সুলতান যওক নদভী

আল্লামা
সুলতান যওক নদভী
আল্লামা; সুলতান যওক নদভী
উপাধি	আল্লামা, নদভী
জাতিভুক্ত	বাংলাদেশী
মাজহাব	হানাফি
শাখা	দেওবন্দি
মূল আগ্রহ	ইসলাম
লক্ষণীয় কাজ	জামিয়া দারুল মরিফ আল-ইসলামিয়ার প্রতিষ্ঠাতা,আগ্রাবাদে কাশেমুল উলুম নামে একটি মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেন,আরবি সাহিত্যের অধ্যয়নের জন্য নাদিয়াতুল আদাব নামে একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চালূ করেন
	যাদেরকে প্রভাবিত করেছেন আবু তাহের মিসবাহ;

সুলতান যওক নদভী একজন বাংলাদেশি ইসলামি পণ্ডিত।^[১]^[২]^[৩]^[৪] তিনি আঞ্জুমানে ইত্তেহাদুল মাদারিস বাংলাদেশের সভাপতি, জামেয়া দারুল মাআরিফ আল ইসলামিয়ার প্রতিষ্ঠাতা ও মহাপরিচালক এবং বিশ্ব মুসলিম লীগের বাংলাদেশ শাখার প্রধান। আরবি ভাষায় দক্ষতা ও সাহিত্য অবদানের জন্যে তার পরিচিতি রয়েছে। ^[৫]^[৬]^[৭]

প্রাথমিক জীবন[সম্পাদনা]

সুলতনা যওক নদভী ১৯৫৯ সালে সালে আল-জামিয়াহ আল-ইসলামিয়াহ পাটিয়া থেকে দাউরা-ই হাদীস সম্পন্ন করেন। পরবর্তীতে, ১৪০৪ হিজরি সালে ভারতের দারুল উলুম নাদওয়াতুল উলামা থেকে তিনি অবৈতনিক আলমিয়াত ডিগ্রী লাভ করেন। এবং নদভী শিরোনাম ভূষিত হন।^[৮]

কর্মজীবন[সম্পাদনা]

সুলতান জউক ১৯৫৯ সালে চন্দনাইশ উপজেলার মাদ্রাসা রাশিদিয়াতে যোগদানের মধ্য দিয়ে শিক্ষকতা পেশা শুরু করেন। ১৯৬০ সালে তিনি জামিয়া ইমদাদিয়া কিশোরগঞ্জে যোগ দেন। ১৯৬২ সালে মাওলানা হাজী ইউনুস সাহেবের আহ্বানের জবাবে তিনি আল জামায়াতে ইসলামী পটিয়ার শিক্ষক হিসেবে নিযুক্ত হন।

১৯৬৫ সালে তিনি একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠার জন্য প্রথমবার জামিয়া পাটিয়া ছেড়ে চলে যান এবং তার বন্ধুত্ববিদ কোমল উদ্দিন আগ্রাবাদে কাশেমুল উলুম নামে একটি মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেন। আল্লামা হারুন বাবুনগরীর আহ্বানের জবাবে তিনি আল-জামিয়াতুল ইসলামিয়া আজিজুল উলুম বাবুনগরে শিক্ষক হিসাবে নিজেকে নিবেদিত করেন। নদভি উচ্চতর স্তরে আরবি সাহিত্য ও হাদীস শেখা এবং মুফতি হিসেবে কাজ করেন। তিনি আরবি সাহিত্যের অধ্যয়নের জন্য নাদিয়াতুল আদাব নামে একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চালূ করেন । বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর তিনি দ্বিতীয়বার আল জামিয়া ইসলামিয়া পটিয়ায় নিযুক্ত হন। তিনি তাহাওয়ী শরীফ, তিরমিযী শরীফ, মিশকাত এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বইগুলি শিখিয়েছিলেন। তিনি একটি আরবি ভাষা একাডেমী প্রতিষ্ঠা, আরবি ভাষা বিভাগ স্পনসর। সেই সময়, একটি ত্রৈমাসিক আরবি পত্রিকা আস-সুবহুল জাদেদ, তার সম্পাদনার মাধ্যমে নিয়মিত প্রকাশিত হয়।

