বিষয়বস্তুতে চলুন

কাতার

স্থানাঙ্ক: ২৫°১৬′১০.৩৪″ উত্তর ৫১°১২′৪৫.৯৭″ পূর্ব / ২৫.২৬৯৫৩৮৯° উত্তর ৫১.২১২৭৬৯৪° পূর্ব / 25.2695389; 51.2127694
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
(কাতারের সামরিক বাহিনী থেকে পুনর্নির্দেশিত)
কাতার রাষ্ট্র

دولة قطر (আরবি)
Dawlat Qatar
কাতারের প্রতীক
প্রতীক
জাতীয় সঙ্গীত: السلام الأميري
As Salam al Amiri  (transliteration)
রাজকীয় শান্তি বর্ষিত হোক


কাতার এর অবস্থান ( সবুজ অংশ )
কাতার এর অবস্থান ( সবুজ অংশ )
কাতারের অবস্থান
রাজধানী
ও বৃহত্তম নগরী বা বসতি
দোহা
২৫°১৮′ উত্তর ৫১°৩১′ পূর্ব / ২৫.৩০০° উত্তর ৫১.৫১৭° পূর্ব / 25.300; 51.517
সরকারি ভাষাআরবী
স্বীকৃত ভাষাইংরেজি
ধর্ম
ইসলাম
জাতীয়তাসূচক বিশেষণকাতারি
সরকারএকক সাংবিধানিক রাজতন্ত্র
তামিম বিন হামাদ আলে সানি
• ডেপুটি আমির
আবদুল্লাহ বিন হামাদ বিন খলিফা আল থানি
মোহাম্মদ বিন আব্দুর রহমান বিন জসিম আলে সানি
আইন-সভাপরামর্শমূলক পরিষদ
প্রতিষ্ঠিত
১৮ ডিসেম্বর ১৮৭৮
• স্বাধীনতা ঘোষণা

১ সেপ্টেম্বর ১৯৭১
• যুক্তরাজ্য থেকে স্বাধীনতা

৩ সেপ্টেম্বর ১৯৭১
আয়তন
• মোট
১১,৫৮১ কিমি (৪,৪৭১ মা) (১৬৪তম)
• পানি (%)
০.৮
জনসংখ্যা
• ২০১৬ আনুমানিক
২,৬৭৫,৫২২[a][] (১৪২তম)
• ২০১০ আদমশুমারি
১,৬৯৯,৪৩৫[] (১৪৮তম)
• ঘনত্ব
১৭৬/কিমি (৪৫৫.৮/বর্গমাইল) (৭৬তম)
জিডিপি (পিপিপি)২০১৭ আনুমানিক
• মোট
$৩৫৩.১৪৩ বিলিয়ন[] (৪৯তম)
• মাথাপিছু
$১৪৫,৮৯৪[] (১ম)
জিডিপি (মনোনীত)২০১৫ আনুমানিক
• মোট
$১৮৫.৩৯৫ বিলিয়ন[]
• মাথাপিছু
$৬৮,৯৪০[] (৪র্থ)
জিনি (২০০৭)৪১.১[]
মাধ্যম
মানব উন্নয়ন সূচক (২০১৪)বৃদ্ধি ০.৮৫০[]
অতি উচ্চ · ৩২তম
মুদ্রারিয়াল (কিউএআর)
সময় অঞ্চলইউটিসি+৩ (এএসটি)
গাড়ী চালনার দিকঅধিকার[]
কলিং কোড+৯৭৪
আইএসও ৩১৬৬ কোডQA
ইন্টারনেট টিএলডি

কাতার পারস্য উপসাগরের একটি দেশ।[] এটি আরব উপদ্বীপের পূর্ব উপকূল থেকে উত্তর দিকে প্রসারিত কাতার উপদ্বীপে অবস্থিত। কাতারের দক্ষিণে সৌদি আরব, এবং এর পশ্চিমে দ্বীপরাষ্ট্র বাহরাইন অবস্থিত। আরব উপদ্বীপের মত কাতারও একটি উত্তপ্ত ও শুষ্ক মরু এলাকা। এখানে ভূ-পৃষ্ঠস্থ কোন জলাশয় নেই এবং প্রাণী ও উদ্ভিদের সংখ্যাও যৎসামান্য। বেশির ভাগ লোক শহরে, বিশেষত রাজধানী দোহা শহরে বাস করে। দেশটিতে খনিজ তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাসের বড় মজুদ আছে। এই প্রাকৃতিক সম্পদের কারণে দেশটির অর্থনীতি অত্যন্ত সমৃদ্ধ। ১৮শ শতকের শেষভাগ থেকে আল-থানি গোত্রের লোকেরা কাতার অঞ্চলটিকে একটি আমিরাত হিসেবে শাসন করে আসছে। বিংশ শতাব্দীর শুরুর দিকে দেশটি ব্রিটিশ শাসনের অধীনে আসে। ১৯৭১ সালে এটি পূর্ণ স্বাধীনতা লাভ করে। বিংশ শতাব্দীর মধ্যভাগ পর্যন্তও এটি একটি তুলনামূলকভাবে দরিদ্র দেশ ছিল। ঐ সময় দেশটিতে পেট্রোলিয়ামের মজুদ আবিষ্কৃত হয় এবং এগুলি উত্তোলন শুরু হয়। বর্তমানে মাথাপিছু আয়ের হিসেবে কাতার বিশ্বের সবচেয়ে ধনী দেশগুলির একটি।[]

