২০১০ ফিফা বিশ্বকাপ গ্রুপ জি

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

২০১০ ফিফা বিশ্বকাপের জি গ্রুপের খেলা অনুষ্ঠিত হয় ১৫ থেকে ২৫ জুন, ২০১০ পর্যন্ত।[১] এই গ্রুপের প্রতিদ্বন্দ্বী দলগুলো হচ্ছে ব্রাজিল, উত্তর কোরিয়া, কোত দিভোয়ার (আইভরি কোস্ট), এবং পর্তুগাল। এই গ্রুপটি ডি গ্রুপের সাথে একইভাবে গ্রুপ অফ ডেথ বিবেচনা করা হচ্ছে॥[২]

১৯৬৬ সালের বিশ্বকাপের সি গ্রুপে ব্রাজিল ও পর্তুগাল একই সাথে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেছিলো। সেবার পর্তুগাল ব্রাজিলকে ৩-১ গোলে পরাজিত করেছিলো। এছাড়া দ্বিতীয় পর্বে জি গ্রুপ থেকে আসা উত্তর কোরিয়াকে তারা পরাজিত করে। প্রথমার্ধে ০-৩ গোলে পিছিয়ে থেকেও দ্বিতীয়ার্ধে ৫-৩ গোলে তারা ম্যাচ জিতে নেয়।

এই গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন দল দ্বিতীয় পর্বে এইচ গ্রুপের রানার্স-আপ দলের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করবে। অপরদিকে রানার্স-আপ দল মুখোমুখি হবে এইচ গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন দলের। এই গ্রুপের পরিসংখ্যান টেবিল নিচে উল্লেখ করা হলো।

অব দল ম্যাচ জয় ড্র হার স্বগো বিগো গোপা পয়েন্ট যোগ্যতা অর্জন
 ব্রাজিল +৩ নকআউট পর্বের উন্নীত
 পর্তুগাল +৭
 কোত দিভোয়ার +১
 উত্তর কোরিয়া ১২ −১১
উৎস: ফিফা
শ্রেণীবিভাগের নিয়মাবলী: টাই-ভঙ্গের মানদণ্ড

খেলাসমূহ[সম্পাদনা]

এই গ্রুপে মোট ছয়টি খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেগুলো হলো:

  • কোত দিভোয়ার বনাম পর্তুগাল
  • ব্রাজিল বনাম উত্তর কোরিয়া
  • ব্রাজিল বনাম কোত দিভোয়ার
  • পর্তুগাল বনাম উত্তর কোরিয়া
  • পর্তুগাল বনাম ব্রাজিল
  • উত্তর কোরিয়া বনাম কোত দিভোয়ার

(সকল সময় দক্ষিণ আফ্রিকার আঞ্চলিক সময় (ইউটিসি +২) অনুসারে দেওয়া হয়েছে।)

কোত দিভোয়ার বনাম পর্তুগাল[সম্পাদনা]


কোত দিভোয়ার
পর্তুগাল
কোত দিভোয়ার
কোত দিভোয়ার:
GK বউবাকার ব্যারি
RB ২০ গি দামেল হলুদ কার্ড ২১'
CB কোলো টোরে (দ)
CB দিদিয়ের জোকরা হলুদ কার্ড ৭'
LB ১৭ সিয়াকা তিয়েনে
DM ১৯ ইয়ায়া তুরে
CM ২১ এমানুয়েল এবুয়ে ৮৮তম মিনিটে মাঠ ত্যাগ করেছেন ৮৮'
CM চেইক ত্রতেঁ
RW ১০ জারভিনিয়ো ৮২তম মিনিটে মাঠ ত্যাগ করেছেন ৮২'
LW সলোমোন কালু ৬৫তম মিনিটে মাঠ ত্যাগ করেছেন ৬৫'
CF ১৫ আরুনা দিদানে
বদলি খেলোয়াড়:
FW ১১ দিদিয়ের দ্রগবা ৬৫তম মিনিটে মাঠে প্রবেশ করেছেন ৬৫'
MF ১৮ কাদের কেইতা ৮২তম মিনিটে মাঠে প্রবেশ করেছেন ৮২'
MF ১৩ রোমানিক ৮৮তম মিনিটে মাঠে প্রবেশ করেছেন ৮৮'
কোচ:
সুইডেন সভেন-গোরান এরিকসন
পর্তুগাল
পর্তুগাল:
GK এদুয়ার্ডো
RB পাউলু ফেরেইরা
CB ব্রুনো আলভিস
CB রিকার্ডো কালভারহো
LB ২৩ ফ্যাবিও কোয়েন্ত্রাও
DM পেদ্রো মেন্ডেজ
CM ১৬ রাউল মেইরেলেজ ৮৫তম মিনিটে মাঠ ত্যাগ করেছেন ৮৫'
CM ২০ দেকো ৬২তম মিনিটে মাঠ ত্যাগ করেছেন ৬২'
RW ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো (দ) হলুদ কার্ড ২১'
LW ১০ ড্যানি অ্যালভি ৫৫তম মিনিটে মাঠ ত্যাগ করেছেন ৫৫'
CF লিয়েডসন
বদলি খেলোয়াড়:
FW ১১ সিমাও সাবরোসা ৫৫তম মিনিটে মাঠে প্রবেশ করেছেন ৫৫'
MF ১৯ টিয়াগো ৬২তম মিনিটে মাঠে প্রবেশ করেছেন ৬২'
MF ১৭ রুবেন অ্যামোরিন ৮৫তম মিনিটে মাঠে প্রবেশ করেছেন ৮৫'
কোচ:
পর্তুগাল কার্লোস কুয়েরোজ

