খাদিজা বিনতে খুওয়াইলিদ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
→সন্তান: বানান ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা |
→ইসলাম ধর্ম গ্রহণ: বানান ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা |
||
৭৭ নং লাইন: | ৭৭ নং লাইন: | ||
== ইসলাম ধর্ম গ্রহণ == |
== ইসলাম ধর্ম গ্রহণ == |
||
মুহাম্মদ তৎকালীন আরবের সামাজিক অবক্ষয়, যুদ্ধ-বিগ্রহ, হিংসা, হানাহানি থেকে মানুষের মুক্তি কীভাবে হবে তা নিয়ে চিন্তা করতেন। ত্রিশ বছর বয়স হয়ে যাওয়ার পর মুহাম্মাদ প্রায়ই মক্কার অদূরে হেরা গুহায় ধ্যানমগ্ন অবস্থায় কাটাতেন। তার স্ত্রী খাদিজা নিয়মিত তাকে খাবার দিয়ে আসতেন। হাদিসের বর্ণনা অনুযায়ী এমনি একদিন ধ্যানের সময় ফেরেশতা জিবরাইল তার কাছে আল্লাহপ্রেরিত বাণী নিয়ে আসেন এবং তাকে কিছু পঙ্ক্তি দিয়ে পড়তে বলেন। উত্তরে |
মুহাম্মদ(সা:) তৎকালীন আরবের সামাজিক অবক্ষয়, যুদ্ধ-বিগ্রহ, হিংসা, হানাহানি থেকে মানুষের মুক্তি কীভাবে হবে তা নিয়ে চিন্তা করতেন। ত্রিশ বছর বয়স হয়ে যাওয়ার পর মুহাম্মাদ প্রায়ই মক্কার অদূরে হেরা গুহায় ধ্যানমগ্ন অবস্থায় কাটাতেন। তার স্ত্রী খাদিজা নিয়মিত তাকে খাবার দিয়ে আসতেন। হাদিসের বর্ণনা অনুযায়ী এমনি একদিন ধ্যানের সময় ফেরেশতা জিবরাইল তার কাছে আল্লাহপ্রেরিত বাণী নিয়ে আসেন এবং তাকে কিছু পঙ্ক্তি দিয়ে পড়তে বলেন। উত্তরে মুহাম্মদ(সা:) জানান যে তিনি পড়তে জানেন না, এতে জিবরাইল তাকে জড়িয়ে ধরে প্রবল চাপ প্রয়োগ করেন এবং আবার একই পঙ্ক্তি পড়তে বলেন। কিন্তু এবারও মুহাম্মদ(সা:) নিজের অপারগতার কথা প্রকাশ করেন। এভাবে তিনবার চাপ দেওয়ার পর মুহাম্মাদ(সা:) পঙ্ক্তিটি পড়তে সমর্থ হন। মুসলিমদের ধারণা অনুযায়ী এটিই কুরআনের প্রথম আয়াত গুচ্ছ; সুরা আলাকের প্রথম পাঁচ আয়াত। বর্ণনায় আরও উল্লেখ আছে প্রথম বাণী লাভের পর মুহাম্মাদ(সা:) এতই ভীত হয়ে পড়েন যে কাঁপতে কাঁপতে নিজ গৃহে প্রবেশ করেই খাদিজাকে কম্বল দিয়ে নিজের গা জড়িয়ে দেওয়ার জন্য বলেন। বারবার বলতে থাকেন, "আমাকে আবৃত কর"। খাদিজা নবীর সকল কথা সম্পূর্ণ বিশ্বাস করেন এবং তাকে নবী হিসেবে মেনে নেন। ভীতি দূর করার জন্য মুহাম্মদ(সা:) নিয়ে খাদিজা নিজ চাচাতো ভাই ওয়ারাকা ইবন নওফলের কাছে যান। নওফল তাকে শেষ নবী হিসেবে আখ্যায়িত করে। এভাবে খাদিজা ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। |
||
== ইসলাম প্রচারে অবদান == |
== ইসলাম প্রচারে অবদান == |
১৭:০২, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ
খাদিজা | |
---|---|
خديجة | |
জন্ম | খাদিজা বিনতে খুওয়াইলিদ ৫৫৫[১] খ্রিঃ অথবা ৫৬৭ খ্রিঃ |
মৃত্যু | ১০ রমজান (প্রাচীন আরবি বর্ষপঞ্জি অনুযায়ী)[২] ২২ নভেম্বর[তথ্যসূত্র প্রয়োজন] ৬১৯ (বয়স ৬৩–৬৪) অথবা ৬১৯ (বয়স ৫১–৫২) মক্কা |
সমাধি | জান্নাতুল মুয়াল্লা, মক্কা |
অন্যান্য নাম | খাদিজাতুল কুবরা |
পরিচিতির কারণ | ইসলামের নবী মুহাম্মাদের প্রথম স্ত্রী, মুমিনদের মাতা |
