ব্যবহারকারী:Great Hero32/খেলাঘর

স্থানাঙ্ক: ২২°৩০′৩১″ উত্তর ৯১°৪৮′২৭″ পূর্ব / ২২.৫০৮৫° উত্তর ৯১.৮০৭৫° পূর্ব / 22.5085; 91.8075
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

সান্তাহার[সম্পাদনা]

সান্তাহার
পূর্বনাম :সুলতানপুর
পৌরশহর
সান্তাহার বাংলাদেশ-এ অবস্থিত
সান্তাহার
সান্তাহার
বাংলাদেশে সান্তাহার শহরের অবস্থান
স্থানাঙ্ক: ২৪°৪৬′৩৮″ উত্তর ৮৮°৫৯′৩৭″ পূর্ব / ২৪.৭৭৭২৫১° উত্তর ৮৮.৯৯৩৬২১° পূর্ব / 24.777251; 88.993621
দেশ বাংলাদেশ
বিভাগরাজশাহী বিভাগ
জেলাবগুড়া জেলা
উপজেলাআদমদীঘি উপজেলা
সরকার
 • ধরনপৌরসভা
 • শাসকসান্তাহার পৌরসভা
 • পৌর মেয়রমো: তোফাজ্জল হোসেন (ভুট্টু) [২]
জনসংখ্যা (২০১১)
 • মোট৩৬,৮৬০ [১]
সময় অঞ্চলবিএসটি (ইউটিসি+৬)
পোস্ট কোড৩৯১০
কলিং কোড+৮৮০

নামকরণ[সম্পাদনা]

বর্তমানে এ শহরের সান্তাহার নামে পরিচিত হলেও এর পূর্ব নাম সুলতানপুর। মূলত তখন এটি রাজশাহী জেলার অন্তর্গত ছিলো। ব্রিটিশরা তখন এ অঞ্চলে রেলযোগাযোগ সম্প্রসারণের উদ্যেগ নেয়। যে মৌজাটির উপর রেল স্টেশন তৈরি করা হয় তা ছিল সাঁতাহার মৌজা। সান্তাহার রেল জংশন স্টেশনের সরকারি কোড STU। সে সময় আদমদীঘি থানাধীন সুলতানপুর বাজার (বর্তমানে নওগাঁ জেলার সদর থানাধীন) অত্র এলাকার বিখ্যাত ও প্রসিদ্ধ বাজার হিসেবে গড়ে উঠায় অত্র রেল স্টেশনের নাম সুলতানপুর রাখা হয়। সে হিসাবে SULTANPUR ইংরেজি নাম হতে S T U নিয়ে সান্তাহার রেলওয়ে জংশন স্টেশনের কোড STU নির্ধারণ করা হয়। যা এখন পর্যন্ত বহাল আছে। এই জংশন স্টেশনটি সাঁতাহার মৌজার মধ্যে প্রতিষ্ঠিত হওয়ায় স্থানীভাবে সাঁতাহার নামই পরিচিত হতে থাকে। তৎকালীন অধিকাংশ অফিসার ইংরেজী বা অন্য ভাষাভাষী হবার কারনে, তারা ইংরেজী তে সাঁতাহার লিখতে গিয়ে চন্দ্রবিন্দু থাকার কারণে(সাঁ – San তা- Ta হার -Har) সান্তাহার বানিয়ে ফেললেন। বাংলা ভাষা ব্যবহারের ক্ষেত্রে যে কোন শব্দের সঙ্গে চন্দ্রবিন্দু থাকার কারণে ইংরেজি বানানের সময় চন্দ্রবিন্দু এর স্থলে ইংরেজী বর্ণ N ব্যবহারের নিয়ম রয়েছে। তাই বাংলা সাঁতাহার এর ইংরেজি অপভ্রংশ Santahar নামটি অধিক ব্যবহারের কারণে সান্তাহার নামটি ব্যাপকভাবে পরিচিতি লাভ করে।সাঁতাহারের ইংরেজি বানান Santahar কালক্রমে ব্যাপকভাবে সান্তাহার নামে পরিচিতি হওয়ায় সুলতানপুর নামটি বিলুপ্ত হয়। ১৯৪৭ খ্রিষ্টাব্দে বৃটিশ উপনিবেশ শেষ হলে সুলতানপুর নামটি পুরোপুরি বিলুপ্ত হয় এবং সরকারিভাবে সান্তাহার নামটি ব্যবহার শুরু হয়। তবে সান্তাহার রেল স্টেশনের কোড STU রয়ে যায়। [৩]

ইতিহাস[সম্পাদনা]

১৮০০ খ্রিঃ শেষ ভাগে ভারতীয় উপমহাদেশে যে সামাণ্য কয়েকটি শহর দ্রুত আধুনিক হয়ে ওঠে সান্তাহার তার মধ্যে অন্যতম। সান্তাহার একটি রেল প্রসিদ্ধ শহর। ইষ্ট ইন্ডিয়া কোস্পানির ভাইসরয় লর্ড ডালহৌসি আসার পর থেকে এ অঞ্চলে রেল সম্প্রসারনের কাজ শুরু হয়। ভারতীয় উপমহাদেশে রেল সম্প্রসারনের জন্য বৃটিশ সরকারের পদক্ষেপে ১৮৫০ এর দিকে প্রথম খুলনা এলাকায় প্রথম কাজ শুরু করলেও মাটির কারণে তা ব্যার্থ হয়। পরবর্তিতে রাণী ভবানীর প্রচেষ্টায় ১৮৭৮ সালে ইস্টার্ন স্টেট কোম্পানি নাটোর – পার্বতীপুর রেললাইন বসানোর কাজ শুরু কর। অভিজ্ঞ বৃটিশরা তখন যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম নদীপথের সংযোগ শহর সুলতানপুরকে(সান্তাহারের পূর্বনাম) বেছে নেয়। যমুনা ও রক্তদহের তীরে এই শহরটিকে তারা স্টেশন স্থাপনের সিদ্ধান্ত গ্রহন করে। অধুনা উত্তরবঙ্গের সঙ্গে ঢাকা ও খুলনার রেল যোগাযোগ সান্তাহারের উপর দিয়ে হয়। তৎকালীন অবিভক্ত ভারত বর্ষে সান্তাহার থেকে ভারত তথা কলকাতা, দার্জিলিংসহ ভারতের বিভিন্ন শহরে দার্জিলিং মেইল নামে খ্যাত রেলগাড়ির মাধ্যমে যাত্রা করা যেত। সান্তাহার রেলপ্রসিদ্ধ শহর বিধায় পাকিস্তান আমলে তৎকালীন পাকিস্তান সরকার সান্তাহারে বিহারীদের সান্তাহারে পূর্ণবাসন করে। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের বহু স্মৃতিবিজড়িত এ শহর। সান্তাহারের মুক্তিযোদ্ধারা ও আপামর জনগণ মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করে। ১৯৭১ সালে প্রায় ২৫ হাজার বিহারির বসবাস ছিল এই শহরে। নানা রকম অত্যাচার করতো তারা বাঙালীদের ওপর। ১৯৭১ সালে মুত্তিযুদ্ধ শুরুর প্রক্কালে বিহারিরা পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী বাঙালী নিধন কার্যক্রম শুরু করে। শেষ পযর্ন্ত তাদের হত্যাযজ্ঞের ভয়ে ভীত না হয়ে ঘুরে দাঁড়ায় বাঙালীরা। প্রান যায় উভয় পক্ষের লোকজনের। মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে পাকবাহিনী সান্তাহারে বিহারি হত্যা কান্ডের প্রতিশোধ হিসাবে ব্যাপক হত্যাযজ্ঞ সংগঠিত করে। প্রান যায় সান্তাহারে অনেক হিন্দু, মুসলমান সহ নানা ধর্মের মানুষের। মহান মুক্তিযুদ্ধে নিহত শহীদদের জন্য ২০১৫ সান্তাহারে একটি স্মৃতিস্তম্ভ নির্মিত হয়। অনেক স্মৃতি বিজরিত সান্তাহার শহরে রেলওয়ে লেভেল ক্রসিংয়ের ভিতর ’ঠক্কর’ নামক স্থানে স্বাধীনতা স্বৃতিস্তম্ভ নির্মানের জন্য স্থান নির্ধারন হয়। [৪] [৫]

ভৌগোলিক উপাত্ত[সম্পাদনা]

শহরটির অবস্থানের অক্ষাংশ ও দ্রাঘিমাংশ হল ২৪°৪৬′৩৮″ উত্তর ৮৮°৫৯′৩৭″ পূর্ব / ২৪.৭৭৭২৫১° উত্তর ৮৮.৯৯৩৬২১° পূর্ব / 24.777251; 88.993621। সমুদ্র সমতল থেকে শহরটির উচ্চতা ১৪ মিটার

প্রশাসন[সম্পাদনা]

বাংলাদেশের অন্যান্য শহরগুলোর মতো সান্তাহারও সান্তাহার পৌরসভা নামক একটি পৌরসভা দ্বারা পরিচালিত হয় যা মূলত একটি স্থানীয় সরকার সংস্থা। 'ক' শ্রেণীভুক্ত এ পৌরসভাটি বর্তমানে সান্তাহার শহরকে ৯টি ওয়ার্ডে এবং সেগুলোকে পুনরায় ৩৫ টি মহল্লায় বিভক্ত করে এ শহরের নাগরিকদের পৌরসেবা ও পরিচালনা করছে।[৬]

জনসংখ্যা[সম্পাদনা]