ম্যান অফ দ্য ম্যাচ:
পর্তুগাল ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো

  • সহকারী রেফারি:

পাবলো ফানদিনো (উরুগুয়ে)[৩]
মাউরিসিয়ো এসপিনোজা (উরুগুয়ে)[৩]

  • চতুর্থ রেফারি:

মার্টিন ভাসকুয়েজ (উরুগুয়ে)[৩]

ব্রাজিল বনাম উত্তর কোরিয়া[সম্পাদনা]


ব্রাজিল
উত্তর কোরিয়া
ব্রাজিল
ব্রাজিল:
GK হুলিও সিজার
RB মাইকোন
CB লুসিও (দ)
CB হুয়ান
LB মাইকেল বাস্তোস
DM গিলবার্তো সিলভা
CM এলানো ৭৩তম মিনিটে মাঠ ত্যাগ করেছেন ৭৩'
CM ফিলিপে মেলো ৮৪তম মিনিটে মাঠ ত্যাগ করেছেন ৮৪'
OM ১০ কাকা ৭৮তম মিনিটে মাঠ ত্যাগ করেছেন ৭৮'
SS ১১ রবিনিয়ো
CF লুইস ফ্যাবিয়ানো
বদলি খেলোয়াড়:
MF ১৩ আলভিস ৭৩তম মিনিটে মাঠে প্রবেশ করেছেন ৭৩'
FW ২১ নিলমার ৭৮তম মিনিটে মাঠে প্রবেশ করেছেন ৭৮'
MF ১৮ রামিরেজ হলুদ কার্ড ৮৮' ৮৪তম মিনিটে মাঠে প্রবেশ করেছেন ৮৪'
কোচ:
ব্রাজিল দুঙ্গা
উত্তর কোরিয়া
উত্তর কোরিয়া:
GK রি মিয়োং-গুক
RB চা জং-হিয়োক
CB ১৩ পাক চোল-জিন
CB পাক নাম-চোল
LB রি কোয়াং-চোন
DM দ্বিতীয় রি জুন
RM ১১ মুন ইন-গুক ৮০তম মিনিটে মাঠ ত্যাগ করেছেন ৮০'
LM জি ইউন-নাম
SS ১০ হং ইয়োং-জো (দ)
SS ১৭ এহন ইয়োং-হাক
CF জং টি-সে
বদলি খেলোয়াড়:
FW দ্বিতীয় কিম কুম ৮০তম মিনিটে মাঠে প্রবেশ করেছেন ৮০'
কোচ:
উত্তর কোরিয়া কিম জং-হুন

ম্যান অফ দ্য ম্যাচ:
ব্রাজিল মাইকোন

  • সহকারী রেফারি:

গ্যব্রোর ইরোজ (হাঙ্গেরি)[৩]
টিবোর ভামোস (হাঙ্গেরি)[৩]

  • চতুর্থ রেফারি:

সাবখিদ্দিন মোহদ সালেহ (মালয়েশিয়া)[৩]

ব্রাজিল বনাম কোত দিভোয়ার[সম্পাদনা]


ব্রাজিল[৪]
কোত দিভোয়ার
ব্রাজিল
ব্রাজিল:
GK হুলিও সিজার
RB মাইকন
CB লুসিও (দ)
CB হুয়ান
LB মাইকেল বাস্তোস
DM গিলবার্তো সিলভা
CM এলানো ৬৭তম মিনিটে মাঠ ত্যাগ করেছেন ৬৭'
CM ফিলিপে মেলো
OM ১০ কাকা হলুদ কার্ড ৮৫' হলুদ-লাল কার্ড ৮৮'
SS ১১ রবিনিয়ো ৯০+৩তম মিনিটে মাঠ ত্যাগ করেছেন ৯০+৩'
CF লুইস ফ্যাবিয়ানো
বদলি খেলোয়াড়:
MF ১৩ আলভিস ৬৭তম মিনিটে মাঠে প্রবেশ করেছেন ৬৭'
MF ১৮ রামিরেজ ৯০+৩তম মিনিটে মাঠে প্রবেশ করেছেন ৯০+৩'
কোচ:
ব্রাজিল দুঙ্গা
কোত দিভোয়ার
কোত দিভোয়ার:
GK বউবাকার ব্যারি
RB ২০ গি দামেল হলুদ কার্ড ২১'
CB কোলো টোরে
CB দিদিয়ের জোকরা হলুদ কার্ড ৭'
LB ১৭ সিয়াকা তিয়েনে
DM ১৯ ইয়ায়া তুরে
CM ২১ এমানুয়েল এবুয়ে ৭২তম মিনিটে মাঠ ত্যাগ করেছেন ৭২'
CM চেইক ত্রতেঁ
RW ১৫ অরুনা দিনদানে ৫৪তম মিনিটে মাঠ ত্যাগ করেছেন ৫৪'
LW সলোমোন কালু ৬৮তম মিনিটে মাঠ ত্যাগ করেছেন ৬৮'
CF ১১ দিদিয়ের দ্রগবা (দ)
বদলি খেলোয়াড়:
FW ১০ জারভিনিয়ো ৫৪তম মিনিটে মাঠে প্রবেশ করেছেন ৫৪'
MF ১৮ কাদের কেইতা হলুদ কার্ড ৭৫' ৬৮তম মিনিটে মাঠে প্রবেশ করেছেন ৬৮'
MF ১৩ রোমারিক ৭২তম মিনিটে মাঠে প্রবেশ করেছেন ৭২'
কোচ:
সুইডেন সভেন-গোরান এরিকসন

