দারুননাজাত সিদ্দীকিয়া কামিল মাদরাসা
ধরন | এমপিওভুক্ত |
---|---|
স্থাপিত | ১ জানুয়ারি, ১৯৯০ |
প্রতিষ্ঠাতা | আবুল আনসার মুহাম্মাদ আব্দুল কাহ্হার সিদ্দীকি |
অধিভুক্তি | ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ (২০০৬-২০১৬) ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় (২০১৬- বর্তমান) |
অধ্যক্ষ | আবুল খায়ের মুহা. আবুবকর সিদ্দীক |
শিক্ষায়তনিক ব্যক্তিবর্গ | ১৫৮ জন |
শিক্ষার্থী | ১২,০০০(প্রায়) |
ঠিকানা | শুকুরশী গোরস্থান সংলগ্ন, পূর্ব বক্সনগর, সারুলিয়া-১৩৬১ ডেমরা থানা , , বাংলাদেশ |
ওয়েবসাইট | dskm |
দারুননাজাত সিদ্দীকিয়া কামিল মাদরাসা (দাপ্তরিকভাবে মাদরাসা-ই-দারুননাজাত) ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকার ডেমরা থানাধীন ডি.এন.ডি. প্রজেক্টের মধ্যে সারুলিয়া বাজার ও ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কের মধ্যবর্তী স্থানে শুকুরশী গোরস্থান সংলগ্ন প্রায় তিন একর জমির উপর দারুননাজাত সিদ্দীকিয়া কামিল মাদরাসার অবস্থান।[১][২] জেডিসি, দাখিল ও আলিম পরীক্ষায় এই মাদরাসা সারা দেশের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ফলাফল করে থাকে।[৩][৪] বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষামন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ-২০১৭ এ জাতীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নির্বাচিত হয়েছিলো এই মাদরাসাটি। এই মাদরাসাটি ১৯৯০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়।[১][৫][৬]
ইতিহাস
[সম্পাদনা]১৯৮৮ সালে শুকুরসির স্থানীয় কিছু লোক হজ্জরত অবস্থায় একটি মাদরাসা স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেন। পরে স্থানীয় কিছু লোকেরা মিলে সান্দিরা বালুঘাটে 'দারুল ফেরদাউস' নামে একটি ইবতেদায়ি মাদরাসা স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেন। সিদ্ধান্ত অনুসারে ১৯৮৯ সালে সেপ্টেম্বর মাসে ফুরফুরার পীর আব্দুল কাহহার সিদ্দিকি হাজি আনসার আলি নামের এক ব্যক্তির দান করা জমিতে মাদরাসাটির ভিত্তি স্থাপন করা হয়ে। তবে ফুরফুরার পীর মাদরাসাটির নাম 'দারুল ফেরদাউস' নামের পরিবর্তে 'দারুন নাজাত' নাম রাখেন।
১৯৯১ সালে আবু বকর সিদ্দিক মাদরাসাটির অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্বপ্রাপ্ত হন। পরবর্তীতে ১৯৯৪ সনে আলিম, ১৯৯৬ সনে ফাযিল ও ২০০৪ সনে কামিল পর্যায়ে উন্নীত হয়।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
বিবরণ
[সম্পাদনা]দারুননাজাত মাদ্রাসায় হাফেজ ছাত্রদের সুবিধার জন্য প্রাক তাখসীসি জামাত। দরসে নেজামি পদ্ধতিতে নবম শ্রেণি থেকে বিশেষভাবে পাঠদান করা হয়। আলিম শ্রেণির মানবিক বিভাগের শিক্ষার্থীদের হাদীস গ্রন্থ মিশকাতুল মাসাবিহ খতম করানো, এছাড়া ফাযিল ও কামিল শ্রেণিতে তাফসিরে জালালাইন, খতমে বুখারিসহ বিভিন্ন বিখ্যাত হাদিস ও তাফসির গ্রন্থ বাধ্যতামূলকভাবে খতম করা হয়।
প্রত্যহ ফজর নামাজের পর আবাসিক শিক্ষার্থীদের কুরআন তিলাওয়াতসহ মাগরিব নামাজের পর আওয়াবিন সালাত, যিকির বাধ্যতামূলকভাবে করানো হয়। দারুননাজাত সিদ্দীকিয়া কামিল মাদ্রাসায় প্রায় ১৫৮ জন শিক্ষক রয়েছে।
ছাত্র সংগঠন
[সম্পাদনা]দারুননাজাত সিদ্দীকিয়া কামিল মাদরাসার সর্বস্তরের শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিত্ব করার জন্য ছারছীনা দরবার শরীফের একমাত্র অরাজনৈতিক ছাত্র সংগঠন "বাংলাদেশ ছাত্র হিযবুল্লাহ" এর কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