বাংলাদেশের আদমশুমারি ও গৃহগণনা-২০১১ অনুযায়ী সান্তাহার শহরের মোট জনসংখ্যা ৩৬,৮৬০ জন যার মধ্যে ১৮৮১৩ জন পুরুষ এবং ১৮৪০৭ জন নারী। এ শহরের পুরুষ এবং নারী অনুপাত ১০৪:১০০। [৭]

যোগাযোগ[সম্পাদনা]

সান্তাহার একটি রেল যোগাযোগের জন্য প্রসিদ্ধ একটি শহর। অধুনা উত্তরবঙ্গের সাথে ঢাকাখুলনার রেল যোগাযোগ সান্তাহারের উপর দিয়ে হয়ে থাকে। তৎকালীন অবিভক্ত ভারত বর্ষে সান্তাহার থেকে ভারত তথা কলিকাতা, দার্জিলিং সহ ভারতের বিভিন্ন শহরে যোগাযোগ করা যেত। সড়ক যোগাযোগের ক্ষেত্রেও সান্তাহার একটি গুরুত্বপূর্ণ শহর। নওগাঁ জেলা ও আশেপাশের সকল এলাকার সড়ক যোগাযোগ সান্তাহারের মাধ্যমেই হয়ে থাকে। সিএনজি, বাস, রিকশা প্রধান যানবাহন।

শিক্ষা[সম্পাদনা]

সান্তাহার শহরের স্বাক্ষরতার হার শতকরা ৬২ ভাগ। এ শহরের উল্লেখযোগ্য কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হল: প্রাথমিক বিদ্যালয়:

  • বশিপুর সরকারি বিদ্যালয়
  • পৌঁওতা সরকারি বিদ্যালয়
  • পৌর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়
  • এস, এম, আই, একাডেমী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়
  • বি,পি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়
  • হার্ভে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়
  • কলসা আহসান উল্লাহ্ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়
  • মালশন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়
  • তারাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়

সরকারি কলেজ:

  • সান্তাহার সরকারি কলেজ, সান্তাহার, বগুড়া।[৮]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

বিষয়শ্রেণী:বাংলাদেশের শহর বিষয়শ্রেণী:রাজশাহী বিভাগের জনবহুল স্থান

রেলওয়ে শহর[সম্পাদনা]

কাজান্ধজিক, তুর্কমেনিস্তান এ অবস্থিত। এই শহরটির উৎপত্তি ১৮৮৫ সালে নির্মিত একটি রেলওয়ে স্টেশন থেকে হয়েছিল। শহরটি এখন পুরনো ট্রান্স-ক্যাস্পিয়ান রেলপথ এবং নতুন উত্তর-দক্ষিণ ট্রান্সন্যাশনাল রেলওয়ে এর গুরুত্বপূর্ণ সংযোগ স্থল

রেলওয়ে শহর বা রেলপথ শহর হল এমন একটি জনপদ যা একটি রেলস্টেশন বা জংশন এর কারণে গড়ে উঠেছিল বা ব্যাপকভাবে বিকশিত হয়েছিল।

চর ফ্যাশন[সম্পাদনা]

চরফ্যাশন
পৌরশহর
চরফ্যাশন বাংলাদেশ-এ অবস্থিত
চরফ্যাশন
চরফ্যাশন
বাংলাদেশে চরফ্যাশন শহরের অবস্থান
স্থানাঙ্ক: ২২°১১′৫৯″ উত্তর ৯০°৪৩′৩৪″ পূর্ব / ২২.১৯৯৮০০° উত্তর ৯০.৭২৬১৮৯° পূর্ব / 22.199800; 90.726189{{#coordinates:}}: প্রতি পাতায় একাধিক প্রাথমিক ট্যাগ থাকতে পারবে না
দেশ বাংলাদেশ
বিভাগবরিশাল বিভাগ
জেলাভোলা জেলা
উপজেলাচরফ্যাশন উপজেলা
সরকার
 • ধরনপৌরসভা
 • শাসকচরফ্যাশন পৌরসভা
 • পৌর মেয়রআঃ ছালাম [১০]
আয়তন
 • মোট৩৮.৭৬ বর্গকিমি (১৪.৯৭ বর্গমাইল)
জনসংখ্যা (২০১১)
 • মোট৪২,৯১৫ [৯]
সময় অঞ্চলবিএসটি (ইউটিসি+৬)
পোস্ট কোড৩৯১০
কলিং কোড+৮৮০

নামকরণ[সম্পাদনা]

এ শহরটি মূলত চরফ্যাশন বাজার নামক একটি বাজারকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে। চরফ্যাশন পূর্বে কখনো নোয়াখালী , কখনো বরিশাল আবার কখনো বা পটুয়াখালীর গলাচিপার সাথে সংযুক্ত ছিল। বর্তমানে চরফ্যাশন এর ভৌগলিক অবস্থান পূর্বে এমন ছিল না। এ অঞ্চল ছিল অসংখ্য ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র চরের সমন্বিত একটি এলাকা। তৎকালীন বরিশালের জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট এইচ.জে.এইচ ফ্যাশন সাহেব ১৮৮৫-৮৭ সালের দিকে প্রশাসনিক ভাবে এ অঞ্চলের চরগুলির প্রতি দৃষ্টি দেন এবং এলাকার প্রান কেন্দ্র বর্তমান চরফ্যাশন বাজারটি গঠন করেন। মি. ডোনাবানের পরিকল্পনা অনুসারে প্রস্তাবিত এ বাজারের নাম রাখা হয় চরফ্যাশন বাজার। পরবর্তীতে এলাকার একমাত্র প্রানকেন্দ্র চরফ্যাশন বাজারের নাম অনুসারে গোটা এলাকার নাম করন করা হয় চরফ্যাশন। [১১]

ইতিহাস[সম্পাদনা]

১৮৮৫ সালে ভাসমান চরের কিছু অংশ চাষাবাদের যোগ্য হয়ে উঠে। তারপর থেকেই ধীরে ধীরে শুরু হয় জনবসতি, গড়ে উঠে জনপদ। এরপর তৎকালীন জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ‘জি ফ্যাশন’ এর নামানুসারে চরফ্যাশন উপজেলা নামকরণ করা হয়। ১৯০০ সালে অভয় চন্দ্র সেন নামক এক ডেপুটি কালেক্টর আসেন। চরাঞ্চল হওয়ায় তখন মানুষের এ স্থানে বসবাসের প্রতি অনীহার কারণে মানুষের মধ্যে জোরপূর্বক জমি বিতরণ করা হতো। যাকে ডেকে নিয়ে জমি দিয়েছেন সে অঢেল সম্পত্তির মালিক হলেন, আর যে কালেক্টরের নিকট যাওয়াকে ভয় পেয়েছেন তিনি সম্পত্তির মালিক থেকে বঞ্চিত ছিলেন। ১৯২০ সালে চরফ্যাসন বাজার গড়ে উঠে। ১৯৪৮ সালে ভোলা থেকে চরফ্যাশনের সড়ক পথের রাস্তা সম্প্রসারিত হয়। বাজারে সর্বপ্রথম আঃ সোবহান মুন্সীর হোটেল ছিল। তার পর সেখানে ঢাকা হোটেল নামক একটি হোটেল ছিল। বর্তমানে ওই স্থানে ক্যাফে জুয়েল হোটেল ও কামরুল ডিজিটাল ষ্টুডিও রয়েছে। দু‘টি আলিয়া মাদ্রাসা ও একটি সরকারি কলেজসহ ১০টি কলেজসহ অনেক স্কুল-মাদ্রাসা রয়েছে। [১২]

ভৌগোলিক উপাত্ত[সম্পাদনা]

শহরটির অবস্থানের অক্ষাংশ ও দ্রাঘিমাংশ হল ২২°১১′৫৯″ উত্তর ৯০°৪৩′৩৪″ পূর্ব / ২২.১৯৯৮০০° উত্তর ৯০.৭২৬১৮৯° পূর্ব / 22.199800; 90.726189। সমুদ্র সমতল থেকে শহরটির উচ্চতা ৮ মিটার

জনসংখ্যা[সম্পাদনা]

বাংলাদেশের আদমশুমারি ও গৃহগণনা-২০১১ অনুযায়ী সান্তাহার শহরের মোট জনসংখ্যা ৪২,৯১৫ জন যার মধ্যে ২১,৮০৭ জন পুরুষ এবং ২১,১০৮ জন নারী। এ শহরের পুরুষ এবং নারী অনুপাত ১০৩:১০০। [৭]

প্রশাসন[সম্পাদনা]

এ শহরটি চরফ্যাশন পৌরসভা নামক একটি স্থানীয় সরকার সংস্থা(পৌরসভা) দ্বারা পরিচালিত হয় যা ৯টি ওয়ার্ড এবং ৯টি মহল্লায় বিভক্ত। ৩৮.৭৬ বর্গ কি.মি. আয়তনের ছাগলনাইয়া শহরের ১৯ বর্গ কি.মি. চরফ্যাশন পৌরসভা দ্বারা শাসিত হয়। এ পৌর শহরের নাগরিকদের পৌরসেবা ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা প্রদান করাই এ সংস্থার কাজ। [১৩]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

বিষয়শ্রেণী:বাংলাদেশের শহর বিষয়শ্রেণী:বরিশাল বিভাগের জনবহুল স্থান

ভোলা[সম্পাদনা]

