বিষয়বস্তুতে চলুন

বাস্টিয়ান শোয়াইনষ্টাইগার

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
(বাস্তিয়ান শোয়েনস্টেইগার থেকে পুনর্নির্দেশিত)
বাস্টিয়ান শোয়াইনষ্টাইগার
শোয়াইনষ্টাইগার ২০১২ সালের ইউরো খেলছেন
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নাম বাস্টিয়ান শোয়াইনষ্টাইগার[]
জন্ম (1984-08-01) ১ আগস্ট ১৯৮৪ (বয়স ৪১)
জন্ম স্থান কোলবারমুর, পশ্চিম জার্মানি
উচ্চতা ১.৮৩ মিটার (৬ ফুট ০ ইঞ্চি)[]
মাঠে অবস্থান মধ্যমাঠের খেলোয়াড়
যুব পর্যায়
১৯৯০–১৯৯২ এফ ভি ওবেরাউডর্ফ
১৯৯২–১৯৯৮ টি এস ভি ১৮৬০ রোসেনহেইম
১৯৯৮–২০০২ বায়ার্ন মিউনিখ
জ্যেষ্ঠ পর্যায়*
বছর দল ম্যাচ (গোল)
২০০১–২০০৫ বায়ার্ন মিউনিখ ২ ৩৪ (২)
২০০২–২০১৫ বায়ার্ন মিউনিখ ৩২৮ (৪১)
২০১৫–২০১৭ ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ১৮ (১)
২০১৭–২০১৯ শিকাগো ফায়ার ৮৫ (৮)
মোট ৪৭৯ (৫৬)
জাতীয় দল
২০০০ জার্মানি অনূর্ধ্ব -১৬ (০)
২০০১–২০০২ জার্মানি অনূর্ধ্ব -১৮ ১১ (২)
২০০২–২০০৩ জার্মানি অনূর্ধ্ব-১৯ (২)
২০০৪ জার্মানি অনূর্ধ্ব -২১ (২)
২০০৪–২০১৬ জার্মানি জাতীয় ফুটবল দল ১২১ (২৪)
অর্জন ও সম্মাননা
Bayern Munich
বিজয়ীবুন্দেসলিগা২০০৩
বিজয়ীডিএফবি-পোকাল২০০৩
বিজয়ীডিএফবি-লিগা-পোকাল২০০৪
বিজয়ীবুন্দেসলিগা২০০৫
বিজয়ীডিএফবি-পোকাল২০০৫
বিজয়ীবুন্দেসলিগা২০০৬
বিজয়ীডিএফবি-পোকাল২০০৬
রানার-আপডিএফবি লিগা-পোকাল২০০৬
বিজয়ীডিএফবি লিগা-পোকাল২০০৭
বিজয়ীBundesliga2008
বিজয়ীDFB-Pokal2008
বিজয়ীBundesliga2010
বিজয়ীDFB-Pokal2010
রানার-আপUEFA Champions League2010
বিজয়ীDFL-Supercup2010
রানার-আপDFB-Pokal2012
রানার-আপUEFA Champions League2012
বিজয়ীDFL-Supercup2012
বিজয়ীBundesliga2013
বিজয়ীUEFA Champions League2013
বিজয়ীDFB-Pokal2013
রানার-আপDFL-Supercup2013
বিজয়ীUEFA Super Cup2013
বিজয়ীFIFA Club World Cup2013
 জার্মানি
তৃতীয় স্থানFIFA Confederations Cup2005
তৃতীয় স্থানFIFA World Cup2006
রানার-আপEuropean Championship2008
তৃতীয় স্থানFIFA World Cup2010
* কেবল ঘরোয়া লিগে ক্লাবের হয়ে ম্যাচ ও গোলসংখ্যা গণনা করা হয়েছে এবং ১৬:৩০, ২২ শে মার্চ ২০১৪ (UTC) তারিখ অনুযায়ী সকল তথ্য সঠিক।
‡ জাতীয় দলের হয়ে ম্যাচ ও গোলসংখ্যা ২১:৪৮, ৫ ই মার্চ ২০১৪ (UTC) তারিখ অনুযায়ী সঠিক।

বাস্টিয়ান শোয়াইনষ্টাইগার (জার্মান: Bastian Schweinsteiger; আ-ধ্ব-ব: [ˈbasti̯an ˈʃvaɪ̯nʃtaɪ̯ɡɐ]; শুনুন) (জন্ম:পয়লা আগস্ট, ১৯৮৪) হলেন একজন জার্মান ফুটবলার যিনি জার্মানি জাতীয় ফুটবল দলবুন্দেসলিগা ক্লাব বায়ার্ন মিউনিখের হয়ে খেলেন। ইনি একজন ডানপায়ি খেলোয়াড় এবং তার খেলার প্রধান স্থান হল কেন্দ্রীয় মিডফিল্ড। তার কর্মজীবনের শুরুতে তিনি সারা মাঝমাঠ জুড়ে খেলতেন। বাস্টিয়ান শোয়াইনষ্টাইগার তার জাতীয় জীবনে অনেক খ্যাতি অর্জন করেছেন যেগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্যগুলো হল ৬টি বুন্দেসলিগা শিরোনাম, ৬টি জার্মান কাপ, ১টি উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগ ও ২টি লিগ কাপ।[] অক্টোবর ২০১৩ এর হিসাবে, তিনি বায়ার্ন মিউনিখের সহ-দলনেতা তার দীর্ঘ সতীর্থ ফিলিপ লামের সাথে।[]