ম্যান অফ দ্য ম্যাচ:
ব্রাজিল লুইস ফ্যাবিয়ানো (ব্রাজিল)

  • সহকারী রেফারি:

এরিক ড্যানসল্ট (ফ্রান্স)
লরেন্ট উগো (ফ্রান্স)

  • চতুর্থ রেফারি:

সাবখিদ্দিন মোহদ সালেহ (মালয়েশিয়া)

  • পঞ্চম রেফারি:

মু ইউজিন (চীন)

পর্তুগাল বনাম উত্তর কোরিয়া[সম্পাদনা]


পর্তুগাল বনাম ব্রাজিল[সম্পাদনা]


উত্তর কোরিয়া বনাম কোত দিভোয়ার[সম্পাদনা]


পরিশিষ্ট[সম্পাদনা]

  • গোলরক্ষকGK বা Goalkeeper
  • সুইপার বা লিবেরো – SW বা Sweeper
  • রক্ষণভাগের খেলোয়াড় (কেন্দ্রীয়) – CB বা Center Back
  • রক্ষণভাগের খেলোয়াড় (পার্শ্বীয়) – FB বা Full Back
  • রক্ষণভাগের খেলোয়াড় (ডান পার্শ্বীয়) – RB বা Right Back
  • রক্ষণভাগের খেলোয়াড় (বাম পার্শ্বীয়) – LB বা Left Back
  • মধ্যমাঠের খেলোয়াড়MF বা Midfielder
  • মধ্যমাঠের খেলোয়াড় (রক্ষণাত্মক) – DF বা Defensive Midfielder
  • আক্রমণাত্মক রক্ষণভাগের খেলোয়াড় – WB বা Wing Back
  • আক্রমণাত্মক রক্ষণভাগের খেলোয়াড় (ডান পার্শ্বীয়) – RWB বা Right Wing Back
  • আক্রমণাত্মক রক্ষণভাগের খেলোয়াড় (বাম পার্শ্বীয়) – LWB বা Left Wing Back
  • মধ্যমাঠের খেলোয়াড় (কেন্দ্রীয়) – CM বা Center Midfielder
  • মধ্যমাঠের খেলোয়াড় (ডান পার্শ্বীয়) – RM বা Right Midfield
  • মধ্যমাঠের খেলোয়াড় (বাম পার্শ্বীয়) – LM বা Left Midfield
  • মধ্যমাঠের খেলোয়াড় (আক্রমণাত্মক) – AM বা Attacking Midfielder
  • আক্রমণভাগের খেলোয়াড়FW বা Forward বা Striker বা Winger
  • আক্রমণভাগের খেলোয়াড় (মাধ্যমিক) – SS বা Secondary Striker
  • আক্রমণভাগের খেলোয়াড় (ডান পার্শ্বীয়) – RW বা RS বা RF
  • আক্রমণভাগের খেলোয়াড় (কেন্দ্রীয়) – CF বা Center Forward
  • আক্রমণভাগের খেলোয়াড় (বাম পার্শ্বীয়) – LW বা LS বা LF

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Match Schedule 2010 FIFA World Cup South Africa" (পিডিএফ) (সংবাদ বিজ্ঞপ্তি)। FIFA.com। ২০১৯-০৩-২৭ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-১২-০৬ 
  2. Latham, Brent (৪ মে ২০১০)। "Group D is the toughest group"ESPN.com। ESPN। ২১ অক্টোবর ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৪ মে ২০১০ 
  3. "Referee designations for matches 1-16" (পিডিএফ)FIFA.comFédération Internationale de Football Association। ৫ জুন ২০১০। ৫ জুলাই ২০১০ তারিখে মূল (PDF) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ জুন ২০১০ 
  4. "Tactical Line-up – Group G – Brazil-Cote d´Ivoire" (পিডিএফ)FIFA.com। Fédération Internationale de Football Association। ২০ জুন ২০১০। ২ জুলাই ২০১০ তারিখে মূল (PDF) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০ জুন ২০১০