শিখধর্মের ইতিহাস
শিখধর্ম |
---|
১৬৯৯ খ্রিস্টাব্দের ১৩ এপ্রিল ভারতীয় উপমহাদেশের উত্তরাঞ্চলের পাঞ্জাব অঞ্চলের দশম শিখ গুরু গোবিন্দ সিংহ শিখধর্মের ধর্মীয় রীতিনীতিগুলি বিধিবদ্ধ করেন।[১] তিনি ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলের বিভিন্ন সামাজিক প্রেক্ষাপটের পাঁচ শিখকে দীক্ষাদানের মাধ্যমে খালসা (ਖ਼ਾਲਸਾ) গঠন করেন। এই প্রথম পাঁচ শিখ বা পবিত্র জন এরপর গুরু গোবিন্দ সিংহকে দীক্ষাদানের মাধ্যমে খালসার অন্তর্ভুক্ত করেন।[২] এইভাবেই গঠিত হয় বর্তমানে তিন শতাধিক বর্ষ প্রাচীন খালসা ধারাটি।
পাঞ্জাবের ইতিহাস এবং ষোড়শ শতাব্দীতে ভারতীয় উপমহাদেশের উত্তরপশ্চিমাঞ্চলের সামাজিক-রাজনৈতিক পরিস্থিতির সঙ্গে শিখধর্মের ইতিহাস অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত। মুঘল সম্রাট জাহাঙ্গিরের শাসনকাল (১৬০৫-১৬২৭ খ্রিস্টাব্দ) থেকেই শিখদের সঙ্গে মুঘল আইনের সংঘাত শুরু হয়। কারণ, শিখরা ইসলামি সন্তদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধাশীল হলেও মুঘলদের রাজনৈতিক উত্তরাধিকারকে তারা প্রভাবিত করছিল। মুঘল শাসকেরা অনেক বিশিষ্ট শিখকে হত্যা করেন আদেশ মান্য করতে অস্বীকার করার জন্য[৩] এবং শিখদের নিপীড়নের বিরোধিতা করার জন্য।[৪] দশ শিখ গুরুর মধ্যে[৫][৬][৭][৮][৯] দুই জন গুরুকে (গুরু অর্জন ও গুরু তেগ বাহাদুর) শারীরিক নির্যাতন ও মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়েছিল[১০][১১] এবং একাধিক গুরুর নিকটাত্মীয়দের (যেমন গুরু গোবিন্দ সিংহের সাত ও নয় বছর বয়সী দুই শিশুপুত্র) নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছিল।[১২][১৩] এছাড়াও বহু সংখ্যক প্রধান সর্বজনশ্রদ্ধেয় শিখকে মুঘল শাসকেরা আদেশ মান্য করতে অস্বীকার করার অভিযোগে[৩][৫][১৩][১২] এবং শিখ ও হিন্দু নিপীড়নের বিরোধিতা করার জন্য[৪][১১][৬][৯] শারীরিক নির্যাতন ও হত্যা করা হয় (যেমন বান্দা বাহাদুর (১৭১৬), ভাই মতী দাস, ভাই সতী দাস ও ভাই দয়ালা)।[৯][১২][১৩] এরপর মুঘল একাধিপত্য খর্ব করার জন্য শিখধর্ম সামরিক আকার ধারণ করে। মিসল নামধারী বারোটি সার্বভৌম রাজ্যের শিখ রাজ্যসংঘের এবং মহারাজা রঞ্জিত সিংহের শাসনকালে (১৭৯২-১৮৩৯ খ্রিস্টাব্দ) শিখ সাম্রাজ্যের উত্থান ঘটলে সেই যুগটি চিহ্নিত হয় ধর্মীয় সহিষ্ণুতা ও ক্ষমতার ক্ষেত্রে খ্রিস্টান, মুসলমান ও হিন্দুদের সঙ্গে বহুত্ববাদের যুগ হিসেবে। ১৭৯৯ খ্রিস্টাব্দে শিখ সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাকে সাধারণভাবে রাজনৈতিক ক্ষেত্রে শিখধর্মের স্বর্ণযুগ মনে করা হয়।[১৪] ১৭৯৯ থেকে ১৮৪৯ সাল পর্যন্ত স্থায়ী এই সাম্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল কাশ্মীর, লাদাখ ও পেশোয়ার। বহুসংখ্যক মুসলমান ও হিন্দু কৃষক শিখধর্মে ধর্মান্তরিত হয়েছিলেন।[১৫] ১৮২৫ থেকে ১৮৩৭ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে শিখ সেনাবাহিনীর প্রধান সেনাধ্যক্ষ হরি সিং নালওয়া উত্তরপশ্চিম সীমান্ত অভিযান চালিয়ে শিখ সাম্রাজ্যের সীমা খাইবার গিরিপথের প্রবেশপথ পর্যন্ত প্রসারিত করেন। শিখ সাম্রাজ্যের ধর্মনিরপেক্ষ প্রশাসনকে সম্পূর্ণতা প্রদান করেছিল নব প্রবর্তিত সামরিক, অর্থনৈতিক ও সরকার-সংক্রান্ত সংস্কারগুলি।