উপাধি | উম্মাহাতুল মুমিনীন, আমিরাত-কুরাইশ, আল-তাহিরা |
দাম্পত্য সঙ্গী |
|
সন্তান | পুত্রগণ: ‘আব্দুল্লাহ ইবনে ‘আতিক, হালাহ ইবনে আবি হালাহ, হিন্দ ইবনে আবি হালাহ, কাসিম ইবনে মুহাম্মাদ, আবদুল্লাহ ইবনে মুহাম্মদ কন্যাগণ: হিন্দা বিনতে ‘আতিক, জয়নব বিনতে আবি হালাহ, জয়নব বিনতে মুহাম্মাদ, রুকাইয়াহ বিনতে মুহাম্মাদ, উম্মে কুলসুম বিনতে মুহাম্মাদ, ফাতিমা বিনতে মুহাম্মাদ |
পিতা-মাতা |
|
আত্মীয় | নাতিঃ হাসান ইবনে আলী, হোসাইন ইবনে আলী, আব্দুল্লাহ ইবনে উসমান নাতনিঃ উমামা বিনতে আবিল আস, জয়নব বিনতে আলী, উম্মে কুলসুম বিনতে আলী আসাদ বিন আল-উজ্জা (দাদা) হালা বিনতে খুওয়াইলিদ (বোন) ওয়ারাকা ইবনে নওফল (চাচাতো ভাই) |
পরিবার | আহল আল-বাইত (বিবাহের পর) |
খাদিজা বিনতে খুওয়াইলিদ (আরবি: خَدِيجَة بِنْت خُوَيْلِد, প্রতিবর্ণীকৃত: খাদিজা বিনতে খুওয়াইলিদ; আনু. ৫৫৫ – ৬২০[৩]), যিনি সাধারণত খাদিজা নামে পরিচিত, ছিলেন ইসলামের নবী মুহাম্মাদের প্রথম স্ত্রী[৪] এবং প্রথম ইসলাম গ্রহণকারী ব্যক্তি। খাদিজা ছিলেন মক্কার কুরাইশ বংশের নেতা খুওয়ালিদ ইবনে আসাদের কন্যা এবং নিজ প্রচেষ্টায় একজন সফল ব্যবসায়ী মহিলা।
খাদিজা কে মুসলমানরা বিশ্বাসীদের মা বলে উল্লেখ করে থাকেন। তিনি ইসলামের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মহিলা ব্যক্তিত্ব। খাদিজা বিনতে খুওয়াইলিদ, ফাতিমা বিনতে মুহাম্মাদ, আসিয়া এবং মরিয়ম বিনতে ইমরান এই চারজন নারীকে মুসলমানরা অত্যন্ত মর্যাদাবান ও জান্নাতী রমণী হিসেবে সম্মান করে থাকে[৫] মুহাম্মাদ ২৫ বছর তার সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ ছিলেন এবং তার জীবদ্দশায় অন্যকোন স্ত্রী গ্রহণ করেন নি।
প্রারম্ভিক জীবন
জন্ম ও বংশ
হস্তী বর্ষের ১৫ বছর পূর্বে আনু. ৫৫৫ খৃষ্টাব্দে হযরত খাদিজা মক্কার কুরাইশ বংশে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর কুনিয়াত উম্মে হিন্দ ও লকব ছিল ত্বাহেরাহ। খাদিজার পিতা খুওয়ালিদ ইবনে আসাদ ছিলেন একজন বণিক[৬][৭] ও নেতা। কিছু সূত্র অনুসারে, তিনি ফিজার যুদ্ধে আনুমানিক ৫৮৫ সালে মারা যান। কিন্তু অন্যদের মতে, খাদিজা যখন ৫৯৫ সালে মুহাম্মাদকে বিয়ে করেন তখনও তিনি জীবিত ছিলেন।[৮][৯]উম্মে হাবিব বিনতে আসাদ নামে খুওয়াইলিদের একজন বোন ছিল।[১০]
খাদিজার মা ফাতিমা বিনতে জাইদাহ, যিনি আনুমানিক ৫৭৫ সালে মারা যান,[১১]তিনি ছিলেন কুরাইশের আমির ইবনে লুয়াই গোত্রের সন্তান[১২] এবং মুহাম্মাদ (সা) এর মায়ের তৃতীয় চাচাতো বোন ছিলেন।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
পেশা
