বিষয়বস্তুতে চলুন

ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্ক্সবাদী)

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
(সিপিআই(এম) থেকে পুনর্নির্দেশিত)
ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী)
भारत की कम्युनिस्ट पार्टी (मार्क्सवादी)
Communist Party of India (Marxist)
মহাসচিবসীতারাম ইয়েচুরি[]
লোকসভায় নেতাপি. করুণাকরণ[]
রাজ্যসভায় নেতাএলামরাম করিম[]
প্রতিষ্ঠা১৭ ই অক্টোবর, ১৯২০ []
বিভক্তিসিপিআই
সদর দপ্তরগোল মার্কেট, নতুন দিল্লি, ভারত
ছাত্র শাখাভারতের ছাত্র ফেডারেশন
যুব শাখাভারতের গণতান্ত্রিক যুব ফেডারেশন
মহিলা শাখাঅল ইন্ডিয়া ডেমোক্রেটিক উইমেন’স অ্যাসোসিয়েশন
শ্রমিক শাখাসেন্টার ফর ইন্ডিয়ান ট্রেড ইউনিয়নস
কৃষক শাখাসারা ভারত কৃষক সভা
সদস্যপদ১,০৬৫,৪০৬ (২০১৩)
রাজনৈতিক অবস্থানবামপন্থী
আন্তর্জাতিক অধিভুক্তিইন্টারন্যাশনাল মিটিং অফ কমিউনিস্ট অ্যান্ড ওয়ার্কার্স’ পার্টিজ
আনুষ্ঠানিক রঙRed
স্বীকৃতিজাতীয় দল[]
জোটবামফ্রন্ট
লোকসভায় আসন
৩ / ৫৪৫
রাজ্যসভায় আসন
৯ / ২৪৫
-এ আসন
৪৯ / ৬০
(ত্রিপুরা বিধানসভা (২০১৩))
৬২ / ১৪০
(কেরল বিধানসভা (২০২১))
১৭৪ / ২৯৪
(পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা (২০০৬))
২ / ২৩৪
(তামিলনাড়ু বিধানসভা (২০১১)
০ / ৮৭
(জম্মু ও কাশ্মীর বিধানসভা (২০১৪))
০ / ১১৯
(তেলঙ্গানা বিধানসভা (২০১৪))
২ / ১৪৭
(ওড়িশা বিধানসভা (২০১৪))
১ / ২৮৮
(মহারাষ্ট্র বিধানসভা (২০১৪))
নির্বাচনী প্রতীক
ওয়েবসাইট
www.cpim.org
ভারতের রাজনীতি
রাজনৈতিক দল
নির্বাচন

ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী) সংক্ষেপে সিপিআই(এম) হল ভারতের একটি কমিউনিস্ট পার্টি। ১৯৬৪ সালের ৩১ অক্টোবর থেকে ৭ নভেম্বর কলকাতায় ভারতের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিআই) সপ্তম কংগ্রেসে সিপিআই ভেঙে এই দল গঠিত হয়। ২০২৩ সালের পরিস্থিতি অনুসারে, সিপিআই(এম) কেবল কেরালা রাজ্যের শাসকদল। প্রধানত কেরল রাজ্যে অধিক শক্তিশালী হলেও একসময় পশ্চিমবঙ্গ ও ত্রিপুরায় এই দল সরকার গঠন করেছিল। দলের দাবি অনুসারে, ২০১৩ সালে এই দলের সদস্য সংখ্যা ছিল ১,০৬৫,৪০৬।[]

সিপিআই(এম)-এর সাংগঠনিক ভিত্তি হল ভলাদিমির লেনিন কর্তৃক প্রবর্তিত গণতান্ত্রিক কেন্দ্রিকতাবাদ। এই মতবাদ অনুসারে, দলের নীতিনির্ধারণের ক্ষেত্রে গণতান্ত্রিক ও মুক্ত আলোচনার পদ্ধতি স্বীকৃত। দলের সর্বোচ্চ কর্তৃত্ব পলিটব্যুরো