মুখ্য খালসা দেওয়ান ও মাস্টার তারা সিংহের নেতৃত্বাধীন শিরোমণি অকালী দল সহ শিখ সংস্থাগুলি পাকিস্তান রাষ্ট্র সৃষ্টিকে সংখ্যালঘু নিপীড়নের সম্ভাবনাকে বাড়িয়ে দেবে এই মর্মে ভারত বিভাজনের তীব্র বিরোধিতা করেছিল।[১৬] ১৯৪৭ সালে ভারত বিভাজনের পরবর্তী কয়েক মাসে পাঞ্জাবে শিখ ও মুসলমানদের তীব্র সংঘাতের ঘটনা ঘটে। এর ফলে পাঞ্জাবি শিখ ও হিন্দুরা পশ্চিম পাঞ্জাব থেকে ভারতে চলে আসেন এবং একইভাবে পাঞ্জাবি মুসলমানেরা পূর্ব পাঞ্জাব থেকে পাকিস্তানে আশ্রয় নেন। বর্তমানে শিখদের সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশ ভারতের পাঞ্জাব রাজ্যে বসবাস করেন।
আদি আধুনিক যুগ (১৪৬৯–১৭০৮ খ্রিস্টাব্দ)
[সম্পাদনা]গুরু নানক দেব
[সম্পাদনা]শিখধর্মের প্রবর্তক গুরু নানক দেব জন্মগ্রহণ করেছিলেন লাহোরের কাছে তলবন্ডি গ্রামে (অধুনা নানকানা সাহিব নামে পরিচিত)।[১৭] তাঁর পিতা মেহতা কালু ছিলেন একজন পাটোয়ারি (সরকারি ভূমি রাজস্বের হিসাবরক্ষক) এবং মাতার নাম ছিল মাতা তৃপ্তা। নানকের দিদির নাম ছিল বিবি নানকি।
ছেলেবেলা থেকেই গুরু নানকের জিজ্ঞাসু মনের পরিচয় পাওয়া গিয়েছিল। শৈশবেই তিনি জানেউ (উপবীত) নামক যজ্ঞসূত্র পরিধান করতে অস্বীকার করেন। তিনি বলেছিলেন যে, রক্ষাকবচ হিসেবে তিনি ঈশ্বরের সত্য নামটিকেই হৃদয়ে ধারণ করতে চান; সুতো যেহেতু ছিঁড়ে যেতে, নোংরা হতে, পুড়ে যেতে অথবা হারিয়ে যেতে পারে তাই তা কোনও নিরাপত্তা দান করতে পারে না। বিবি নানকি তাঁর শিশু ভ্রাতার মধ্যে ঈশ্বরের আলোক দেখতে পেয়েছিলেন বলে জানা যায়, কিন্তু তা তিনি কারও কাছে প্রকাশ করেননি। বিবি নানকিই গুরু নানকের প্রথম শিষ্যা হিসেবে পরিচিত।
আবার শৈশবেই নানকের মনে জীবনের রহস্য উন্মোচন করার ইচ্ছা জেগে উঠেছিল। যার ফলে পরবর্তীকালে তিনি গৃহত্যাগও করেছিলেন। তিনি বটালার ব্যবসায়ী মূলচন্দ চোনার কন্যা সুলখনীকে বিবাহ করেন এবং শ্রী চন্দ ও লক্ষ্মী চন্দ নামে তাঁদের দুই পুত্রের জন্ম হয়।
গুরু নানকের শ্যালক (বিবি নানকির স্বামী) জয় রাম তাঁকে সুলতানপুরে সরকারি শস্যভাণ্ডারের কর্মাধ্যক্ষের কাজ জুটিয়ে দেন। গুরু নানকের যখন আটাশ বছর বয়স, তখন একদিন তিনি রোজকার মতো নদীতে স্নান করে ধ্যানে বসেছিলেন। কথিত আছে, সেই সময় তিনি তিন দিনের জন্য নিরুদ্দেশ হয়ে যান এবং তারপর “ঈশ্বরের ভাবে পরিপূর্ণ হয়ে” ফিরে আসেন। ফিরে আসার পর তাঁর প্রথম কথাটিই ছিল: “হিন্দু কেউ নেই, মুসলমান কেউ নেই”। ধর্মনিরপেক্ষ নীতি নিয়ে তিনি তাঁর প্রচারকার্য শুরু করেন।[১৮] তিনি চারটি ভিন্ন ভিন্ন দিকে চারটি প্রধান সফরে বের হন, এগুলিকে বলা হয় উদাসী। এই সময় বহু সহস্র কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে তিনি ঈশ্বরের বার্তা প্রচার করতে থাকেন।[১৭]