ভোলা
পূর্বনাম :দক্ষিণ শাহবাজপুর
শহর
ভোলা বাংলাদেশ-এ অবস্থিত
ভোলা
ভোলা
বাংলাদেশে ভোলা শহরের অবস্থান
স্থানাঙ্ক: ২২°৪১′০৯″ উত্তর ৯০°৩৮′৪৬″ পূর্ব / ২২.৬৮৫৯০০° উত্তর ৯০.৬৪৬১১৯° পূর্ব / 22.685900; 90.646119{{#coordinates:}}: প্রতি পাতায় একাধিক প্রাথমিক ট্যাগ থাকতে পারবে না
দেশ বাংলাদেশ
বিভাগঢাকা বিভাগ
জেলাভোলা জেলা
উপজেলাভোলা সদর উপজেলা
সরকার
 • ধরনপৌরসভা
 • শাসকভোলা পৌরসভা
আয়তন
 • মোট৪৫.৪০ বর্গকিমি (১৭.৫৩ বর্গমাইল)
জনসংখ্যা
 • মোট৮৭,২৪৩
 • জনঘনত্ব১,৯০০/বর্গকিমি (৫,০০০/বর্গমাইল)
সময় অঞ্চলবাংলাদেশ সময় (ইউটিসি+৬)


ভোলা বাংলাদেশের বরিশাল বিভাগের ভোলা জেলার সদরদপ্তর ও জেলা শহর। ভোলা শহর ঢাকা থেকে নদী পথে দূরত্ব ১৯৫ কি.মি.। কালিগঙ্গা নদীর তীরে অবস্থিত। মানিকগঞ্জ শহর ভোলা সদর উপজেলারও প্রশাসনিক সদরদপ্তর। ৪৫.৪০ বর্গকিলোমিটার আয়তন এবং ৭১,৬৯৮ জন জনসংখ্যা বিশিষ্ট শহরটি ভোলা পৌরসভা দ্বারা শাসিত হয়। শহরটি নদীপথেই মূলত অন্যান্য অঞ্চলের সাথে যুক্ত।

নামকরণ[সম্পাদনা]

ভোলার আদি নাম ছিল দক্ষিণ শাহবাজপুর। ভোলার নামকরণের পেছনে স্থানীয়ভাবে একটি কাহিনী প্রচলিত আছে । ভোলা শহরের মধ্য দিয়ে বয়ে গিয়েছে বেতুয়া নামক একটি খাল। খালটি এখনকার মত এত অপ্রশস্ত ছিলনা । একসময় এটা প্রশস্ত ছিল যে খালটি পরিচিত ছিল বেতুয়া নদী নামে। খেয়া নৌকার সাহায্যে নদীতে পারাপার করা হতো। ভোলা গাজি পাটনি নামে এক বৃদ্ধ মাঝি খেয়া নৌকার নৌকার সাহায্যে লোকজনকে পারাপারের কাজ করতো। বর্তমান যোগীর ঘোলের কাছেই তার আস্তানা ছিল । এই ভোলা গাজির নামানুসারেই একসময় এ অঞ্চলের নামকরণ হয় ভোলা । [১৪]

ইতিহাস[সম্পাদনা]

এলাকার প্রাকৃতিক ও অন্যান্য প্রাচুর্যে প্রলুব্ধ হয়ে একের পর এক বিদেশী শাসক ও পর্তুগীজ জলদস্যুরা এসেছে এখানে। ১৫০০ সালে, পর্তুগিজ এবং মগ জলদস্যুরা এই দ্বীপে তাদের ঘাঁটি স্থাপন করে। ১৫১৭ সালে জন ডি সিলবেরা নামক জনৈক পর্তুগীজ জলদস্যু দ্বীপটি দখল করে। পর্তুগীজদের রেখে যাওয়া ভীম দর্শন কিছু রোমশ কুকুর আজও দক্ষিণাঞ্চলের মানুষকে সেসব লোমহর্ষক অত্যাচারের কাহীনি স্মরণ করিয়ে দেয়। বলা বাহুল্য মনপুরা ছিল এদের দস্যুবৃত্তির লীলাক্ষেত্র। আরাকান ও মগ জলদস্যুরা শাহবাজপুরের দক্ষিণ অংশেও তাদের ঘাঁটি স্থাপন করেছিল। এছাড়াও আরাকানের বর্গি ও মগরা দক্ষিণ শাহবাজপুরসহ আশেপাশের দ্বীপকে ঘাটি বানিয়ে লুটপাট চালিয়ে এ অঞ্চলের সাধারণ মানুষের মনে ভীতি সৃষ্টি করে রাখত। এরই প্রেক্ষাপটে সম্ভবত রচিত হয়েছিল -

 ‘‘খোকা ঘুমালো পাড়া জুড়ালো বর্গি এলো দেশে, বুলবুলিতে ধান খেয়েছে, খাজনা দিব কিসে ?

ধান ফুরালো পান ফুরালো খাজনার উপায় কি ? আর কটা দিন সবুর কর রসূন বুনেছি’’-

বর্তমানে প্রশাসনিকভাবে ভোলা শহর ভোলা জেলার প্রশাসনিক দপ্তর এবং সর্ববৃহৎ শহর। এর পূর্বের নাম ছিল দক্ষিণ শাহবাজপুর। ১৮২২ অবধি শাহবাজপুর তৎকালীন বাকেরগঞ্জ জেলার একটি অংশ ছিল। ঊনিশ শতকের গোড়ার দিকে মেঘনা নদীর সম্প্রপ্রসারণের কারণে জেলা সদর থেকে দক্ষিণ শাহবাজপুরের সাথে সংযোগ স্থাপন করা কঠিন হয়ে পড়ে। এরপরে সরকার দক্ষিণ শাহবাজপুর এবং হাতিয়াকে নোয়াখালী জেলার অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেয়। ১৮৪৫ সালে ভোলা নোয়াখালী জেলার অধীনে মহকুমা হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছিল। তখন এর প্রশাসনিক কেন্দ্র ছিল বর্তমান দৌলতখান। পরবর্তীতে ১৮৬৯ সালে ভোলা মহকুমা বৃহত্তর বরিশাল জেলার মহকুমায় উন্নীত হয় এবং ১৮৭৬ সালে এর সদর দপ্তর দৌলতখান হতে ভোলা শহরে স্থানান্তরিত করা হয়। মূলত তখন হতেই ভোলা শহরাঞ্চল হিসেবে গড়ে উঠতে থাকে। ১৯৮৪ সালে ভোলা মহকুমা স্বতন্ত্র জেলা হিসেবে উন্নীত হয় এবং ভোলা জেলা শহর হিসেবে মর্যাদা পায়। এলাকার কিংবদন্তী, মসজিদ মন্দিরের স্থাপত্য ও নানা ঐতিহাসিক নিদর্শণ বিশ্লেষণ করলে অনুমিত হয় এ জনপদ মাত্র ৭/৮ শত বছর আগে সভ্যতার আলোকপ্রাপ্ত হয়েছে। মহারাজা কন্দর্প নারায়ণের কণ্যা বিদ্যাসুন্দরী ও কমলা রাণীর দিঘির ইতিহাস এ অঞ্চলের লোক সংস্কৃতির একটি অংশ। এ দিঘির কাহিনী নিয়ে সুদুর তামিলনাড়ুর নিম্নাঞ্চলে এখনও গান পরিবেশিত হয়। [১৫]

[১৬] পরবর্তীতে ১৯২০ সালে এবং পুনরায় ১৯৭২ সালে শহর পরিচালনার উদ্দেশ্যে ভোলা পৌরসভা গঠিত হলে ভোলা পৌরশহরের মর্যাদা লাভ করে।

ভূগোল[সম্পাদনা]

ভোলা বাংলাদেশের বৃহত্তম প্রাচীন গাঙ্গেয় ব-দ্বীপ এবং একমাত্র দ্বীপ জেলা। জে. সি. জ্যাক তার "Bakerganj Gazetier" এ বর্ণনা করেছেন যে দ্বীপটি ১২৩৫ সালে তৈরি হওয়া শুরু হয়েছিল এবং ১৩০০ সালে এই অঞ্চলে চাষাবাদ শুরু হয়। হিমালয় থেকে নেমে আসা ৩টি প্রধান নদী পদ্মা, মেঘনা ও ব্রহ্মপুত্র বাহিত পলি দিয়ে মোহনায় গড়ে উঠেছে এ দ্বীপ। সমুদ্র সমতল থেকে এর গড় উচ্চতা ১২ ফুটের মতো। নৃ-তত্ত্ব ও ভূ-তত্ত্ববিদরা মনে করেন ‘‘পূর্ব দিকে মেঘনা ও পশ্চিম দিকে তেঁতুলিয়া নদী বঙ্গোপসাগরের মোহনায় এসে গতিবেগ হারিয়ে ফেলে। ফলে এ স্থানটিতে কালক্রমে পলিমাটি জমা হয়ে আজকের ভোলা নামক দ্বীপটির জন্ম।’’ মেঘনা, তেঁতুলিয়া বিধৌত বঙ্গোপসাগরের উপকুলে জেগে ওঠা এ ভূখন্ডের প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো যেদিকে চোখ যায় সব দিকে শুধু সমতল ভূমি।  ফসলের দোলায়মান দিগন্ত বিস্তৃত মাঠ, হরেক রকমের গাছ-গাছালী, পাখীর কুজন, বারমাসী ফলমূল সত্যিই উল্লেখযোগ্য। নৈস্বর্গিক দ্বীপ ভোলায় মূল্যবান প্রাকৃতিক ও খনিজ সম্পদে ভরপুর।

