বিষয়বস্তুতে চলুন

গ্ল্যাডস্টোন স্মল

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
গ্ল্যাডস্টোন স্মল
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নাম
গ্ল্যাডস্টোন ক্লিওফাস স্মল
জন্ম (1961-10-18) ১৮ অক্টোবর ১৯৬১ (বয়স ৬২)
সেন্ট জর্জ, বার্বাডোস
ব্যাটিংয়ের ধরনডানহাতি
বোলিংয়ের ধরনডানহাতি ফাস্ট-মিডিয়াম
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
টেস্ট অভিষেক
(ক্যাপ ৫২১)
৭ আগস্ট ১৯৮৬ বনাম নিউজিল্যান্ড
শেষ টেস্ট১ ফেব্রুয়ারি ১৯৯১ বনাম অস্ট্রেলিয়া
ওডিআই অভিষেক
(ক্যাপ ৯২)
১ জানুয়ারি ১৯৮৭ বনাম অস্ট্রেলিয়া
শেষ ওডিআই২০ আগস্ট ১৯৯২ বনাম পাকিস্তান
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট ওডিআই
ম্যাচ সংখ্যা ১৭ ৫৩
রানের সংখ্যা ২৬৩ ৯৮
ব্যাটিং গড় ১৫.৪৭ ৬.৫৩
১০০/৫০ –/১ –/–
সর্বোচ্চ রান ৫৯ ১৮*
বল করেছে ৩৯২৭ ২৭৯৩
উইকেট ৫৫ ৫৮
বোলিং গড় ৩৪.০১ ৩৩.৪৮
ইনিংসে ৫ উইকেট
ম্যাচে ১০ উইকেট -
সেরা বোলিং ৫/৪৮ ৪/৩১
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ৯/– ৭/–
উৎস: ক্রিকইনফো, ২ অক্টোবর ২০১৭

গ্ল্যাডস্টোন ক্লিওফাস স্মল (ইংরেজি: Gladstone Small; জন্ম: ১৮ অক্টোবর, ১৯৬১) বার্বাডোসের সেন্ট জর্জ এলাকায় জন্মগ্রহণকারী প্রথিতযশা সাবেক ইংরেজ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার।[] ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৮৬ থেকে ১৯৯২ সময়কালে ইংল্যান্ডের পক্ষে সতেরো টেস্ট ও তিপ্পান্নটি একদিনের আন্তর্জাতিকে অংশ নিয়েছেন। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতে ফাস্ট-মিডিয়াম বোলিং করতেন। এছাড়াও, নিচেরসারিতে ডানহাতে কার্যকরী ব্যাটসম্যানের পরিচয় তুলে ধরতেন গ্ল্যাডস্টোন স্মল

প্রারম্ভিক জীবন

[সম্পাদনা]

বার্বাডোসে জন্মগ্রহণকারী স্মল তার চতুর্দশ জন্মদিনের অল্প সময় পরই ইংল্যান্ডে চলে যান।

ম্যানচেস্টার মেট্রোপলিটন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকধারী হন।[]

সেখানে তিনি ইংল্যান্ডের পক্ষে খেলার জন্য আবেদন করেন। এমসিসি কর্তৃপক্ষ তার আবেদন মঞ্জুর করে।

ক্রিকেটার হিসেবে তেমন অসাধারণ পর্যায়ের ছিলেন না। সতীর্থদের কাছ থেকে বেশ সহযোগিতা পেয়েছেন। মূলতঃ তিনি আউটসুইং বোলিং করতেন। তবে বোলিংয়ে ধারাবাহিকতা না থাকায় দল নির্বাচকমণ্ডলীর কাছে দুশ্চিন্তার পাত্রে পরিণত হতেন।

খেলোয়াড়ী জীবন

[সম্পাদনা]

৭ আগস্ট, ১৯৮৬ তারিখে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। এক বছর পর ১ জানুয়ারি, ১৯৮৭ তারিখে একদিনের আন্তর্জাতিকে অভিষিক্ত হন তিনি।

১৯৮৬-৮৭ মৌসুমের অ্যাশেজ সিরিজের চতুর্থ টেস্টে শেষ মুহুর্তে দলে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। অস্ট্রেলিয়ার প্রথম ইনিংসে ৫/৪৮ বোলিং পরিসংখ্যান দাঁড় করান। দ্বিতীয় ইনিংসে আরও দুইটি উইকেট লাভ করে ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার লাভ করেন গ্ল্যাডস্টোন স্মল।

১৯৮৭ ও ১৯৯২ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের প্রতিনিধিত্ব করেছেন।

মূল্যায়ন

[সম্পাদনা]

ক্রিকেট লেখক কলিন বেটম্যান মন্তব্য করেন যে, গ্ল্যাডস্টোন স্মল তার শারীরিক প্রতিকূলতাকে দূর করে কার্যকরী ফাস্ট-মিডিয়াম বোলারে রূপান্তরিত হয়েছিলেন। কাউন্টি ক্রিকেটে অন্যতম জনপ্রিয় তারকায় পরিণত হয়েছিলেন।

১৯৯৪ সালের ওয়ারউইকশায়ার দলের অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিলেন তিনি। এরপরই তিনি খেলোয়াড়ী জীবন থেকে অবসর নেন। পরবর্তীকালে পেশাদার ক্রিকেটার্স অ্যাসোসিয়েশনে পরিচালক মনোনীত হন গ্ল্যাডস্টোন স্মল।

২০০৩ সালে টেলিভিশন ধারাবাহিক সেলিব্রিটি পোকার ক্লাবে অংশগ্রহণ করেন। তার জীবন কাহিনীকে ঘিরে ১৯৯৫ সালে পরিচালক পোগাস সিজার প্রামান্য চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন। কার্লটন টেলিভিশনে রেসপেক্ট টেলিভিশন সিরিজ নামে সম্প্রচারিত হয়।

২০০৬-০৭ ও ২০০৭-০৮ মৌসুমে ইংল্যান্ড বীচ ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন।

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. Bateman, Colin (১৯৯৩)। If The Cap Fits। Tony Williams Publications। পৃষ্ঠা 148আইএসবিএন 1-869833-21-X 
  2. "Notable Alumni in Sport"। Manchester Metropolitan University। ১২ এপ্রিল ২০১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৪ নভেম্বর ২০০৯ 

আরও দেখুন

[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]