ক্লাব ক্যারিয়ার

[সম্পাদনা]

শোয়াইনষ্টাইগার বায়ার্ন মিউনিখে স্বাক্ষর করেন একজন যুব প্লেয়ার হিসেবে পয়লা জুলাই ১৯৯৮ সালে[] এবং এই ক্লাবে থেকেই তার জীবনের উত্থান শুরু হয়। তিনি ছিলেন একজন প্রতিভাবান স্কাই রেসার। তার জীবনের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল তার কর্মজীবনকে বাছাই করা একজন ফুটবলার হিসেবে না একজন স্কাই রেসার হিসেবে। জুলাই ২০০২ টে জার্মান ইউথ চ্যাম্পিয়নশিপ জিতে তিনি, তৃতীয় ডিভিশনে একজন মজবুত খেলোয়াড় হিসেবে নিজের জায়গা অর্জন করেন। তিনি প্রথমদিকে ভুল কারণ বশত শিরোনামে চলে আসেন কিন্তু পরে তিনি তা শূদ্রে নেন এবং থিতু হন।[]

তিনি ছিলেন একজন বাম দিকের মাঝমাঠ খেলোয়াড় কিন্তু তিনি খেলেন ডানদিকে। তার বল কাটানোর দক্ষতা অসাধারন এবং তিনি সেট পিসে হলেন অসম্ভব প্রতিভাবান। শোয়াইনষ্টাইগারের পায়ে আছে অসম্ভব জোর এবং তিনি পেনাল্টি বক্সের বাইরে থেকে অসাধারণ শট নিতে পারেন এবং গোল ও করতে পারেন। তিনি আত্মরক্ষামূলক মধ্যমাঠের খেলোয়াড় হিসেবে যেমন খেলতে পারেন তেমনি স্ট্রাইকারের পিছনেও খেলতে পারেন। তার খেলোয়াড় জীবনের প্রথম দিকে তিনি লেফট-ব্যাকে খেলতেন। মাত্র দুটো ট্রেনিং এর পরে তার তখনকার কোচ ওটমার হিটজফেল্ড তাকে বিকল্প খেলোয়াড় হিসেবে ২০০২ সালে উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগে আর সি লেন্স ক্লাবের বিরুদ্ধে দলে নেন এবং তাকে মাঠে নামানও এবং এই যুব খেলোয়াড় মাঠে নেমেই এক মিনিটের মধ্যে তাৎক্ষনিক প্রভাব বিস্তার করে ফেলেন মার্কাস ফেউলনার কে দিয়ে গোল করিয়ে। এরপরেই তিনি সেই মাসেই একজন পেশাদার খেলোয়াড় হিসেবে চুক্তি স্বাক্ষর করেন এবং ২০০২-২০০৩ সালে ১৪ টি বুন্দেসলিগা খেলাতে অংশগ্রহণ করেন এবং বায়ার্ন মিউনিখকে একবার লিগ ও আরও দুবার কাপ জেতাতে সাহায্য করেন। তার পরবর্তী মরসুমে তিনি ২৬ টি বুন্দেসলিগা খেলাতে অংশগ্রহণ করেন। তিনি বায়ার্ন মিউনিখের হয়ে প্রথম গোল দেন ভি এল এফ উলফসবার্গ এর বিরুদ্ধে।

এরপর তিনি তার নতূন কোচ ফেলিক্স ম্যাগাথ দ্বারা বায়ার্ন মিউনিখের রিজার্ভ দলের সাথে রেখে দেন কনফেডারেশন কাপ এর সময় ২০০৫-২০০৬ মরসুমে। এবং তিনি চেলসির বিরুদ্ধে দলকে জেতান।

তারপরের তিনটি মরসুমে তিনি ১৩৫টি ম্যাচ খেলেছিলেন বায়ার্ন মিউনিখের হয়ে এবং ১০টি গোলও করেছিলেন।

২০০৮ সালের ১৫ ই আগস্ট তিনি বায়ার্ন মিউনিখের হয়ে প্রথম গোল করেন। ডিসেম্বর ২০১০ এ তিনি বায়ার্ন মিউনিখের সাথে ২০১৬ অবধি চুক্তি করে নেন।[]

২০১৩ সালের জানুয়ারির ট্রেনিং

২০১৩ সালের ২৫ শে এপ্রিল তিনি বায়ার্ন মিউনিখের হয়ে পেনাল্টি মারেন এবং গোলও করেন রিয়াল মাদ্রিদএর বিরুদ্ধে।

২০১২-২০১৩ মরসুমে তিনি ক্লবের হয়ে তার দ্বায়িত্ত পালন করতে থাকেন ক্লাবের অন্য আরেকজন মধ্যমাঠের খেলোয়াড় জাভি মার্তিনেজ এর সাথে।

২০১৩ সালের ৬ ই এপ্রিল তিনি ক্লাবের হয়ে ব্যাকহিল ফ্লিক করে একটি অসাধারণ গোল করেন এইনট্রাক্ট ফ্রাঙ্কফ্রুট এর বিরুদ্ধে এবং বায়ার্ন মিউনিখকে খেতাব এনে দেন।[]

