উত্তর বাড্ডা ইসলামিয়া কামিল মাদ্রাসা

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
উত্তর বাড্ডা ইসলামিয়া কামিল মাদ্রাসা
মাদ্রাসার লোগো
ধরনএমপিও ভুক্ত
স্থাপিত১ জানুয়ারি ১৯৬৯; ৫৫ বছর আগে (1969-01-01)
প্রতিষ্ঠাতাআলহাজ্ব মুহাম্মাদ চান মিয়া
প্রাতিষ্ঠানিক অধিভুক্তি
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া (২০০৬- ২০১৬)
ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় (২০১৬- বর্তমান)
মাধ্যমিক অন্তর্ভুক্তিবাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড
শিক্ষার্থীআনু. ১০০০
ঠিকানা
চ ৮৬, বাড্ডা থানা
,
গুলশান
, ,
শিক্ষাঙ্গনশহুরে
EIIN সংখ্যা১০৭৮৩৫
ক্রীড়াক্রিকেট, ফুটবল, ভলিবল, ব্যাটমিন্টন
এমপিও সংখ্যা২৬০৬১১২৪০১
ওয়েবসাইটhttp://www.ubikm.com/
http://107835.ebmeb.gov.bd/

উত্তর বাড্ডা ইসলামিয়া কামিল মাদ্রাসা বাংলাদেশের ঢাকা মহানগরীর বাড্ডা থানার একটি উল্লেখযোগ্য আলিয়া মাদ্রাসা[১] মাদ্রাসাটির দাখিল ও আলিম স্তর বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড নিয়ন্ত্রণ করে থাকে, এবং ফাজিল ও কামিল স্তর ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। এটি গুলশান-বাড্ডা অঞ্চলের অন্যতম কামিল মাদ্রাসা। এটি ১৯৬৯ সালে আলহাজ্ব মুহাম্মাদ চান মিয়া নামক এক ব্যক্তি প্রতিষ্ঠা করেন। মাদ্রাসার বর্তমান অধ্যক্ষের নাম আনোয়ার হোসেন মোল্লা।[২] মাদ্রাসাটিতে ৫০ জন শিক্ষক-কর্মচারী ও প্রায় ১০০০ শিক্ষার্থী রয়েছে।

ইতিহাস[সম্পাদনা]

ঢাকা শহরে আধুনিক ইসলামি শিক্ষার বিস্তার ঘটানোর জন্য মাদ্রাসাটি ১৯৬৯ সালে প্রতিষ্ঠা করা হয়। মাদ্রাসাটি নির্মাণের জন্য যারা জমি দান করেছেন, এদের মধ্যে শোনা মিয়া মাতব্বর, আব্দুল হাকিম মুন্সি, মুহাম্মাদ নুরুল হক, আমিনুল হক উল্লেখযোগ্য। মাদ্রাসাটির প্রাথমিক পর্যায়ে প্রথম অধ্যক্ষ হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন মোহা. খলিলুর রহমান, তিনি মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠার ব্যপারেও অগ্রগামী সদস্য হিসাবে কাজ করেছিলেন। মাদ্রাসাটি বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড কর্তৃক ১৯৭৭ সালে দাখিল স্তরের ও ১৯৮২ সালে আলিম স্তরের অনুমতি লাভ করে। এরপরে তৎকালীন অধ্যক্ষ ও ইসলামি ব্যক্তিদের সহযোগিতায় বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড কর্তৃক ১৯৮৪ সালে ফাজিল ও ১৯৯৭ সালে কামিল শ্রেণীর অনুমতি লাভ করে। তাছাড়া ১৯৯৯ সালে মাদ্রাসাটির দাখিল স্তরে ও পরবর্তীতে আলিম স্তরে বিজ্ঞান বিভাগ চালু করা হয়।

এরপরে বাংলাদেশের সরকার আলিয়া মাদ্রাসার ডিগ্রির উন্নয়ন ঘটানোর জন্য মাদ্রাসার ফাজিল ও কামিল স্তরকে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্ভুক্ত করার উদ্যোগ গ্রহণ করেন। সেই হিসাবে ২০০৬ সালে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় আইন সংশোধন করে আলিয়া মাদ্রাসাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত ঘোষণা করা হয়। তখন দেশের এই মাদ্রাসার ফাজিল ও কামিল স্তর কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্তি লাভ করে। এরপরে সরকার মাদ্রাসার জন্য আলাদা এফেলিয়েটিং বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করে, সেই হিসাবে ২০১৬ সালে মাদ্রাসাটি ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্তি লাভ করে।

২০১৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত আর্ল আর মিলার মাদ্রাসাটি পরিদর্শনে আসে এবং মাদ্রাসাটির প্রশংসা করে।[৩]

শিক্ষা কার্যক্রম[সম্পাদনা]

মাদ্রাসাটিতে আলিয়া মাদ্রাসার প্রথম শ্রেণী থেকে শুরু করে কামিল শ্রেণী পর্যন্ত রয়েছে। এবং মাদ্রাসাটি শিক্ষাবোর্ড কর্তৃক প্রণীত সিলেবাস অনুসরণ করে থাকে। এই সিলেবাস অনুসারে এখানে কুরআন, হাদিস, ফিকাহ, ইংরেজি, গণিত, ইতিহাস, ভূগোল, অর্থনীতি, পদার্থবিদ্যা, রসায়ন এরকম নানা বিষয় পড়ানো হয়। মাদ্রাসার দাখিল ও আলিম স্তরে সাধারণ ও বিজ্ঞান উভয় বিভাগে পাঠদান করা হয়। এবং মাদ্রাসার ফাজিল স্তরে আল কুরআন, হাদিস, দাওয়াহ বিষয়ে পাঠদান করা হয় এবং মাদ্রাসার কামিল স্তরে আল কুরআন ও আল হাদিস বিভাগ রয়েছে। মাদ্রাসাটি বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয় দ্বারা অনুমোদিত প্রতিষ্ঠান।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "উত্তর বাড্ডা ইসলামিয়া কামিল মাদ্রাসা"সহপাঠী ওয়েবসাইট। সংগ্রহের তারিখ ৩০ জুলাই ২০২৩ 
  2. "চেয়ারম্যান হলেন আনোয়ার হোসাইন মোল্লা"www.shomoyeralo.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৭-৩০ 
  3. "Ambassador Miller visited Uttar Badda Islamia Kamil Madrasa"U.S. Embassy Dhaka - Twitter (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৭-৩০ 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]