কম্পিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী) সম্পর্কিত সমালোচনা ও বিতর্ক

[সম্পাদনা]

কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী)‎ (CPI(M))—বিশেষত পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে দীর্ঘ সময় রাজ্যশাসনকালীন—বিষয়ে বিভিন্ন সময়ে যে বড় ধরনের অভিযোগ ও সমালোচনা উঠেছে সেগুলোর সংক্ষিপ্ত ও সূত্রসহ সংকলন নিচে দেওয়া হলো।

সারসংক্ষেপ

[সম্পাদনা]

CPI(M)-এর বিরুদ্ধে প্রধান অভিযোগগুলোর মধ্যে রয়েছে রাজনৈতিক সহিংসতা ও 'ক্যাডার-সংস্কৃতি', জমি অধিগ্রহণ ও শিল্পায়ন সংক্রান্ত বিতর্ক (যেমন সিংগুর), নন্দীগ্রাম-সংক্রান্ত হত্যাকাণ্ড ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ, স্থানীয় স্তরের দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহার ইত্যাদি।[]

বড় বিতর্কিত ঘটনা

[সম্পাদনা]

নন্দীগ্রাম (Nandigram)

[সম্পাদনা]
  • ২০০৭ সালে নন্দীগ্রামে জমি অধিগ্রহণ ও বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের (SEZ) প্রতিবাদ-ধিকারের সঙ্গে জড়িত বিপুল সহিংসতা ও পুলিশের তৎপরতা নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক ও মানবাধিকার উদ্বেগ প্রকাশ হয়েছে। প্রতিবাদের সময় নিরাপত্তা বাহিনী ও রাজনৈতিক সহায়ক গোষ্ঠীর সহিত সংঘর্ষে বহু বিক্ষোভকারীর মৃত্যু ও আহত হওয়ার রিপোর্ট ছিল।[][]

সিংগুর (Singur)

[সম্পাদনা]
  • সিংগুরে টাটা ন্যানো প্রকল্প (২০০৬–২০০8) সংক্রান্ত জমি অধিগ্রহণকেই কেন্দ্র করে তীব্র রাজনীতি ও সামাজিক সংঘাত সৃষ্টি হয়েছিল; রাজ্য সরকারের অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া, স্বচ্ছতার অভাব ও কৃষকদের ক্ষতিপূরণের প্রশ্ন ছিল বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দু। পরে সুপ্রিম কোর্ট ও উচ্চ আদালতের সিদ্ধান্ত ও পুনর্বণ্টনের প্রক্রিয়া এবং টাটা-র সরে যাওয়া বিষয়টি ব্যাপক জনমতকে প্রভাবিত করে।[১০][১১]

মূল সমালোচনার শিরোনাম অনুযায়ী বিস্তারিত

[সম্পাদনা]

রাজনৈতিক সহিংসতা ও ক্যাডার-সংস্কৃতি

[সম্পাদনা]

সমালোচকরা দাবি করেন যে পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে দীর্ঘকাল ক্ষমতায় থাকার সময়ে রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব প্রয়োজনে কারদার (ক্যাডার)–কেন্দ্রিক সাংগঠনিক ব্যবহারে সহিংসতা স্বাভাবিকীকরণ হয়েছে; নির্বাচনী সময় ও স্থানীয় বিরোধ হলেও হিংসাত্মক তৎপরতা লক্ষ্য করা গেছে।[১২][১৩]

মানবাধিকার লঙ্ঘন ও জনদমন সংক্রান্ত অভিযোগ

[সম্পাদনা]

নন্দীগ্রামসহ কয়েকটি ঘটনায় পুলিশি গুলির ব্যবহার, জোরপূর্বক উৎখাত/বহিষ্কার, নারীদের বিরুদ্ধে সহিংসতার অভিযোগ ইত্যাদি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থার নজরে এসেছে—এগুলোকে বিচারিকভাবে এবং মানবাধিকার দৃষ্টিতে তদন্তের দাবি করা হয়েছিল।[১৪]

জমি অধিগ্রহণ ও শিল্পায়ন নীতি (নীতিগত সমালোচনা)

[সম্পাদনা]

কিছু সমালোচক ও বিশ্লেষক বলছেন যে সরকারের শিল্পায়ন-উদ্দ্যোগগুলো (যেমন সিংগুর) জনসাধারণের স্বার্থ ও কৃষক-অধিকার পর্যাপ্তভাবে বিবেচনা না করে করা হয়েছে; ফলে সামাজিক প্রতিক্রিয়া ও রাজনীতিতে প্রতিকূলতা তৈরি হয়।[১৫][১৬]

স্থানীয় দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহার

[সম্পাদনা]

স্থানীয় স্তরে পার্টি-ক্যাডারদের ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ, প্রশাসনিক সিদ্ধান্তে স্বার্থলিপ্সু মুদ্রা এবং আনুষ্ঠানিক নিয়ন্ত্রণের অভাব সম্পর্কে বিভিন্ন সংবাদ ও বিশ্লেষণে উল্লেখ আছে।[১৭]

প্রত্যুত্তর ও ফলাফল

[সম্পাদনা]
  • উপরোক্ত ঘটনাগুলি রাজনৈতিক পরিবর্তন ও ভোটের ধরণে প্রভাব ফেলে—উদাহরণস্বরূপ পশ্চিমবঙ্গে ২০১১ সালের নির্বাচনে দীর্ঘকালীন মমর্ত্যশাসন (Left Front) হঠাৎ পরাজিত হয়; সিংগুর ও নন্দীগ্রাম বিতর্ককে বিশ্লেষকরা এর একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ হিসেবে উল্লেখ করে থাকেন।[১৮]

সতর্কতা

[সম্পাদনা]
  • রাজনৈতিক ঘটনার বর্ণনা ও অভিযোগ-প্রতিবাদ নিয়ে মিডিয়া, রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী দল ও পক্ষপাতদুষ্ট বিশ্লেষণ থাকতে পারে; তাই নির্দিষ্ট ঘটনার বিচার/তথ্য যাচাইয়ের জন্য মূল নথি, আদালতের রায়, এবং স্বাধীন তদন্ত রিপোর্ট দেখার পরামর্শ দেওয়া হয়।[১৯]

নন্দীগ্রামের ঘটনায় ব্যাপক মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠে এসেছে। Amnesty International এই বিষয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে।[২০]

সিঙ্গুরে টাটা ন্যানো প্রকল্পের জমি অধিগ্রহণ নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক দেখা দেয়, যা ইতিহাসে "Tata Nano Singur controversy" নামে পরিচিত।[২১]

রাজ্যে রাজনৈতিক সহিংসতার ধারা নিয়ে গবেষকরা বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে আলোচনা করেছেন। যেমন, The Wire–এ প্রকাশিত এক নিবন্ধে পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক সহিংসতার পরিবর্তিত রূপ বিশ্লেষণ করা হয়েছে।[২২]

একইভাবে ORF-এর গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে যে, বাংলার রাজনৈতিক সহিংসতার প্রকৃতি অন্য রাজ্যগুলির তুলনায় ভিন্ন।[২৩]

এছাড়া ISEC-এর একটি ওয়ার্কিং পেপারে সিঙ্গুর প্রকল্পকে ঘিরে নানা ধরনের উন্নয়নমূলক বয়ান বিশ্লেষণ করা হয়েছে।[২৪]