তিনি ২০১৩ র সেরা জার্মান প্লেয়াররের খেতাব পান তার বায়ার্ন মিউনিখের হয়ে অসাধারণ কর্মদক্ষতার কারণে।[][]

তার তখনকার ম্যানেজার জাপ হেইনকেস তাকে পৃথিবীর সেরা মধ্যমাঠের খেলোয়াড় হিসেবে আখ্যা দিয়েছিলেন এবং হেইনকেস চেয়েছিলেন বাস্টিয়ান শোয়াইনষ্টাইগার, ফ্রাঙ্ক রিবেরি অথবা টমাস মুলার এর মধ্যে কেউ একজন যাতে ফিফা বালোঁ দ’অর খেতাবটি পায়। ২০১২-২০১৩ বায়ার্ন মিউনিখের সবচেয়ে বেশি জয়ের মরসুম। এবং শোয়াইনষ্টাইগারের পাসিং ক্ষমতা, কর্ম দক্ষতা, খেলায় সতীর্থদের সহায়তা করা এবং ভয়ঙ্কর দুরপাল্লার শট বায়ার্ন মিউনিখের বর্তমান ম্যানেজার পেপ গার্দিওলা কে খুবই খুশি করে।

আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার

[সম্পাদনা]

২০০৪ থেকে তার আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার জার্মানির আন্তর্জাতিক ফুটবল দলের হয়ে তিনি আজ অবধি ১০০ টা ম্যাচের ক্যাপ পেয়েছেন এবং ক্লাবের হয়ে ২৩ টা গোল ও করেছেন, ২০১৩ এর ১৫ই অক্টোবরের হিসেবে। তিনি তার দেশের হয়ে ৫ টি মূল টুর্নামেন্ট খেলেছেন ইউরো ২০০৪ পর্তুগালে, ২০০৬ ফুটবল বিশ্বকাপ জার্মানিতে, ইউরো ২০০৮ আস্ট্রিয়া-সুইটজারল্যান্ডে, ২০১০ ফিফা বিশ্বকাপ দক্ষিণ আফ্রিকাতে এবং ২০১২ ইউরো কাপ পোল্যান্ড-ইউক্রেনে।

ইউরো ২০০৪

[সম্পাদনা]

হাঙ্গেরি এর বিরুদ্ধে শোয়াইনষ্টাইগারের আন্তর্জাতিক আত্মপ্রকাশ হয় জার্মানির জাতীয় ফুটবল দলের হয়ে ২০০৪ সালে ইউরোতে।[১০] আন্ডার-২১ ক্লাবের হতাশাজনক দৌরের পরে শোয়াইনষ্টাইগারকে ২০০৪ সালে ইউরো খেলার জন্য ডাকা হয়। বায়ার্নের নাম্বার ৩১ জার্সিধারী পর্তুগালে তার অসাধারণ পারফর্মেন্সের জন্য আমোদ পর্যালোচনা পান রক্ষণশীল দক্ষতা দেখাবার জন্য এবং প্রথম গোলটি তার সতীর্থ মাইকেল বালাককে দিয়ে করানোর জন্য যদিও সেই ম্যাচটি জার্মানি ২-১ এ হেরে যায় চেক প্রজাতন্ত্রের কাছে।

বিশ্বকাপ ২০০৬

[সম্পাদনা]

তিনি ২০০৫ সালের ৮ ই জুন রাশিয়ার বিরুদ্ধে তার প্রথম দুটো আন্তর্জাতিক গোল করেন জার্মানির হয়ে এবং ওই বছরেই ১৮ ই জুন তারিখে তিনি তার প্রথম গোল করেন তিউনিসিয়ার বিরুদ্ধে একটি প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচে জার্মানিতে অনুষ্ঠিত ফিফা কনফেডারেশন্স কাপ এ।[১১] এরপরেই তিনি তার ঘরের মাটিতে বিশ্বকাপ খেলতে নামেন এবং পর্তুগালের বিরুদ্ধে তৃতীয় স্থানের ম্যাচে তিনি দুটো অসাধারণ দুরপাল্লার শট মেরে গোল করেন এবং তিনি ওই ম্যাচে "ম্যান অফ দ্যা ম্যাচ" খেতাব পান।[১২] এই ম্যাচটি শেষ হয় ৩-১ এ এবং এই ম্যাচে শোয়াইনষ্টাইগার প্রায় হ্যাট্রিক করে ফেলেছিলেন যদি না তার ফ্রিকিক পর্তুগীজ ফুটবলার পেতিতএর থেকে বিপথগামী হয়ে আত্মঘাতী গোল হিসেবে ধার্য করা হত।

মাত্র ২২ বছর বয়সে তিনি ৪১ টি ম্যাচ খেলে ফেলেছিলেন জার্মানির হয়ে যেটা ছিল সেই সময়ের সবচেয়ে আকর্ষণীয় রেকর্ড। যদিও সেই রেকর্ড খুব তাড়াতাড়িই ভেঙ্গে দিয়েছিলেন আরেক জার্মান খেলোয়াড় লুকাস পোদোলস্কি জিনি মাত্র ২২ বছর বয়সে ৪৪ টা ম্যাচ খেলেছিলেন জার্মানির হয়ে। একই বয়সে আরেক জার্মান খেলোয়াড় লোথার মাথেউস মাত্র ১৩ টি ম্যাচ খেলেছিলেন, যার ঝুলিতে আছে জার্মানির হয়ে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলার রেকর্ড (১৫০ টি)।