গুরু নানক তাঁর শেষ জীবন অতিবাহিত করেন কর্তারপুরে। সেখানে লঙ্গরে সর্বসাধারণের জন্য খাদ্য বিতরিত হত। এই খাদ্য ধনী-দরিদ্র উচ্চবর্ণ-নিম্নবর্ণ নির্বিশেষে হিন্দুরাও গ্রহণ করত। গুরু নানক জীবিকা উপার্জনের জন্য মাঠে কাজ করতেন। ভাই লেহনাকে নতুন শিখ গুরু হিসেবে নিয়োগের পর ১৫৩৯ খ্রিস্টাব্দের ২২ সেপ্টেম্বর ৭০ বছর বয়সে গুরু নানক প্রয়াত হন।
গুরু অঙ্গদ দেব
[সম্পাদনা]১৫৩৮ খ্রিস্টাব্দে গুরু নানক নিজের পুত্রদের পরিবর্তে শিষ্য লেহনাকে গুরুপদে তাঁর উত্তরসূরি হিসেবে নির্বাচিত করেন।[১৮] ভাই লেহনার নামকরণ হয় গুরু অঙ্গদ এবং গুরু নানকের পরে তিনিই শিখদের গুরু হন। ১৫০৪ খ্রিস্টাব্দের ৩১ মার্চ পাঞ্জাবের ফিরোজপুর জেলার হারিকে গ্রামে ভাই লেহনা জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তিনি ছিলে ফেরু নামে এক ছোটো ব্যবসায়ীর পুত্র। তাঁর মায়ের নাম ছিল মাতা রামো (যিনি মাতা সভিরাই, মনসা দেবী বা দয়া কৌর নামেও পরিচিত ছিলেন)। লেহনার ঠাকুরদা নারায়ণ দাস ত্রেহানের পৈত্রিক বাস ছিল মুক্তসরের কাছে মট্টে-দি-সরাইতে।
ভাই লেহনা ছেলেবেলায় মায়ের প্রভাবে হিন্দু দেবী দুর্গার পূজা শুরু করেছিলেন। তিনি প্রতি বছর জ্বালামুখী মন্দিরে তীর্থযাত্রীদের একটি দলের নেতৃত্ব দিতেন। ১৫২০ খ্রিস্টাব্দের জানুয়ারি মাসে তিনি মাতা খিবিকে বিবাহ করেন এবং তাঁদের দুই পুত্র (দাসু ও দাতু) ও দুই কন্যার (আমরো ও আনোখি) জন্ম হয়। সম্রাট বাবরের নেতৃত্বে মুঘল ও বালোচ সামরিক বাহিনী তাঁদের পৈত্রিক গ্রামে লুটতরাজ শুরু করলে ফেরু পরিবার বাধ্য হয়ে গ্রাম ত্যাগ করে অমৃতসর শহর থেকে ২৫ কিলোমিটার দূরে তার্ন তরন সাহিবের কাছে বিপাশা নদীর তীরে খাদুর সাহিব গ্রামে বসতি স্থাপন করেন।
খাদুর সাহিবেই ভাই লেহনা গুরু নানকের শিখ (শিষ্য) ভাই যোধার মুখে গুরু নানকের একটি স্তোত্র শোনেন। শুনে রোমাঞ্চিত হয়ে লেহনা স্থির করেন কর্তারপুরে গিয়ে গুরু নাননকে দর্শন করবেন। জ্বালামুখী মন্দিরে বাৎসরিক তীর্থযাত্রার সময় তাই তিনি তীর্থযাত্রী দল থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে কর্তারপুরে গিয়ে গুরু নানকের নিকট উপস্থিত হন। গুরু নানকের প্রথম দর্শনেই ভাই লেহনা সম্পূর্ণ পরিবর্তিত হন। তিনি হিন্দু দেবীর পূজা ত্যাগ করেন এবং নিজেকে গুরু নানকের সেবায় নিয়োজিত করে তাঁর শিখ (শিষ্য) হয়ে যান এবং কর্তারপুরেই বসবাস করতে থাকেন।
গুরু নানক ও তাঁর ধর্মপ্রচার কার্যের প্রতি ভাই লেহনার ভক্তি ও নিঃস্বার্থ সেবা এমনই ছিল যে ১৫৩৯ সালের ৭ সেপ্টেম্বর তাঁকে দ্বিতীয় নানকের মর্যাদা লাভ করেন। ইতিপূর্বে গুরু নানক অবশ্য তাঁকে বিভিন্ন ভাবে পরীক্ষা করেছিলেন এবং তার ফলে তাঁকে তাঁর প্রতি বাধ্যতা ও সেবার প্রতিমূর্তি হিসেবে জেনেছিলেন। কর্তারপুরে ছয় অথবা সাত বছর ভাই লেহনা গুরু নানকের সেবা করেন।
