রাবেয়া বসরী
| মুসলিম তপস্বী রাবেয়া আল-আদাবিয়া আল-কায়সিয়া | |
|---|---|
| উপাধি | আল-বসরী |
| জন্ম | ৭১৪ থেকে ৭১৮ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে |
| মৃত্যু | ৮০১ খ্রিঃ |
| জাতিভুক্ত | আরব |
| যুগ | ইসলামি স্বর্ণযুগ (উমাইয়া খিলাফত এবং আব্বাসীয় খিলাফত) |
| মূল আগ্রহ | সুফিবাদ, Asceticism, ঐশ্বরিক প্রেম |
| উল্লেখযোগ্য ধারণা | ঐশ্বরিক প্রেম |
রাবেয়া আল-আদাবিয়া আল-কায়সিয়া (আরবি: رابعة العدوية القيسية; আনুমানিক ৭১৬ – ৮০১ খ্রিস্টাব্দ), যিনি রাবেয়া বসরী নামেও পরিচিত, ছিলেন এক বিশিষ্ট সুফি সাধিকা, কবি এবং ইরাকের এক প্রভাবশালী ধর্মীয় ব্যক্তিত্ব।[১] তিনি সুফিবাদের প্রথম যুগের অন্যতম পথিকৃৎ হিসেবে বিবেচিত হন।[২] বিশ্বে শ্রেষ্ঠ তিনজন কালন্দর সাধকের একজন হিসেবে তাঁকে গণ্য করা হয়।[৩]
জীবনী
[সম্পাদনা]রকিয়া এলারুই কর্নেল উল্লেখ করেন যে রাবেয়ার জীবন সম্পর্কে খুব অল্পই জানা যায়।
রাবেয়া সম্পর্কে প্রাচীনতম উৎস থেকে কী ঐতিহাসিক তথ্য জানা যায়? উপরে যেমন বলা হয়েছে, খুব সামান্য তথ্যই পাওয়া যায়, শুধু এইটুকু নিশ্চিত হওয়া যায় যে, অষ্টম শতাব্দীতে দক্ষিণ ইরাকের বসরা শহরে বা তার আশেপাশে রাবেয়া আল-আদাবিয়া বা রাবেয়া আল-কায়সিয়া (আদাবিয়া তার বংশ এবং কায়সিয়া তার গোত্র নির্দেশ করে) নামে একজন মুসলিম নারী তপস্বী ও শিক্ষক বাস করতেন। [...] সাধারণত স্বীকৃত জন্ম তারিখ ৭১৭ খ্রিস্টাব্দ এবং মৃত্যু তারিখ ৮০১ খ্রিস্টাব্দ অনেক পরবর্তী সময়ের এবং এই তারিখগুলোর চূড়ান্ত উৎস অস্পষ্ট।[৪]
কর্নেল আরও উল্লেখ করেন যে, প্রাথমিক বসরার দুজন লেখক তাঁর কথা উল্লেখ করেছেন।[৪] এর কারণে, তারা তার খ্যাতির সাথে পরিচিত ছিলেন।[৪] রাবেয়ার প্রকৃত অস্তিত্বের সবচেয়ে ভালো বাস্তব প্রমাণ হলো এই স্থানীয় খ্যাতি। তিনি আরও লেখেন, "আজ পর্যন্ত, রাবেয়া আল-আদাবিয়ার সাথে নিশ্চিতভাবে কোনো লিখিত কর্মের সংকলন যুক্ত করা যায়নি।"[৪]
এতদসত্ত্বেও, শতাব্দী ধরে রাবেয়া সম্পর্কে বিভিন্ন গল্প ছড়িয়ে পড়ে এবং তাঁর সম্পর্কে বিভিন্ন উল্লেখযোগ্য ঘটনাবলী গড়ে ওঠে। নিশাপুরের আত্তার, যিনি প্রায় চার শতাব্দী পরে জীবিত একজন সুফি সাধক এবং কবি, তাঁর প্রথম জীবনের একটি বিখ্যাত গল্প বর্ণনা করেন।[৫]
দর্শন এবং ধর্মীয় অবদান
[সম্পাদনা]ইসলামের ইতিহাসে অন্যতম বিখ্যাত নারী হিসেবে পরিচিত রাবেয়া তার উচ্চ নৈতিকতা এবং ধার্মিকতার জন্য সুপরিচিত। একজন নিবেদিতপ্রাণ তপস্বী হিসেবে, যখন তাকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল কেন তিনি দিন ও রাতে হাজার বার প্রথাগত সিজদা করেন, তখন তিনি উত্তর দেন, "আমি এর জন্য কোনো পুরস্কার কামনা করি না; আমি এটা করি যাতে আল্লাহর বার্তাবাহক মুহাম্মদ, আল্লাহ তার উপর শান্তি ও রহমত বর্ষণ করুন, পুনরুত্থানের দিনে এতে আনন্দিত হন এবং নবীদের বলেন, 'আমার উম্মতের একজন নারী কী অর্জন করেছে, তা লক্ষ্য করো।"[৫]
রাবেয়াকে তার আত্ম-ত্যাগ এবং আল্লাহর প্রতি গভীর নিষ্ঠার জন্য তীব্রভাবে নিবেদিত বলে বর্ণনা করা হয়।[৬] বিনয়ের নিদর্শন হিসেবে আকাশের দিকে (অর্থাৎ আল্লাহর দিকে) মাথা তুলতে অস্বীকৃতি জানানোর কারণ ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন: "যদি পুরো পৃথিবী একজন মানুষের মালিকানাধীনও হয়, তবুও তা তাকে ধনী করতে পারবে না... কারণ এটি ক্ষণস্থায়ী।"[৫]
