নীলরতন সরকার: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
অ বট মুছে ফেলছে: en:Nil Ratan Sircar (deleted) |
Bodhisattwa (আলোচনা | অবদান) অসম্পাদনা সারাংশ নেই |
||
৬ নং লাইন: | ৬ নং লাইন: | ||
| birth_name = |
| birth_name = |
||
| birth_date = {{Birth date|1861|10|01}} |
| birth_date = {{Birth date|1861|10|01}} |
||
| birth_place = |
| birth_place =ন্যাতড়া |
||
| death_date = {{Death date and age|1943|05|18|1861|10|01}} |
| death_date = {{Death date and age|1943|05|18|1861|10|01}} |
||
| death_place = |
| death_place = |
||
১৭ নং লাইন: | ১৭ নং লাইন: | ||
| nationality = |
| nationality = |
||
| other_names = |
| other_names = |
||
| ethnicity = |
| ethnicity = [[বাঙালি জাতি|বাঙালি]] |
||
| citizenship = |
| citizenship = ব্রিটিশ ভারতীয় [[Image:British Raj Red Ensign.svg|20px|]] |
||
| education = |
| education = |
||
| alma_mater = [[নীলরতন সরকার মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল|ক্যাম্পবেল মেডিকেল স্কুলে]], [[কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল|কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে]] |
|||
| alma_mater = |
|||
| occupation = |
| occupation = চিকিৎসক |
||
| years_active = |
| years_active = |
||
| employer = |
| employer = |
||
৫০ নং লাইন: | ৫০ নং লাইন: | ||
| criminal_penalty = |
| criminal_penalty = |
||
| criminal_status = |
| criminal_status = |
||
| spouse = |
| spouse = |
||
| partner = |
| partner = |
||
| children = |
| children = |
১২:২৩, ২৪ জুন ২০১৩ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ
নীলরতন সরকার | |
---|---|
জন্ম | ন্যাতড়া | ১ অক্টোবর ১৮৬১
মৃত্যু | ১৮ মে ১৯৪৩ | (বয়স ৮১)
নাগরিকত্ব | ব্রিটিশ ভারতীয় |
মাতৃশিক্ষায়তন | ক্যাম্পবেল মেডিকেল স্কুলে, কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে |
পেশা | চিকিৎসক |
স্যার নীলরতন সরকার (১ অক্টোবর ১৮৬১ - ১৮ মে ১৯৪৩ ) (ইংরেজি: Nil Ratan Sircar) একজন বিখ্যাত চিকিৎসক ও শিক্ষাবিদ । তিনি বহু শিক্ষাসংস্থা এবং গবেষণামূলক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে জড়িত ছিলেন এবং এগুলি স্থাপনে সহযোগিতা করেছিলেন । তিনি একজন সক্রিয় রাজনীতিবিদ ছিলেন এবং শিল্পস্থাপনে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছিলেন ।
প্রথম জীবন
চব্বিশ পরগণার নেত্রাতে তিনি জন্মগ্রহণ করেন । তাঁর আদি নিবাস যশোহর । তাঁর পিতার নাম নন্দলাল সরকার । নন্দলাল সরকার যশোরের একটি দরিদ্র কায়স্থ পরিবারের মানুষ ছিলেন । তিনি পরবর্তী কালে খুলনার জয়নগরে থাকতে আরম্ভ করেন । বিখ্যাত শিশুসাহিত্যিক যোগীন্দ্রনাথ সরকার নীলরতন সরকারের ভাই । [১]
নীলরতন সরকার ১৮৭৬ খ্রিস্টাব্দে জয়নগর থেকে এন্ট্রান্স ও ক্যাম্বেল মেডিক্যাল স্কুল থেকে ডাক্তারি পাশ করেন । এরপর তিনি সাব-অ্যাসিস্টান্ট সার্জনের চাকরি গ্রহণ করেন । মেট্রোপলিটান কলেজ থেকে এফএ ও বিএ পাস করে কিছুদিন চাতরা উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করেন । ১৮৮৫ খ্রিস্টাব্দে মেডিকেল কলেজে প্রবেশ করে তিনি ১৮৮৮ খ্রিস্টাব্দে এমবি হন । এরপর এমএ (১৮৮৯ খ্রিস্টাব্দ) এবং এমডি (১৮৯০ খ্রিস্টাব্দ) উপাধি পান । [১] [২]