ইউরো ২০০৮

[সম্পাদনা]

ইউরো ২০০৮ এর কোয়ালিফাইং রাউন্ডের সময় তিনি দুটো গোল করেছিলেন সান মারিনো ক্লাবের বিরুদ্ধে যে ম্যাচে জার্মানি ১৩-০ গোলের এক অসাধারণ খেলা জিতেছিল। তিনি তার ক্যারিয়ারের তৃতীয় গোল করেন স্লোভাকিয়া দেশের বিরুদ্ধে যে ম্যাচে জার্মানি ৪-১ এ জিতেছিল।

শোয়াইনষ্টাইগার জার্মানি ফুটবল দলের হয়ে শুট করছেন ২০০৯ সালে

তিনি প্রথম একাদশে তার স্থান হারান যখন তার ম্যানেজার জোয়াকিম লো লুকাস পোদোলস্কিকে মিডফিল্ড থেকে ওপরে তুলে এনে বাদিক থেকে খেলানো শুরু করেন মিরোস্লাভ ক্লোজেমারিও গোমেজ কে সহায়তা দেবার জন্য, এবং তখন শোয়াইনষ্টাইগার গ্রুপ পর্যায়ে দুই নম্বর বিকল্প হিসেবে খেলেতেন। পরবর্তী ম্যাচে অর্থাৎ ইউরো ২০০৮ এ জার্মানির দ্বিতীয় ম্যাচ ছিল ক্রোয়েশিয়ার বিরুদ্ধে, যে ম্যাচে শোয়াইনষ্টাইগার লাল কার্ড দেখে বাইরে বেরিয়ে যান জার্ক লেকো কে এক কঠিন চ্যালেঞ্জে ফেলবার পরে। পরবর্তী ম্যাচে অস্ট্রিয়ার বিরুদ্ধে লাল কার্ডের দরুন অনুপস্থিতির কারণে কোয়ার্টার-ফাইনাল ম্যাচে তিনি পর্তুগালের বিরুদ্ধে আবার প্রথম একাদশে ফিরে আসেন। কারণ লো আবার তার পুরনো ফর্মেশনে ফিরে যান। মারিও গোমেজের নিম্ন মানের খেলার দরুন লো খুশি না হয়ে মারিওকে বসিয়ে দেন এবং সেই সুযোগে শোয়াইনষ্টাইগার আবার মাঠে ফেরেন। সেই ম্যাচে তিনি আবার নিজের দক্ষতার পরিচয় দেন একটি গোল করে এবং বাকি দুটি গোল করিয়ে। এই ম্যাচে জার্মানি জেতে ৩-২ গোলে। সেমি-ফাইনাল ম্যাচে তিনি দেশের হয়ে প্রথম গোল করেন তুরস্কের বিরুদ্ধে। এই ম্যাচেও জার্মানি ৩-২ গোলে জেতে। তিনি সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিরুদ্ধে এক বন্ধুত্বের ম্যাচে প্রথম দল কে নেতৃত্ব দেন।

বিশ্বকাপ ২০১০

[সম্পাদনা]

শোয়াইনষ্টাইগারের ২০১০ বিশ্বকাপ ছিল খুবই বৈশিষ্ট্যপূর্ণ। তিনি ১০ টা খেলার মধ্যে ৯ টা খেলেছিলেন এবং ৩ টে গোলও করেছিলেন। ৩রা জুন ২০১০ এ বসনিয়ার বিরুদ্ধে তৃতীয় ওয়ার্ম-আপ ম্যাচে তিনি ২ টো গোল করেছিলেন, দুটো গোলই পেনাল্টি থেকে ৪ মিনিটের ব্যবধানে এবং এই ম্যাচে জার্মানি ৩-১ এ জিতেছিল কিন্তু শোয়াইনষ্টাইগার ৮৭ মিনিটে তার বায়ার্ন মিউনিখ সতীর্থ টনি ক্রুজ দ্বারা পরিবর্তিত হন। ২০১০ ফিফা বিশ্বকাপের সময় শোয়াইনষ্টাইগারকে আহত মাইকেল বালাকের জায়গায় খেলানো হয়, একদম মধ্যমাঠে। এই কাজটি তিনি অত্যন্ত প্রশংসনীয় রূপে সমার্পণ করেন এবং তার আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতা দিয়ে তরুণ জার্মান দলকে নেতৃত্ব দেন। তিনি জার্মান আক্রমণ এবং রক্ষণ দুই বিভাগেই অত্যন্ত জরুরি খেলোয়াড়ের ভূমিকা পালন করেছিলেন এবং তিনি আর্জেন্টিনার বিরুদ্ধে "ম্যান অফ দ্য ম্যাচ" খেতাবে ভূষিত হন। এছাড়াও তিনি লিওনেল মেসির মতন খেলোয়াড়কে পরিচালনা করেছিলেন। পরে জার্মানি স্পেনের কাছে সেমি-ফাইনালে হেরে যায়। উরুগুয়ের সাথে তৃতীয় স্থান ম্যাচে জার্মানিকে শোয়াইনষ্টাইগার নেতৃত্ব দিয়েছিলেন ফিলিপ লাম অসুস্থ থাকার দরুণ। এই ম্যাচে জার্মানি উরুগুয়েকে ৩-২ গোলে হারায়। শোয়াইনষ্টাইগার দক্ষিণ আফ্রিকা বিশ্বকাপে জার্মানি দলের এক অন্যতম মেরুদণ্ড ছিলেন যা তাকে অন্যান্য উল্লেখযোগ্য খেলোয়াড় যেমন কাকা, মেসুত ওজিল, টমাস মুলার, ডির্ক কুইট এর মতন খেলোয়াড়দের বরাবর এনে দাঁড় করায়।[১৩] সারা টুর্নামেন্ট জুড়ে তার অসাধারণ পারফরম্যান্সের জন্য তিনি প্রথম ১০ জনের মধ্যে ছিলেন সম্মানীয় গোল্ডেন বল পুরস্কারের নমিনীতে।[১৪]