সুফিদের বিবরণ অনুযায়ী, রাবেয়া সর্বপ্রথম ইশক নামে পরিচিত ঐশ্বরিক প্রেমের তত্ত্ব প্রচার করেন। প্রাথমিক যুগের আত্মত্যাগী ধার্মিকদের মধ্যে তিনি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব হিসেবে ব্যাপকভাবে স্বীকৃত, এই ত্যাগী ধার্মিকতাই পরবর্তীতে সুফিবাদ নামে পরিচিতি লাভ করে।[৩]
কবিতা এবং আখ্যান
[সম্পাদনা]তার নামে প্রচলিত অনেক কবিতার উৎস অজানা।[৪] ঐতিহাসিক নথিপত্রে রাবেয়া এবং হাসান আল-বসরীর মধ্যে কখনো সাক্ষাতের কোনো প্রমাণ পাওয়া যায় না। তবে, নিশাপুরের আত্তারের তাজকিরাতুল আউলিয়া গ্রন্থে প্রথম প্রকাশিত কিছু গল্প আধুনিক যুগে বহুল প্রচলিত রূপক হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এই গল্পগুলোতে দেখা যায়, দীর্ঘ কষ্টের জীবন পার করে তিনি স্বতঃস্ফূর্তভাবে আত্ম-উপলব্ধির একটি স্তরে পৌঁছেছিলেন।[৭] হাসান আল-বসরী যখন রাবেয়াকে জিজ্ঞাসা করেন যে তিনি কীভাবে এই গোপন কথাটি আবিষ্কার করেছিলেন, তখন তিনি উত্তর দিয়েছিলেন, "আপনি জানেন 'কিভাবে', কিন্তু আমি জানি 'কিভাবে-ছাড়া'।"[৮]
তার জীবন ঘিরে প্রচলিত অসংখ্য কাহিনীর মধ্যে উল্লেখযোগ্য একটি হলো, তার মনিব যখন তাকে আলোয় ঘেরা অবস্থায় প্রার্থনা করতে দেখেন, তখন তিনি বুঝতে পারেন যে রাবেয়া একজন সাধিকা। এই উপলব্ধি থেকে মনিব নিজের জীবনের নিরাপত্তার ভয়ে তাকে দাসত্ব থেকে মুক্তি দেন।[৬]
জীবনীকার রকিয়া এলারুই কর্নেল রাবেয়ার চারটি প্রধান চরিত্রায়ণ আবিষ্কার করেন: রাবেয়া শিক্ষক, রাবিয়া তপস্বী, রাবেয়া প্রেমিকা এবং রাবেয়া সুফি।[৯]
তপস্বী
[সম্পাদনা]রাবেয়াকে প্রায়শই এমন একজন তপস্বী হিসেবে বর্ণনা করা হয়, যিনি জাগতিক বিষয়গুলোকে তুচ্ছ জ্ঞান করে পরকালের দিকে মনোনিবেশ করতেন। তিনি পার্থিব জগৎকে মন্দ বলে প্রত্যাখ্যান করতেন না, বরং আল্লাহর প্রতি মনোযোগ ধরে রাখার জন্য একে গুরুত্বহীন মনে করতেন। এভাবে তিনি একজন আদর্শ তপস্বীর দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন।[১০]
উত্তরাধিকার
[সম্পাদনা]একটি সুফি বর্ণনায়, সুফি নেতা হাসান আল-বসরী ব্যাখ্যা করেন, "আমি রাবেয়ার সাথে একটি পুরো রাত এবং দিন কাটিয়েছি... আমার মনে কখনো এটা আসেনি যে আমি একজন পুরুষ, এবং তারও মনে হয়নি যে সে একজন নারী... যখন আমি তাকে দেখলাম, আমি নিজেকে দেউলিয়া এবং রাবেয়াকে সত্যিকারের আন্তরিক হিসেবে দেখলাম।"[১১]
তিনি তার সময়ের অন্যান্য মুসলিম নারীদের থেকে ভিন্ন জীবনযাপন করতে এবং নিজেকে সম্পূর্ণরূপে আল্লাহর প্রতি উৎসর্গ করতে অবিবাহিত থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।[৬] আল্লাহর প্রতি তার গভীর নিবেদনের পাশাপাশি তার সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য গুণাবলী ছিল তার বিনয় এবং কামনা-বাসনাহীন জীবন যাপন।[৬] ঐশ্বরিক ভালোবাসায় একা বসবাস করে, তিনি তার ধর্মীয় আবেগ এবং ক্রমবর্ধমান মুসলিম জনসংখ্যার জন্য যে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিলেন, তার জন্য অনেকের দ্বারা প্রশংসিত হন। রাবেয়ার জীবনের গল্প, আধুনিক সাহিত্যে তার প্রসঙ্গ এবং মুসলিম সংস্কৃতিতে তার মর্যাদার মাধ্যমে আজও তার গুরুত্ব ও উত্তরাধিকার সমুজ্জ্বল।[৬] যদিও তার কোনো শারীরিক প্রমাণ পাওয়া যায়নি, রাবেয়ার গল্প এবং কবিতা আজও নারী এবং মুসলিম সম্প্রদায়ের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে আছে।[১২][১৩]