১৮৮৮ খ্রিস্টাব্দে নীলরতন নির্মলাকে বিবাহ করেন । নির্মলা ছিলেন পূর্ববঙ্গের এক ব্রাহ্ম ধর্মপ্রচারক গিরিশচন্দ্র মজুমদারের মেয়ে । নীলরতন ব্রাহ্মধর্ম গ্রহণ করেছিলেন । [১] [২]
কর্মজীবন
নীলরতন সরকার অল্প সময়ের মধ্যেই চিকিৎসক হিসাবে বিখ্যাত হন । তাঁর পারিশ্রমিক দুই টাকায় আরম্ভ হয়ে আস্তে আস্তে ৬৪ টাকা অবধি হয় ।[১][২] তিনি দরিদ্র রোগীদের বিনা পয়সায় চিকিৎসা করতেন এবং তাদের বিনামূল্যে ওষুধ ও খাবার দিতেন । ১৮৯৩ খ্রিস্টাব্দে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফেলো এবং এরপর ফ্যাকাল্টি অফ সায়েন্স ও ফ্যাকাল্টি অফ মেডিসিনের ডিন হন । তিনি স্নাতকোত্তর কলা (১৯২৪ থেকে ১৯২৭ পর্যন্ত) ও বিজ্ঞান শিক্ষা বিভাগের (১৯২৪ থেকে ১৯৪৩ পর্যন্ত) সভাপতিও হয়েছিলেন ।
১৮৯৫ সালে তিনি একটি বেসরকারী মেডিক্যাল কলেজ স্থাপন করেন। ১৯১৬ সালে কলেজের নাম হয় কারমাইকেল মেডিকেল কলেজ যা পরবর্তীতে আর জি কর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল নামাঙ্কিত হয় । ১৯১৮ সালে মেডিকেল এডুকেশন সোসাইটি গঠিত হয় কারমাইকেল মেডিকেল কলেজের বিভিন্ন বিষয় দেখাশোনা করার জন্য । নীলরতন ১৯২২ সালে এর সভাপতি হন । এবং ১৯৪১ সাল পর্যন্ত এই পদে ছিলেন ।
নীলরতন ১৯০৮ সালে বুট অ্যান্ড ইকুইপমেন্ট এর নির্দেশক হয়েছিলেন । বসু বিজ্ঞান মন্দির, বিশ্বভারতী এবং ভারতীয় যাদুঘরের ট্রাস্টি ছিলেন । ১৯১২ থেকে ১৯২৭ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত তিনি বঙ্গীয় ব্যবস্থাপক সভার সদস্য ছিলেন ।
তিনি সায়েন্স কলেজ অফ দ্য ক্যালকাটা ইউনিভার্সিটি এবং ন্যাশন্যাল কাউন্সিল অফ এডুকেশনের (জাতীয় শিক্ষা পরিষদ) স্থপতিদের মধ্যে ছিলেন । তিনি ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন ফর দ্য কাল্টিভেশন অফ সায়েন্স এর সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত ছিলেন । জাতীয় শিক্ষা পরিষদের সম্পাদক হিসাবে তিনি এদেশে বৃত্তিগত প্রশিক্ষনের চেষ্টা করেছিলেন । বেঙ্গল টেকনিক্যাল স্কুল, যাদবপুর ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ প্রভৃতি স্থাপনেও তাঁর ভূমিকা ছিল । যাদবপুর যক্ষা হাসপাতাল (বর্তমানে কুমুদশঙ্কর রায় যক্ষা হাসপাতাল) প্রতিষ্ঠায় তিনি সহযোগিতা করেছিলেন ।
১৯১৯ খ্রিস্টাব্দ থেকে ১৯২১ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর ছিলেন । ১৯২০ খ্রিস্টাব্দে তিনি লন্ডনে ব্রিটিশ সাম্রাজ্য বিশ্ববিদ্যালয় সম্মেলনে যোগদান করেন । অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় তাঁকে ডিসিএল এবং কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় তাঁকে এলএলডি উপাধি প্রধান করেছিল । [১][২]
নীলরতন সরকারের দেশের সামগ্রিক উন্নতির প্রতি আগ্রহ তাঁকে বিভিন্ন শিল্প স্থাপনের দিকে উৎসাহিত করেছিল । তিনি রাঙামাটি চা কম্পানি (পরবর্তী কালে ইস্টার্ন টি কম্পানি), ন্যাশন্যাল সোপ ফ্যাক্টরি এবং ন্যাশন্যাল ট্যানারি কম্পানিতে তাঁর টাকা নিয়োগ করেছিলেন । নীলরতন সরকার রাজনৈতিক ভাবে সক্রিয় ছিলেন । তিনি ১৮৯০ খ্রিস্টাব্দ থেকে ১৯১৯ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত ভারতের জাতীয় কংগ্রেসের সদস্য ছিলেন । [২]
ক্যাম্বেল মেডিকেল স্কুল কলেজে রূপান্তরিত হয়ে তাঁর নামে নীলরতন সরকার মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল নামাঙ্কিত হয় ।