ইউরো ২০১২

[সম্পাদনা]
ইউরো ২০১২ তে জার্মানি ও পর্তুগাল ম্যাচে শোয়াইনষ্টাইগার

ইউরো ২০১২ তে কোয়ালিফায়িং রাউন্ডে শোয়াইনষ্টাইগার নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন প্রথম একাদশে। তিনি ইউরোতে ৫ টি ম্যাচ খেলেন - বেলজিয়াম, আজারবাইজান, কাজাখস্তান, অস্ট্রিয়া, তুরস্ক এর বিরুদ্ধে। তিনি জার্মানিতে ১০ টার মধ্যে ১০ টা ম্যাচেই জেতান এর মধ্যে তিনি একটা গোলও করেন এবং গোল করতে সাহায্য করেন। শোয়াইনষ্টাইগার ইউরোতে ৫ টা ম্যাচই শুরু করেছিলেন এবং তিনি ফাইনাল ম্যাচে গ্রুপ বি এর সবচেয়ে বড় প্রতিদ্বন্দ্বী নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে মারিও গোমেজকে গোল করতে সাহায্য করেছিলেন। এই ম্যাচে জার্মানি ২-১ গোলে জেতে।[১৫]

বিশ্বকাপ ২০১৪

[সম্পাদনা]

শোয়াইনষ্টাইগার পাঁচটি ম্যাচ খেলেছেন এবং জার্মানি ২০১৪ ফিফা বিশ্বকাপের জন্য যোগ্যতা অর্জনও করেছে।[১৫] ২০১৩ এর ১৫ ই অক্টোবর তিনি সুইডেনের বিরুদ্ধে ম্যাচে দেশের হয়ে ১০০ টা ম্যাচ খেলার যোগ্যতা অর্জন করেন।[১৬]

খেলার স্টাইল

[সম্পাদনা]

শোয়াইনষ্টাইগার একজন উইঙ্গার ও একজন উপযোগী খেলোয়াড় হিসেবে তার ক্যারিয়ার শুরু করেন। পরে বায়ার্ন মিউনিখে লুই ভ্যান গাল এলে তিনি একজন শক্তিশালী মধ্যমাঠের খেলোয়াড় হিসেবে খেলা শুরু করেন দুদিক থেকে দুই উইঙ্গার আরিয়েন রোবেনফ্রাঙ্ক রিবেরি কে সাহায্য করার জন্য। শোয়াইনষ্টাইগারের চমৎকার বল কাটানোর দক্ষতা, বল নিয়ন্ত্রণ, মাপা পাস, ডিফেন্ডারকে ভাল মোকাবেলা করার অসাধারণ সামর্থ্য আছে। তিনি সেট-পিস ও ভালো করেন এবং তাকে "মাঝমাঠের মোটর" হিসেবে ডাকা হয়।[১৭] শোয়াইনষ্টাইগার একটা খেলাকে খুব চমৎকারভাবে পড়তে পারেন এবং তার মাঠে ভালো পজিশনের জন্য তিনি দলের হয়ে ভালো গোল করারও সুযোগ পান। জার্মানির কোচ জোয়াকিম লো বলেছেন শোয়াইনষ্টাইগার হলেন "জার্মান দলের আসল মস্তিষ্ক"।[১৮] তার গোলে দূর থেকে শট করার ক্ষমতা অসাধারণ এবং তিনি ২০০৬ বিশ্বকাপে পর্তুগালের বিরুদ্ধে দূর থেকে মারাত্মক জোরালো শট নিয়ে গোল ও করেছিলেন ২ টো এবং তৃতীয় গোলটিও প্রায় করে ফেলেছিলেন সেট-পিসের মাধ্যমে। তারপর থেকেই তিনি তার নতূন ভূমিকায় আরও উন্নতিলাভ করেন এবং তার পাসিং ক্ষমতাকে তিনি ডিফেনডিং এবং আক্রমণ দুটো জায়গাতেই কাজে লাগানো শুরু করেন যা জার্মান ফুটবল দলকে একটা আলাদা মাত্রায় নিয়ে যায়।

ক্যারিয়ারের পরিসংখ্যান

[সম্পাদনা]

ক্লাব পারফরম্যান্স

[সম্পাদনা]