ভৌগোলিক উপাত্ত[সম্পাদনা]

শহরটির অবস্থানের অক্ষাংশ ও দ্রাঘিমাংশ হল ২২°৪১′০৯″ উত্তর ৯০°৩৮′৪৬″ পূর্ব / ২২.৬৮৫৯০০° উত্তর ৯০.৬৪৬১১৯° পূর্ব / 22.685900; 90.646119। যেহেতু শহরটি মূলত একটি দ্বীপে অবস্থিত তাই সমুদ্র সমতল থেকে শহরটির গড় উচ্চতা ১ মিটার

জনসংখ্যা[সম্পাদনা]

বাংলাদেশের আদমশুমারি ও গৃহগণনা-২০১১ অনুযায়ী সান্তাহার শহরের মোট জনসংখ্যা ৮৭,২৪৩ জন যার মধ্যে ৪৪,০১৫ জন পুরুষ এবং ৪৩,২২৮ জন নারী। এ শহরের পুরুষ এবং নারী অনুপাত ১০২:১০০। [৭]

প্রশাসন[সম্পাদনা]

এ শহরটি ভোলা পৌরসভা নামক একটি স্থানীয় সরকার সংস্থা(পৌরসভা) দ্বারা পরিচালিত হয় যা ৯টি ওয়ার্ড এবং ১৯টি মহল্লায় বিভক্ত। ৪৫.৪০ বর্গ কি.মি. আয়তনের ভোলা শহরের ২২.৬৬ বর্গ কি.মি. ভোলা পৌরসভা দ্বারা শাসিত হয়। এ পৌর শহরের নাগরিকদের পৌরসেবা ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা প্রদান করাই এ সংস্থার কাজ। [১৭]

সংস্কৃতি[সম্পাদনা]

ভোলা একটি বৃহত্তম গাঙ্গেয় ব-দ্বীপ হলেও এখানকার সংস্কৃতি বাংলাদেশের অন্যান্য অংশের মতই। বরিশাল, লহ্মীপুর ও নোয়াখালী অঞ্চলের মিশ্র সংস্কৃতির প্রভাব আছে এখানে। তবে ভাষার ক্ষেত্রে শহরাঞ্চলে শুদ্ধ বাংলা ভাষা চলমান; আঞ্চলিকতার কোন টান নেই। ভোলার পশ্চিমের কিছু এলাকায় বরিশালের আঞ্চলিক ভাষার প্রভাব আছে।তবে ভোলার সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য প্রাচীন। পঞ্চাশের দশক থেকে বিভিন্ন গবেষণাধর্মী লেখায় ভোলায় সংস্কৃতি চর্চায় যাত্রা ও নাটকের প্রাধান্য বেশী দেখা যায়। পঞ্চাশের দশকে ভোলায় বিদ্যুৎ ছিলনা। হ্যাজাক জ্বালিয়ে গ্রামে-গঞ্জে যাত্রা, পালাগান ও নাটক হতো। ভোলার প্রথম সঙ্গীতভিত্তিক সংগঠন শিল্পী নিকেতন। নাট্যভিত্তিক সংগঠন মেঘনা শিল্পী সংসদ। এরপর রয়েছে সৃজনী সংসদ। এখানে বর্তমানে বিহঙ্গ সাহিত্য গোষ্ঠী, আবৃত্তি সংসদ, ভোলা থিয়েটার এবং উদীচিসহ বেশ কিছু সাংস্কৃতিক সংগঠনের কার্যক্রম রয়েছে। জেলা শিল্পকলা একাডেমী ও শিশু একাডেমী বেশ বেগবান। জনাব আফসার উদ্দিন বাবুল একাধারে শিল্পী, সুরকার, গীতিকার, সাংবাদিক ও ফাতেমা খানম কলেজের অধ্যক্ষ । শিল্পীদের মধ্যে মনজুর আহমেদ, সাথী করঞ্জাই, রেহানা ফেরদৌস, মৃদুল দে, উত্তম ঘোষ, অতুনু করঞ্জাই, জিয়া, শামস-উল আলম মিঠু, নেয়ামত উল্লাহ, মসিউর রহমান, পিংকু, ভাস্কর মজুমদার, প্রদীপ নাগ, আশীষ ঘোষ, মনিরুল ইসলাম, অমি দে প্রমুখের নাম উল্লেখযোগ্য। শিশু শিল্পীদের মধ্যে ১৯৮৭ থেকে ২০০৩ পর্যন্ত সঙ্গীতের ৫টি শাখায় জাতীয় পর্যায়ে ৫টি স্বর্ণ পদক পেয়ে আলোচনায় আছেন ফারজানা আফসার লিয়ানা।জেলায় দু’জন ওস্তাদ সঙ্গীত শিল্পী গুরুদাস নাগ ও মন্টু তালুকদার এবং সঙ্গীত শিল্পী ও সংগঠক হেলাল উদ্দিন আহমেদ (ফেলু মিয়া) মৃত্যুবরণ করার পরও তাদের সংস্কৃতি ক্ষেত্রে অবদান সবাই শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করে। সাবেক ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মোশারেফ হোসেন শাজাহান একজন সাহিত্যিক, নাট্যকার ও অভিনেতা হিসেবে ষাট দশকে আলোচিত ছিলেন। বর্তমানে তার প্রকাশনা রয়েছে বেশ কিছু। ষাটের দশকের অভিনয় শিল্পী হিসেবে অধ্যক্ষ ফারুকুর রহমান, আনোয়ার হোসেন, কালীপদ দে, রতন চৌধুরী,আবদুল লতিফ, মাখন ঘোষ, শামিত্ব ঘোষ, সাবেরুল করিম চৌধুরী প্রমুখের নাম উল্লেখযোগ্য। [১৮]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

বিষয়শ্রেণী:বাংলাদেশের শহর বিষয়শ্রেণী:বরিশাল বিভাগের জনবহুল স্থান

মাদারীপুর[সম্পাদনা]

মাদারীপুর
পূর্বনাম :ইদিলপুর
পৌরশহরজেলা সদর
মাদারীপুর বাংলাদেশ-এ অবস্থিত
মাদারীপুর
মাদারীপুর
বাংলাদেশে মাদারীপুর শহরের অবস্থান
স্থানাঙ্ক: ২৩°১০′১৩″ উত্তর ৯০°১১′৪৮″ পূর্ব / ২৩.১৭০১৭০° উত্তর ৯০.১৯৬৭৩৬° পূর্ব / 23.170170; 90.196736{{#coordinates:}}: প্রতি পাতায় একাধিক প্রাথমিক ট্যাগ থাকতে পারবে না
দেশ বাংলাদেশ
বিভাগঢাকা বিভাগ
জেলামাদারীপুর জেলা
সরকার
 • ধরনপৌরসভা
 • শাসকমাদারীপুর পৌরসভা
 • পৌরমেয়রমোঃ খালিদ হোসেন ইয়াদ[১৯]
আয়তন
 • মোট১৪.২২ বর্গকিমি (৫.৪৯ বর্গমাইল)
জনসংখ্যা
 • মোট৬২,৬৯০
 • জনঘনত্ব৪,৪০০/বর্গকিমি (১১,০০০/বর্গমাইল)
সময় অঞ্চলবাংলাদেশ সময় (ইউটিসি+৬)


মাদারীপুর বাংলাদেশের ঢাকা বিভাগের মাদারীপুর জেলার সদরদপ্তর ও জেলা শহর। কুমার নদীর উত্তরপাড়ে অবস্থিত এ শহর। মাদারীপুর শহর মাদারীপুর সদর উপজেলারও প্রশাসনিক সদরদপ্তর। ১৪.২২ বর্গকিলোমিটার আয়তন এবং ৬২,৬৯০ জন জনসংখ্যা বিশিষ্ট শহরটি মাদারীপুর পৌরসভা দ্বারা শাসিত হয়।

নামকরণ[সম্পাদনা]

প্রখ্যাত সুফি সাধক কুতুব-ই-জাহান হযরত বদিউদ্দীন আহমেদ জিন্দা শাহ মাদার (রঃ) এর নাম অনুসারে মাদারীপুর অঞ্চলের নামকরণ করা হয়। শাহ মাদার (র.) ইসলাম ধর্ম প্রচারের উদ্দেশ্যে সিরিয়া হতে সুলতান ফিরোজ শাহ তুঘলকের শাসনকালে (১৩৫১-১৩৮৮খ্রি:) ভারতীয় উপমহাদেশে এসে এক পর্যায়ে বাংলায় আসেন। বঙ্গের নানা স্থানে ভ্রমণ করেন। চতুর্দশ শতাব্দীর কোনো এক সময়ে বঙ্গের বিভিন্ন স্থান ভ্রমনের এক পর্যায়ে তৎকালীন চন্দ্রদ্বীপের উত্তর সীমান্তে গভীর অরণ্যের যে স্থানটিতে তিনি ক্ষণিকের অতিথি হয়ে সহযাত্রীদের নিয়ে যাত্রা বিরতি বা বিশ্রাম গ্রহণ করেছিলেন সে স্থানটিতে তার নামানুসারে হযরত শাহ মাদার (র) এর দরগাহ শরীফ নামকরণ করে স্মৃতি স্তম্ভ নির্মিত হয়েছে। সপ্তদশ শতাব্দীর মাঝামাঝি সময়ে বিক্রমপুরের জমিদার ভূমিহীন প্রজাদের পূনর্বাসনের লক্ষে চন্দ্রদ্বীপের স্মৃতিবিজড়িত ঐ স্থানটিকে কেন্দ্র করে সরকার মাদারণ বা মাদারণ অঞ্চল নামে আখ্যায়িত করে ফসলি জমি ও আবাসন গড়ে তুলেন। যা পরবর্তীতে নগরায়নে রুপ নিতে থাকে, নাম হয় মাদারণ গ্রাম-ইউনিয়ন। পর্যায়ক্রমে নগর সভ্যতার বিবর্তনের ফলে মাদারণ নাম থেকে ক্রমাগত বিবর্তনের মাধ্যমে মাদারীপুর নামটির সৃষ্টি হয়।[২০]

