পঞ্চরত্ন গোবিন্দ মন্দির
গোবিন্দ মন্দির | |
---|---|
![]() মহারানির স্নানঘাট থেকে দর্শনীয় বৃষ্টিস্নাত গোবিন্দ মন্দির | |
সাধারণ তথ্য | |
ধরন | পঞ্চরত্ন মন্দির, বাংলার মন্দির স্থাপত্য |
অবস্থান | পুঠিয়া |
ঠিকানা | পুঠিয়া উপজেলা, রাজশাহী জেলা |
শহর | রাজশাহী |
দেশ | বাংলাদেশ |
নির্মাণকাজের আরম্ভ | ১৮২৩ খ্রিষ্টাব্দ |
নির্মাণকাজের সমাপ্তি | ১৮৯৫ খ্রিষ্টাব্দ |
স্বত্বাধিকারী | বাংলাদেশ প্রত্নতাত্ত্বিক অধিদপ্তর |
উচ্চতা | ১৮.২৮ মিটার |
কারিগরী বিবরণ | |
উপাদান | ইট, সুড়কি, পোড়ামাটি |
তলার সংখ্যা | ২ |
তলার আয়তন | ২০৯.৩৮০৯ বর্গ মিটার |
পরিচিতির কারণ | প্রত্নতাত্ত্বিক স্থান |
গোবিন্দ মন্দির পুঠিয়া রাজবাড়ির ছয়টি মন্দিরের মধ্যে সর্বনিকটতম। এটি বাংলাদেশ প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর এর তালিকাভুক্ত একটি প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপনা।[১][২]
ইতিহাস
[সম্পাদনা]গোবিন্দ মন্দির ১৮২৩ থেকে ১৮৯৫ খ্রিষ্টাব্দের মধ্যবর্তী সময়ে রাণী ভুবনময়ী দেবী কর্তৃক নির্মিত হয়।
অবস্থান
[সম্পাদনা]রাজশাহী শহর থেকে ২৩ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত বিখ্যাত পুঠিয়া রাজবাড়ির সবচেয়ে কাছে এই মন্দিরের অবস্থান। রাজবাড়ির পেছনের অংশে এই মন্দিরের একমাত্র মূল প্রবেশপথ। মন্দিরের পেছনে মহারাণীর স্নানঘাট । অন্যপাশে রাজবাড়ি, এবং রাজবাড়ির বিপরীত পাশে বর্তমানে রয়েছে ভূমি অধিদপ্তরের কার্যালয়। মন্দির এলাকার ভেতরেই রয়েছে কাছারিঘরের কর্মচারিদের জন্য প্রস্তুতকৃত ভবনের ধ্বংসাবশেষ।
অবকাঠামো
[সম্পাদনা]মন্দিরটি মূলতঃ ইট দ্বারা নির্মিত, বহিঃদেওয়ালে রয়েছে পোড়ামাটির চিত্রফলক। এসব চিত্রফলকে রামায়ণ ও মহাভারতের কাহিনী তুলে ধরা হয়েছে। বর্গাকার এ মন্দিরের প্রতি বাহু ১৪.৪৭মিটার এবং উচ্চতায় প্রায় ১৮.২৮ মিটার। পঞ্চরত্ন স্থাপত্য পরিকল্পনায় এ মন্দিরের চারকোণে চারটি ও কেন্দ্রে একটি করে মোট পাঁচটি শিখর বা রত্ন আছে। শিখরগুলো ক্ষুদ্রাকার, চৌচালা আকারে নির্মিত। প্রথম তলার প্রতি পাশে ৩টি করে প্রবেশ পথ রয়েছে, প্রতিটি প্রবেশপথের উপরাংশে রয়েছে বহুমুখী খিলান। মন্দিরের ছাদের কোণগুলো আংশিক বাঁকানো।
![](http://upload.wikimedia.org/wikipedia/commons/thumb/5/55/%E0%A6%97%E0%A7%8B%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A6_%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A6%BF%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%B0_%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%93%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A7%87%E0%A6%B0_%E0%A6%9A%E0%A6%BF%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%AB%E0%A6%B2%E0%A6%95.jpg/220px-%E0%A6%97%E0%A7%8B%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A6_%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A6%BF%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%B0_%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%93%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A7%87%E0%A6%B0_%E0%A6%9A%E0%A6%BF%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%AB%E0%A6%B2%E0%A6%95.jpg)
আরও দেখুন
[সম্পাদনা]- বাংলাদেশের প্রত্নতাত্ত্বিক স্থানের তালিকা
- পুঠিয়া মন্দির চত্বর
- বাংলার মন্দির স্থাপত্য
- রত্ন শিল্পরীতি (বাংলার মন্দির স্থাপত্যরীতি)
- চালা শিল্পরীতি (বাংলার মন্দির স্থাপত্যরীতি)
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]![](http://upload.wikimedia.org/wikipedia/commons/thumb/4/4a/Commons-logo.svg/30px-Commons-logo.svg.png)
- ↑ "রাজশাহী বিভাগের পুরাকীতি - Department of Archaeology-Government of the People's Republic of Bangladesh - প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর-গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার"। সংগ্রহের তারিখ ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৬।
- ↑ রায়, প্রণব (২৭ জানুয়ারী ১৯৯৯)। বাংলার মন্দির। তমলুক: পুর্বাদ্রী প্রকাশক।