২২/০৩/২০১৪ এর হিসেবে

ক্লাব পারফরম্যান্স লিগ কাপ লিগ কাপ মহাদেশীয় অন্যান্য সর্বমোট তথ্যসূত্র
ক্লাব লিগ মরসুম উপস্থিতি গোল উপস্থিতি গোল উপস্থিতি গোল উপস্থিতি গোল উপস্থিতি গোল উপস্থিতি গোল
জার্মানি লিগ ডি এফ বি-পোকাল ডি এফ বি-লিগাপোকালইউরোপ অন্যান্য1 সর্বমোট
বায়ার্ন মিউনিখ ফুটবল ক্লাব ২ রিজিওনাললিগা সাড ২০০১-২০০২
২০০২-২০০৩ ২৩ ২৩
এফসি বায়ার্ন মিউনিখ বুন্দেসলিগা ১৪ ১৭ [১৯]
২০০৩-২০০৪ ২৬ ৩৩ [২০]
বায়ার্ন মিউনিখ ফুটবল ক্লাব ২ রিজিওনাললিগা সাড
২০০৪-২০০৫ [২১]
বায়ার্ন মিউনিখ ফুটবল ক্লাব ২ সর্বমোট ৩৩ ৩৩
বায়ার্ন মিউনিখ বুন্দেসলিগা ২০০৪-২০০৫ ২৬ ৩৯ [২১]
২০০৫-২০০৬ বুন্দেসলিগা ৩০ ৪২ [২২]
২০০৬-২০০৭ বুন্দেসলিগা ২৭ ৪০ [২৩]
২০০৭-২০০৮ বুন্দেসলিগা ৩০ ১২ ৪৮ [২৪]
২০০৮-২০০৯ বুন্দেসলিগা ৩১ ৪৪ [২৫]
২০০৯-২০১০ বুন্দেসলিগা ৩৩ ১২ ৪৯ [২৬]
২০১০-২০১১ বুন্দেসলিগা ৩২ ৪৫ [২৭]
২০১১-২০১২ বুন্দেসলিগা ২২ ১১ ৩৬ [২৮]
২০১২-২০১৩ বুন্দেসলিগা ২৮ ১২ ৪৫ [২৯]
২০১৩-২০১৪ বুন্দেসলিগা ১৫ ২৪ [৩০]
বায়ার্ন মিউনিখ সর্বমোট ৩১৪ ৩৯ ৪৬ ৯৩ ১২ ৪৬১ ৬০
ক্যারিয়ার সর্বমোট ৩৪৭ ৪১ ৪৬ ৯৩ ১২ ৪৯৪ ৬২

জাতীয় দল

[সম্পাদনা]
বছর উপস্থিতি গোল সহায়তা
২০০৪১০
২০০৫১৩
২০০৬১৮১১
২০০৭
২০০৮১৫
২০০৯১০
২০১০১২
২০১১
২০১২
২০১৩
২০১৪
সর্বমোট১০৮২৩৩২

জাতীয় গোল

[সম্পাদনা]
বাস্টিয়ান শোয়াইনষ্টাইগার: জাতীয় গোল[১০]
নম্বরতারিখস্থানপ্রতিপক্ষস্কোরফলপ্রতিদ্বন্দ্বিতা
১.৮ ই জুন ২০০৫বরশিয়া পার্ক, জার্মানি রাশিয়া – ১২–২প্রদর্শনী খেলা
২.৮ ই জুন ২০০৫বরশিয়া পার্ক, জার্মানি রাশিয়া – ১২–২প্রদর্শনী খেলা
৩.১৮ ই জুন ২০০৫রেইন-এনার্জি স্টেডিয়ন, জার্মানি তিউনিসিয়া – ০৩–০২০০৫ ফিফা কনফেডারেশন কাপ
৪.২৯ শে জুন ২০০৫জেন্ট্রাল স্টেডিয়ন, জার্মানি মেক্সিকো – ১৪–৩২০০৫ ফিফা কনফেডারেশন কাপ
৫.২২ শে মার্চ ২০০৬সিগনাল ইদুনা পার্ক, ডর্টমুন্ড, জার্মানি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র – ০৪–১প্রদর্শনী খেলা