ইতিহাস

[সম্পাদনা]

প্রাগৈতিহাসিক কাতারে স্থায়ী জনবসতির কোন অস্তিত্ব পাওয়া যায় না। তবে প্রাগৌতিহাসিক কাল থেকে কাতারে প্রাণের অস্তিত্ব পাওয়া যায়। প্রত্নতত্তবিদ ডে কার্ডির মতে, কাতারে প্রাণের অস্তিত্ব ছিলো। এখানের আবহাওয়া ছিলো বৃষ্টিবহুল, জলপ্রপাত, উচু ঘাস ও স্বচ্ছ পানির নালা ছিলো বলে প্রমাণ পাওয়া যায়। আধুনিক ইতিহাসের জনক হেরাডোটাসের মতে, কাতারে 'কান্নানিয়ান' নামক জেলে সম্প্রদায়ের বসবাস ছিলো। এরা মাছ ধরার মৌসুমে অস্থায়ী অভিযান করে মাছ শিকার করত। খ্রিঃপূঃ ৪৯৯-৪৪৯ অব্দে পারস্য ও প্রাচীন গ্রিক সাম্রাজ্যের যুদ্ধের রেকর্ড হতে এ তথ্য পাওয়া যায়। প্রাচীনকালে কাতারের বিভিন্ন প্রত্নতত্ত যেমন, মাটির বাসন, চকমকি পাথর, পাথর কাটার যন্ত্র বিশ্লেষণ করে পাওয়া যায়, এ কাতারের পূর্ব উপকূল রাস আব্রুখের সাথে মেসোপটেমিয়ান আল উবায়েদ গোত্রের ব্যবসা ছিলো। পরবর্তিতে টলেমির মানচিত্রে কাতারের অস্তিত্ব পাওয়া যায়। যেখানে একে কাথারা ও এর একটি শহর কাদারা নামে দেখানো হয়।

ইসলাম পূর্ব যুগে কাতার আরব উপ দ্বীপের অন্যান্য দেশের মতোই পারস্যের 'শাসানী' রাজবংশের অধীনস্থ ছিলো। পরবর্তিতে সপ্তম শতকে সমগ্র আরব উপ দ্বীপে ইসলাম প্রসার লাভ করলে এ অঞ্চলও ইসলামের ছায়ায় চলে আসে। এ সময় বনু আমের বিন আবদ উল কায়েস, বনু সা'দ বিন যায়েদ মিনাহ বিন তামি্ম নামক বিভিন্ন গোত্রের বসবাস ছিলো। বর্তমান শাসক গোষ্ঠী আল-থানি, আ্ল তামিমিরই একটি শাখা। মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইসলাম দক্ষিণ আরবীয় অঞ্চলে ইসলাম প্রসারে আলা আল হাদরামি কে প্রেরণ করেন ৬২৮ সালে। তখন কাতার অঞ্চলে শাসন করছিলো স্থানীয় বনু তামিম গোত্র। বনু তামিমের গোত্র প্রধান মুনযির বি্ন সাওয়া আল তামিমি ইসলাম গ্রহণে সম্মত হন এবং পরবর্তীতে অন্যান্য গোত্রে ইসলাম প্রসারে ভূমিকা রাখেন।

ইসলামের প্রথম যুগে, কাতারে স্থায়ী বসবাস ছিলো। এছাড়া 'মুরওয়াব' নামক স্থানে একটি দুর্গ ও একশটির মতো পাথুরে বাড়ীর সন্ধান মিলে। এ সময় কাতারের মূল ব্যবসা মাছ এর পাশাপাশি উট ও ঘোড়া পালন ও বিক্রয় ও জনপ্রিয়তা লাভ করে। হাদীস থেকে জানা যায়, কাতারে এক ধরনের কাপড় তৈরি হতো উটের পশম থেকে। এটিও কাতারের অন্যতম ব্যবসায়িক আকর্ষণ ছিলো। উমাইয়া (৬৬১-৭৫০ খ্রী) ও আব্বাসীয় (৭৫০-১২৫৮ খ্রী) আমলে দামেস্ক ও বাগদাদ কেন্দ্রিক ব্যবসা গড়ে ওঠে। উমাইয়া আমলে এ অঞ্চল বিখ্যাত উট ও ঘোড়া ব্যবসার কেন্দ্রে পরিণত হয়। আব্বাসীয় আমলে মুক্তা ব্যবসার উন্নতি পরিলক্ষিত হয়। কাতারি মুক্তার চাহিদা প্রাচ্যের দেশগুলোয় বেড়ে চলে, চীনেও কাতারি মুক্তার চাহিদা ছিলো।