জনপ্রিয় সংস্কৃতিতে
[সম্পাদনা]রাবেয়ার জীবন কাহিনী তুর্কি চলচ্চিত্র শিল্পের জন্য বহু চলচ্চিত্রের অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে। এর মধ্যে ১৯৭৩ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত রাবেয়া সিনেমাটি উল্লেখযোগ্য, যা পরিচালনা করেন ওসমান এফ. সেদেন। এই সিনেমায় ফাতমা গিরিক রাবেয়ার প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেন।[১৪] ১৯৭৩ সালে রাবেয়ার জীবন অবলম্বনে "রাবেয়া, ইল্ক কাদিন এভলিয়া" (রাবেয়া, প্রথম নারী সাধিকা) নামে আরেকটি তুর্কি চলচ্চিত্র মুক্তি পায়। সুরেইয়া দুরু পরিচালিত এই চলচ্চিত্রে হুলিয়া কোচিগিত রাবেয়ার ভূমিকায় অভিনয় করেন।[১৪]
ইন্দোনেশীয় গান "জিকা সুরগা দান নেরাকা তাক পেরনাহ আদা" আহমদ ধানি ও ক্রিসি কর্তৃক তাদের ২০০৪ সালের অ্যালবাম "সেন্যাওয়া"-তে গান গাওয়া হয়।[১৫] এই গানটি রাবেয়ার একটি উক্তি অবলম্বনে রচিত, যেখানে তিনি বলেছেন, আল্লাহর ইবাদত ভালোবাসা থেকে করা উচিত, শাস্তির ভয় বা পুরস্কারের লোভ থেকে নয়।[১৬]
আরও পড়ুন
[সম্পাদনা]- কায়াআলপ, পিনার, "রাবেয়া আল-'আদাবিয়া", মুহাম্মাদ ইন হিস্ট্রি, থট, অ্যান্ড কালচার: অ্যান এনসাইক্লোপিডিয়া অব দ্য প্রফেট অব গড (২য় খণ্ড), সম্পাদনা করেছেন সি. ফিটজপ্যাট্রিক এবং এ. ওয়াকার, সান্তা বার্বারা, এবিসি-সিএলআইও, ২০১৪, দ্বিতীয় খণ্ড, পৃষ্ঠা ৫১১–৫১২; আইএসবিএন ১৬১০৬৯১৭৭৬
- মোহাম্মদ, শবাবুলকাদরি, তাজকিরা-ই-হযরত রাবেয়া বসরী, মুশতাক বুক কর্নার, ২০০৮
- রকিয়া এলারুই কর্নেল, রাবেয়া: বর্ণনা থেকে পৌরাণিক কাহিনি— ইসলামের সর্বাধিক পরিচিত নারী সন্ত, রাবেয়া আল-আদাবিয়্যার নানামুখী রূপ (ওনওয়ার্ল্ড: লন্ডন, ২০১৯)
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ Margaret Smith (১৯৯৫)। Encyclopedia of Islam, দ্বিতীয় সংস্করণ, অষ্টম খণ্ড, "রাবেয়া আল-আদাবিয়া আল-কায়সিয়া"। Brill। পৃ. ৩৫৪–৩৫৬।
- ↑ Smith, Margaret (২০১০)। রাবেয়া: একজন সুফি সাধিকা ও ইসলামের অন্যান্য সাধক। Cambridge University Press। পৃ. ২৫২। আইএসবিএন ৯৭৮১১০৮০১৫৯১২।
- 1 2 Biographical Encyclopaedia of Sufis: Central Asia and Middle East। Sarup & Sons। ২০০২। পৃ. ১০৮–১০। আইএসবিএন ৯৭৮৮১৭৬২৫২৬৬৯।
- 1 2 3 4 5 রাবেয়া: বর্ণনা থেকে পৌরাণিক কাহিনী পর্যন্ত: ইসলামের সবচেয়ে পরিচিত নারী সাধিকা, রাবেয়া আল-আদাবিয়া (ইংরেজি ভাষায়)। Simon and Schuster। ২০১৯। পৃ. ১৪। আইএসবিএন ৯৭৮-১-৭৮৬০৭-৫২২-২।
- 1 2 3 al-Munawi, 'Abu (১৯৯৮)। Windows on the House of Islam। Berkeley, CA: University of California। পৃ. ১৩২–৩৩।
- 1 2 3 4 5 Barbara Lois Helms, Rabi'a as Mystic, Muslim and Woman
- ↑ Cornell, Rabi'a, 148n2.