৬.৩০ শে মে ২০০৬বেএরিনা, লেভারকুজেন, জার্মানি জাপান – ২২–২প্রদর্শনী খেলা
৭.২ রা জুন ২০০৬বরশিয়া পার্ক, জার্মানি কলম্বিয়া – ০৩–০প্রদর্শনী খেলা
৮.৮ ই জুলাই ২০০৬মার্সিডিজ-বেনজ এরিনা, স্টুটগার্ট, জার্মানি পর্তুগাল – ০৩–১২০০৬ ফিফা বিশ্বকাপ
৯.৮ ই জুলাই ২০০৬মার্সিডিজ-বেনজ এরিনা, স্টুটগার্ট, জার্মানি পর্তুগাল – ০৩–১২০০৬ ফিফা বিশ্বকাপ
১০.৬ ই সেপ্টেম্বর ২০০৬স্টেডিও অলিম্পিকো, সান মারিনো সান মারিনো০ – ০–১৩২০০৮ ইউরো কোয়ালিফাইং
১১.৬ ই সেপ্টেম্বর ২০০৬স্টেডিও অলিম্পিকো, সান মারিনো সান মারিনো০ – ০–১৩২০০৮ ইউরো কোয়ালিফাইং
১২.৭ ই অক্টোবর ২০০৬ডি কে বি এরিনা, রস্টক, জার্মানি জর্জিয়া – ০২–০প্রদর্শনী খেলা
১৩.১১ ই অক্টোবর ২০০৬টেহেলনে পোল, ব্রাতিস্লাভা, স্লোভাকিয়া স্লোভাকিয়া০ – ১–৪২০০৮ ইউরো কোয়ালিফাইং
১৪.১৯ শে জুন ২০০৮সেন্ট জ্যাকব পার্ক, বাজেল, সুইজারল্যান্ড পর্তুগাল – ০৩–২ইউরো ২০০৮
১৫.২৫ শে জুন ২০০৮সেন্ট জ্যাকব পার্ক, বাজেল, সুইজারল্যান্ড তুরস্ক – ১৩–২ইউরো ২০০৮
১৬.২০ শে আগস্ট ২০০৮ফ্র্যাঙ্কেনস্টেডিয়ন, নুরেমবার্গ, জার্মানি বেলজিয়াম – ০২–০প্রদর্শনী খেলা
১৭.৬ ই সেপ্টেম্বর ২০০৮রেইনপার্ক স্টেডিয়ন, ভাদুজ, লিশটেনস্টাইন লিশটেনস্টাইন০ – ০–৬২০১০ ফিফা বিশ্বকাপ কোয়ালিফাইং
১৮.২৮ শে মার্চ ২০০৯জেন্ট্রানস্টেডিয়ন, লাইপ্‌ৎসিশ, জার্মানি লিশটেনস্টাইন – ০৪–০২০১০ ফিফা বিশ্বকাপ কোয়ালিফাইং
১৯.১২ ই আগস্ট ২০০৯টফিক বাখ্রামোভ স্টেডিয়াম, বাকু, আজারবাইজান আজারবাইজান০ – ০-২২০১০ ফিফা বিশ্বকাপ কোয়ালিফাইং
২০.৩ রা জুন ২০১০কমার্জব্যাঙ্ক-এরিনা, ফ্রাঙ্কফুর্ট, জার্মানি বসনিয়া ও হার্জেগোভিনা – ১৩–১প্রদর্শনী খেলা
২১.৩ রা জুন ২০১০কমার্জব্যাঙ্ক-এরিনা, ফ্রাঙ্কফুর্ট, জার্মানি বসনিয়া ও হার্জেগোভিনা – ১৩–১প্রদর্শনী খেলা
২২.১০ ই আগস্ট ২০১১মার্সিডিজ-বেনজ এরিনা, স্টুটগার্ট, জার্মানি ব্রাজিল – ০৩–২প্রদর্শনী খেলা
২৩.৭ ই অক্টোবর ২০১১টার্ক টেলিকম এরিনা, তুরস্ক তুরস্ক – ১৩–১২০১২ ইউরো কোয়ালিফাইং