খাদিজা খুব সফল একজন ব্যবসায়ী ছিলেন। ইবন সা'দ তার ব্যবসা সম্পর্কে বলেছেন, কুরাইশদের বাণিজ্য কাফেলা যখন গ্রীষ্মকালীন সিরিয়া যাত্রা বা ইয়েমেনে শীতকালীন যাত্রা শুরু করার জন্য পণ্য-সামগ্রী জড়ো করতো, তখন খাদিজার একার পণ্য-কাফেলা কুরাইশদের অন্য সকলের বাণিজ্য-কাফেলার সমান হত। ইবনে সা'দের এ মন্তব্য দ্বারা খাদিজার ব্যবসায়ের পরিধি উপলব্ধি করা যায়[১৩] খাদিজার সাথে যুক্ত সম্মানসূচক উপাধির মধ্যে ছিল, "আমিরাত-কুরাইশ" (কুরাইশের রাজকুমারী), "খাদিজা আল-কুবরা" (মহান খাদিজা)।[১৪] কথিত আছে যে তিনি দরিদ্রদের খাওয়াতেন এবং বস্ত্র বিতরন করতেন, তার আত্মীয়দের আর্থিকভাবে সহায়তা করতেন।[১৪] খাদিজা সম্পর্কে বলা হয় যে ইসলাম আর্বিভাবের পূর্বেও তিনি প্রতিমা পূজা বিশ্বাস করতেন না, যা প্রাক-ইসলামি আরব সংস্কৃতির জন্য খুব সাধারণ ছিল।[১৫]
নারী হওয়ার কারণে খাদিজা বিদেশে বা অন্য শহরে ব্যবসা পরিচালনার জন্য নিয়মিত সফর করতে পারতেন না বলে ব্যবস্থাপকের মাধ্যমে এ সমস্ত কাজ করাতেন। কিন্তু সেই ব্যবস্থাপকের গতিবিধি এবং তার বিশ্বস্ততা যাচাইয়ের জন্য কাফেলার সঙ্গে তার নিজস্ব বিশ্বস্ত প্রতিনিধি প্রেরণ করতেন। ব্যবস্থাপকের ভালো-মন্দ যাচাই করার জন্য এটা ছিল তার স্বতন্ত্র একটি ব্যবসায়িক কৌশল।
৫৯৫ সালে সিরিয়ায় বাণিজ্যিক কাফেলা প্রেরণের জন্য খাদিজার একজন সহকর্মীর প্রয়োজন ছিল। তিনি এ কাজের জন্য মুহাম্মাদ ইবনে আবদুল্লাহকে বেছে নেন যেহেতু কুরাইশদের কাছে মুহাম্মাদ তখন "আল-আমিন" বা "বিশ্বাসী" উপাধি পেয়ে পরিচিত ছিলেন। খাদিজা লোক মারফত মুহাম্মাদের কাছে প্রস্তাব পাঠালেন, তিনি যদি ব্যবসায়ের দ্বায়িত্ব নিয়ে সিরিয়া যান, অন্যদের তুলনায় খাদিজা তাকে দ্বিগুণ মুনাফা দেবেন। মুহাম্মাদ রাজি হলেন। তার চাচা আবু তালিবের অনুমতি ক্রমে তাকে খাদিজার পণ্য-সামগ্রী ও এক বিশ্বস্ত দাস মাইসারা সহ সিরিয়ায় পাঠানো হয়।[১৬] [১৭]পথে এক গীর্জার পাশে একটি গাছের ছায়ায় মুহাম্মাদ বিশ্রামের জন্য বসলেন। গীর্জার পাদ্রী এগিয়ে গেলেন মাইসারার দিকে। জিজ্ঞেস করলেন, গাছের নিচে বিশ্রামরত লোকটি কে? মাইসারা বললেন, মক্কার হারাম-বাসী কুরাইশ গোত্রের একটি লোক। পাদ্রী বললেন, এখন এই গাছের নীচে যিনি বিশ্রাম নিচ্ছেন তিনি একজন নবী ছাড়া আর কেউ নন। ঐতিহাসিকরা এই পাদ্রীর নাম 'নাসতুরা' বলে উল্লেখ করেছেন[১৮] তবে ইবনে হাজার আসকালানী এই পাদ্রীর নাম 'বুহাইরা' বলেছেন।[১৯] মুহাম্মাদ সিরিয়ার বাজারে পণ্যদ্রব্য বিক্রি করলেন এবং যা কেনার তা কিনলেন। তারপর মাইসারাহকে সঙ্গে করে মক্কার পথে রওয়ানা হলেন৷ পথে মাইসারাহ লক্ষ্য করলেন, মুহাম্মাদ তার উটের ওপর সওয়ার হয়ে চলেছেন আর আকাশে দুটো পাখি দুপুরের প্রছন্ড রোদ্রে তার ওপর ছায়া বিস্তার করে রেখেছে।[২০]
ফিরে আসার সময়, ব্যবসায় দ্বিগুণের কাছাকাছি লভ্যাংশ নিয়ে ফিরলেন মুহাম্মাদ। মাইসারাহ খাদিজার কাছে তার উচ্চকিত প্রশংসা করলেন এবং পাদ্রীর মন্তব্য ও সফরের ঘটনাবলী সবিস্তার বর্ণনা করলেন। [২১] খাদিজা ছিলেন একজন বিচক্ষণ মহিলা। তাঁর ধন-সম্পদ, ভদ্রতা ও বুদ্ধিমত্তায় মক্কার সর্বস্তরের মানুষ মুগ্ধ ছিল। অনেক অভিজাত কুরাইশ যুবকই তাকে সহধর্মিণী হিসেবে লাভ করার প্রত্যাশী ছিল। তিনি তাদের সবাইকে প্রত্যাখ্যান করে মাইসারার মুখে মুহাম্মাদের উন্নত চরিত্র ও ব্যক্তিত্বের প্রশংসা শুনে মুগ্ধ হয়ে যান এবং তার নিকট বিয়ের প্রস্তাব পাঠান। [২২]