নির্বাচিত সূত্র

[সম্পাদনা]
  1. "Yechury set to become next CPI(M) general secretary"[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]. The Hindu. 19 April 2015. Retrieved 20 April 2015.
  2. "CPI(M) Office Bearers in Lok Sabha & Rajya Sabha"। ৯ জুন ২০১৪। ১৬ ডিসেম্বর ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ১৬ ডিসেম্বর ২০১৪
  3. "On P.R. Dasmunshi's Statement | Communist Party of India (Marxist)"। Cpim.org। ১৩ নভেম্বর ২০০৭। সংগ্রহের তারিখ ২০ ডিসেম্বর ২০১২
  4. https://www.cpimwb.org.in/communists-in-india-then-and-now/%3famp=1 {{ওয়েব উদ্ধৃতি}}: |title= অনুপস্থিত বা খালি (সাহায্য)[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  5. "List of Political Parties and Election Symbols main Notification Dated 18.01.2013" (পিডিএফ)। India: Election Commission of India। ২০১৩। সংগ্রহের তারিখ ৯ মে ২০১৩
  6. "About Communist Party of India (Marxist)"। ২৮ নভেম্বর ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ৮ অক্টোবর ২০১৫
  7. "The Changing Faces of Political Violence in West Bengal"। The Wire। সংগ্রহের তারিখ ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  8. "Urgent need to address large scale human rights abuses in Nandigram"। Amnesty International। ১৫ জানুয়ারি ২০০৮। সংগ্রহের তারিখ ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  9. "Nandigram violence"। Wikipedia। সংগ্রহের তারিখ ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  10. "Tata Nano Singur controversy"। Wikipedia। সংগ্রহের তারিখ ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  11. "TATA Motors Singur: Narratives of Development Projects" (পিডিএফ)। ISEC working paper। সংগ্রহের তারিখ ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  12. "The Changing Faces of Political Violence in West Bengal"। The Wire। সংগ্রহের তারিখ ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  13. "Understanding the unique nature of political violence in Bengal"। ORF। ২৮ মার্চ ২০২২। সংগ্রহের তারিখ ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  14. "Amnesty International report on abuses in Nandigram"। Amnesty International। সংগ্রহের তারিখ ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  15. "Tata Nano Singur controversy"। Wikipedia। সংগ্রহের তারিখ ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  16. "ISEC working paper on Singur" (পিডিএফ)। ISEC। সংগ্রহের তারিখ ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  17. "Political Violence in West Bengal (analysis)" (পিডিএফ)। IJIRL। সংগ্রহের তারিখ ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  18. "The Changing Faces of Political Violence in West Bengal"। The Wire। সংগ্রহের তারিখ ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  19. "What drives political violence in Bengal?"। ORF। ৪ এপ্রিল ২০২২। সংগ্রহের তারিখ ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  20. "Urgent need to address large scale human rights abuses in Nandigram"। Amnesty International। ১৫ জানুয়ারি ২০০৮। সংগ্রহের তারিখ ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  21. "Tata Nano Singur controversy"। Wikipedia। সংগ্রহের তারিখ ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  22. "The Changing Faces of Political Violence in West Bengal"। The Wire। সংগ্রহের তারিখ ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  23. "Understanding the unique nature of political violence in Bengal"। ORF। ২৮ মার্চ ২০২২। সংগ্রহের তারিখ ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  24. "TATA Motors Singur: Narratives of Development Projects" (পিডিএফ)। ISEC। সংগ্রহের তারিখ ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫

ইতিহাস

[সম্পাদনা]

ভারতের কমিউনিস্ট পার্টিতে বিভাজন এবং ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি(মার্ক্সবাদী)-এর উদ্ভব

[সম্পাদনা]