শাখা ও ক্লাব
[সম্পাদনা]দারুননাজাত সিদ্দীকিয়া কামিল মাদরাসার কয়েকটি শাখা প্রতিষ্ঠান আছে;
- দারুননাজাত তাখসীসি শাখা।
- দারুননাজাত মাদরাসা কিতাব বিভাগ
- দারুননাজাত নেছারিয়া হিফজখানা।
- দারুননাজাত মহিলা শাখা।
- দারুননাজাত ছালেহিয়া এতিমখানা।
- দারুননাজাত মাদরাসা কিতাব বিভাগ।
- দারুননাজাত বিজ্ঞান ক্লাব।
সুযোগ-সুবিধা
[সম্পাদনা]- গ্রন্থাগার: মাদরাসার শিক্ষার্থীদের জন্য ইন্টারনেট সুবিধাসহ শতাধিক বিষয়ের উপর ১৫ হাজার বই সংবলিত গ্রন্থাগার রয়েছে।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
আবাসিক হল
[সম্পাদনা]দারুননাজাত সিদ্দীকিয়া কামিল মাদরাসায় ১৮টি আবাসিক হল রয়েছে।
- দারুল হিকমাহ বিজ্ঞান হল
- সৈয়দ আহমদ বেরলভী রহমাতুল্লাহি আলাইহি হল
- সুফি ফতেহ আলী ওয়াইসী রহমাতুল্লাহি আলইহি হল
- আল্লামা নিয়াজ মাখদুম খোতানি রহমাতুল্লাহি আলাইহি হল
- রিয়াজুল জান্নাত ছাত্রাবাস-১
- রিয়াজুল জান্নাত ছাত্রাবাস-২
- রিয়াজুল জান্নাত ছাত্রাবাস-৩
- রিয়াজুল জান্নাত ছাত্রাবাস-৪
- রিয়াজুল জান্নাত ছাত্রাবাস-৫
- রিয়াজুল জান্নাত ছাত্রাবাস-৬
- রিয়াজুল জান্নাত ছাত্রাবাস-৭
- রিয়াজুল জান্নাত ছাত্রাবাস-৮
- রিয়াজুল জান্নাত ছাত্রাবাস-৯
- রিয়াজুল জান্নাত ছাত্রাবাস-১০
- রিয়াজুল জান্নাত ছাত্রাবাস-১১
- রিয়াজুল জান্নাত ছাত্রাবাস-১২
- সিদ্দীকিয়া হল।
- দারুন নাজাত রেসিডেন্সিয়াল কেয়ার
প্রকাশনা
[সম্পাদনা]প্রতি মাসে মাদরাসার ছাত্র শিক্ষকদের তত্ত্বাবধানে বাংলা মাসিক পত্রিকা ‘মাসিক নতুন বিকাশ’ প্রকাশিত হয়। এছাড়া ইংরেজিতে দক্ষ শিক্ষার্থীদের তত্ত্বাবধানে ইংরেজি ম্যাগাজিন, আরবিতে দক্ষ শিক্ষার্থীদের তত্ত্বাবধানে ত্রৈমাসিক আরবী ম্যাগাজিন ছাওতুন নাজাত এবং বিভিন্ন স্মরণীয় দিনগুলোতে আরবি দেয়ালিকা প্রকাশিত হয়।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
পোশাক
[সম্পাদনা]- ছাত্র: সাদা পাজামা, সাদা নেছফে ছাক (গোড়ালি ও হাঁটুর মাঝামাঝি জায়গা) গোলজামা (১ বোতাম), সাদা টুপি এবং সাদা জুতা-মোজা।[৭]
- ছাত্রী: কালো বোরকা ও সাদা হিজাব (স্কার্ফ), কালো হাত ও পা মোজা।
উল্লেখযোগ্য শিক্ষার্থী
[সম্পাদনা]- মিজানুর রহমান আজহারী – ইসলামি পণ্ডিত।
আরও দেখুন
[সম্পাদনা]তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ ক খ "অন্যরকম এক দারুন্নাজাতের গল্প"। আওয়ার ইসলাম। ২০১৭-০৮-০৭। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০১-৩০।
- ↑ "দারুন্নাজাত সিদ্দিকিয়া কামিল মাদরাসায় নতুন ভবন প্রয়োজন"। দৈনিক শিক্ষা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০১-৩০।
- ↑ "মাদ্রাসা বোর্ডে দেশসেরা ডেমরার দারুন্নাজাত"। কালের কণ্ঠ। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৬-০২।
- ↑ "মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডে পাসের হার ৯১.৪৬%"। প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৬-০২।
- ↑ "দারুন্নাজাত সিদ্দিকিয়া কামিল মাদরাসায় নতুন ভবন প্রয়োজন"। দৈনিক শিক্ষা (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৬-০২।
- ↑ "মাদ্রাসা বোর্ডে দারুন্নাজাত সিদ্দিকিয়া কামিল মাদ্রাসা শীর্ষে"। jagonews24.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৬-০২।
- ↑ "দারুননাজাত সিদ্দীকিয়া কামিল মাদরাসা"। dskm.ac.bd। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৬-০২।