা কেন্দ্র পরিণত হয়েছিল। বর্তমানেও এটিকে পৃথিবীর বৃহত্তম হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়ে থাকে।
নোবেল পুরস্কার প্রাপ্তি
[সম্পাদনা]ম্যোসবাউয়ার মাত্র এক বছরের মধ্যে ক্যালিফোর্নিয়া ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজির গবেষণা ফেলো থেকে পদার্থবিজ্ঞানের অধ্যাপক পদে উন্নীত হয়েছিলেন। আর এই পদোন্নতির ঘটনাটি ঘটেছিল তার নোবেল পুরস্কার প্রাপ্তির বছরই অর্থাৎ ১৯৬১ সালে। পদার্থবিজ্ঞানী সম্প্রদায় বিশ্বাস করেন, ক্যালটেক চায়নি তাদের কেবল একজন গবেষণা ফেলো পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার লাভের সম্মান পাক। এ কারণেই তারা তাড়াহুড়া করে তাকে অধ্যাপক করে নেয়।
আরও দেখুন
[সম্পাদনা]তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]- ১৯২৯-এ জন্ম
- জার্মান পদার্থবিজ্ঞানী
- পরীক্ষণমূলক পদার্থবিজ্ঞানী
- নোবেল বিজয়ী পদার্থবিজ্ঞানী
- জার্মান নিউক্লীয় পদার্থবিজ্ঞানী
- জার্মান নোবেল বিজয়ী
- আলবার্ট আইনস্টাইন পদক বিজয়ী
- এলিয়ট ক্রেসন পদক বিজয়ী
- ক্যালিফোর্নিয়া ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির শিক্ষক
- ২০১১-এ মৃত্যু
- আমেরিকান ফিজিক্যাল সোসাইটির বিশিষ্ট সভ্য
- রুশ বিজ্ঞান অ্যাকাডেমির বিদেশী সদস্য