হিদেকি ইউকাওয়া
হিদেকি ইউকাওয়া | |
---|---|
![]() | |
দেশীয় নাম | 湯川 秀樹 |
জন্ম | টোকিও, জাপান | ২৩ জানুয়ারি ১৯০৭
মৃত্যু | ৮ সেপ্টেম্বর ১৯৮১ কিয়োটো, জাপান | (বয়স ৭৪)
বাসস্থান | ![]() |
জাতীয়তা | ![]() |
কর্মক্ষেত্র | তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞান |
প্রতিষ্ঠান | ওসাকা বিশ্ববিদ্যালয় কিয়োটো বিশ্ববিদ্যালয় টোকিও বিশ্ববিদ্যালয় ইন্সটিটিউট ফর অ্যাডভান্সড স্টাডি কলাম্বিয়া ইউনিভার্সিটি |
প্রাক্তন ছাত্র | কিয়োটো বিশ্ববিদ্যালয় |
শিক্ষায়তনিক উপদেষ্টাবৃন্দ | Kajuro Tamaki |
পিএইচডি ছাত্ররা | Mendel Sachs |
যাদের দ্বারা প্রভাবান্বিত | এনরিকো ফের্মি |
উল্লেখযোগ্য পুরস্কার | ![]() ForMemRS(১৯৬৩) লোমোনোসোভ গোল্ড মেডেল (১৯৬৪) |
হিদেকি ইউকাওয়া (湯川 秀樹, জানুয়ারি ২৩, ১৯০৭ – সেপ্টেম্বর ৮, ১৯৮১) একজন জাপানী তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞানী এবং প্রথম জাপানী নোবেল পুরস্কার বিজয়ী। তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞানের একটি উল্লেখযোগ্য ক্ষেত্রে হচ্ছে মৌলিক কণা। এই কণা নিয়ে গবেষণার ক্ষেত্রে তিনি বিশেষ অবদান রাখেন। মেসন এবং পাইওন কণার আবিষ্কারে তার অবদান অনস্বীকার্য। তিনি ১৯৪৯ সালে পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন।
জীবনী[সম্পাদনা]
ইউকাওয়া জাপানের টোকিও শহরে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯২৯ সালে তিনি কিয়োটো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডিগ্রী লাভ করেন এবং এরপর ৪ বছর সে বিশ্ববিদ্যালয়েই প্রভাষক হিসেবে শিক্ষকতা করেন। স্নাতক সম্পন্ন করার পর তিনি তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞান বিশেষত মৌলিক কণার বিজ্ঞানে বিশেষ আগ্রহী হয়ে উঠেন। ১৯৩২ সালে তিনি সুমিকে বিয়ে করেন এবং তাদের সংসারে দুই সন্তানের জন্ম হয় যাদের নাম যথাক্রমে হারুমি ও তাকাকি। ১৯৩৩ সালে মাত্র ২৬ বছর বয়সে তিনি ওসাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপকের পদ পান এবং পরবর্তীকালে অধ্যাপক হিসেবে কাজ শুরু করেন।
১৯৩৫ সালে তিনি মেসন কণা বিষয়ে তার তত্ত্ব প্রকাশ করেন যাকে তিনি প্রোটন এবং নিউট্রনের মধ্যে ক্রিয়াশীল একটি কণা হিসেবে আখ্যায়িত করেন। মৌলিক কণার গবেষণার ইতিহাসে এটি একটি বিখ্যাত আবিষ্কার। ১৯৪০ সালে তিনি কিয়োটো বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মনোনীত হন। এই সালেই তিনি জাপান একাডেমির ইম্পেরিয়াল পুরস্কার লাভ করেন এবং প্রায় একই সময়ে জাপান সরকারের কাছ থেকে ডেকোরেশন অফ কালচারাল মেরিট সম্মানে ভূষিত হন। ১৯৪৯ সালে কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মনোনীত হন এবং একই সালে লাভ করেন পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার। ১৯৪৭ সালে সেসিল পাওয়েল ইউকাওয়া কর্তৃক প্রস্তাবিত পাইওন-এর অস্তিত্ব প্রমাণ করেছিলেন। এরই সূত্র ধরে তাকে নোবেল পুরস্কার দেয়া হয়। এছাড়াও ইউকাওয়া কে-ক্যাপচার বিষয়ে ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন। এক্ষেত্রে তিনি বলেছিলেন, নিউক্লিয়াসের মাধ্যমে হাইড্রোজেনের ইলেকট্রনের নিম্ন শক্তির শোষণ ঘটে।
বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]
![]() |
উইকিমিডিয়া কমন্সে হিদেকি ইউকাওয়া সংক্রান্ত মিডিয়া রয়েছে। |