গ্রেগ এল. সেমেনজা

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
গ্রেগ এল. সেমেনজা
জন্ম (1956-07-01) ১ জুলাই ১৯৫৬ (বয়স ৬৭)
মাতৃশিক্ষায়তন
পুরস্কারচিকিৎসাশাস্ত্রে নোবেল জয়ী (২০১৯)

গ্রেগ লিওনার্ড সেমেনজা (জন্ম জুলাই ১, ১৯৫৬) হলো ২০১৯ সালে চিকিৎসাশাস্ত্রে নোবেল পুরস্কারজয়ীদের অন্যতম। প্রাণীর কোষ কীভাবে অক্সিজেনের প্রাপ্যতার সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেয়, সেই রহস্য উদ্ভাবনের জন্য ২০১৯ সালে যৌথভাবে চিকিৎসা ক্ষেত্রে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। তিনি তিনি জন হপকিন্স ইউনিভার্সিটি স্কুল অব মেডিসিন এর পেডিয়্যাট্রিক, র্যাডিয়েশন অনকোলজি, জৈব রসায়ন ও চিকিৎসা বিভাগের প্রফেসর। এছাড়াও তিনি ইনস্টিটিউট ফর সেল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ভাস্কুলার প্রোগ্রামের পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।[১] ২০১৬ সালে তিনি বেসিক মেডিকেল গবেষণার জন্য লাসকার অ্যাওয়ার্ড এ ভূষিত হন।[২]

গবেষণা[সম্পাদনা]

সেমেনজা তার এইচ আই এফ-১ আবিষ্কারের জন্যও পরিচিত, যেটি দূর্বল পরিবেশে ক্যান্সার কোষে অক্সিজেন পরিবহনে সহায়তা করে।[৩] তিনি ইউনিভার্সিটি অব পেনসিলভানিয়াতে পিএইচডি করা অবস্থায় বেটা থ্যালাসেমিয়া নিয়েও অধ্যয়ন করেন।[৩] যখন আশেপাশের অক্সিজেনের স্তর পরিবর্তন হয় তখন প্রাণীর কোষগুলি জিনের প্রকাশে মৌলিক পরিবর্তন হয়। জিনের প্রকাশের এই পরিবর্তনগুলি কোষ বিপাক, টিস্যুগুলির পুনরায় মডেলিং এবং এমনকি হার্টের হার এবং বায়ুচলাচল বৃদ্ধির মতো জৈবিক প্রতিক্রিয়ারও পরিবর্তন করে। ১৯৯০ এর গোড়ার দিকে গবেষণাতে গ্রেগ সেমেনজা শনাক্ত করেছিলেন এবং তারপরে ১৯৯৫ সালে এটিকে অক্সিজেন-নির্ভর প্রতিক্রিয়াগুলি নিয়ন্ত্রণ করে এমন প্রতিলিপি ফ্যাক্টর শোধিত ও ক্লোন করা হয়েছিল। তিনি হাইপোক্সিয়া ইনডুসিবল ফ্যাক্টরের জন্য এই ফ্যাক্টর HIF (Hypoxia Inducible Factor) নামকরণ করেছিলেন এবং দেখিয়েছেন যে এটি দুটি উপাদান নিয়ে গঠিত : একটি নতুন এবং অক্সিজেন-সংবেদন শীল মাতৃতা, HIF-1α এবং দ্বিতীয়, পূর্বে চিহ্নিত এবং গঠনমূলকভাবে প্রকাশিত এবং অক্সিজেন বিহীন -নিয়ন্ত্রিত প্রোটিন ARNT হিসাবে পরিচিত।[৪]

প্রাপ্ত পুরস্কারসমূহ[সম্পাদনা]

  • ২০১৯ সালে চিকিৎসা শাস্ত্রে নোবেল পুরস্কার
  • ২০১৬ সালে লাসকার অ্যাওয়ার্ড
  • ২০১৪ সালে উইলি পুরস্কার[৫]
  • ২০১২ সালে ইনস্টিটিউট অব মেডিসিনে নির্বাচিত
  • ২০১২ সালে গ্র্যান্ড প্রিক্স সায়েন্টিফিক অ্যাওয়ার্ড অর্জন[৬]
  • ২০১২ সালে স্ট্যানলি জে. করসমেয়ের অ্যাওয়ার্ড
  • ২০১০ সালে গায়ার্ডনার ফাউন্ডেশন ইন্টারন্যাশনাল অ্যাওয়ার্ড [৭]
  • ২০০৮ ন্যাশনাল একাডেমি অব সায়েন্স এর সদস্য নির্বাচিত
  • ২০০৮ সালে এসোসিয়েশন অব আমেরিকান পিজিসিয়ান্সের সদস্য নির্বাচিত
  • ২০০০ সালে ই. মিড জনসন অ্যাওয়ার্ড
  • ১৯৯৫ সালে, আমেরিকান সোসাইটি ফর ক্লিনিক্যাল এর সদস্য নির্বাচিত
  • ১৯৮৯ সালে মার্কি ট্রাস্ট কর্তৃক লুসাইল জে. মার্কি স্কলার অ্যাওয়ার্ড লাভ

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Gregg L. Semenza, M.D., Ph.D." 
  2. Foundation, Lasker। "Oxygen sensing – an essential process for survival - The Lasker Foundation"The Lasker Foundation 
  3. "Johns Hopkins geneticist Gregg Semenza wins Lasker Award for insights into how cells sense oxygen"। ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৬। 
  4. । nobelprize committee https://www.nobelprize.org/prizes/medicine/2019/press-release/। সংগ্রহের তারিখ 08 October 2019  এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |সংগ্রহের-তারিখ= (সাহায্য); |শিরোনাম= অনুপস্থিত বা খালি (সাহায্য)
  5. "Wiley: The 13th Annual Wiley Prize in Biomedical Sciences Awarded for Advancements in Oxygen Sensing Systems"www.wiley.com। সংগ্রহের তারিখ অক্টোবর ৭, ২০১৯ 
  6. "Gregg L. Semenza"Institut de France. Grands Prix des Fondations। ২০১৫-০৪-২১। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-১২-১২ 
  7. "Nobel Prize in Physiology or Medicine awarded to 2010 Gairdner Laureates"gairdner.org। অক্টোবর ৭, ২০১৯। অক্টোবর ৭, ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ অক্টোবর ৭, ২০১৯