ইতিহাস[সম্পাদনা]

মাদারীপুর একটি ইতিহাস সমৃদ্ধ জনপদ। পঞ্চদশ শতাব্দীর সাধক হযরত বদরুদ্দিন শাহ্ মাদার(রঃ) এর নামানুসারে এই অঞ্চলের নামকরণ করা হয়। প্রাচীনকাল থেকে নানা ঘাত-প্রতিঘাতের মধ্য দিয়ে বয়ে এসেছে আজকের এই মাদারীপুরের ইতিহাস। প্রাচীন কাল থেকে ইংরেজ আমলের পূর্ব পর্যন্ত অতি প্রাচীনকালে মাদারীপুরের নাম ছিল ইদিলপুর। ইদিলপুর চন্দ্রদ্বীপ রাজ্যের একটি উন্নত জনপদ ছিল। তখন এ অঞ্চলের প্রশাসনিক নাম ছিল নাব্যমন্ডল। কোটালীপাড়া ছিল বাংলার সভ্যতার অন্যতম কেন্দ্র। খ্রিস্টীয় চতুর্থ শতকে ইদিলপুর ও কোটালীপাড়া ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্য বিখ্যাত ছিল।গ্রিক বীর আলেকজান্ডারের ভারত আক্রমণের সময় ৩২৭ খ্রিস্টপূর্বে কোটালীপাড়া অঞ্চলে গঙ্গাঁরিডি জাতি স্বাধীনভাবে রাজত্ব করত। তারপর এ অঞ্চল (৩২০-৪৯৬ খ্রিঃ) গুপ্তরাজাদের অধীনে ছিল। বাংলার স্বাধীন শাসক রাজা শশাঙ্কের মৃত্যুর পর একশত বছর(৬৫০-৭৫০ খ্রিঃ) বাংলার ইতিহাস মাৎসায়ন নামে খ্যাত। ৭৫০ খ্রিস্টাব্দে গোপালকে রাজা নির্বাচিত করা হয়। পাল বংশ ৭৫০-১২২৪ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত বাংলা শাসন করে। চন্দ্রবংশ ও এগার শতকে স্বাধীনভাবে দক্ষিণবঙ্গের-পূর্ব বঙ্গ রাজত্ব করে। চন্দ্র বংশের শ্রীচন্দ্রের তাম্রশাসন রামপাল ইদিরপুর ও কেদারপুরে পাওয়া যায়। মাদারীপুর-শরীয়তপুর চন্দ্ররাজার অধীনে ছিল। সেন বংশ ১০৯৮ হতে ১২২৫ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত পূর্ব বাংলা শাসন করে। কোটালীপাড়া ও মদনপাড়ায় বিশ্বরূপ সেন এবং ইদিলপুরে কেশব সেনের তাম্রলিপি পাওয়া যায়। প্রাচীনকালে মাদারীপুরের পূর্বাংশ ইদিলপুর এবং পশ্চিম অংশ কোটালীপাড়া নামে পরিচিত ছিল। সেন রাজাদের পতনের পর চন্দ্রদ্বীপ রাজ্য প্রতিষ্ঠিত হয়। বরিশাল বিভাগ, মাদারীপুর, শরীয়তপুর, গোপালগঞ্জবাগেরহাট চন্দ্রদ্বীপ রাজ্যের অধীনে ছিল। চতুর্দশ শতকে ফরিদপুর সুলতানদের শাসনাধীনে চলে যায়। ১২০৩ থেকে ১৫৭৫ সাল পর্যন্ত সুলতানগণ বাংলা শাসন করে। কিন্তু পূর্ববঙ্গে প্রায় একশ বছর সেন রাজত্ব চলে। সুলতান রুকনউদ্দীন বরবক শাহ (১৪৫৯-১৪৭৪ খ্রিঃ) প্রথম ফরিদপুর-চন্দ্রদ্বীপ দখল করেন। সুলতান জালাল উদ্দিন ফতেহ শাহ (১৪৮১-১৪৮৫ খ্রিঃ) ফরিদপুর ও চন্দ্রদ্বীপের একাংশ দখল করে ফতেহাবাদ পরগনা গঠন করেন। ফরিদপুর হল মাদারীপুরের প্রথম ঐতিহাসিক নাম। সুলতান হুসেন শাহ (১৪৯৩-১৫১৯ খ্রিঃ) ফতেহাবাদের জনপ্রিয় শাসক ছিল। ১৫৩৮ হতে ১৫৬৩ সাল পর্যন্ত শেরশাহ ও তার বংশধরগণ বাংলা শাসন করেন। ১৫৬৪ সাল হতে ১৫৭৬ সাল পর্যন্ত কররানি বংশ বাংলার রাজত্ব করে তারপর ১৫৭৬ সাল হতে ১৬১১ সাল পর্যন্ত বারভূঁইয়ার অধীনে ছিল বাংলা। বারভূঁইয়াদের অন্যতম ছিল ফরিদপুরের চাঁদ রায়, কেদার রায় এবং বাকলার রামচন্দ্র রায়। মোগল ও নবাবী শাসন চলে ১৭৬৫ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত। তারপর বাংলা ইংরেজদের দখলে চলে যায়।

ব্রিটিশ আমল[সম্পাদনা]

১৭৫৭ সালে বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব সিরাজউদ্দৌল্লাহর পতনের মধ্যদিয়ে এদেশে ইংরেজ শাসনের সূত্রপাত ঘটে। মূলত ১৭৬৫ থেকে ১৯৪৭ খ্রিঃ পর্যন্ত প্রায় দু’শ বছর ইংরেজরা বাংলা শাসন করে। ১৮৫৪ সালে মহকুমা ও থানা সৃষ্টি হলে ’মাদারীপুর’ নাম প্রশাসনিক স্বীকৃতি লাভ করে। ইংরেজ আমলে মাদারীপুর অনেক আন্দোলন সংগ্রামের তীর্থভূমি ছিল। বিখ্যাত ফরায়েজি আন্দোলনের নেতা হাজি শরিয়ত উল্লাহ’র (১৭৮১-১৮৪০) জন্ম মাদারীপুরে। তিনি ১৮২০ সাল থেকে ১৮৫০ সাল পর্যন্ত ধর্মীয় কুসংস্কার, নীলকর ও জমিদারদের অত্যাচারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেন। শরিয়ত উল্লাহর মৃত্যুর পর তাঁরই সুযোগ্য পুত্র দুদু মিয়া (১৮১৯-১৯৬২) ফরায়েজি আন্দোনের নেতৃত্ব গ্রহণ করেন।

ইংরেজ আমলে উপমহাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে মাদারীপুরের বিপ্লবীরা ঐতিহাসিক ভূমিকা পালন করেন। এ জেলার কৃতী সন্তান চিত্তপ্রিয় রায় চৌধুরী ১৯১৫ সালে বালেশ্বর যুদ্ধে ইংরেজ বাহিনীর সাথে সম্মুখ সমরে মৃত্যুবরণ করেন। বালেশ্বর যুদ্ধে নীরেন্দ্র নাথ দাশগুপ্ত ও মনোরঞ্চন সেনগুপ্ত বন্দী হন। বালেশ্বর জেলে তাদের ফাঁসি দিয়ে হত্যা করা হয়।

পাকিস্তান আমল[সম্পাদনা]

১৯৪৭ সালে পাকিস্তান সৃষ্টির পর পূর্ব বাংলার জনগণের আশা আকাঙ্ক্ষা ও স্বপ্ন ধীরে ধীরে ভাঙ্গতে শুরু করে। পাকিস্তানের প্রতিক্রিয়াশীল শাসকগোষ্ঠী পূর্ব বাংলার জনগণকে ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করে নিজেদের ক্ষমতা সংহত করার চেষ্টা চালায়। এ অঞ্চলের জনগণ সমস্ত শোষণ বঞ্চনার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ায়। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন, ১৯৫৪ সালে যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন এবং উনসত্তরের গণঅভ্যূত্থান এবং সর্বোপরি ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধসহ সকল আন্দোলন সংগ্রামে মাদারীপুরের অধিবাসীরা বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করে।

মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস[সম্পাদনা]

 ১৯৭১ সালের ১০ ডিসেম্বর পাকিস্তানি হানাদার মুক্ত হয় মাদারীপুর শহর। এর আগে এ অঞ্চলের অন্যান্য স্থান শত্রু মুক্ত করেন মুক্তিযোদ্ধারা।