১৯৮১ সালে, তিনি আন্তর্জাতিক সাহিত্য সেমিনারে অংশগ্রহণের জন্য ভারত যান এবং দারুল উলুম নাদওয়াতুল উলামা দুই মাস অবস্থান করেন। ১৯৮৬ সালে, নাদভিকে রবার্ট আল-আদাব আল-আসলামি (ইসলামী সাহিত্যের সার্বজনীন লীগ ) ট্রাস্টি বোর্ডে নিযুক্ত করা হয় এবং সংগঠনের বাংলাদেশ আঞ্চলিক কার্যালয়ের চেয়ারম্যান হিসাবে ঘোষণা করা হয়। ১৯৮৪ সালে তার আমন্ত্রণে আবুল হাসান আলী হাসানী নাদুই বাংলাদেশ সফর করেন এবং মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠার বিষয়ে পরামর্শ দেন। ১৯৮৫ সালে আল্লামা যওক নদভী দ্বিতীয় বার জামায়াতের আল ইসলামিয়া পটিয়া ছেড়ে জামিয়া দারুল মরিফ আল-ইসলামিয়া প্রতিষ্ঠা করেন ।

তার উদ্যোগে, ১৯৯৪ সালে রবিতা আল-আদাব আল-ইসলামী পরিচালনার অধীনে জামিয়া দারুল মরিফ আল ইসলামিতে আবুল হাসান আলী হাসান নাদভীয়ের সভাপতিত্বে পূর্ব এশীয় ভাষার ভাষা ও সাহিত্যের একটি আন্তর্জাতিক সাহিত্য সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। এই সেমিনারে মুসলিম বিশ্বের সেরা কবিগণ উপস্থিত ছিলেন।

আল্লামা সুলতান যওক নাদভী তার নিজের মাদ্রাসার জামিয়া দারুল মারেফ আল-ইসলামিয়া মহাপরিচালক হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন।^{[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]}

উল্লেখযোগ্য কর্ম[সম্পাদনা]

প্রকাশিত কাজ:^[৯]^[১০]

আত্ব-তরীকু ইলাল ইনশা
তাছহিলুল ইনশা
আমার জীবন কথা

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

দেওবন্দি ব্যক্তিত্বের তালিকা

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

↑ Contribution of Bangladesh to the development of Arabic language and literature, p.199–203, hdl:10603/57850
↑ "The Daily Star Web Edition Vol. 5 Num 86"। archive.thedailystar.net। ২০১৮-১১-০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-১১-০২।
↑ "আল্লামা আহমদ শফীর ইন্তেকালে বিশ্ববরেণ্য আলেমদের শোক"। কালের কণ্ঠ। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১১-০৮।
↑ "চট্টগ্রামে জামেয়া দারুল মা'আরিফ মাদ্রাসার প্রথম সমাবর্তন অনুষ্ঠিত"। বাংলাদেশ প্রতিদিন।
↑ উল্লাহ, সাখাওয়াত (২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮)। "কওমি সনদের স্বীকৃতি : শীর্ষ আলেমদের প্রতিক্রিয়া | কালের কণ্ঠ"। কালের কন্ঠ। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৯-০২।
↑ ISLAMIC EDUCATION IN BANGLADESH: SECOND YEAR REPORT Mumtaz Ahmad
↑ খসরু, আতাউর রহমান (২০ মার্চ ২০২০)। "করোনাভাইরাসের প্রশ্ন নিয়ে দেশের শীর্ষ আলেমদের নিয়ে আলোচনা | কালের কণ্ঠ"। দৈনিক কালের কন্ঠ। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৮-১৮।
↑ শ্বেতপত্র: বাংলাদেশে মৌলবাদী সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসের ২০০০ দিন। মহাখালী, ঢাকা-১২১২: মৌলবাদী ও সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাস তদন্তে গণকমিশন। ফেব্রুয়ারি ২০২২। পৃষ্ঠা ৮৭–৯০।
↑ "কিতাবঘর.কম :: আল্লামা সুলতান যওক নদভী এর সকল বই"। www.kitabghor.com। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-১১-২৮।
↑ "Ittadishop.com :: আল্লামা সুলতান যওক নদভী"। www.ittadishop.com (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-১১-২৮।