সম্মান

[সম্পাদনা]

ক্লাব

[সম্পাদনা]
বায়ার্ন মিউনিখ জুনিয়র দল
বায়ার্ন মিউনিখ ২
বায়ার্ন মিউনিখ

জাতীয়

[সম্পাদনা]
জার্মানি

ব্যক্তিগত

[সম্পাদনা]

ব্যক্তিগত জীবন

[সম্পাদনা]

শোয়াইনষ্টাইগার তার বান্ধবী সারা ব্র্যান্ডনার এর সাথে বসবাস করেন মিউনিখে। তার ভক্তরা তাকে "শোয়েনি" অথবা "বাস্তি" নামে ডাকে তার বড় ভাই তবিয়াস শোয়াইনষ্টাইগার এর থেকে তাকে পৃথক করবার জন্য। তবিয়াস শোয়াইনষ্টাইগার বায়ার্ন মিউনিখ ২ দলের হয়ে বর্তমানে খেলেন।

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. "List of Players" (পিডিএফ)। FIFA। ১৭ মে ২০২০ তারিখে মূল থেকে (PDF) আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ২৬ জানুয়ারি ২০১২
  2. 1 2 "Bastian Schweinsteiger"FC Bayern Munich। ৭ অক্টোবর ২০০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ২৭ সেপ্টেম্বর ২০০৮
  3. "Bastian Schweinsteiger Bio"ESPN soccernet। ১১ জুলাই ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ৫ অক্টোবর ২০১০
  4. "Duties split between Lahm and Schweinsteiger"। fcbayern.de। ২৭ জানুয়ারি ২০১১।
  5. Bennett, Mark (১৯ জুন ২০০৪)। "Bastian leads new generation"UEFA। সংগ্রহের তারিখ ৮ জুলাই ২০১০[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  6. "Schweinsteiger signs on at Bayern until 2016"। UEFA.com। ১১ ডিসেম্বর ২০১০। সংগ্রহের তারিখ ২৯ নভেম্বর ২০১২
  7. "Bastian Schweinsteiger's backheel goal that won the Bundesliga"। insideworldsoccer.com। ৭ এপ্রিল ২০১৩। সংগ্রহের তারিখ ৭ এপ্রিল ২০১৩
  8. 1 2 "Bastian Schweinsteiger 2013 German player of the year"। DW.DE। ২৮ জুলাই ২০১৩। সংগ্রহের তারিখ ২২ আগস্ট ২০১৩
  9. 1 2 "Bastian Schweinsteiger ist Fußballer des Jahres" (German ভাষায়)। kicker.de। ২৮ জুলাই ২০১৩। সংগ্রহের তারিখ ২৮ জুলাই ২০১৩{{ওয়েব উদ্ধৃতি}}: উদ্ধৃতি শৈলী রক্ষণাবেক্ষণ: অচেনা ভাষা (লিঙ্ক)
  10. 1 2 "Players Info Schweinsteiger"DFB। ১৭ জানুয়ারি ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ৮ জুলাই ২০১০
  11. "Schweinsteiger: Anything is possible"FIFA। ২০ জুন ২০০৫। ১০ অক্টোবর ২০০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ৮ জুলাই ২০১০
  12. "Man of the Match: Bastian Schweinsteiger"FIFA। ৮ জুলাই ২০০৬। ৩০ এপ্রিল ২০১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ৮ জুলাই ২০১০
  13. "World Cup Stats"FIFA। ৪ এপ্রিল ২০১১। ৩১ ডিসেম্বর ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ৪ এপ্রিল ২০১১
  14. "Sneijder, Villa favourites for Golden Ball"soccerway.com। ৯ জুলাই ২০০৯। ১১ জুলাই ২০১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ৯ জুলাই ২০১০
  15. 1 2 "31 Bastian Schweinsteiger"Transfermarkt। ১৯ অক্টোবর ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ১৯ অক্টোবর ২০১৩
  16. "Schweinsteiger hungry for more after century"UEFA। ১৬ অক্টোবর ২০১৩।
  17. "Gomez joy tempered by Schweinsteiger blow –"। Uefa.com। ৩ নভেম্বর ২০১১। সংগ্রহের তারিখ ১৯ জানুয়ারি ২০১৩
  18. "The German Brain"espn.com। ২১ জুন ২০১২। ২৪ জুন ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ২১ জুন ২০১২
  19. "Schweinsteiger, Bastian" (German ভাষায়)। kicker। ১৮ মে ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৪{{ওয়েব উদ্ধৃতি}}: উদ্ধৃতি শৈলী রক্ষণাবেক্ষণ: অচেনা ভাষা (লিঙ্ক)
  20. "Schweinsteiger, Bastian" (German ভাষায়)। kicker। ১৯ মে ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৪{{ওয়েব উদ্ধৃতি}}: উদ্ধৃতি শৈলী রক্ষণাবেক্ষণ: অচেনা ভাষা (লিঙ্ক)
  21. 1 2 "Schweinsteiger, Bastian" (German ভাষায়)। kicker। ১৮ মে ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৪{{ওয়েব উদ্ধৃতি}}: উদ্ধৃতি শৈলী রক্ষণাবেক্ষণ: অচেনা ভাষা (লিঙ্ক)
  22. "Schweinsteiger, Bastian" (German ভাষায়)। kicker। ১৮ মে ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৪{{ওয়েব উদ্ধৃতি}}: উদ্ধৃতি শৈলী রক্ষণাবেক্ষণ: অচেনা ভাষা (লিঙ্ক)
  23. "Schweinsteiger, Bastian" (German ভাষায়)। kicker। ১৮ মে ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৪{{ওয়েব উদ্ধৃতি}}: উদ্ধৃতি শৈলী রক্ষণাবেক্ষণ: অচেনা ভাষা (লিঙ্ক)
  24. "Schweinsteiger, Bastian" (German ভাষায়)। kicker। ১৯ মে ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৪{{ওয়েব উদ্ধৃতি}}: উদ্ধৃতি শৈলী রক্ষণাবেক্ষণ: অচেনা ভাষা (লিঙ্ক)
  25. "Schweinsteiger, Bastian" (German ভাষায়)। kicker। ১৯ মে ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৪{{ওয়েব উদ্ধৃতি}}: উদ্ধৃতি শৈলী রক্ষণাবেক্ষণ: অচেনা ভাষা (লিঙ্ক)
  26. "Schweinsteiger, Bastian" (German ভাষায়)। kicker। ১৯ মে ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৪{{ওয়েব উদ্ধৃতি}}: উদ্ধৃতি শৈলী রক্ষণাবেক্ষণ: অচেনা ভাষা (লিঙ্ক)
  27. "Schweinsteiger, Bastian" (German ভাষায়)। kicker। ১৯ মে ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৪{{ওয়েব উদ্ধৃতি}}: উদ্ধৃতি শৈলী রক্ষণাবেক্ষণ: অচেনা ভাষা (লিঙ্ক)
  28. "Schweinsteiger, Bastian" (German ভাষায়)। kicker। ১৮ মে ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৪{{ওয়েব উদ্ধৃতি}}: উদ্ধৃতি শৈলী রক্ষণাবেক্ষণ: অচেনা ভাষা (লিঙ্ক)
  29. "Schweinsteiger, Bastian" (German ভাষায়)। kicker। ১৯ মে ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৪{{ওয়েব উদ্ধৃতি}}: উদ্ধৃতি শৈলী রক্ষণাবেক্ষণ: অচেনা ভাষা (লিঙ্ক)
  30. "Schweinsteiger, Bastian" (German ভাষায়)। kicker। ১৯ মে ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ২২ মার্চ ২০১৪{{ওয়েব উদ্ধৃতি}}: উদ্ধৃতি শৈলী রক্ষণাবেক্ষণ: অচেনা ভাষা (লিঙ্ক)
  31. "DFB-Elf erhält Silbernes Lorbeerblatt"Rheinische Post (German ভাষায়)। ২৯ ডিসেম্বর ২০১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ১৯ ডিসেম্বর ২০১০{{ওয়েব উদ্ধৃতি}}: উদ্ধৃতি শৈলী রক্ষণাবেক্ষণ: অচেনা ভাষা (লিঙ্ক)

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]