দারুল উলুম আলিয়া মাদ্রাসা, চট্টগ্রাম

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
দারুল উলুম আলিয়া মাদ্রাসা, চট্টগ্রাম
দারুল উলুম আলিয়া মাদ্রাসা, চট্টগ্রামের লোগো
ধরনএমপিও ভুক্ত
স্থাপিত১ জানুয়ারি ১৯১৩; ১১১ বছর আগে (1913-01-01)
প্রতিষ্ঠাতাচান্দমিয়া সওদাগর
প্রাতিষ্ঠানিক অধিভুক্তি
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ (২০০৬- ২০১৬)
ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় (২০১৬- বর্তমান)
অধ্যক্ষমাওলানা মুহাম্মদ মুহসিন ভূঁইয়া
মাধ্যমিক অন্তর্ভুক্তিবাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড
শিক্ষার্থীআনু. ১৪০০
ঠিকানা
খালদার রোড, চকবাজার
, , ,
শিক্ষাঙ্গনশহুরে
EIIN সংখ্যা১০৪৫২৪
ক্রীড়াক্রিকেট, ফুটবল, ভলিবল, ব্যাটমিন্টন
ওয়েবসাইটhttp://dukm.edu.bd/
http://104524.ebmeb.gov.bd/

দারুল উলুম আলিয়া মাদ্রাসা, চট্টগ্রাম বাংলাদেশের একটি উল্লেখযোগ্য কামিল (অনার্স মাস্টার্স) আলিয়া মাদ্রাসা।[১][২] এটি স্থানীয় ব্যক্তিত্ব চান্দমিয়া সওদাগরের পৃষ্ঠপোষকতায় ১৯১৩ সালে চট্টগ্রাম শহরে প্রতিষ্ঠিত হয়। তবে এই মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠার পিছনে মাওলানা খলিলুর রহমান বাগবানী, সুফি আহসান উল্লাহ, মোহাব্বত আলী রামুবী, ফয়জুল করিম প্রভৃতি আলেমের প্রত্যক্ষ অবদান ছিলো। মাদ্রাসাটি বর্তমানে ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত।

ইতিহাস[সম্পাদনা]

চট্টগ্রাম জেলার চান্দগাঁও থানার মুন্সি কাছিম আলীর পুত্র হাজী চান্দমিয়া সওদাগর একটি মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠার চিন্তা করেন, এই চিন্তা থেকেই তিনি মাদ্রাসায় আর্থিক সাহায্য করেন। মাদ্রাসাটি প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে স্থানীয় বিভিন্ন ব্যক্তিবর্গ সাহায্য করেছিলেন। চট্টগ্রাম মুহসিনিয়া মাদ্রাসার হেড মাওলানা মুহাদ্দিস মুহাম্মাদ হাছান (১৮৫০-১৯২০) মাদ্রাসার প্রথম পৃষ্ঠপোষক ছিলেন।[৩]

এছাড়াও অনেক আলেম এটি প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করেছিলেন, এদের মধ্যে খলিলুর রহমান বাগবানী, সুফি আহসান উল্লাহ, মোহাব্বত আলী রামুবী, ফয়জুল করিম, মোহাম্মাদ ইসহাক, এম এম রহিম উদ্দিন, নজির আহমদ, আব্দুল লতিফ, এডভোকেট আতাউর রহমান প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য।[৩]

২০০৬ সালের পূর্ব পর্যন্ত বাংলাদেশের আলিয়া সকল মাদ্রাসার সমস্ত পরীক্ষা বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড আলিয়া মাদ্রাসা পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণ করত। ২০০৬ সালের ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় সংশোধনী আইন, ২০০৬ মোতাবেক মাদ্রাসাটি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় কুষ্টিয়ার অধিভুক্ত হয়।[৪] এরপরে ২০১৬ সালে মাদ্রাসা শিক্ষাকে আরও আধুনিকায়ন করার জন্য ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হয়, এবং এর ফলে আলিয়া মাদ্রাসাগুলোকে বিশ্ববিদ্যালয়টির আওতাধীন করা হয়।[৫]

শিক্ষা কার্যক্রম[সম্পাদনা]

মাদ্রাসাটিতে প্রাথমিক শিক্ষাস্তর ইবতেদায়ী থেকে শুরু করে আলিয়া মাদ্রাসার সর্বোচ্চ পর্যায় কামিল শ্রেণী পর্যন্ত রয়েছে। এছাড়াও মাদ্রাসার দাখিল এবং আলিম উভয় স্তরে বিজ্ঞান ও মানবিক শাখা বিদ্যমান রয়েছে। মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা সংক্রান্ত বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে থাকে। বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা বিজ্ঞান মেলায় অংশগ্রহণ করে থাকে। এছাড়াও এই মাদ্রাসার ফাজিল ও কামিল পর্যায়ে আল কুরআন এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ, আল হাদিস এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ, দাওয়াহ প্রভৃতি বিভাগ চালু আছে। ফাজিল ও কামিল পর্যায়ের ছাত্রদের বিষয়ভিত্তিক গবেষণার সুযোগ রয়েছে।

অধ্যক্ষের তালিকা[সম্পাদনা]

  • মাওলানা মুহাম্মাদ মুসেইন ভুইয়া (০১ জানুয়ারি ২০১৩ - ২২ অগাস্ট ২০১৫)
  • মাওলানা মাহবুবুল আলম সিদ্দিকী (২২ অগাস্ট ২০১৫ - ০৫ এপ্রিল ২০১৮)

উল্লেখযোগ্য ব্যক্তি[সম্পাদনা]

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "চট্টগ্রামের মাদরাসাগুলোতে নেই শহীদ মিনার"jagonews24.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৯-১০ 
  2. "Darul Ulum Kamil Madrasah - Sohopathi | সহপাঠী" (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৭-০৭-০২। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৯-১০ 
  3. "Darul Ulum Kamil (Hon`s-Masters) Madrasah"dukm.edu.bd। ২০২২-০৯-১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৯-১০ 
  4. "আলিয়া মাদরাসার উৎপত্তি ও ক্রমবিকাশ"lekhapora24.net। ২০২১-০৮-১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৮-১৭ 
  5. "মাদ্রাসা শিক্ষার উন্নয়নে প্রত্যাশা"SAMAKAL (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২১-০৬-১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৬-১০ 
  6. "চট্টগ্রামের পীর মাওলানা কুতুব উদ্দিন আর নেই"Risingbd (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৯-১০ 
  7. Azadi, Dainik (২০২২-০৫-২০)। "বায়তুশ শরফের পীর শাহ্‌ মাওলানা কুতুব উদ্দিন (রহ.)"দৈনিক আজাদী (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৯-১০ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]