প্রথম বিবাহ
খাদিজা সর্বমোট তিনবার বিবাহ করেছিলেন। পিতা খুওয়াইলিদ তৎকালীন আরব সমাজের বিশিষ্ট তাওরাত ও ইঞ্জিল বিশেষজ্ঞ ওয়ারাকা ইবনে নওফলকে খাদিজার বর নির্বাচন করেছিলেন, কিন্তু কেন যে তা বাস্তবে রূপ লাভ করেনি সে সম্বন্ধে স্পষ্ট কিছু জানা যায় নি। শেষ পর্যন্ত আবু হালা ইবন জারারাহ আত-তামিমির সাথে তাঁর প্রথম বিয়ে হয়। ইসলাম আবির্ভাবের পূর্বেই তার মৃত্যু হয়। আবু হালা ও খাদিজা দম্পতির ঘরে হালা ও হিন্দ নামে দুইজন পুত্র সন্তান জন্মগ্রহণ করে। হিন্দ পরবর্তীতে ইসলাম গ্রহণ করে সাহাবী হয়েছিল। হালার কথা জানা যায়নি । হিন্দ বদর যুদ্ধে মতান্তরে উহুদ যুদ্ধে মুহাম্মাদ এর সাথে অংশগ্রহণ করেন। হযরত আলীর শাসনামলে উটের যুদ্ধ শুরু হলে তিনি হযরত আলীর পক্ষ নিয়ে যুদ্ধ করেন। সেই যুদ্ধে হিন্দ মারা যান।[২৩]
তবে অন্য একটি বর্ণনা মতে, প্রথম স্বামীর ঘরে খাদিজার তিনটি সন্তান জন্মলাভ করে। দুই ছেলে— হিন্দ ও হারিস এবং এক কন্যা যয়নাব। হারিসকে এক কাফির কাবা ঘরের রুকনে ইয়ামনীর কাছে হত্যা করে ফেলে। [২৪]
দ্বিতীয় বিবাহ
প্রথম স্বামীর মৃত্যুর পর আতিক বিন আবিদ আল-মাখযুমির সাথে খাদিজার দ্বিতীয় বিয়ে হয়[২৫]। তবে কা'তাদা এবং ইবন ইসহাকের মতে তার প্রথম স্বামী আতিক এবং দ্বিতীয় স্বামী আবু হালা। ইবন ইসহাকের এই মত ইউনুস ইবন বুকাইর-এর বর্ণনায় পাওয়া যায়[২৬]। অবশ্য প্রথমোক্ত মতটিই অধিক গ্রহণযোগ্য। ইবন হাজার-এর বর্ণনায় জানা যায় আবন আবদিল বার সহ আরো অনেক বিশেষজ্ঞই প্রথম মতটি ব্যক্ত করেছেন[২৭]।
দ্বিতীয় স্বামীর ঘরে খাদিজার হিন্দা নাম্নী নামে একজন কন্যা সন্তান জন্মগ্রহণ করে। তার কুনিয়াত ছিলো উম্মু মুহাম্মদ। হিন্দা পরবর্তীতে ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন।[২৮]
খাদিজার দ্বিতীয় স্বামীও মারা যায়।
হযরত মুহাম্মদ (সা:) এর সাথে পরিচয়
পরপর দুইজন স্বামীর মৃত্যুর পর, খাদিজা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন আর বিয়ে করবেন না। তিনি ছিলেন ধনী, প্রভাবশালী এবং একজন সম্মানিত ব্যক্তিত্ব। সে যুগের অনেক নামী ও সম্ভ্রান্ত পুরুষ তাকে বিয়ে করতে চেয়েছিলেন - তিনি সাড়া দেননি। কিন্তু মুহাম্মাদ(সা:) এর সাথে পরিচয় হবার পর সেই মানুষটির মধ্যে খাদিজা এমন কিছু অসামান্য গুণাবলী দেখেছিলেন - যা বিয়ে সম্পর্কে তার মনোভাব বদলে দেয়। খাদিজা নিজেই মুহাম্মাদ(সা:) পছন্দ করে নেন এবং বিয়ের প্রস্তাব দেন।
তাদের এই বিয়েতে সাফিয়্যার অনেক ভূমিকা ছিল। সাফিয়্যা ছিলেন মুহাম্মাদ(সা:) আপন ফুফু এবং হামযার আপন বোন। অন্যদিকে, সফিয়্যা ছিলেন খাদিজার ছোট ভাই আওয়ামের স্ত্রী বা প্রখ্যাত সাহাবী যুবাইরের মা। খাদিজা ইতোমধ্যেই ছোট ভাই-বউ সাফিয়্যার কাছে আল-আমীন মুহাম্মাদ(সা:) সম্পর্কে বহু প্রশংসা শুনেছেন যা খাদিজার মুহাম্মাদ(সা:) প্রতি মুগ্ধতায় একটা ভূমিকা রেখেছিল। [২৯]
হযরত মুহাম্মদ(সা:) এর সাথে বিবাহ
