মাইকেল রসব্যাশ

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
মাইকেল রসব্যাশ
জন্ম৭ মার্চ, ১৯৪৩ 
কানসাস সিটি, মিশৌরি 
জাতীয়তাআমেরিকান 
মাতৃশিক্ষায়তনক্যালফোর্নিয়া ইন্সটিটিউট ও টেকনোলজী
ম্যাসাচুসেট্‌স ইন্সটিটিউট অফ টেকনোলজী
এডিনবার্গ বিশ্ববিদ্যালয় 
পুরস্কারচিকিৎসা শাস্ত্রে নোবেল পুরস্কার-২০১৭ 
বৈজ্ঞানিক কর্মজীবন
কর্মক্ষেত্রজীনতত্ত্ব, ক্রোনোবায়োলজী 
প্রতিষ্ঠানসমূহব্র্যান্ডেইস বিশ্ববিদ্যালয়
হাওয়ার্ড হিউজেস মেডিকেল ইন্সটিটিউট 
ডক্টরাল উপদেষ্টাশেলডন পেনম্যান 

মাইকেল মরিস রসব্যাশ (জন্মঃ ৭ মার্চ, ১৯৪৩) একজন আমেরিকান জেনেটিসিস্ট ও ক্রোনোবায়োলজিস্ট। তিনি ২০১৭ সালে চিকিৎসা শাস্ত্রে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন।[১] তিনি ব্র্যানডেইস বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক।[২] তিনি হাওয়ার্ড হিউজেস মেডিকেল ইন্সটিটিউট এর একজন গবেষক। রসব্যাশ ও তার

গবেষক দল ১৯৮৪ সালে ড্রসোফিলা পিরিয়ড জিনের প্রতিরূপ তৈরি করতে সক্ষম হন এবং সারকাডিয়ান ক্লকের জন্য ১৯৯০ সালে Transcription Translation Negative Feedback Loop প্রস্তাব করেন। [২] ১৯৯৮ সালে তারা চাক্রিক জিন, ক্লক জিন এবং আগ্রগামী জিনতত্ত্বের সাহায্যে ড্রসোফিলায় ক্রিপ্টোক্রোম ফটোরিসিপ্টর আবিষ্কার করেন। তিনি প্রথমে মিউট্যান্টের ফেনোটাইপ আবিষ্কার করেন ও এরপর মিউটেশনের প্রকৃত জিনতত্ত্ব হিসেব করেন। রসব্যাশ ২০০৩ সালে জাতীয় বিজ্ঞান একাডেমীর জন্য নির্বাচিত হন। তিনি ২০১৭ সালে মনোবিজ্ঞান তথা চিকিৎসা শাস্ত্রে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন।[৩][৪]

জীবন[সম্পাদনা]

মাইকেল রসব্যাশ যুক্তরাষ্ট্রের মিশৌরিতে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা-মা ছিলেন ইহুদি শরনার্থী, তারা ১৯৩৮ সালে নাৎসী জার্মানি ছেড়ে চলে আসেন। [৫] তার বাবা ছিলেন একজন ক্যান্টর, ইহুদি ধর্মানুসারে ক্যান্টররা ধর্মসভার নেতৃত্ব দিতেন। রসব্যাশের বয়স যখন ২ বছর, তখন তার বাবা-মা বোস্টনে চলে আসেন। প্রথমদিকে রসব্যাশ গ্ণিত বিষয় খুব পছন্দ করতেন। কিন্তু পরবর্তীতে তিনি ক্যালিফোর্নিয়া ইন্সটিটিউট অফ টেকনোলজিতে জীববিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি হন। রসব্যাশ বিজ্ঞানী নাদজা এবোভিচকে বিয়ে করেন। তার ৩৮ বছর বয়সী সৎ মেয়ে আছে, তার নাম পাওলা এবং ২৭ বছর বয়সী মেয়ে, নাম তানিয়া। [৬]

গবেষণা[সম্পাদনা]

রসব্যাশ প্রথমদিকে mRNA এর বিপাক এবং প্রক্রিয়াজাতকরণ নিয়ে গবেষণা করেন। mRNA হলো DNA ও প্রোটিনের মধ্যে আণবিক সংযোগ রক্ষাকারক। ব্র্যানডেইস বিশ্ববিদ্যালয়ে আসার পর তিনি জেফ্রি সি হলের সাথে সমন্বয়ে কাজ করা শুরু করেন। [৭] তারা সারকাডিয়ান রিদমের ওপর অভ্যন্তরীন বায়োলজিক্যাল ক্লকের জিনতাত্ত্বিক প্রভাব নিয়ে অনুসন্ধান শুরু করেন। তারা ড্রসোফিলা মেলানোগাস্টার ব্যবহার করে এর কাজ ও বিশ্রাম পরীক্ষা করেন। ১৯৮৪ সালে তারা ড্রসোফিলা ক্লক জিনের ক্লোনিং করতে সক্ষম হন। ১৯৯০ সালে তারা Transcription Translation Negative Feedback Loop (TTFL) মডেল প্রস্তাব করেন। এর ভিত্তি ছিলো সারকাডিয়ান ক্লক। [৮]

প্রধান আবিষ্কারের কালপঞ্জি[সম্পাদনা]

#১৯৮৪: ড্রসোফিলা পিরিয়ড জিনের ক্লোন

#১৯৯০: সারকাডিয়ান ক্লকের জন্য TTNF মডেল

#১৯৯৮: ড্রসোফিলা ক্লক জিন চিহ্নিতকরণ

#১৯৯৮:  ড্রসোফিলা সাইক্লকি জিন চিহ্নিতকরণ

#১৯৯৮: ড্রসোফিলা সারকাডিয়ান ফটোরিসিপ্টর হিসেবে ক্রিপ্টোক্রোম চিহ্নিতকরণ

#১৯৯৯: প্রধান ড্রসোফিলা সারকাডিয়ান পেসমেকার হিসেবে LNv নিউরন চিহ্নিতকরণ

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. BanglaNews24.com। "চিকিৎসায় নোবেল পেলেন ৩ মার্কিন বিজ্ঞানী"banglanews24.com (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-১০-০২ 
  2. "Michael Rosbash Brandeis Page"। ১৬ অক্টোবর ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ অক্টোবর ২০১৭ 
  3. Cha, Arlene Eujung (২০১৭-১০-০২)। "Nobel in physiology, medicine awarded to three Americans for discovery of 'clock genes'"Washington Post। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-১০-০২ 
  4. "The 2017 Nobel Prize in Physiology or Medicine - Press Release"। The Nobel Foundation। ২০১৭-১০-০২। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-১০-০২ 
  5. "Americans win Nobel medicine prize for circadian rhythm work"। সংগ্রহের তারিখ ২ অক্টোবর ২০১৭ 
  6. "Michael Rosbash, PhD - HHMI.org"। সংগ্রহের তারিখ ২ অক্টোবর ২০১৭ 
  7. "Life Sciences Faculty - Jeffrey Hall, Emeritus"www.bio.brandeis.edu। ৪ অক্টোবর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ অক্টোবর ২০১৭ 
  8. উদ্ধৃতি ত্রুটি: <ref> ট্যাগ বৈধ নয়; per নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি