গোসাই আখড়া

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
গোসাই আখড়া
ধর্ম
অন্তর্ভুক্তিহিন্দুধর্ম
জেলানাটোর জেলা
অবস্থান
অবস্থানলালপুর উপজেলা
দেশবাংলাদেশ

গোসাই আখড়া বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগে অবস্থিত একটি প্রাচীন স্থাপনা। এটি মূলত লালপুর উপজেলার অন্তর্গত একটি প্রাচীন আখড়া। এটি বাংলাদেশ প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর এর তালিকাভুক্ত একটি প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপনা[১]

অবস্থান[সম্পাদনা]

গোসাই আখড়া নাটোর জেলার লালপুর উপজেলার অবস্থিত একটি প্রত্নতাত্ত্বিক স্থান।[১]

বিবরণ[সম্পাদনা]

অনুমানিক অষ্টাদশ শতাব্দীর প্রথম পাদে নির্মিত ফকির চাঁদ বৈষ্ণব গোসাইর মন্দির, সমাধি ও যোগী সম্প্রদায়ের বিরাট আখড়া রয়েছে। গোসাই আখড়া একটি স্থান। এককালে এ আখড়াটিই ছিল এদেশের যোগী সম্প্রদায়ের একটি কেন্দ্র। শৈব, বৌদ্ধ, তান্ত্রিক, সহজিয়া ও যোগী এ কয়টি ধর্মমতের সমন্বয়ে উদ্ভূত ধর্মই নাথধর্ম। এ ধর্মের মূল হলো মানবদেহ। দেহেই বিশ্বব্রহ্মান্ডের ন্যায় নিয়ত সৃষ্টিকর্ম চলছে অর্থাৎ মানব দেহই বিশ্বব্রহ্মান্ডের ক্ষুদ্ররুপ বা অংশ। অপরিপক্ব দেহকে যোগ বা সাধনার দ্বারা পরিপক্ব করতে পারলে শিবত্ব বা অমরত্ব লাভ করা যায়। এই অমরত্ব লাভের সাধনার নামই ‘যোগ’। যোগসাধনপ্রন্থী উক্ত সম্প্রদায়েরর গুরু ছিলেন মীননাথ । গুরুদের নামের শেষে ‘নাথ’ থাকায় ‘নাথযোগী’ সম্প্রদায় নামে পরিচিত। সাধক পদ্ধতির ভিন্নতায় নাথপন্থিরা নাথযোগী, কাপালীযোগী ও অবধূতযোগী শ্রেণীতে বিভক্ত ছিল। সিদ্ধাছাড়া অন্যান্যরা গৃহী। সিদ্ধাযোগী ও যোগিনীরা বিশেষ ধরনের পরিচ্ছদ, গলায় রুদ্রাক্ষের মালা ও কালে কুন্ডল পড়ে লোকালয়ে ঘুরে বেড়াতো এবং গোরক্ষনাথ, গোপীচন্দ্রের সন্যাস, নাথগীতিকা, দোহা ইত্যাদি নাথ ধর্মের মাহাত্মামূলক গান পরিবেশন করে ভিক্ষালব্দ অন্নে জীবিকা নির্বাহ করতো।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]

চিত্রশালা[সম্পাদনা]

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "প্রত্নস্হলের তালিকা"বাংলাদেশ প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরhttp://www.archaeology.gov.bd/। সংগ্রহের তারিখ ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৬  |প্রকাশক= এ বহিঃসংযোগ দেয়া (সাহায্য)