১৫৩৯ সালের ২২ সেপ্টেম্বর গুরু নানকের প্রয়াণের পর গুরু অঙ্গদ কর্তারপুর ত্যাগ করে গোইন্দওয়াল সাহিবের কাছে খাদুর সাহিব গ্রামে চলে আসেন। গুরু নানকের নীতি তিনি আক্ষরিক অর্থে এবং আন্তরিকভাবেই অনুসরণ করতেন। বিভিন্ন সম্প্রদায়ের যোগী ও সন্তেরা তাঁর সঙ্গে দেখা করতে আসতেন এবং তাঁর সঙ্গে শিখধর্ম সম্পর্কে দীর্ঘ আলোচনা করতেন।
গুরু অঙ্গদ পুরনো পাঞ্জাবি লিপিটিকে সংশোধিত করে গুরুমুখী লিপি নামে এক নতুন বর্ণমালা প্রবর্তন করেন। কিছুকালের মধ্যেই এই লিপিটি অত্যন্ত জনপ্রিয় হয়ে ওঠে এবং মানুষ সাধারণভাবেই তা ব্যবহার করতে শুরু করে। শিশুদের শিক্ষাদানের ব্যাপারে তাঁর বিশেষ আগ্রহ ছিল। শিশুদের শিক্ষাদানের জন্য তিনি অনেকগুলি বিদ্যালয় স্থাপন করেন এবং এইভাবে সাক্ষরতার প্রসার ঘটান। যুবকদের জন্য তিনি মল্ল আখাড়ার প্রথা চালু করেন। এই সব আখাড়ায় শারীরিক ব্যায়ামের পাশাপাশি আধ্যাত্মিকতারও অনুশীলন করা হত। ভাই বালার থেকে গুরু নানকের জীবনের নানা ঘটনা জেনে তিনি তাঁর প্রথম জীবনী রচনা করেন। এছাড়াও তিনি ৬৩টি সলোক (শ্লোক) রচনা করেছিলেন, যেগুলি গুরু গ্রন্থ সাহিবের অন্তর্ভুক্ত হয়। গুরু নানকের চালু করা ‘গুরু কা লঙ্গর’ প্রথাটিকে তিনি জনপ্রিয় ও প্রসারিত করেছিলেন।
গুরু অঙ্গদ বহু স্থান ভ্রমণ করেন এবং গুরু নানক কর্তৃক শিখধর্ম প্রচারের জন্য স্থাপিত সকল গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় স্থান ও কেন্দ্রগুলি দর্শন করেন। তিনি নিজেও শতাধিক শিখ ধর্মপ্রচার কেন্দ্র স্থাপন করে শিখধর্মের ভিত্তি সুদৃঢ় করেন। তাঁর গুরুপদের সময়কালটি ছিল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। শিখ সম্প্রদায়ের পথ এই সময় প্রতিষ্ঠাতার থেকে গুরুপদের উত্তরাধিকারের প্রতি দিক পরিবর্তন করেছিল। শিখ সমাজ ক্রমেই শক্তিশালী হচ্ছিল এবং ভবিষ্যতের বিপদগুলির সম্মুখীন হওয়ার জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করছিল।
আরও দেখুন
[সম্পাদনা]তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "BBC History of Sikhism – The Khalsa"। Sikh world history। BBC Religion & Ethics। ২৯ আগস্ট ২০০৩। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-০৪-০৪।
- ↑ Singh, Patwant (২০০০)। The Sikhs। Knopf। পৃষ্ঠা 14। আইএসবিএন 0-375-40728-6।
- ↑ ক খ Pashaura Singh (2005), Understanding the Martyrdom of Dhan Dhan Sri Guru Arjan Dev Ji, Journal of Punjab Studies, 12(1), pages 29-62
- ↑ ক খ McLeod, Hew (১৯৮৭)। "Sikhs and Muslims in the Punjab"। South Asia: Journal of South Asian Studies। 22 (s1): 155–165। ডিওআই:10.1080/00856408708723379।
- ↑ ক খ V. D. Mahajan (1970). Muslim Rule In India. S. Chand, New Delhi, p.223.
