বিষয়বস্তুতে চলুন

ব্রাড হাড্ডিন

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
(ব্র্যাড হাডিন থেকে পুনর্নির্দেশিত)
ব্রাড হাড্ডিন
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নাম
ব্রাডলি জেমস হাড্ডিন
জন্ম (1977-10-23) ২৩ অক্টোবর ১৯৭৭ (বয়স ৪৭)
কাউরা, নিউ সাউথ ওয়েলস, অস্ট্রেলিয়া
ডাকনামবিজে, হ্যাডস
উচ্চতা১.৮০ মিটার (৫ ফুট ১১ ইঞ্চি)
ব্যাটিংয়ের ধরনডানহাতি ব্যাট
বোলিংয়ের ধরনপ্রযোজ্য নয়
ভূমিকাউইকেট-রক্ষক
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
টেস্ট অভিষেক
(ক্যাপ ৪০০)
২২ মে ২০০৮ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ
শেষ টেস্ট৬ জানুয়ারি ২০১৫ বনাম ভারত
ওডিআই অভিষেক
(ক্যাপ ১৪৪)
৩০ জানুয়ারি ২০০১ বনাম জিম্বাবুয়ে
শেষ ওডিআই২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ বনাম নিউজিল্যান্ড
ওডিআই শার্ট নং৫৭
টি২০আই অভিষেক
(ক্যাপ ১৬)
৯ জানুয়ারি ২০০৬ বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা
শেষ টি২০আই৫ অক্টোবর ২০১৪ বনাম পাকিস্তান
ঘরোয়া দলের তথ্য
বছরদল
১৯৯৩-১৯৯৫এসিটি কমেটস
১৯৯৯-বর্তমাননিউ সাউথ ওয়েলস
২০১১-বর্তমানকলকাতা নাইট রাইডার্স
২০১১-বর্তমানসিডনি সিক্সার্স
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট ওডিআই টি২০আই এফসি
ম্যাচ সংখ্যা ৬৩ ১২০ ৩৪ ১৭৮
রানের সংখ্যা ৩,২০৭ ৩,০৭০ ৪০২ ৯,৭৯৪
ব্যাটিং গড় ৩৩.৭৫ ৩১.৩২ ১৭.৪৭ ৩৮.৫৫
১০০/৫০ ৪/১৮ ২/১৬ ০/০ ১৭/৫৬
সর্বোচ্চ রান ১৬৯ ১১০ ৪৭ ১৬৯
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ২৫১/৭ ১৫৭/১১ ১৭/৬ ৫৯২/৩৯
উৎস: Cricinfo, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৫

ব্রাডলি জেমস হাড্ডিন (ইংরেজি: Bradley James Haddin; জন্ম: ২৩ অক্টোবর, ১৯৭৭) নিউ সাউথ ওয়েলসের কাউরা এলাকায় জন্মগ্রহণকারী অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটারঅস্ট্রেলিয়া জাতীয় ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য হিসেবে ব্যাটসম্যান এবং উইকেট-রক্ষকের ভূমিকা পালন করছেন। পাশাপাশি দলে সহ-অধিনায়কেরও দায়িত্ব পালন করছেন তিনি।

প্রারম্ভিক জীবন

[সম্পাদনা]

১৯৮৯ সালে হাড্ডিনের পরিবার কুইয়ানবিয়ানে স্থানান্তরিত হয়, তখন তার বয়স ছিল ১২ বছর। এরপর সেখানে তিনি ১৫ বছর বয়সী জুনিয়রদের কুইয়ানবিয়ান ডিস্ট্রিক্ট ক্রিকেট ক্লাবের হয়ে খেলেন। ১৬ বছর বয়সে অস্ট্রেলিয়ান ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি গ্রেড ক্রিকেট ক্লাবের ১ম গ্রেডের প্রতিনিধিত্ব করেন।[]

২৬ সেপ্টেম্বর, ২০১২ তারিখে শেফিল্ড শীল্ডে তাসমানিয়ার বিপক্ষে শতক হাঁকান।[]

খেলোয়াড়ী জীবন

[সম্পাদনা]

সমগ্র ক্রীড়া জীবনের অধিকাংশ সময়ই তিনি অস্ট্রেলিয়া এ দলের উইকেট-রক্ষকের ভূমিকায় ছিলেন। তিনি মূল দলের উইকেট-রক্ষক অ্যাডাম গিলক্রিস্টের আঘাতপ্রাপ্তি কিংবা বিশ্রামের বিপরীতে খসড়া উইকেট-রক্ষকের তালিকায় ছিলেন। ৩০ জানুয়ারি, ২০০১ তারিখে জিম্বাবুয়ে দলের বিপক্ষে হোবার্টে হাড্ডিনের ওডিআই অভিষেক ঘটে। ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০০৬ তারিখে কুয়ালালামপুরে ডিএলএফ কাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে অস্ট্রেলীয় অধিনায়ক মাইক হাসি ও তিনি ১৬৫ রানের জুটি গড়েন। ৬ষ্ঠ উইকেট জুটিতে এ রানটি তৎকালীন সময়ের একদিনের আন্তর্জাতিকে বিশ্বরেকর্ড হিসেবে স্বীকৃত ছিল।[] ২০০৮ সালের শুরুতে ক্রিকেট জীবন থেকে গিলক্রিস্টের অবসর নেয়ার পর ২২ মে জ্যামাইকার কিংস্টনে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে ৪০০তম অস্ট্রেলীয় টেস্ট ক্রিকেটার হিসেবে অভিষেক ঘটে হাড্ডিনের।[] ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ সালে পার্থে অনুষ্ঠিত ওডিআইয়ে নিল ব্রুমের আউটের সাথে বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন। ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ তারিখে হাড্ডিন টুয়েন্টি২০ ক্রিকেটে অস্ট্রেলিয়ার ভারপ্রাপ্ত অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেন। রিকি পন্টিংয়ের বিশ্রাম ও মাইকেল ক্লার্কের আঘাতপ্রাপ্তির কারণে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তার এ দায়িত্ব গ্রহণ।