১০ ডিসেম্বর সম্মুখযুদ্ধে পরাজিত হয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে আত্মসমর্পণ করে পাকিস্তানি সেনা বাহিনী। সেই থেকে দিবসটি মাদারীপুর মুক্ত দিবস হিসেবে পরিচিত। মুক্তিযোদ্ধারা জানান, পাকিস্তানি বাহিনী ১৯৭১ সালের ২২ এপ্রিল প্রথম বিমান থেকে মাদারীপুরে গুলি বর্ষণ করে। ২৪ এপ্রিল সড়ক পথে শহরে এসে এ. আর. হাওলাদার জুট মিলে হানাদার ক্যাম্প স্থাপন করে। শুরু হয় মাদারীপুরে পাকিস্তানি বাহিনীর অত্যাচার। রাজাকার-আলবদরদের সহযোগিতায় মুক্তিকামী মানুষদের ধরে ধরে হত্যাযজ্ঞ চালায় হানাদার বাহিনী। অসংখ্য মানুষকে হত্যা করে গণকবর দেয় হানাদাররা। জানা গেছে, ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহ থেকে জেলার সবক’টি থানা মুক্তিযোদ্ধাদের দখলে চলে আসে। এ কারণে পাক হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসররা জেলার এ. আর হাওলাদার জুট মিলের ভেতর এবং সরকারি নাজিম উদ্দিন কলেজে অবস্থান নেয়। মুক্তিযোদ্ধারা তাদের চারদিকে থেকে ঘিরে রাখে। ৯ ডিসেম্বর পাক হানাদার বাহিনী মাদারীপুর ছেড়ে ফরিদপুর চলে যাবে- এমন সংবাদ পেয়ে মুক্তিবাহিনীর সদস্যরা ব্যাপক প্রস্তুতি নিতে থাকেন। ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের ঘটকচর থেকে সমাদ্দার ব্রিজের পশ্চিমপাড় পর্যন্ত সড়কের চার কিলোমিটার জুড়ে অবস্থান নের মুক্তিযোদ্ধারা। ৯ ডিসেম্বর ভোর ৫টার দিকে পাক হানাদার বাহিনী গোলাবারুদ, অস্ত্র ও কনভয়সহ রাজাকার, আলবদর, আলসামস ও মুজাহিদ বাহিনী নিয়ে ফরিদপুরের উদ্দেশে রওনা দেয়। ভোর সাড়ে ৫টার দিকে ঘটকচর ব্রিজ পার হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধারা তাদের ওপর আক্রমণ শুরু করেন। গ্রেনেড হামলা করতে গিয়ে হানাদার বাহিনীর গুলিতে শহীদ হয় সর্বকনিষ্ঠ মুক্তিযোদ্ধা ১৪ বছর বয়সী সরোয়ার হোসেন বাচ্চু। তুমুলযুদ্ধ শেষে ১০ ডিসেম্বর বিকেলের সূর্য যখন পশ্চিম দিগন্তে হেলে পরে ঠিক সে সময় আত্মসমর্পণ করে পাক হানাদার বাহিনী। বিজয় পতাকা ওড়ে মাদারীপুর শহরে। এ যুদ্ধে ২০ পাকিস্তানি সেনা নিহত হয়। মুক্তিযোদ্ধারা আত্মসমর্পণকারীদের অস্ত্র-শস্ত্র জব্দ করে ১০ ডিসেম্বর সারা রাত সমাদ্দার ব্রিজ অবরোধ করে রাখেন। পরদিন ১১ ডিসেম্বর সকালে তাদের নিয়ে যাওয়া হয় কলাগাছিয়ায় মুক্তিযোদ্ধাদের ক্যাম্পে। ১২ ডিসেম্বর তাদের মাদারীপুরে এনে সাব-জেলে বন্দি করে রাখা হয়।  

স্বাধীন বাংলাদেশ[সম্পাদনা]

একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধের লাখো শহিদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে আমরা স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ পেয়েছি। স্বাধীনতার পর থেকে নানা ঘাত-প্রতিঘাতের মধ্য দিয়ে আজ আমরা এখানে এসে পৌঁছেছি। মাদারীপুর ১৮৫৪ সালে মহকুমা হিসেবে ঘোষিত হলে এ শহর মহকুমা শহর হয়। সর্বপ্রথম ১৮৭৫ সালে এবং পরবর্তীতে ১৯৭২ সালে মাদারীপুর পৌরসভা গঠিত হলে এই শহরটি পৌর শহরের মর্যাদা পায়। দীর্ঘদিন পর ১৯৮৪ সালে জেলা হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ার পর মাদারীপুর জেলা শহর এবং জেলার সদর দপ্তর হিসেবে স্বীকৃতি পায়। [২১]

ভূপ্রকৃতি ও জীববৈচিত্র্য[সম্পাদনা]

এ অঞ্চলে নারিকেল, সুপারি, খেজুরতালগাছ প্রচুর জন্মে। মাদারীপুরের খেঁজুরের গুড় খুবই বিখ্যাত।বন্য প্রানীদের মধ্যে রয়েছে-খেঁকশিয়াল, বাগডাসা, খাটাস, বেজি, গুইসাপ, রক্তচোষা, বাদুর ইত্যাদি। পাখিগুলো হচ্ছে- শঙ্খচিল, দাড়কাক, তিলাঘুঘু, কাঠঠোকরা, লক্ষ্মীপেঁচা, কানাকুয়া, ডাহুক, পানকৌড়ী, ভাতশালিক ইত্যাদি।এছাড়া চিতল, বোয়াল, পাবদা ও মাগুর সহ প্রায় ২০ প্রজাতির মাছ পাওয়া যায়। [২২]


ভৌগোলিক উপাত্ত[সম্পাদনা]

শহরটির অবস্থানের অক্ষাংশ ও দ্রাঘিমাংশ হল ২২°৪১′০৯″ উত্তর ৯০°৩৮′৪৬″ পূর্ব / ২২.৬৮৫৯০০° উত্তর ৯০.৬৪৬১১৯° পূর্ব / 22.685900; 90.646119। যেহেতু শহরটি মূলত একটি দ্বীপে অবস্থিত তাই সমুদ্র সমতল থেকে শহরটির গড় উচ্চতা ১ মিটার

জনসংখ্যা[সম্পাদনা]

বাংলাদেশের আদমশুমারি ও সান্তাহার গৃহগণনা-২০১১ অনুযায়ী মাদারীপুর শহরের মোট জনসংখ্যা ৬২,৬৯০ জন যার মধ্যে ৩১,০৭০ জন পুরুষ এবং ৩১,৬২০ জন নারী। এ শহরের পুরুষ এবং নারী অনুপাত ১০০:৯৮। [৭]

প্রশাসন[সম্পাদনা]

এ শহরটি মাদারীপুর পৌরসভা নামক একটি স্থানীয় সরকার সংস্থা(পৌরসভা) দ্বারা পরিচালিত হয় যা ৯টি ওয়ার্ড এবং ৩৩টি মহল্লায় বিভক্ত । ১৪.২২ বর্গ কি.মি. আয়তনের মাদারীপুর শহরের পুরোটাই মাদারীপুর পৌরসভা দ্বারা শাসিত হয়। এ পৌর শহরের নাগরিকদের পৌরসেবা ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা প্রদান করাই এ সংস্থার কাজ। [২৩]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

বিষয়শ্রেণী:বাংলাদেশের শহর বিষয়শ্রেণী:ঢাকা বিভাগের জনবহুল স্থান

হাটহাজারী[সম্পাদনা]

হাটহাজারী
পূর্বনাম:আওরঙ্গবাদ
পৌরশহর
হাটহাজারী বাংলাদেশ-এ অবস্থিত
হাটহাজারী
হাটহাজারী
বাংলাদেশে হাটহাজারী শহরের অবস্থান
স্থানাঙ্ক: ২২°৩০′৩১″ উত্তর ৯১°৪৮′২৭″ পূর্ব / ২২.৫০৮৫° উত্তর ৯১.৮০৭৫° পূর্ব / 22.5085; 91.8075{{#coordinates:}}: প্রতি পাতায় একাধিক প্রাথমিক ট্যাগ থাকতে পারবে না
দেশ বাংলাদেশ
বিভাগচট্টগ্রাম বিভাগ
জেলাচট্টগ্রাম জেলা
উপজেলাহাটহাজারী উপজেলা
সরকার
 • ধরনপৌরসভা
 • শাসকহাটহাজারী পৌরসভা
 • পৌর প্রশাসকইসরাত জাহান পান্না [২৪]
আয়তন
 • পৌরশহর২৪.০ বর্গকিমি (৯.৩ বর্গমাইল)
 • পৌর এলাকা১৪.৬৫ বর্গকিমি (৫.৬৬ বর্গমাইল)
জনসংখ্যা
 • পৌরশহর৭৪,৫৬৫
 • জনঘনত্ব৩,১০০/বর্গকিমি (৮,০০০/বর্গমাইল)
 • পৌর এলাকা৩৪,০১৫
 • পৌর এলাকার জনঘনত্ব২,৩০০/বর্গকিমি (৬,০০০/বর্গমাইল)
সময় অঞ্চলবাংলাদেশ সময় (ইউটিসি+৬)

হাটহাজারী বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের একটি ছোট শহর। এ শহরটি চট্টগ্রাম বিভাগের অন্তর্গত চট্টগ্রাম জেলার উত্তরে অবস্থিত শহর। হালদা নদীর পাশে অবস্থিত এ শহরটি হাটহাজারী উপজেলার প্রধান ও সবচেয়ে বড় শহরাঞ্চল। প্রশাসনিক ভাবে হাটহাজারী শহর হাটহাজারী উপজেলার সদর দফতরচট্টগ্রাম শহর থেকে এ শহরের দূরত্ব মাত্র ১৫ কি.মি.।


নামকরণ[সম্পাদনা]