ভারতের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিআই) বিভাজনের পর "ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্ক্সবাদী)"-র উদ্ভব হয়েছিল। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের বছরগুলিতে অবিভক্ত সিপিআই ছিল একাধিক গণঅভ্যুত্থানের সাক্ষী। তেলেঙ্গানা, ত্রিপুরাকেরলে এই দল সশস্ত্র বিপ্লবে নেতৃত্বদান করে। যদিও পরবর্তীকালে সংসদীয় গণতন্ত্রে যোগ দিয়ে পার্টি পরিত্যাগ করে সশস্ত্র বিপ্লবের পন্থা। ১৯৫০ সালে পার্টির সাধারণ সম্পাদক তথা দলের চরমপন্থী গোষ্ঠীর এক বিশিষ্ট প্রতিনিধি বি. টি. রণদিভে বাম-অ্যাডভেঞ্চারবাদের অভিযোগে পদচ্যুত হন।

এ. কে. গোপালন ভবন, নতুন দিল্লি; সিপিআই(এম)-এর কেন্দ্রীয় কার্যালয়
এর্নাকুলামে সিপিআই(এম)-এর প্রচারযান

ভারতের স্বাধীনতার পর জওহরলাল নেহরুর নেতৃত্বাধীন কংগ্রেস সরকার কৌশলগত কারণে সোভিয়েত ইউনিয়নের সঙ্গে এক ঘনিষ্ঠ বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তোলে। সোভিয়েত সরকারও চাইত ভারতীয় কমিউনিস্টরা ভারত রাষ্ট্রের সমালোচনার ব্যাপারে মধ্যপন্থা অবলম্বন করুক এবং কংগ্রেস সরকারের সহায়ক মনোভাবাপন্ন হোক। যদিও সিপিআই-এর একটি বিরাট অংশ দাবি করে যে ভারত একটি অর্ধ-সামন্ততান্ত্রিক দেশই রয়ে গেছে। আর তাই সোভিয়েত বাণিজ্য ও বিদেশনীতির খাতিরে শ্রেণি সংগ্রামের গুরুত্ব হ্রাস করা অনুচিত হবে। অধিকন্তু ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস রাজনৈতিক প্রতিযোগিতার ব্যাপারে তখনও প্রতিকূল মনোভাবাপন্নই রয়ে গিয়েছিল। ১৯৫৯ সালে কেন্দ্রীয় সরকার দেশের একমাত্র অ-কংগ্রেসি রাজ্য সরকার ই. এম. এস. নাম্বুদিরিপাদ ক্যাবিনেটকে বরখাস্ত করে কেরলে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করে।

একই সময়কালে সোভিয়েত ইউনিয়নের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিএসইউ) ও চীনের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিসি) মধ্যকার পারস্পরিক সম্পর্কের অবনতি হয়। ১৯৬০-এর দশকের গোড়ার দিক থেকে সিপিসি অভিযোগ করতে থাকে যে সিপিএসইউ ক্রমশ সংশোধনবাদী হয়ে পড়ছে এবং মার্কসবাদ-লেনিনবাদের আদর্শ থেকে সরে আসছে। ইতোমধ্যে চীন-ভারত বৈদেশিক সম্পর্কেরও অবনতি ঘটে। দুই দেশের মধ্যে সীমান্ত সংঘর্ষের ফলে ১৯৬২ সালের ভারত-চীন যুদ্ধের সূচনা হয়।

বিশিষ্ট নেতৃবৃন্দ

[সম্পাদনা]

সিপিআই(এম) পন্থী সাহিত্যিকগণ

[সম্পাদনা]

এই রাজনৈতিক দলের পক্ষে অনেক সাহিত্যিক লেখক নাট্যকার কাজ করেছেন। তাদের মধ্যে সফদর হাশমি, উৎপল দত্ত, মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়, সুভাষ মুখোপাধ্যায়, ননী ভৌমিক অন্যতম। বর্তমান প্রজন্মের কবি ও লেখিকা মন্দাক্রান্তা সেন

আরও দেখুন

[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]

    বহিঃসংযোগ

    [সম্পাদনা]

    পার্টি-সংক্রান্ত ওয়েবসাইট

    [সম্পাদনা]

    পার্টি সংবাদপত্র

    [সম্পাদনা]

    নিবন্ধ

    [সম্পাদনা]