জর্জ এমিল প্যালেড

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
জর্জ প্যালেড
রোমানীয় খামে প্যালেড
জন্ম
জর্জ এমিল প্যালেড

(১৯১২-১১-১৯)১৯ নভেম্বর ১৯১২
মৃত্যু৮ অক্টোবর ২০০৮(2008-10-08) (বয়স ৯৫)
জাতীয়তারোমানীয়, মার্কিন
নাগরিকত্বযুক্তরাষ্ট্র এবং রোমানিয়া
মাতৃশিক্ষায়তনক্যারল ড্যাভিলা চিকিৎসা গবেষণা পুরস্কার
পরিচিতির কারণ
দাম্পত্য সঙ্গীমেরিলিন ফাকোহার
পুরস্কার
বৈজ্ঞানিক কর্মজীবন
কর্মক্ষেত্রকোষ জীববিদ্যা
প্রতিষ্ঠানসমূহ
উল্লেখযোগ্য শিক্ষার্থীগুন্টার ব্লোবেল[২]

জর্জ এমিল প্যালেড (১৯ নভেম্বর ১৯১২ - ৭ অক্টোবর ২০০৮) ছিলেন একজন রোমানিয়ান আমেরিকান কোষ জীববিজ্ঞানী। তিনি সবচেয়ে প্রভাবশালী কোষ জীববিজ্ঞানী হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছেন। [৩] ১৯৭৪ সালে প্যালেড, অ্যালবার্ট ক্লুঁদেক্রিশ্চিয়ান দ্য দুভ চিকিৎসাবিদ্যায় নোবেল পুরস্কারে ভূষিত হন। ইলেকট্রন অণুবীক্ষণ ও কোষীয় পৃথকীকরণে অবদান রাখার জন্য তিনি এ পুরস্কার লাভ করেন। এগুলো আধুনিক আণবিক কোষ জীববিদ্যার ভিত্তি প্রতিষ্ঠা করে। এর ফলে অনেক আবিষ্কারের সূচনা হয়- এন্ডোপ্লাজমিক রেটিকুলামে রাইবোজোমের উপস্থিতি আবিষ্কার এর মধ্যে অন্যতম। ১৯৫৫ সালেই প্যালেড এর অস্তিত্ব সম্বন্ধে ভবিষ্যদ্বাণী করেন।[৪][৫][৬][৭] জীবন্ত কোষে অনেকগুলো মৌলিক ও সুসংগঠিত অঙ্গাণু আবিষ্কারের জন্য প্যালেড ১৯৮৬ সালে জীববিজ্ঞানে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় বিজ্ঞান পদক লাভ করেন। ১৯৬১ সালে প্যালেড যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় বিজ্ঞান একাডেমির সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৬৮ সালে প্যালেড রাজকীয় আণুবীক্ষণিক সমিতির সাম্মানিক ফেলো নিযুক্ত হন। [৮] ১৯৯৪ সালে তিনি রয়েল সোসাইটির বিদেশি সদস্য নির্বাচিত হন।[৯]

শিক্ষা ও প্রারম্ভিক জীবন[সম্পাদনা]

জর্জ এমিল প্যালেড ১৯১২ সালের ১৯ নভেম্বর রোমানিয়ার লাসি শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা লাসি বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শনের অধ্যাপক ছিলেন। তার মা উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করতেন। ১৯৪০ সালে বুখারেস্ট শহরের ক্যারল ডেভিলা চিকিৎসা বিদ্যালয় হতে জর্জ এম.ডি. ডিগ্রি লাভ করেন।

কর্মজীবন[সম্পাদনা]

১৯৪৬ সাল পর্যন্ত প্যালেড ক্যারল ডাভিলা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষদ সদস্য ছিলেন। ঐ বছর তিনি যুক্তরাষ্ট্রে [১০] ডক্টরেটোত্তর গবেষণার উদ্দেশ্যে গমন করেন। নিউ ইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ের জীববিজ্ঞান বিজ্ঞানাগারে অ্যালবার্ট ক্লুঁদের সাথে জর্জ এমিল প্যালেডের দেখা হয়।[১১] পরবর্তীতে ক্লুঁদের সঙ্গে রকফেলার চিকিৎসা গবেষণা ইনস্টিটিউটে প্যালেড যোগদান করেন। [১০]

১৯৫২ সালে প্যালেড যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব লাভ করেন। তিনি ১৯৫৮ থেকে ১৯৭৩ সাল পর্যন্ত রকফেলার ইনস্টিটিউট, ১৯৭৩ থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা অনুষদ এবং ১৯৯০ থেকে ২০০৮ পর্যন্ত ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সান ডিয়েগো শাখায় কর্মরত ছিলেন।