এক ঐতিহাসিক ঘটনার প্রেক্ষিতে হাটহাজারীর নামকরণ করা হয়। এর পূর্ব নাম ছিল আওরঙ্গবাদ। আওরঙ্গবাদ পরগণা পরিচালনার স্বার্থে বারজন হাজারীকে অভ্যন্তরীণ শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষা ও বহিঃশত্রুর হাত থেকে রক্ষার দায়িত্ব বন্টন করা হয়েছিল। চট্টগ্রামে নবাবের প্রতিনিধি মহাসিংহ হাজারীগণের ক্ষমতা খর্ব করতে এক কূটকৌশলের আশ্রয় নিয়ে প্রতারণা করে সীতাকুণ্ডে নবাবের কাছারিতে দাওয়াত নিয়ে যান। তিনি বিশ্বাসঘাতকতা করে আটজন হাজারীকে বন্দি করতে সমর্থ হন। বারজন হাজারীর মধ্যে দক্ষিণ চট্টগ্রামের দুইজন নবাবের বশ্যতা স্বীকার করায় তাঁদেরকে ছেড়ে দেয়া হয়। বাকি দশজনের মধ্যে আটজনকে বন্দি অবস্থায় মুর্শিদাবাদের নবাবের দরবারে পাঠিয়ে দেয়া হয়। দুইজন হাজারী পালিয়ে প্রাণরক্ষা করেন। মুর্শিদাবাদের নবাব আটজন হাজারীকে লোহার পিঞ্জরে বন্দি করে গঙ্গা নদীতে ডুবিয়ে হত্যার আদেশ দেন। ফলে উত্তর চট্টগ্রামে হাজারীদের ক্ষমতা খর্ব হয়ে পড়ে। বেঁচে যাওয়া হাজারীদের মধ্যে বীরসিংহ হাজারী যে হাট প্রতিষ্ঠা করেন তাকেই আজকের হাটহাজারী বলা হয়। তখন ফারসি ভাষা প্রচলন ছিল বলে এই হাটটি হাটে হাজারী কালক্রমে হাটহাজারী নামে পরিচিতি লাভ করে। [২৫]

ইতিহাস[সম্পাদনা]

হাটহাজারী উত্তর চট্টগ্রামের একটি ঐতিহাসিক ও গুরুত্বপূর্ণ জনপদ। বর্তমান হাটহাজারী, উত্তর রাউজানফটিকছড়ি নিয়ে আওরঙ্গবাদ পরগণা গঠিত ছিল। চট্টগ্রামে মোগল শাসনাধীন হওয়ার পর থেকেই আওরঙ্গবাদ পরগনায় মসনদধারী প্রথা চালু করে বারজন হাজারীকে অভ্যন্তরীণ শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষা ও বহিঃশত্রুর হাত থেকে রক্ষার দায়িত্ব বন্টন করা হয়েছিল। আমলাতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থার কারণে তৎকালীন কেন্দ্রীয় সরকার মুর্শিদাবাদের নবাবের আদেশ অমান্য ও অগ্রাহ্য করে হাজারীগণ দায়িত্ব পালনে অবহেলা করতে থাকেন এবং নবাবের বিরুদ্ধাচরণ করেন। পরে তাদের দমন করা হয়। ১৯২৯ সালে হাটহাজারী থানা এবং ১৯৮৩ সালে হাটহাজারী উপজেলা গঠিত হয়। তখন হাটহাজারীকে উপজেলা সদর করা হয়৷ পরবর্তীতে ২০১২ সালে হাটহাজারী পৌরসভা গঠন করা হলে হাটহাজারী পৌরশহরের মর্যাদা লাভ করে।[২৬]

ঐতিহ্য[সম্পাদনা]

গরুর লড়াইয়ের মেলা[সম্পাদনা]

১৯৮০ খ্রি. পর্যন্ত হাটহাজারীতে গরুর লড়াই চালু ছিল। এটি চট্টগ্রামের ঐতিহ্যের অংশ। মাঘ ফাল্গুন থেকে চৈত্র বৈশাখ মাস পর্যন্ত গরুর লড়াইয়ের মেলা বসত। ইংরেজ আমলে মদনহাটের তেলী পাড়ার ও মৌলভী নছিউদ্দীনের বিরিষ গরু ছিল লড়াইয়ের জন্য শ্রেষ্ঠ গরু। ফতেপুরের হাজী নুর আহাম্মদ প্রকাশ কোং, সুফিয়ার বাপ, লাল মিয়া কোং, আবদুর রশিদ কোং, মিস্ত্রী মুন্সি মিয়া এবং উদালীয়ার বিরিষ গরু বরাবরই নামকরা ছিল। ১৯৬৪ খ্রিঃ সুফিয়ার বাপ ও লাল মিয়ার গরু ঢাকার আউটার স্টেডিয়াম প্রদর্শনীর জন্য নেয়া হয়েছিল। পূর্ব পাকিস্তানের গভর্ণর লাল মিয়া কোং এর গরুকে একটি সনদপত্র দেন। ৬০ দশকে যে বিরিষ গরুর দাম ৫০০ টাকা ছিল, আজ হয়ত এর দাম হতো কয়েক লাখ টাকা। খিল্যা পাড়া,ফতেপুর মাঝিরপুল,রাজারাম বিল, বুড়িরপুকুর, সুয়াপুকুর, মদনাহাট, মদনা বিল, ফতেয়াবাদ ধোপারদিঘী,বটতলী, উত্তর মাদার্শা, গড়দুয়ারা, মেখল কামাইয়্যার পুকুরপাড় গরুর লড়াই অনুষ্ঠিত হতো।

হাটহাজারী মৃৎশিল্প[সম্পাদনা]

হাটহাজারীর মৃৎশিল্প মূলত একটি বিশেষ সম্প্রদায়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল। মাটির তৈরী পানির কলস, সরা, জলপাত্র, জল কান্দা, মাটির হাড়ি, পাতিল, কড়াই, তরকারির পেয়ালা থালাবাসন, গামলা-বদনা, লবণের বাটি, পিঠা তৈরীর পাত্র, দই, থামুক, হুক্কা, কলকি, ধুপদানি, ফুলদানি, ছাইদানি, মাটির প্রদীপ মড়কা, জ্বালা ইত্যাদি দৈনন্দিন জীবনে প্রয়োজনীয় মৃৎপাত্র। ইংরেজ ও পাকিস্তান আমলে বিনিময় প্রথার মাধ্যমে তারা মৃৎশিল্প বিক্রি করত। ফতেপুর কুলান পাড়া, রুদ্রপল্লী, শিকারপুর, চারিয়া ও দক্ষিণ পাহাড়তলীতে ছিল মৃৎশিল্পীদের বাস। [২৭]


হাটহাজারীর লোকাচার[সম্পাদনা]

হাটহাজারী মানুষের আদি সংস্কৃতি ও লোকাচার চট্টগ্রামের অন্যান্য অঞ্চল থেকে কিছুটা ব্যবধান আছে। পারিবারিক সাংসারিক কাজে মৃৎ শিল্পের ব্যবহার ছিল না তা নয়। সামাজিক অনুষ্ঠানেও মৃৎ শিল্পের ব্যাপক ব্যবহার ১৯৭০ইং পর্যন্ত হাটহাজারী ও চট্টগ্রামের অন্যান্য স্থানেও ছিল। বিয়ে, ওরশ ইত্যাদিতে মাটির তৈরি বাসন-কোসন ব্যবহার হতো। কিন্তু বর্তমানে গৃহস্থলী কাজে মৃৎ শিল্পের ব্যবহার কমে যাচ্ছে। গ্রামের মানুষের অর্থনৈতিক বিপর্যয় ও বিজ্ঞানের যাত্রাপথের কারণে আমরা হারাচ্ছি প্রাচীন ঐতিহ্য। আজকাল মুসলমান বিয়েতে ছোট ছোট হাঁড়ি ব্যবহার হয় না। আগে হাঁড়ি ভর্তি বাতাসা বরপক্ষ কন্যা পক্ষের দাবী মত গণনা করে দিতে হতো। হাঁড়ি ভর্তি বাতাসাকে মাইনের টুপি বলা হতো। প্রাচীনকালে মুসলমানদের বিবাহ কন্যা পক্ষের কয়েকটি দাবীর মধ্যে মাইনের টুপি একটি প্রধান দাবী। চারিয়া গ্রামের জেবল হোসেন পন্ডিত জাতীয় পুরস্কার লাভ করেন। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি ছিলেন একজন মৃৎশিল্পী। পুঁথি সাহিত্যের উপর তাঁর প্রচুর জ্ঞান ছিল এবং পুঁথি পাঠের ক্ষেত্রে তাঁর সমসাময়িক প্রতিদ্বন্দ্বী ছিল না।

লোকসাহিত্য ও পথসাহিত্য[সম্পাদনা]

সংবাদপত্র, সাময়িকী সাহিত্যের মতো হাটহাজারীতে লোক সাহিত্য ও পথসাহিত্যের ভূমিকা অনেক। হাটহাজারীর লোকসাহিত্য এককালে সমগ্র চট্টগ্রামে বেশ আদরনীয় ছিল। হাটহাজারীকে কেন্দ্র করে রচিত হয়েছিল ছড়া :