৯ মার্চ, ২০১০ তারিখে অনুষ্ঠিত ২০০৯-১০ মৌসুমের চ্যাপেল-হ্যাডলি একদিনের আন্তর্জাতিক সিরিজের তৃতীয় খেলায় তিনি নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে শতক হাঁকান।[] কিন্তু কনুইয়ের আঘাতপ্রাপ্তির কারণে ২০১০ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে খেলতে পারেননি। মার্চে অনুষ্ঠিত নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে শতক করে পুনরায় নিজের সামর্থ্যতা প্রমাণ করেন।[]

২০১০-১১ মৌসুমের অ্যাশেজ সিরিজে ব্রিসবেনের গাব্বায় ১৩৬ রান করে তৃতীয় শতক করেন যা দলকে ইনিংসে এগিয়ে নিতে সহায়তা করে। সিরিজে তিনি ৪৫.০০ গড়ে ৩৬০ রান করেন। জানুয়ারি, ২০১১ সালে টুয়েন্টি২০ সিরিজে টিম পেইনকে অন্তর্ভুক্ত করা হয় যা হাড্ডিনের ভাষায় বিভ্রান্তিকর।[] ওডিআই ও টেস্টে আরো মনোযোগী হতে সেপ্টেম্বর, ২০১১ সালে টুয়েন্টি২০ আন্তর্জাতিক থেকে অবসর নেন।[] ২০১১ এর ঘরোয়া মৌসুমে দূর্বল খেলা প্রদর্শন করায় জানুয়ারি, ২০১২ সালে একদিনের আন্তর্জাতিক দল থেকে বাদ পড়েন।[] তারপরও তিনি টেস্ট ক্রিকেটে অস্ট্রেলিয়ার শীর্ষস্থানীয় উইকেট-রক্ষক হিসেবে মূল্যায়িত হন। কিন্তু উদীয়মান ম্যাথু ওয়াদের কাছ থেকে তার আসনচ্যুতির সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে।

ক্রিকেট বিশ্বকাপ

[সম্পাদনা]

২০১৫ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের লক্ষ্যে ১১ জানুয়ারি, ২০১৫ তারিখে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া কর্তৃপক্ষ হাড্ডিন-সহ অস্ট্রেলিয়া দলের ১৫-সদস্যের চূড়ান্ত তালিকা জনসমক্ষে প্রকাশ করে।[১০] গ্রুপ পর্বের তৃতীয় খেলায় সহঃ স্বাগতিক দল নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে বীরত্বপূর্ণ ৪১ বলে ৪৩ রান সংগ্রহ করে দলকে ১৫১ রানে নিয়ে যান ও সর্বশেষ আউট হন। খেলায় তার দল মিচেল স্টার্কের ৬/২৮ স্বত্ত্বেও ১ উইকেটে হেরে যায়।

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. Haddin to Lead PM's XI Cricket Australia 18 Jan 2012 http://www.cricket.com.au/news/news-archive/2012/1/18/pm-xi-team-2012 ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১৪ অক্টোবর ২০১৩ তারিখে
  2. "2nd Match: New South Wales v Tasmania at Sydney, Sep 26-29, 2012 | Cricket Scorecard"। ESPN Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-০৮-০৯ 
  3. "Highest Partnership for Each Wicket in ODIs"CricketArchive। ১১ জানুয়ারি ২০০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ অক্টোবর ২০০৬ 
  4. "Scorecard: 1st Test: West Indies v Australia at Kingston, May 22–26, 2008"। Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ১৩ মার্চ ২০১০ 
  5. "Scorecard: 3rd ODI: New Zealand v Australia at Hamilton, 9 March 2010"। Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ১৩ মার্চ ২০১০ 
  6. "Injury forces Haddin out of England ODIs"। Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ১৪ জুলাই ২০১০ 
  7. "Haddin 'confused' by T20 axe"Sky Sports। ১০ জানুয়ারি ২০১১। সংগ্রহের তারিখ ২৮ জানুয়ারি ২০১২ 
  8. "Brad Haddin's retirement from international Twenty20 opens the door for Tasmania's Tim Paine | Australia Cricket, Live Cricket, Cricket Scores"। Fox Sports। ২০১১-০৯-২২। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-০৮-০৯ 
  9. "Welcome to FOX Sports"। Espnstar.com। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-০৮-০৯ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  10. "Clarke named in World Cup squad"। ১৪ জানুয়ারি ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১১ জানুয়ারি ২০১৫ 

আরও দেখুন

[সম্পাদনা]