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]

শিক্ষা সংস্কার আন্দোলনের অনন্য ব্যক্তিত্ব- জহির উদ্দিন বাবর
শিক্ষা সংস্কারে শায়খ সুলতান যওক নদভির যুক্তিধারা
হাসনাবাদী, মুহাম্মদ জাকারিয়া (২০২৩)। মাশায়েখে বাবুনগর। বাংলাদেশ: ইত্তিহাদ পাবলিকেশন। পৃষ্ঠা ১৬৫–১৬৮।
হিফাজাত-ই-ইসলাম বাংলাদেশের সরকারি ওয়েবসাইট
বাংলাদেশ কাওয়মি মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড
দারুল উলুমের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট মুঈনুল ইসলাম হাটহাজারী

[1] Contribution of Bangladesh to the development of Arabic language and literature, p.199–203, hdl:10603/57850

[2] "The Daily Star Web Edition Vol. 5 Num 86"। archive.thedailystar.net। ২০১৮-১১-০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-১১-০২।

[3] "আল্লামা আহমদ শফীর ইন্তেকালে বিশ্ববরেণ্য আলেমদের শোক"। কালের কণ্ঠ। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১১-০৮।

[4] "চট্টগ্রামে জামেয়া দারুল মা'আরিফ মাদ্রাসার প্রথম সমাবর্তন অনুষ্ঠিত"। বাংলাদেশ প্রতিদিন।

[5] উল্লাহ, সাখাওয়াত (২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮)। "কওমি সনদের স্বীকৃতি : শীর্ষ আলেমদের প্রতিক্রিয়া | কালের কণ্ঠ"। কালের কন্ঠ। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৯-০২।

[6] ISLAMIC EDUCATION IN BANGLADESH: SECOND YEAR REPORT Mumtaz Ahmad

[7] খসরু, আতাউর রহমান (২০ মার্চ ২০২০)। "করোনাভাইরাসের প্রশ্ন নিয়ে দেশের শীর্ষ আলেমদের নিয়ে আলোচনা | কালের কণ্ঠ"। দৈনিক কালের কন্ঠ। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৮-১৮।

[:0-8] শ্বেতপত্র: বাংলাদেশে মৌলবাদী সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসের ২০০০ দিন। মহাখালী, ঢাকা-১২১২: মৌলবাদী ও সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাস তদন্তে গণকমিশন। ফেব্রুয়ারি ২০২২। পৃষ্ঠা ৮৭–৯০।

[9] "কিতাবঘর.কম :: আল্লামা সুলতান যওক নদভী এর সকল বই"। www.kitabghor.com। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-১১-২৮।

[10] "Ittadishop.com :: আল্লামা সুলতান যওক নদভী"। www.ittadishop.com (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-১১-২৮।

[১]

[২]

[৩]

[৪]

[৫]

[৬]

[৭]

[৮]

[৯]

[১০]