- ↑ ক খ Irvine, William (২০১২)। Later Mughals। Harvard Press। আইএসবিএন 9781290917766।
- ↑ Pashaura Singh; Louis Fenech (২০১৪)। The Oxford handbook of Sikh studies। Oxford, UK: Oxford University Press। পৃষ্ঠা 236–238। আইএসবিএন 978-0-19-969930-8।
- ↑ Gandhi, Surjit (২০০৭)। History of Sikh gurus retold। Atlantic Publishers। পৃষ্ঠা 653–691। আইএসবিএন 978-81-269-0858-5।
- ↑ ক খ গ Singh, Prithi (২০০৬)। The history of Sikh gurus। Lotus Press। পৃষ্ঠা 124। আইএসবিএন 978-81-8382-075-2।
- ↑ Singh, Prof. Kartar (২০০৩-০১-০১)। Life Story Of Guru Nanak। Hemkunt Press। পৃষ্ঠা 90। আইএসবিএন 978-81-7010-162-8। সংগ্রহের তারিখ ২৬ নভেম্বর ২০১০।
- ↑ ক খ Siṅgha, Kirapāla (২০০৬)। Select documents on Partition of Punjab-1947। National Book। পৃষ্ঠা 234। আইএসবিএন 978-81-7116-445-5।
- ↑ ক খ গ Singh, Prithi Pal (২০০৬)। The history of Sikh Gurus। Lotus Press। পৃষ্ঠা 158। আইএসবিএন 81-8382-075-1।
- ↑ ক খ গ Abel, Ernest। "Life of Banda Singh"।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ Lafont, Jean-Marie (১৬ মে ২০০২)। Maharaja Ranjit Singh: Lord of the Five Rivers (French Sources of Indian History Sources)। USA: Oxford University Press। পৃষ্ঠা 23–29। আইএসবিএন 0-19-566111-7।
- ↑ Singh, Pritam (২০০৮)। Federalism, Nationalism and Development: India and the Punjab Economy (ইংরেজি ভাষায়)। Routledge। আইএসবিএন 9781134049455।
A lot of Hindu and Muslim peasants converted to Sikhism from conviction, fear, economic motives, or a combination of the three (Khushwant Singh 1999: 106; Ganda Singh 1935: 73).
- ↑ Kudaisya, Gyanesh; Yong, Tan Tai (২০০৪)। The Aftermath of Partition in South Asia (ইংরেজি ভাষায়)। Routledge। পৃষ্ঠা 100। আইএসবিএন 978-1-134-44048-1।
No sooner was it made public than the Sikhs launched a virulent campaign against the Lahore Resolution. Pakistan was portrayed as a possible return to an unhappy past when Sikhs were persecuted and Muslims the persecutor. Public speeches by various Sikh political leaders on the subject of Pakistan invariably raised images of atrocities committed by Muslims on Sikhs and of the martyrdom of their gurus and heroes. Reactions to the Lahore Resolution were uniformly negative and Sikh leaders of all political persuasions made it clear that Pakistan would be 'wholeheartedly resisted'. The Shiromani Akali Dal, the party with a substantial following amongst the rural Sikhs, organized several well-attended conferences in Lahore to condemn the Muslim League. Master Tara Singh, leader of the Akali Dal, declared that his party would fight Pakistan 'tooth and nail'. Not be outdone, other Sikh political organizations, rival to the Akali Dal, namely the Central Khalsa Young Men Union and the moderate and loyalist Chief Khalsa Dewan, declared in an equally strong language their unequivocal opposition to the Pakistan scheme.
- ↑ ক খ Singh, Khushwant (২০০৬)। The Illustrated History of the Sikhs। India: Oxford University Press। পৃষ্ঠা 12–13। আইএসবিএন 0-19-567747-1। Also, as according to the Purātan Janamsākhī (the birth stories of Nanak).
- ↑ ক খ Shackle, Christopher; Mandair, Arvind-Pal Singh (২০০৫)। Teachings of the Sikh Gurus: Selections from the Sikh Scriptures। United Kingdom: Routledge। xiii–xiv। আইএসবিএন 0-415-26604-1।