তখত শ্রী কেশগড় সাহিব

স্থানাঙ্ক: ৩১°১৪′০৬″ উত্তর ৭৬°২৯′৫৭″ পূর্ব / ৩১.২৩৫০০° উত্তর ৭৬.৪৯৯১৭° পূর্ব / 31.23500; 76.49917
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
তখত শ্রী কেশগড় সাহিব
ਤਖ਼ਤ ਸ੍ਰੀ ਕੇਸਗੜ੍ਹ ਸਾਹਿਬ
তখত শ্রী কেশগড় সাহিব
সাধারণ তথ্য
স্থাপত্য রীতিশিখ স্থাপত্যকলা
শহরআনন্দপুর সাহিব
দেশভারত
নির্মাণকাজের সমাপ্তি১৭ শতক

তখত শ্রী কেশগড় সাহিব (পাঞ্জাবি: ਤਖ਼ਤ ਸ੍ਰੀ ਕੇਸਗੜ੍ਹ ਸਾਹਿਬ) হলো ভারতের পাঞ্জাব রাজ্যের রূপনগর জেলার আনন্দপুর সাহিব শহরে অবস্থিত একটি শিখ মন্দির।[১] পাঁচটি তখতের মধ্যে এটিকে তৃতীয় তখত হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এটি খালসার জন্মস্থান, ১৬৯৯ সালে গুরু গোবিন্দ সিং এখানে খালসা প্রতিষ্ঠা করেন।[২][৩][৪] গুরু গোবিন্দ সিংয়ের কিছু অস্ত্র এই তখতে প্রদর্শিত হচ্ছে।

অবস্থান[সম্পাদনা]

এটি পাঞ্জাব রাজ্যের রূপনগর জেলায় শাওয়ালিক পদের পাদদেশে এবং শতদ্রু নদীর তীরে অবস্থিত। কেশগড় মূলতঃ একটি পাহাড়, যেখানে কেশগড় দূর্গ গড়ে তোলা হয়। পরবর্তীতে, আনন্দপুর সাহিব শহরের কেশগড় দুর্গের স্থলে প্রতিষ্ঠিত হয় আনন্দপুর সাহিব গুরুদ্বার। এটি আনন্দপুর সাহিব শহরের সবচেয়ে বড় শিখ মন্দির।[৫]

ইতিহাস[সম্পাদনা]

মাখোয়াল গ্রামে জমি ক্রয় করে নবম শিখ গুরু গুরু তেগ বাহাদুর আনন্দপুর সাহিব শহরটির গোড়াপত্তন করেন এবং মাতা নানকির নামানুসারে এর নামকরণ করেন চক নানকি, পরে এই স্থানটি আনন্দপুর সাহিব নামে পরিচিত হয়। গুরু গোবিন্দ সিং পাঁচ বছর বয়সে পাটনা সাহিব থেকে তার পিতা গুরু তেগ বাহাদুরের সাথে এখানে আসেন। ১৬৯৯ সালে বৈশাখীর দিন গুরু গোবিন্দ সিং প্রথমবার "খান্দে বাতে অমৃত" প্রস্তুতের মাধ্যমে খালসার গঠন উদযাপন করেছিলেন।

বিবরণ[সম্পাদনা]

এটি মূলত সাদা মার্বেল পাথর দিয়ে তৈরি। বর্তমান ভবনটি ১৯৩৬ থেকে ১৯৪৪ সালের মধ্যে নির্মাণ করা হয়। এতে ৩০ বর্গমিটার (৩২০ ফু) উঠানকে ঘিরে বর্গাকারে ভবনটি স্থাপনার পরিকল্পনায় নির্মান করা হয়। বিল্ডিংটিকে এই দীর্ঘ সময়ে বহুবার সংস্কার করা হয়েছে।<ref name=":25"> এটিতে তখতের কার্যালয় এবং একটি গুরুদ্বার রয়েছে। গুরুদ্বারটিতে একটি ১৬ বর্গমিটার (১৭০ ফু) আকৃতির বর্গাকার হলঘর রয়েছে, যার ভিতরে ৫.৫ বর্গমিটার (৫৯ ফু) আকৃতির বর্গাকার একটি মঞ্চ রয়েছে যেখানে শিখ ধর্মগ্রন্থ রয়েছে। গুরুদ্বারের গম্বুজ নলাকারের পদ্মের ন্যায়। কমপ্লেক্সের নিম্নের ধাপে একটি লঙ্গর (স্বেচ্ছাসেবকদের দ্বারা পরিচালিত সম্প্রদায়ের বিনামূল্যে খাদ্য দানের রান্নাঘর), একটি ৫৫ বর্গমিটার (৫৯০ ফু) আয়তনের সভাকক্ষ এবং "দশমেশ নিবাস" নামে তীর্থযাত্রীদের জন্য এক সারি কক্ষ রয়েছে। তীর্থযাত্রীদের জন্য কাছাকাছি একটি ৮০ বর্গমিটার (৮৬০ ফু) আকৃতির বর্গাকারের সরোবর (পবিত্র জলের পুকুর) রয়েছে যাতে তারা তীর্থযাত্রাযর ডুব দিতে পারে। ২০১৫ সালে এর ৩৫০ বছর উদযাজ উপলক্ষ্যে গুরুদ্বারটিকে সাদা রংয়ে রং করা হয়েছিলো।[১] গুরু গোবিন্দ সিংয়ের ব্যবহৃত অস্ত্র যেগুলো ব্রিটিশরা নিয়ে গিয়েছিল এবং পরবর্তীতে ফিরিয়ে দিয়েছিল সেগুলি এখানকার হলঘরের মঞ্চটিতে সংরক্ষণ করা হয়েছে। গোবিন্দ সিংয়ের খাণ্ডা নামে পরিচিত দুই দিক ধারালো তলোয়ারটি যেটি খালসার উদ্ভাবনী অনুষ্ঠানে ব্যবহৃত হয়েছিল সেটি এখানে আছে। খালসার প্রতিষ্ঠা কেন্দ্র হিসাবে এই তখতটিকে গুরুত্বপূর্ণ হিসাবে বিবেচনা করা হয়। কেশগড় সাহিবের অলঙ্কৃত ঐতিহাসিক অস্ত্রাগার কক্ষের দুটি পুরানো রূপার দরজাও রয়েছে এখানে।

চিত্রশালা[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Whole of Anandpur Sahib to be painted white" (এইচটিএমএল) (ইংরেজি ভাষায়)। The Times of Idia। ২৫ এপ্রিল ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ১২ ডিসেম্বর ২০২৩ 
  2. Mandair, Arvind-Pal Singh; Shackle, Christopher; Singh, Gurharpal (২০১৩)। Sikh Religion, Culture and Ethnicity। Routledge। পৃষ্ঠা 25–28। আইএসবিএন 978-1-136-84627-4 
  3. "BBC Religions – Sikhism"। BBC। ২৬ অক্টোবর ২০০৯। ২৩ জানুয়ারি ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩০ জুলাই ২০১১ 
  4. Dhavan, P (২০১১)। When Sparrows Became Hawks: The Making of the Sikh Warrior Tradition, 1699–1799। Oxford University Press। পৃষ্ঠা 3–4। আইএসবিএন 978-0-19-975655-1 
  5. Kang, Kanwarjit Singh (১৯৮৮)। "16. The Sikh Shrines of Anandpur Sahib"। Punjab Art and Culture। Atma Ram & Sons। পৃষ্ঠা 80–82। আইএসবিএন 9788170430964 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]