ইয়ালার স্ত্রী ও খাদিজার বান্ধবী 'নাফিসা বিনতে মানিয়্যা' বিবাহের ব্যাপারে উভয়ের মধ্যে মধ্যস্থতা করেছেন। তিনিই সর্বপ্রথম খাদিজার হয়ে মুহাম্মদ(সা:) এর কাছে বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে যান। এরপর দুই পক্ষের সম্মতিতে তাদের বিয়ে হয়।[৩০]
তাদের বিয়েতে আবু তালিব, হামযাহসহ অনেক বিশিষ্ট কুরাইশ ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। সকলের সামনে বিয়ের খুৎবা প্রদান করেন আবু তালিব। আরবী গদ্যসাহিত্যে এই খুৎবা এখনো বিশেষ স্থান অধিকার করে আছে। বিয়ের মোহরানা ছিলো ৫০০ স্বর্ন মুদ্রা।[৩১] খাদিজা নিজেই দুই পক্ষের খরচাদি বহন করেন। তিনি দুই উকিয়া সোনা ও রুপা মুহাম্মদ কে দেন , যেন তা দিয়ে উভয়ের পোশাক ও ওয়ালীমার (বৌভাত অনুষ্ঠান) আয়োজন করতে পারেন।[৩২] এ বিয়ে হয়েছিল মুহাম্মাদ(সা:) নবুয়ত প্রাপ্তির ১৫ বছর পূর্বে। বিয়ের সময় মুহাম্মাদের বয়স ছিলো ২৩ অথবা ২৫ বছর এবং খাদিজার বয়স ছিলো ৪০ বছর। [৩৩][৩৪][৩৫][৩৬][৩৭][৩৮][৩৯][৪০] কিছু ঐতিহাসিকদের মতে, বিয়ের সময় খাদিজার বয়স ছিলো ২৮ অথবা ৩০ বছর।[৪১][৪২] তবে প্রথম মতটিই সর্বাধিক প্রসিদ্ধ ও গ্রহণযোগ্য।
সন্তান
মুহাম্মদ(সা:) এর ঘরে খাদিজার ৬ জন অথবা ৮ জন সন্তান জন্মগ্রহণ করে[৪৩](সন্তানদের সংখ্যা নিয়ে ঐতিহাসিকদের ভেতর মতপার্থক্য রয়েছে। আত-তাবারির মতে ৮ জন; প্রথম দিকের ঐতিহাসিক ইবনে ইসহাকের মতে ৭ জন। তবে অধিকাংশ জীবনিকার ৬ জন সন্তান বর্ণনা করেছে এবং এটাই প্রসিদ্ধ)[৪৪] তাদের প্রথম সন্তান কাসিম। অল্প বয়সে কাসিম মক্কায় মৃত্যুবরণ করে। এই সন্তানের নাম অনুযায়ী মুহাম্মদ(সা:) এর নাম হয় আবুল কাসিম। এরপর জন্ম হয় যয়নবের। তৃতীয় সন্তান আব্দুল্লাহ জন্মগ্রহণ করে ইসলাম ধর্ম আগমনের পর। তাই তার উপাধি হয় "তাইয়্যেব ও তাহির"। আব্দুল্লাহও অল্প বয়সে মারা যান। এরপর জন্মগ্রহণ করেন রুকাইয়া, উম্মে কুলসুম এবং ফাতিমা। খাদিজা উকবার দাসী সালামাকে সন্তানদের দেখাশোনা করার জন্য নিয়োগ দিয়েছিলেন।
ইসলাম ধর্ম গ্রহণ
মুহাম্মদ(সা:) তৎকালীন আরবের সামাজিক অবক্ষয়, যুদ্ধ-বিগ্রহ, হিংসা, হানাহানি থেকে মানুষের মুক্তি কীভাবে হবে তা নিয়ে চিন্তা করতেন। ত্রিশ বছর বয়স হয়ে যাওয়ার পর মুহাম্মাদ প্রায়ই মক্কার অদূরে হেরা গুহায় ধ্যানমগ্ন অবস্থায় কাটাতেন। তার স্ত্রী খাদিজা নিয়মিত তাকে খাবার দিয়ে আসতেন। হাদিসের বর্ণনা অনুযায়ী এমনি একদিন ধ্যানের সময় ফেরেশতা জিবরাইল তার কাছে আল্লাহপ্রেরিত বাণী নিয়ে আসেন এবং তাকে কিছু পঙ্ক্তি দিয়ে পড়তে বলেন। উত্তরে মুহাম্মদ(সা:) জানান যে তিনি পড়তে জানেন না, এতে জিবরাইল তাকে জড়িয়ে ধরে প্রবল চাপ প্রয়োগ করেন এবং আবার একই পঙ্ক্তি পড়তে বলেন। কিন্তু এবারও মুহাম্মদ(সা:) নিজের অপারগতার কথা প্রকাশ করেন। এভাবে তিনবার চাপ দেওয়ার পর মুহাম্মাদ(সা:) পঙ্ক্তিটি পড়তে সমর্থ হন। মুসলিমদের ধারণা অনুযায়ী এটিই কুরআনের প্রথম আয়াত গুচ্ছ; সুরা আলাকের প্রথম পাঁচ আয়াত। বর্ণনায় আরও উল্লেখ আছে প্রথম বাণী লাভের পর মুহাম্মাদ(সা:) এতই ভীত হয়ে পড়েন যে কাঁপতে কাঁপতে নিজ গৃহে প্রবেশ করেই খাদিজাকে কম্বল দিয়ে নিজের গা জড়িয়ে দেওয়ার জন্য বলেন। বারবার বলতে থাকেন, "আমাকে আবৃত কর"। খাদিজা নবীর সকল কথা সম্পূর্ণ বিশ্বাস করেন এবং তাকে নবী হিসেবে মেনে নেন। ভীতি দূর করার জন্য মুহাম্মদ(সা:) নিয়ে খাদিজা নিজ চাচাতো ভাই ওয়ারাকা ইবন নওফলের কাছে যান। নওফল তাকে শেষ নবী হিসেবে আখ্যায়িত করে। এভাবে খাদিজা ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন।
ইসলাম প্রচারে অবদান
ইসলাম ধর্মের সূচনালগ্নে মুহাম্মদকে সবচেয়ে বেশি সহযোগিতা করেছিলেন খাদিজা। ধীরে ধীরে খাদিজার সমস্ত সম্পদ মুহাম্মদ দান করে দিতে থাকেন। এতে খাদিজা তাকে পূর্ণ সমর্থন দিয়েছিলেন। এক পর্যায়ে প্রচন্ড অর্থকষ্ট শুরু হয়, অনাহারে খোলা মাঠে দিন কাটাতে হয়। নবুওয়তের সপ্তম বছরে মক্কার কুরাইশরা মুসলিমদের বয়কট করে। তারা সবাই মিলে "শিয়াবে আবু তালেব" নামক স্থানে আশ্রয় গ্রহণ করে। অন্যান্য মুসলিমদের সাথে খাদিজাও সেখানে ছিলেন। প্রায় ৩ বছর তিনি সেখানে ছিলেন। তখন গাছের পাতা খেয়েও দিন কাটাতে হয়েছে তাদের। খাদিজা তখন কুরাইশদের ওপর নিজের প্রভাব খাটিয়ে খাদ্যের ব্যবস্থা করে দিতেন মুসলিমদের। তার তিন ভাতিজা- হাকিম বিন হিযাম, আবুল বুখতারি ও যুময়া ইবনুল আসওয়াদ, তারা সবাই ছিলেন কুরাইশ নেতা। এই ৩ ভাতিজার মাধ্যমে মুসলিমদের মধ্যে খাদ্য সরবরাহ করতেন খাদিজা। এত কষ্ট সহ্য করেও ইসলাম ধর্ম প্রচারে খাদিজা সর্বাত্মক সহযোগিতা করতে থাকেন। একটি বর্ণনা অনুযায়ী কাবা শরীফের কাছে ৩ জনকে নামায পড়তে দেখা গেলো। আব্বাস বলেন, তাদের একজন আমার ভাতিজা মুহাম্মদ, অন্যজন আমার আরেক ভাতিজা আলী এবং তৃতীয়জন এক মহিলা, তার নাম খাদিজা।
মৃত্যু
মুহাম্মদের সাথে বিয়ে হওয়ার ২৫ বছর পর ৬৪ অথবা ৫২ বছর বয়সে রমজান মাসের ১০ তারিখে খাদিজা মক্কায় মারা যান। তখনও ইসলাম ধর্মে মৃত ব্যক্তির জন্য জানাযার নামায পড়ার বিধান ছিলো না। তাই তাকে জানাযা ছাড়াই মক্কার কবরস্থান জান্নাতুল মুয়াল্লায় দাফন করা হয়। মুহাম্মদ নিজেই তার লাশ কবরে নামান।
ইসলাম ধর্মে খাদিজার মর্যাদা
ইসলাম ধর্মে খাদিজার মর্যাদা অন্যান্য মহিলাদের চেয়ে অনেক উপরে। তিনি প্রথম ইসলাম ধর্ম গ্রহণকারী ব্যক্তি। মুহাম্মদের সাথে প্রথম নামায তিনিই পড়েছিলেন। ইসলাম ধর্ম অনুয়ায়ী বর্ণিত আছে যে, ফেরেশতা জিবরাইল মুহাম্মদকে বলেন, "আপনি তাকে (খাদিজা) আল্লাহ ও আমার পক্ষ থেকে দেওয়া সালাম পৌঁছিয়ে দিন।"বুখারী ও মুসলিমের হাদীসে বলা হয়েছে, "পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ মহিলা হলো মরিয়ম বিনতে ইমরান ও খাদিজা বিনতে খুওয়াইলিদ।" আরো বলা হয়েছে, " জান্নাতে তাঁকে মণি-মুক্তার তৈরী একটি প্রাসাদের সুসংবাদ দিন।"খাদিজা সম্পর্কে মুহাম্মদ বলেন, "মানুষ যখন আমাকে মিথ্যা বলে উড়িয়ে দিতে চেয়েছে, তখন সে আমাকে সত্য বলে মেনে নিয়েছে। সবাই যখন কাফির (অবিশ্বাসী) ছিলো, তখন সে ছিলো মুসলিম। কেউ যখন আমার সাহায্যে এগিয়ে আসে নি, তখন সে আমাকে সাহায্য করেছে।"