১৯৭০ সালে প্যালেড ও রেনাটো দোলবচ্চি কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক লুইসা গ্রজ হরোভিজ পুরস্কারে ভূষিত হন।[১২] ১৯৭৪ সালের ১২ নভেম্বর তিনি নোবেল বক্তৃতা প্রদান করেন। তার বক্তৃতার বিষয়বস্তু ছিল -প্রোটিন ক্ষরণের আন্তঃকোষীয় প্রেক্ষাপট। ১৯৯২ সালে নোবেল পুরস্কার ফাউন্ডেশন এটি প্রকাশ করে। [১৩] ১৯৭৫ সালে প্যালেড রোমানীয় বিজ্ঞান সমিতির সাম্মানিক সদস্য নির্বাচিত হন। এছাড়াও ১৯৭৫ সালে তিনি আমেরিকান অ্যাকাডেমি অব অ্যাচিভমেন্টের স্বর্ণপাত পুরস্কার লাভ করেন। [১৪] ১৯৮১ সালে তিনি বিশ্ব সংস্কৃতি কাউন্সিলের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য নিযুক্ত হন। ১৯৮৮ সালে প্যালেড আমেরিকান শিল্প ও বিজ্ঞান একাডেমির সাম্মানিক সদস্য নির্বাচিত হন।

রকফেলার চিকিৎসা গবেষণা ইনস্টিটিউটে প্যালেড ইলেকট্রন অণুবীক্ষণ ব্যবহার করে রাইবোজোম, মাইটোকন্ড্রিয়া, ক্লোরোপ্লাস্ট, গলগি বস্তু সহ অনেক কোষীয় অঙ্গাণুর বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে অধ্যয়ন করেন। "স্পন্দন বিশ্লেষণ" বা "পালস চেজ অ্যানালাইসিস" ব্যবহার করে প্যালেড তার জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কার করতে সক্ষম হয়েছিলেন। এর মাধ্যমে প্যালেড ও তার সহকর্মীরা প্রমাণ করেন, ক্ষরণপথের অস্তিত্ব আসলেই বিদ্যমান এবং অমসৃণ এন্ডোপ্লাজমীয় জালিকা ও গলগি বস্তু একত্রে ক্রিয়া করে।

ব্যক্তিগত জীবন[সম্পাদনা]

প্যালেড মৃত্যুর সময় তার ২য় স্ত্রী মেরিলিন ফাকোহার বেঁচে ছিল এবং তার ১ম স্ত্রীর এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Fellowship of the Royal Society 1660–2015"। London: Royal Society। ২০১৫-১০-১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। 
  2. "The Palade Symposium: Celebrating Cell Biology at Its Best". Molbiolcell.org. Retrieved on 2016-06-10.
  3. https://web.archive.org/web/20101019141647/http://www.independent.co.uk/news/obituaries/prof-george-palade-nobel-prizewinner-whose-work-laid-the-foundations-for-modern-molecular-cell-biology-968560.html
  4. "Palade Particles, 1955"The Scientist Magazine® 
  5. Pollack, Andrew (9 অক্টোবর, 2008)। "George Palade, Nobel Winner for Work Inspiring Modern Cell Biology, Dies at 95 (Published 2008)" – NYTimes.com-এর মাধ্যমে।  এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |তারিখ= (সাহায্য)
  6. "The Nobel Prize in Physiology or Medicine 1974"NobelPrize.org 
  7. Palade, George E. (5 নভেম্বর, 2007)। "Tribute To"Journal of Cellular and Molecular Medicine11 (1): 2–3। ডিওআই:10.1111/j.1582-4934.2007.00018.xপিএমআইডি 17367496পিএমসি 4401215অবাধে প্রবেশযোগ্য – Wiley Online Library-এর মাধ্যমে।  এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |তারিখ= (সাহায্য)
  8. "Honorary Fellows Past and Present"www.rms.org.uk 
  9. https://web.archive.org/web/20151015185820/https://docs.google.com/spreadsheets/d/1RVVZY00MZNrK2YCTTzVrbTFH2t3RxoAZah128gQR-NM/pubhtml
  10. http://nobelprize.org/nobel_prizes/medicine/laureates/1974/palade-autobio.html
  11. https://web.archive.org/web/20060716152913/http://nobelprize.org/nobel_prizes/medicine/laureates/1974/palade-autobio.html
  12. https://web.archive.org/web/20040603122903/http://www.rockefeller.edu/nobel.html
  13. http://nobelprize.org/nobel_prizes/medicine/laureates/1974/palade-lecture.pdf
  14. "Golden Plate Awardees"Academy of Achievement