- ↑ Farid al-Din Attar, Rabe'a [sic] al-Adawiya, from Muslim Saints and Mystics, trans. A.J. Arberry, London: Routledge & Kegan Paul, 1983.
- ↑ Cornell, Rabi'a, 10, 28-29.
- ↑ Cornell, Rabi'a, 153.
- ↑ Ahmed, Leila (১৯৯২)। Women and Gender in Islam। Yale University। পৃ. ৯৬।
- ↑ "Introduction: Is There a 'New Middle East'?"। Central Asia Meets the Middle East। ৫ নভেম্বর ২০১৩। পৃ. ১৫–৩৬। ডিওআই:10.4324/9781315037493-3। আইএসবিএন ৯৭৮-১-৩১৫-০৩৭৪৯-৩। সংগ্রহের তারিখ ১১ ডিসেম্বর ২০২২।
- ↑ Cornell, Rkia Elaroui (২০১৯)। Rabi'a from narrative to myth the many faces of Islam's most famous woman saint, Rabi'a al-'Adawiyya। London। আইএসবিএন ৯৭৮-১-৭৮৬০৭-৫২১-৫। ওসিএলসি 1035135590।
{{বই উদ্ধৃতি}}: উদ্ধৃতি শৈলী রক্ষণাবেক্ষণ: অবস্থানে প্রকাশক অনুপস্থিত (লিঙ্ক) - 1 2 Dönmez-Colin, Gönül (৪ ডিসেম্বর ২০১৩)। The Routledge Dictionary of Turkish Cinema (ইংরেজি ভাষায়)। Routledge। আইএসবিএন ৯৭৮-১-৩১৭-৯৩৭২৬-৫।
- ↑ Hirshfield, Jane (১৯৯৪)। Women in Praise of the Sacred: 43 Centuries of Spiritual Poetry by Women (ইংরেজি ভাষায়)। HarperCollins Pub.। আইএসবিএন ৯৭৮-০-০৬-০১৬৯৮৭-৯।
- ↑ Wahyudi, Agus (২০১০)। Makrifat Cinta Ahmad Dhani (ইন্দোনেশীয় ভাষায়)। Penerbit Narasi। আইএসবিএন ৯৭৮-৯৭৯-১৬৮২১-০-৭।
আরও দেখুন
[সম্পাদনা]বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]- Sufimaster.org - Teachings
- Sufi Teachings-Writings-Rabia-al-Basri ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ তারিখে
- নারী সুফি অতীন্দ্রিয়বাদী
- ইসলাম ও নারী
- ইসলামি ব্যক্তিত্ব
- নারী ব্যক্তিত্ব
- আরব নারী
- ৭১৭-এ জন্ম
- ৮০১-এ মৃত্যু
- সুফি
- সুফি কবি
- সুফিবাদ
- ইরাকি দার্শনিক
- ৮ম শতাব্দীর দার্শনিক
- ৭১০-এর দশকে জন্ম
- ৮ম শতাব্দীর আরব ব্যক্তি
- সুন্নি সুফি
- সুফি সাধক
- ইরাকি সুফি
- ইরাকি লেখিকা
- ইরাকি লেখক
- মুসলিম দার্শনিক
- বসরার ব্যক্তি
- সুফি দর্শন
- ইরাকি সুফি সাধক
- নারী দার্শনিক
- আরবি ভাষার মহিলা কবি
- আরবি ভাষার কবি
- ৮ম শতাব্দীর আব্বাসীয় খিলাফতের ব্যক্তি
- ৮ম শতাব্দীর আব্বাসীয় খিলাফতের নারী