আরও দেখুন
তথ্যসূত্র
উদ্ধৃতি
- ↑ "Khadija's age at the Time of her Marriage with the Prophet: 40 or 28?"। icraa.org। ২০১৯-০৪-১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-১১-২৩।
- ↑ Sayyid Ali Ashgar Razwy। "The Birth of Muhammad and the Early Years of his Life"। সংগ্রহের তারিখ ৭ নভেম্বর ২০১৭।
- ↑ Umair Mirza (১৯৯৮-০১-০১)। History of Tabari – Volume 39। পৃষ্ঠা ১৬১।
- ↑ "Wife of the Prophet Muhammad (SAWAS)"। www.ummah.net। ২০০৭-১০-১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-১১-২৩।
- ↑ "Encyclopaedia of the Qur'ān"। Brill (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-১১-২৩।
- ↑ Koehler, Benedikt (২০১৪-০৬-১৭)। Early Islam and the Birth of Capitalism (ইংরেজি ভাষায়)। Lexington Books। আইএসবিএন 978-0-7391-8883-5।
- ↑ Campo, Juan Eduardo (২০০৯)। Encyclopedia of Islam (ইংরেজি ভাষায়)। Infobase Publishing। পৃষ্ঠা ৪২৭। আইএসবিএন 978-1-4381-2696-8।
- ↑ Blachère, R. (১৯৫৮-০১-০১)। "A. GUILLAUME, The Life of Muhammad, a translation Ishāq's Sirat rasūl Allāh, I vol. petit in-8°, XLVII + 815 p., introduction, traduction critique, notes d'Ibn HiŠām, 3 indices, Oxford, 1955"। Arabica (ইংরেজি ভাষায়)। 5 (3): ৮৩। আইএসএসএন 1570-0585। ডিওআই:10.1163/157005858X00065।
- ↑ Saʻd, Muḥammad Ibn (১৯৬৭)। Kitab Al-tabaqat Al-kabir (ইংরেজি ভাষায়)। Pakistan Historical Society। পৃষ্ঠা ১৪৮–৪৯।
- ↑ Saʻd, Muḥammad Ibn (১৯৬৭)। Kitab Al-tabaqat Al-kabir (ইংরেজি ভাষায়)। Pakistan Historical Society। পৃষ্ঠা ৫৪।
- ↑ Hendrix, Scott E.; Okeja, Uchenna (২০১৮-০৩-০১)। The World's Greatest Religious Leaders: How Religious Figures Helped Shape World History [2 volumes] (ইংরেজি ভাষায়)। ABC-CLIO। পৃষ্ঠা ৪৫২। আইএসবিএন 978-1-4408-4138-5।
- ↑ "Khadija tul Kubra"। www.al-islam.org। ২০০২-০৫-০৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-১১-২৩।
- ↑ Saʻd, Muḥammad Ibn (১৯৯৫)। The Women of Madina (ইংরেজি ভাষায়)। Ta-Ha। পৃষ্ঠা ১০। আইএসবিএন 978-1-897940-24-2।
- ↑ ক খ Gorder, A. Christian Van (২০১৪-০৫-২৯)। Islam, Peace and Social Justice: A Christian Perspective (ইংরেজি ভাষায়)। James Clarke & Company। পৃষ্ঠা ১৬২। আইএসবিএন 978-0-227-17422-7।
- ↑ "Khadijah, Daughter of Khuwaylid, Wife of Prophet Muhammad | Books on Islam and Muslims | Al-Islam.org"। www.al-islam.org। ২০১৭-০২-০২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-১১-২৫।
- ↑ Lings, Martin (১৯৯১)। Muhammad: His Life Based on the Earliest Sources (ইংরেজি ভাষায়)। Islamic Texts Society। পৃষ্ঠা ৩৩–৩৪। আইএসবিএন 978-0-946621-33-0।
- ↑ Ibn Sad, Muhammad (১৯৮১)। Ibn Sa'd's kitab al-Tabaqat al-Kabir। Kitab Bhavan,। পৃষ্ঠা ১৪৫–৪৬। আইএসবিএন 978-81-7151-127-3।
- ↑ Ibn Hisham-1/188
- ↑ Tariqul Ummah Al-Islamia, Muhammad Al-Khidri Bek : 1/64
- ↑ Ibn Hisham- 1/189
- ↑ Hishām, ʻAbd al-Malik Ibn; Isḥāq, Muḥammad Ibn (১৯৯৭)। The Life of Muhammad: A Translation of Isḥāq's Sīrat Rasūl Allāh (ইংরেজি ভাষায়)। Oxford University Press। পৃষ্ঠা ৮২–৮৩। আইএসবিএন 978-0-19-577828-1।
- ↑ Ibn Hisham — 1/189
- ↑ শারহুল মাওয়াকিব, আল-ইসতি'য়াব, হাশিয়া, সীরাতু ইবন হিশাম- ১/১৮৭
- ↑ আসহাবে রাসুলের জীবনকথা, খন্ড ১ম --- ডঃ মুহাম্মদ আব্দুল মাবুদ-- পৃষ্ঠা; ২২
- ↑ শারহুল মাওয়াহিব, আল-ইসতিয়াব
- ↑ আল-ইসাবা: ৪/২৮১
- ↑ আসহাবে রাসূলের জীবনকথা – মুহাম্মদ আবদুল মা'বুদ, আরবি বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
- ↑ আসহাবে রাসুলের জীবনকথা--১, পৃঃ ২২
- ↑ আসহাবে রাসুলের জীবনকথা-- ১, ডঃ আব্দুল মাবুদ, পৃঃ ১৫-১৬
- ↑ Lings (১৯৮৩)। Muhammad (SAW): His Life Based on the Earliest iiiiSources। New York: Inner Traditions Internationalist। পৃষ্ঠা 83।
- ↑ আসহাবে রাসুলের জীবনকথা-- ১ম খন্ড, ডঃ আব্দুল মাবুদ পৃঃ ১৮
- ↑ Hayatus Sahaba— 2/652
- ↑ Ibn Ishaq। Mustadrak Al-Hakim। 3। পৃষ্ঠা 182।
- ↑ Ibn Sa'd। Tabaqat al-Kubra (আরবি ভাষায়)। 8।
أخبرنا هشام بن محمد بن السائب عن أبيه عن أبي صالح عن ابن عباس قال:كانت خديجة يوم تزوجها رسول الله – صلى الله عليه وسلم – ابنة ثمان وعشرين سنة
- ↑ Abu ‘Abdullah Al-Hakim। al-Mustadrak (আরবি ভাষায়)। 3।
عن محمد بن إسحاق، أن أبا طالب وخديجة بنت خويلد هلكا في عام واحد، وذلك قبل مهاجر النبي صلى الله عليه وسلم إلى المدينة بثلاث سنين، ودفنت خديجة بالحجون، ونزل في قبرها رسول الله صلى الله عليه وسلم، وكان لها يوم تزوجها ثمان وعشرون سنة
- ↑ Muhammad, Ibn Sa’d। Tabaqat al-Kubra। পৃষ্ঠা Vol.8, 13।
- ↑ Amili। Al Sahih Min Sirat Al Nabi। পৃষ্ঠা Vol. 2, P. 114।
- ↑ Ibn Ishaq। Mustadrak Al Hakim। পৃষ্ঠা 3. p. 182।
- ↑ Ibn Saad। Al Tabaqat Al Kubra।
- ↑ Abo Abdullah Al Hakim। Al Mustadarak।
- ↑ Ibn Saad। Al Tabaqat Al Kubra। পৃষ্ঠা Vol.8 page 13।
- ↑ Al-Hakim Abu‘Abdullah। al-Mustadrak। পৃষ্ঠা Vol.3, 200 No. 4837।
- ↑ https://web.archive.org/web/20190318150741/http://islamswomen.com/articles/khadijah_bint_khuwaylid.php
- ↑ https://web.archive.org/web/20200206172208/http://www.muslim-library.com/books/2019/05/en_Tabari_Volume_09.pdf
গ্রন্থপঞ্জি
- হাবিবুর রহমান, মুহাম্মদ (৮ মে ২০২১)। "প্রথম ইসলাম গ্রহণকারী বিবি খাদিজাতুল কুবরা (রা.)"। দৈনিক প্রথম আলো।
বহিঃসংযোগ
উম্মুল মুমিনিন |
---|
|