বিষয়বস্তুতে চলুন

আন্টন সাইলিঙার

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
আন্টন সাইলিঙার
জার্মান ভাস্কর ইউলিয়ান ফস-আন্ড্রেয়ে নির্মিত একটি ভাস্কর্যহাতে আন্টন সাইলিঙার
জন্ম (1945-05-20) ২০ মে ১৯৪৫ (বয়স ৭৯)
জাতীয়তাঅস্ট্রীয়
পরিচিতির কারণকোয়ান্টাম দূর-বহন
বেল পরীক্ষার পরীক্ষণসমূহ
Elitzur–Vaidman bomb tester experiment
Greenberger–Horne–Zeilinger state
GHZ experiment
Superdense coding
পুরস্কারক্লপষ্টেগ স্মারক পুরস্কার (২০০৪)
আইজাক নিউটন পদক (২০০৭)
পদার্থবিজ্ঞানের উলফ পুরস্কার (২০১০) পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার (২০২২)
বৈজ্ঞানিক কর্মজীবন
কর্মক্ষেত্রপদার্থবিজ্ঞান, কোয়ান্টাম বলবিজ্ঞান
প্রতিষ্ঠানসমূহভিয়েনা বিশ্ববিদ্যালয়
মিউনিখ প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
ভিয়েনা প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
ম্যাসাচুসেটোস ইনস্টিটিউট অভ টেকনোলজি
কোলেজ দ্য ফ্রঁস
মার্টন কলেজ, অক্সফোর্ড
ডক্টরাল উপদেষ্টাহেলমুট রাউখ
ডক্টরেট শিক্ষার্থীস্টেফানিয়ে বারৎস[][]
ফান চিয়েনওয়েই[]
Thomas Jennewein[]

আন্টন সাইলিঙার (জার্মান: Anton Zeilinger; আ-ধ্ব-ব: [ˈtsaɪlɪŋɐ]; জন্ম ২০শে মে, ১৯৪৫) একজন অস্ট্রীয় কোয়ান্টাম পদার্থবিজ্ঞানী যিনি ২০২২ সালে পদার্থবিজ্ঞানে যৌথভাবে ফরাসি পদার্থবিজ্ঞানী আলাঁ আস্পে ও মার্কিন পদার্থবিজ্ঞানী জন ক্লাউজারের সাথে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। "বিজড়িত ফোটনসমূহ নিয়ে পরীক্ষানিরীক্ষার মাধ্যমে বেল অসমতাগুলির লঙ্ঘন প্রদর্শন করা ও কোয়ান্টাম তথ্যবিজ্ঞানের অগ্রপথিকসুলভ গবেষণাকর্মের জন্য" তাঁদেরকে এই পুরস্কার প্রদান করা হয়।[]

এই তিন গবেষক অভিনব কিছু পরীক্ষার মাধ্যমে বিজড়িত অবস্থায় অবস্থিত কোয়ান্টাম কণাসমূহের বৈজ্ঞানিক অনুসন্ধান ও নিয়ন্ত্রণ করার সম্ভাব্যতা প্রদর্শন করেন। তাদের উদ্ভাবিত পরীক্ষাধর্মী সরঞ্জামগুলি কোয়ান্টাম প্রযুক্তি ক্ষেত্রে নতুন যুগের সূচনা করে। কোয়ান্টাম বিজড়িত অবস্থাতে দুইটি কণা একক একটি সংস্থান বা সমবায় হিসেবে কাজ করে ও এর ভেতরে থেকে একে অপরকে প্রভাবিত করে, যদিও এ সময় তারা পরস্পর থেকে বিশাল দূরত্বে পৃথক অবস্থানে অবস্থান করতে পারে। তাঁরা একে অপরের চেয়ে স্বাধীনভাবে কাজ করে কোয়ান্টাম বিজড়ন নামের ঘটনাটির উপর বৈজ্ঞানিক অনুসন্ধানকার্য পরিচালনা করেন ও এটি প্রদর্শনের জন্য নতুন নতুন পরীক্ষার সৃষ্টি করেন। সামষ্টিকভাবে তাদের গবেষণাকর্মগুলি আমাদের কাছে নতুন এক বিশ্বের দ্বার উন্মোচন করেছে এবং আমরা পরিমাপ নিয়ে কীভাবে চিন্তা করি, তার ভিত্তি নড়িয়ে দিয়েছে। একই সাথে তাদের গবেষণাকর্মগুলির ফলাফল কোয়ান্টাম তথ্যবিজ্ঞান ক্ষেত্রটিতে ব্যাপক অবদান রেখেছে এবং কোয়ান্টাম তথ্যের উপর ভিত্তি করে নতুন প্রযুক্তির পথ করে দিয়েছে। কোয়ান্টাম তথ্যবিজ্ঞান হল সেই বৈজ্ঞানিক ক্ষেত্র যেখানে পরিগণন (কম্পিউটিং), যোগাযোগ ও তথ্যগুপ্তিবিদ্যা বা গুপ্তলিখনবিদ্যা (ক্রিপ্টোগ্রাফি) ক্ষেত্রগুলিতে নাটকীয় অগ্রগতি অর্জনের উদ্দেশ্যে কোয়ান্টামীয় মূলনীতিগুলিকে ব্যবহার করে ব্যবহারিক যন্ত্রপাতি ও কৌশল সৃষ্টির প্রতিযোগিতা চলমান আছে। আস্পে, ক্লাউজার ও সাইলিঙারের গবেষণাকর্মগুলি ব্যবহারিক ক্ষেত্রে প্রয়োগযোগ্য এমন সব তাত্ত্বিক পদ্ধতি ও এমন সব নিষ্পত্তিকারী পরীক্ষাভিত্তিক পরিমাপ প্রদান করেছে, যেগুলি চিরায়ত বিশ্ব ও কোয়ান্টাম বিশ্বের মধ্যে বিদ্যমান পার্থক্যকে আরও সুস্পষ্ট করেছে। এগুলি দেখিয়েছে যে কোয়ান্টাম বস্তুগুলি বিজড়নের মাধ্যমে এমন উপায়ে একে অপরের সম্পর্কিত যে ব্যাপারটি চিরায়ত বস্তুতে অসম্ভব। তাদের কাজ কোয়ান্টাম পরিগণন ও কোয়ান্টাম যোগাযোগের মৌলিক ভিত্তি গঠন করেছে।[]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. Barz, Stefanie (১৫ অক্টোবর ২০১২)। "Photonic Quantum Computing"। সংগ্রহের তারিখ ১৫ অক্টোবর ২০২১ – othes.univie.ac.at-এর মাধ্যমে। 
  2. "Prof. Dr. Stefanie Barz | Institute for Functional Matter and Quantum Technologies | University of Stuttgart"www.fmq.uni-stuttgart.de। সংগ্রহের তারিখ ১৫ অক্টোবর ২০২১ 
  3. "Prof. Jian-Wei Pan"। ৪ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০ নভেম্বর ২০১৫ 
  4. Thomas Jennewein (১১ জুন ২০০২)। "Quantum Communication and Teleportation Experiments using Entangled Photon Pairs" (পিডিএফ)। ২০ নভেম্বর ২০১৫ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০ নভেম্বর ২০১৫ 
  5. "Press release: The Nobel Prize in Physics 2022"  অজানা প্যারামিটার |site= উপেক্ষা করা হয়েছে (সাহায্য)
  6. Lee Billings (৪ অক্টোবর ২০২২)। "Explorers of Quantum Entanglement Win 2022 Nobel Prize in Physics"Scientific American। সংগ্রহের তারিখ ৫ অক্টোবর ২০২২