দে স বাংলাদেশি দেওবন্দি ইসলামি পণ্ডিত
প্রয়াত	আব্দুল ওয়াহেদ বাঙ্গালী (১৮৫০—১৯০৫) ওজীহুল্লাহ সন্দ্বীপী (মৃ. ১৯২০) সুফি আজিজুর রহমান (১৮৬২—১৯২২) ইব্রাহীম পেশওয়ারী (১৮৫০—১৯৩০) আব্দুল হাই যশোরী (– ১৯৪২) হাবিবুল্লাহ কুরাইশি (১৮৬৫ – ১৯৪৩) জমিরুদ্দিন আহমদ (১৮৭৮—১৯৪০) আবদুল ওয়াহহাব পীরজী (১৮৯০–১৯৭৬) আতহার আলি (১৮৯১—১৯৭৬) মুফতি ফয়জুল্লাহ (১৮৯২—১৯৭৬) শাহ আবদুল ওয়াহহাব (১৮৯৪—১৯৮২) মুহাম্মদুল্লাহ হাফেজ্জী (১৮৯৫—১৯৮৭) তাজুল ইসলাম (১৮৯৬–১৯৬৭) শামসুল হক ফরিদপুরী (১৮৯৬—১৯৬৯) শামছুল হুদা পাঁচবাগী (১৮৯৭–১৯৮৮) হারুন বাবুনগরী (১৯০২—১৯৮৬) মুফতি আজিজুল হক (১৯০৩—১৯৬১) ছিদ্দিক আহমদ (১৯০৫—১৯৮৭) মুহাম্মদ ইউনুস (১৯০৬—১৯৯২) মুশাহিদ আহমদ (১৯০৭—১৯৭১) সুলতান আহমদ নানুপুরী (১৯১৪—১৯৯৭) ইসহাক আল গাজী (১৯১৭—২০০৬) আবুল হাসান যশোরী (১৯১৮—১৯৯৩) বেলায়েত হুসাইন (১৯১০—২০১৭) আজিজুল হক (১৯১৯—২০১২) শাহ আহমদ শফী (১৯২০—২০২০) মুফতি আবদুর রহমান (১৯২০—২০১৫) নূর উদ্দিন গহরপুরী (১৯২৪—২০০৫) উবায়দুল হক (১৯২৮—২০০৭) সৈয়দ ফজলুল করিম (১৯৩৫—২০০৬) মুহিউদ্দীন খান (১৯৩৫—২০১৬) জমির উদ্দিন নানুপুরী (১৯৩৬—২০১১) আবদুল জাব্বার জাহানাবাদী (১৯৩৭—২০১৬) হারুন ইসলামাবাদী (১৯৩৮—২০০৩) তাফাজ্জুল হক হবিগঞ্জী (১৯৩৮—২০২০) আশরাফ আলী (১৯৪০—২০১৯) আহমাদুল্লাহ আশরাফ (১৯৪২—২০১৮) কারী আব্দুল গণী (১৯৪৪—২০১৯) শাহ মুহাম্মদ তৈয়ব (১৯৪৩—২০২০) ফজলুল হক আমিনী (১৯৪৫—২০১২) নূর হুসাইন কাসেমী (১৯৪৫—২০২০) প্রিন্সিপাল হাবিবুর রহমান (১৯৪৯—২০১৮) আযহার আলী আনোয়ার শাহ (১৯৪৭—২০২০) আবুল ফাতাহ মুহাম্মদ ইয়াহইয়া (১৯৫৪—২০১৭) যুবায়ের আহমদ আনসারী (১৯৬২—২০২০)
বর্তমান	মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী (জ. ১৯৩৫) সুলতান যওক নদভী (জ. ১৯৩৯) জিয়া উদ্দিন (জ. ১৯৪১) আহমদুল্লাহ (জ. ১৯৪১) আব্দুল হালিম বুখারী (জ. ১৯৪৫) নুরুল ইসলাম জিহাদী (জ. ১৯৪৮) মাহমুদুল হাসান (জ. ১৯৫০) ফরীদ উদ্দীন মাসঊদ (জ. ১৯৫০) মুহাম্মদ ওয়াক্কাস (জ. ১৯৫২) জুনায়েদ বাবুনগরী (জ. ১৯৫৩) নূরুল ইসলাম ওলীপুরী (জ. ১৯৫৫) আহমদ আবদুল কাদের (জ. ১৯৫৫) আ ফ ম খালিদ হোসেন (জ. ১৯৫৬) হিফজুর রহমান (জ. ১৯৫৮) শহীদুল ইসলাম (জ. ১৯৬০) মিজানুর রহমান সাঈদ (জ. ১৯৬৩) মুফতি দিলাওয়ার হোসাইন (জ. ১৯৬৪) মুশতাক আহমদ (জ. ১৯৬৭) মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী (জ. ১৯৬৮) মুহাম্মাদ আব্দুল মালেক (জ. ১৯৬৯) মাহফুজুল হক (জ. ১৯৬৯) সৈয়দ রেজাউল করিম (জ. ১৯৭১) মামুনুল হক (জ. ১৯৭৩) আব্দুল মালেক হালিম ইজহারুল ইসলাম ফয়জুল করীম ওবায়দুল্লাহ হামযাহ শাহীনুর পাশা চৌধুরী
বিষয়শ্রেণী