মৃত্তিকা মায়া

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
মৃত্তিকা মায়া
আনুষ্ঠানিক পোস্টার
পরিচালকগাজী রাকায়েত
প্রযোজকগাজী রাকায়েতফরিদুর রেজা সাগর
রচয়িতাগাজী রাকায়েত
শ্রেষ্ঠাংশেতিতাস জিয়া, শর্মীমালা, রাইসুল ইসলাম আসাদ
সুরকারএকে আজাদ
চিত্রগ্রাহকসাইফুল ইসলাম বাদল
সম্পাদকমো. শরিফুল ইসলাম রাসেল
প্রযোজনা
কোম্পানি
পরিবেশকইমপ্রেস টেলিফিল্ম
মুক্তি
  • ৬ সেপ্টেম্বর ২০১৩ (2013-09-06)
স্থিতিকাল১৫০ মিনিট
দেশবাংলাদেশ
ভাষাবাংলা

মৃত্তিকা মায়া বাংলাদেশের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত একটি চলচ্চিত্র। ২০১২ সালের সরকারি অনুদানে নির্মিত এই চলচ্চিত্রটির কাহিনি, চিত্রনাট্য ও সংলাপ এবং পরিচালনা করেন গাজী রাকায়েত। চলচ্চিত্রটি যৌথভাবে প্রযোজনা করে চারুনিড়ম অডিও ভিজ্যুয়াল ও ইমপ্রেস টেলিফিল্ম[১] চলচ্চিত্রটি ৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৩ তারিখে মুক্তি পায়।

কাহিনী[সম্পাদনা]

ক্ষীরমোহন পাল (রাইসুল ইসলাম আসাদ) পেশায় কুমার এবং বিপত্মীক। এতিম নাতনি পদ্মকে (শর্মীমালা) নিয়ে থাকেন। নিজের তিন সন্তানের একজন স্ত্রীসহ মারা যায় (পদ্মর মা-বাবা)। আর দুজন থাকে শহরে। একজন ব্যাংকের পিয়ন, অন্যজন ব্যবসা করে। ক্ষীরমোহন বাবুর কুমোর পেশাকে তারা গ্রহণ করে না। এমনকি তার এই পেশাকে ছোটলোকের কাজ বলে মনে করে। আর্থিক লাভের জন্য তারা বাবার কর্মকে বিক্রি করতে চায়।

ক্ষীরমোহন পালের নাতনি পদ্ম দেখতে শ্যাম বর্ণের। এ জন্য কোনো পাত্রপক্ষ তাকে পছন্দ করে না। এদিকে পদ্ম তাদের বাড়িতে আশ্রিত বৈশাখকে (তিতাস জিয়া) ভালোবাসে। ক্ষীরমোহন বাবু ছোট বেলায় বৈশাখকে তার বটতলার বৈশাখী মেলায় কুঁড়িয়ে পায়। বৈশাখী মেলায় কুড়িয়ে পেয়েছেন বলে নাম রাখেন বৈশাখ।

একদিন পদ্মের বুড়ো বয়সের এক ধনী লোকের সাথে বিয়ে হয়ে যায়।

ক্ষীরমোহন মৃত্যুর কালে তার সকল জায়গা-জমি, সহায়-সম্পত্তি এবং বটবৃক্ষ বৈশাখকে দিয়ে যায়। ভালোবাসার মানুষকে হারিয়ে বৈশাখ ক্ষীরমোহনের দান করা সম্পত্তি প্রত্যাখ্যান করে।

অভিনয়[সম্পাদনা]

পুরস্কার ও মনোনয়ন[সম্পাদনা]

জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার[সম্পাদনা]

২০১৩ সালের জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে এই চলচ্চিত্রটি রেকর্ড ১৭টি বিভাগে পুরস্কার লাভ করে।[২] জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে মৃত্তিকা মায়া যেসব বিভাগে পুরস্কার জিতেছে সেগুলো হচ্ছে— সেরা ছবি, সেরা পরিচালক, সেরা গল্প, সেরা সংলাপ, সেরা চিত্রনাট্য, সেরা অভিনেতা (তিতাস জিয়া), সেরা অভিনেত্রী (শর্মীমালা), সেরা পার্শ্ব অভিনেতা (রাইসুল ইসলাম আসাদ), সেরা পার্শ্ব অভিনেত্রী (অপর্ণা ঘোষ), খল চরিত্রে সেরা অভিনেতা (মামুনুর রশীদ), সেরা আবহ সংগীত (এ কে আজাদ), সেরা চিত্রগ্রাহক (সাইফুল ইসলাম বাদল), সেরা সম্পাদনা (শরীফুল ইসলাম রাসেল), সেরা শিল্প নির্দেশক (উত্তম গুহ), সেরা পোশাক পরিকল্পনা (ওয়াহিদা মল্লিক জলি), সেরা শব্দগ্রহণ (কাজী সেলিম) এবং সেরা রূপসজ্জা (মোহাম্মদ আলী বাবুল)।[৩]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "মুক্তি পাচ্ছে 'মৃত্তিকা মায়া'"প্রথম আলো। ২২ আগস্ট ২০১৩। সংগ্রহের তারিখ ১০ মার্চ ২০১৫ 
  2. "দেশের প্রথম ইংরেজি সিনেমা 'দ্য গ্রেভ'"দ্য ডেইলি স্টার। ২০২০-০১-১৬। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০১-১৯ 
  3. "'মৃত্তিকা মায়া'র অভাবনীয় সাফল্য"প্রথম আলো। ১০ মার্চ ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ১০ মার্চ ২০১৫ 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]