বাঁচা কাঁদে হাজারী হাডৎ বই,

বাঁচার মামু আইয়্যেদ্দে মিডাইর পাইল্যা লই,

বাঁচা কাঁদে লম্বা পথৎ বই

বাঁচার মামু আইয়্যেদ্দে দইয়র হাড়ি লই।

হাটহাজারীকে “হাটাহাজারী হাড” বলে। এককালে হাটহাজারী মিষ্টির জন্য উত্তর চট্টগ্রামে খুবই বিখ্যাত ছিল। বাঁচা অর্থে ছোট শিশুকে বোঝায়। শিশু কাঁদলে কান্না বন্ধ করার জন্য হাটহাজারীর মিষ্টির কথা বললে শিশু কাঁদা বন্ধ করত।

প্রাচীন সামাজিক সংস্কৃতি[সম্পাদনা]

প্রাচীনকালে হাটহাজারীতে পারিবারিক ও সামাজিক বহু ধরনের সংস্কৃতির প্রচলন ছিল। একটি শিশু জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত নানা স্তরে নানান জাতীয় সংস্কৃতির প্রভাবে পারিবারিক ও সামাজিক জীবন আনন্দঘন পরিবেশে কাটাত। ধর্মীয় বিধি-বিধান অনুসরণে মোল্লা-মিয়াজী বা মির্জিগণ নিজ নিজ এলাকার নবজাতকের নাম রাখা, দোয়া দরুদ পাঠে জীন-পরীর আসর থেকে বাঁচার জন্য তাবিজ কালাম লিখে দেন। নানী-দাদীরা নাতিকে দোলনায় চড়ান। মুড়ি, খই, চাউল, শিম ভাজা খাওয়ানো নানান অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পারিবারিক সংস্কৃতি বজায় রাখেন। দোলনায় চড়ানো অনুষ্ঠানে নানার বাড়ীর থেকে দোলনা, বালিশ ইত্যাদি প্রদান করা হয়। এতে নানী-দাদীরা নাচ-গান ও অলা সুর ধরে গাইতেন। যেমন: অ-বাচা, ন-কাঁদিও না ভাঙ্গিও গলা

          কাইল ফজরে আনি দিয়ম চক বাজাইজ্যা লোলা।

হাটহাজারীর নাট্য চর্চা[সম্পাদনা]

১৯৪০ সনেই প্রতিষ্ঠিত হয় হাটহাজারীর ফতেপুর ডায়মন্ড ক্লাব। হাটহাজারীর পল্লী এলাকায় নাটক ও যাত্রাভিনয় স্বদেশী আন্দোলনের সময় খুবই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিল। অভিনয়ের সাথে সাথে ইংরেজ বিরোধী মনোভাব প্রকাশ পেত। এই ক্লাবের মূল লক্ষ্য ছিল ইংরেজদের বিরুদ্ধে সাধারন ও মধ্যবিত্ত পরিবারের মানুষকে একত্র করে সংগ্রাম মুখর করা। এই ক্লাব গঠনের জন্য শুধু ফতেপুর ইউনিয়নের নহে ফতেয়াবাদ, মাদার্শা ও মেখল গ্রামের সচেতন মানুষ নাট্য চর্চার মাধ্যমে শুরু করে তাদের কর্ম তৎপরতা। ১৯৪৭ সনের ১৪ই আগস্ট তারিখ পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর মাত্র কিছুদিন স্থিমিত ছিল হাটহাজারীর নাট্য চর্চা। ষাটের দশকে আবার প্রতিষ্ঠিত হয় আলাউল ক্লাব। এই ক্লাবের উদ্দেশ্য গ্রামের সাধারন মানুষের নিকট অভিনয়ের মাধ্যমে জাতীয় সাহিত্য ও সংস্কৃতির বিকাশ সাধন করা। প্রায় নাটক মদনহাটের বাজারে, ইছু সাবের ভিটায় কিংবা ফতেপুর লতিফ পাড়া প্রাইমারী স্কুলের মাঠেই মঞ্চস্থ করা হতো।

খেলাধুলা[সম্পাদনা]

শিক্ষা সংস্কৃতিতে আবহমান কাল থেকে যেমন হাটহাজারী সমৃদ্ধ ঠিক তেমনি খেলাধুলায়ও এই অঞ্চলে একটি স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য আছে। হা-ডু-ডু, দাড়িয়াবান্দা, কানামাছি খেলার পাশাপাশি বলি খেলা, দাড়িয়াবান্দা, কানামাছি, বাঘবন্ধী, লাঠি খেলা কিংবা সাঁতার, নৌকা বাইচ, গোল্লাছুট, ডাংগুলি, মোরগ লড়াই, ঘুঁড়ি উড়ানো, কবুতর খেলা এসবই উল্লেখযোগ্য খেলাধুলা। বর্তমানে ফুটবল, ক্রিকেট, ব্যাটমিন্টন খুবই জনপ্রিয় খেলায় রূপান্তরিত হয়েছে। [২৮]

জনসংখ্যা[সম্পাদনা]

বাংলাদেশের আদমশুমারি ও গৃহগণনা-২০১১ অনুযায়ী হাটহাজারী শহরের মোট জনসংখ্যা ৭,৭২৪ জন যার মধ্যে ৩,৮৬৮ জন পুরুষ এবং ৩,৮৫৬ জন নারী। এ শহরের পুরুষ এবং নারী অনুপাত ১১৮:১০০৷ [৭]

প্রশাসন[সম্পাদনা]

এ শহরটি হাটহাজারী পৌরসভা নামক একটি স্থানীয় সরকার সংস্থা(পৌরসভা) দ্বারা পরিচালিত হয় যা ৯টি ওয়ার্ড এ বিভক্ত । হাটহাজারী শহরের পুরোটাই হাটহাজারী পৌরসভা এলাকার অন্তর্ভুক্ত হয়েছে যার ফলে হাটহাজারী শহরের আয়তন আরো বৃদ্ধি পেয়েছে। এ পৌর শহরের নাগরিকদের পৌরসেবা ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা প্রদান করাই এ সংস্থার কাজ। [২৯]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

বিষয়শ্রেণী:বাংলাদেশের শহর বিষয়শ্রেণী:চট্টগ্রাম বিভাগের জনবহুল স্থান

  1. "ছাগলনাইয়া শহরের জনসংখ্যা ও আয়তন"। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৯-১২ 
  2. "সান্তাহার শহরের পৌরসভার মেয়র"। News24.com। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৯-১৩ 
  3. "সান্তাহারের ইতিহাস লিখছি"। santahar.com। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১০-২৫ 
  4. "সান্তাহারের ইতিহাস লিখছি"। santahar.com। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০৯-০৩ 
  5. "সান্তাহারে বাঙালীর অনেক ইতিহাসের সাক্ষ্য বহন করছে স্বাধীনতা স্মৃতিস্তম্ভ"। অপরাধ তথ্যচিত্র.কম। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০৯-০৩ 
  6. "সান্তাহার পৌরসভা"। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১০-২৬ 
  7. "Urban Centers in Bangladesh"। Population & Housing Census-2011 [আদমশুমারি ও গৃহগণনা-২০১১] (পিডিএফ) (প্রতিবেদন)। জাতীয় প্রতিবেদন (ইংরেজি ভাষায়)। ভলিউম ৫: Urban Area Rport, 2011। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো। মার্চ ২০১৪। পৃষ্ঠা ২৪৬। সংগ্রহের তারিখ ২৫ অক্টোবর ২০১৯  উদ্ধৃতি ত্রুটি: <ref> ট্যাগ বৈধ নয়; আলাদা বিষয়বস্তুর সঙ্গে "Urban Centers in Bangladesh" নামটি একাধিক বার সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে
  8. ":: সান্তাহর সরকারি, আদমদিঘি, বগুড়া ::::"sgcbd.net 
  9. "ছাগলনাইয়া শহরের জনসংখ্যা ও আয়তন"। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৯-১২ 
  10. "সান্তাহার শহরের পৌরসভার মেয়র"। bdmayor.com। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১১-০২ 
  11. "নামকরণের ইতিহাস"। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১০-৩১ 
  12. "চরফ্যাশনে মানব বসতির ইতিহাস"। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১১-০২ 
  13. "এক নজরে পৌরসভা"www.paurainfo.gov.bd। ২০১৯-১১-০২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১১-০২ 
  14. "ভোলা জেলার পটভূমি"। bhola.gov.bd। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১১-০৩ 
  15. "ভোলা জেলার পটভূমি"। bhola.gov.bd। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১১-০৩ 
  16. "ভোলা জেলার পটভূমি"। bhola.gov.bd। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১১-০৩ 
  17. "এক নজরে পৌরসভা"। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১১-০৪ 
  18. "ভাষা ও সংস্কৃতি"। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১১-০৪ 
  19. "মাদারীপুর পৌরসভার মেয়র"। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১১-০৪ 
  20. বাশার মাহমুদ (২১ জুলাই ২০১৯)। "যাঁর নামে মাদারিপুর"। দৈনিক সুবর্ণগ্রাম (প্রকাশিত হয় ৭ ডিসেম্বর ২০১৭)। 
  21. "পটভূমি"। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১১-০৯ 
  22. "ভৌগোলিক পরিচিতি- জীববৈচিত্র্য"। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১১-০৯ 
  23. "এক নজরে পৌরসভা"। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১১-০৪ 
  24. "হাটহাজারী পৌরসভার প্রশাসক"। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১১-২৩ 
  25. "হাটহাজারীর পটভূমি"। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১১-২৩ 
  26. "হাটহাজারীর পটভূমি"। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১১-২৩ 
  27. "ঐতিহ্য"। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১১-২৩ 
  28. "ভাষা ও সংস্কৃতি"। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১১-২৩ 
  29. "এক নজরে পৌরসভা"। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১১-২৩