রাসমঞ্চ

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
রাসমঞ্চ
বিষ্ণুপুরের রাসমঞ্চ
মানচিত্র
সাধারণ তথ্য
স্থাপত্য রীতিপিরামিড, বাংলা চালা স্থাপত্য, ইসলামি স্থাপত্য
শহরবিষ্ণুপুর
দেশপশ্চিমবঙ্গ, ভারত
বর্তমান দায়িত্বভারতীয় পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণ
নির্মাণকাজের সমাপ্তি১৬০০
গ্রাহকবীর হাম্বীর

রাসমঞ্চ ভারতীয় রাজ্য পশ্চিমবঙ্গের বাঁকুড়া জেলার অন্তঃপাতী বিষ্ণুপুর শহরের একটি পুরাতাত্ত্বিক স্থাপনা। মল্লরাজা বীর হাম্বীর আনুমানিক ১৬০০ খ্রিষ্টাব্দে এই মঞ্চটি নির্মাণ করেন।[১] বৈষ্ণব রাস উৎসবের সময় বিষ্ণুপুর শহরের যাবতীয় রাধাকৃষ্ণ বিগ্রহ এখানে জনসাধারণের দর্শনের জন্য আনা হত।[১] ১৬০০ থেকে ১৯৩২ সাল পর্যন্ত এখানে রাস উৎসব আয়োজিত হয়েছে। বর্তমানে অবশ্য এখানে আর উৎসব হয় না।[২]

স্থাপত্যশৈলী[সম্পাদনা]

রাসমঞ্চ একটি অভিনব স্থাপত্যশৈলীর নিদর্শন।[১][৩] মঞ্চের বেদিটি মাকড়া বা ল্যাটেরাইট পাথরে নির্মিত।[১] বেদিটির উচ্চতা ১.৬ মিটার ও দৈর্ঘ্য ২৪.৬ মিটার।[১] মঞ্চটির মোট উচ্চতা ১০.৭ মিটার।[১] উপরের অংশ ইষ্টকনির্মিত।[৩] চূড়ার কাছে একটি স্বল্প পরিসর ছাদে গিয়ে উপরের অংশটি মিলিত হয়েছে।[১]

রাসমঞ্চের চূড়া পিরামিডাকৃতির।[১][৩] চূড়ার মূলে চারটি করে দোচালা ও প্রতি কোণে একটি করে চারচালা রয়েছে।[৩]

গর্ভগৃহটি দেওয়াল-দ্বারা আবৃত নয়।[৩] বরং রাসমঞ্চের গর্ভগৃহটিকে ঘিরে রয়েছে তিন প্রস্থ খিলানযুক্ত দেওয়াল।[১] বাইরের সারিতে খিলানের সংখ্যা ৪০।[২] এই খিলানগুলির গায়ে পোড়ামাটির পদ্ম ও পূর্ব দেওয়ালে বিষ্ণুপুরের গায়ক-বাদকদের স্মৃতি-অলংকৃত কয়েকটি টেরাকোটার প্যানেল রয়েছে। রাসমঞ্চটি বিষ্ণুপুরের প্রচলিত স্থাপত্যরীতি অনুসরণে নির্মিত হয়নি।[৩]

চিত্রশালা[সম্পাদনা]

পাদটীকা[সম্পাদনা]

  1. বিষ্ণুপুর, এস এস বিশ্বাস, ভারতীয় পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণ, নতুন দিল্লি, ১৯৯২, পৃ. ২৩-২৪
  2. মল্লভূম বিষ্ণুপুর, মনোরঞ্জন চন্দ্র, দেজ পাবলিশিং, কলকাতা, ২০০৪, পৃ. ৬২২-২৮
  3. বিষ্ণুপুরের টেরাকোটা মন্দির: ডার্করুম থেকে আলোয়, ঋত্বিক মল্লিক, প্রকাশন বিভাগ, কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রক, ভারত সরকার, নতুন দিল্লি, ২০১০, পৃ. ২২