পরবর্তীতে ব্যবসায়র প্রাণকেন্দ্র হয় দুইটি উপসাগর ও লোহিত সাগর। ষোড়শ শতকে কাতার আন্তর্জাতিক প্রতিযোগীতার মুখে পড়ে। এ শতকের প্রথমার্ধ ছিলো মামলুকের অধিকারে। পরবর্তীতে মামলুকের প্রভাব কমে যাওয়ায় আরব অঞ্চলে অধিকার প্রতিষ্ঠায় সচেষ্ট হয় উসমানীয় সালতানাত। এছাড়া, স্থানীয় শক্তি ছিলো হরমুজ। উসমানীয় সালতানাত মামলুককে সরিয়ে আরব অঞ্চলে অধিকার প্রতিষ্ঠা করে। ইরানের সাফাভি রাজবংশ উসমানীয় থেকে বাগদাদ দখল করে। একই সময় স্প্যানিশ- পর্তুগীজদের হাতে মুসলিম ইউরোপীয় শক্তি আল আন্দালুসের পতন হয়। পর্তুগীজ নৌ শক্তি বিভিন্ন স্থানে প্রভাব বিস্তারে ছড়িয়ে পরে। এরা খুব অল্প সময়ে দূর্ধর্ষতার জন্য খ্যাতি অর্জন করে। ১৫০৯ সালে উসমানিয়া, মামলুক ও ভারতীয় মুসলিম রাজশক্তি মিলিত হয়ে পর্তুগীজদের দমনে শক্তি প্রয়োগ করেন। ইতিহাসে এটি তিন রাজার যুদ্ধ নামে পরিচিত। এ যুদ্ধে পর্তুগীজ দের নৌবহরের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণিত হয়।

আধুনিক কাতারের জন্মঃ কাতার ও ব্রিটিশ চুক্তি ১৯১৬ সালে ব্রিটিশ – আল থানি চুক্তির মাধ্যমে জন্ম লাভ করে আধুনিক কাতারের। ১৯১৬ সালের সেপ্টেম্বরের শুরুর দিকে লুইস পেলি আল ওয়াকরায় মুহাম্মাদ আল থানি ও তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যের সাথে মিলিত হন। ১২ সেপ্টেম্বর ১৯১৬ সালে আব্দুল্লাহ বিন থানি চুক্তিবদ্ধ হতে সম্মত হন। বিষয় গুলো ছিলোঃ ১। দোহায় শান্তিপূর্ণ অবস্থান করা। ২। সমুদ্রে অশান্তি সৃষ্টি হতে বিরত থাকা। ৩। যে নিজেদের ও প্রতিবেশীর মাঝে সৃষ্ট যে কোন ধরনের সমস্যায় ব্রিটিশদের ফয়সালা গ্রহণ করা। ৪। বাহরাইনের তৎকালীন আমীর আলি বিন খলিফার সাথে সুসম্পর্ক রাখা। ৫। বাহরাইনের পূর্ববর্তী আমির মোহাম্মদ বিন খলিফাকে কাতারে পাওয়া গেলে তাকে যথাযথ কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দেয়া।

রাজনীতি

[সম্পাদনা]

কাতারের রাজনীতি একটি পরম রাজতন্ত্র কাঠামোয় সংঘটিত হয়। কাতারের আমীর হলেন একাধারে রাষ্ট্রের প্রধান ও সরকার প্রধান তামিম বিন হামাদ আল থানি ২০১৩ সালে তার পিতা হামাদ বিন খলিফা আল থানির হাত থেকে ক্ষমতা গ্রহণ করেন। ১৯৯৫ সাল থেকে দেশটির আমীর ছিলেন হামাদ বিন খলিফা আল থানি। ২০২০ সালের ২৮ জানুয়ারি দেশটির প্রধানমন্ত্রী আব্দুল্লাহ বিন নাসের বিন খলিফা আল থানি এর পদত্যাগের পর ৬ষ্ঠ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন খালিদ বিন খলিফা বিন আব্দুল আজিজ আল থানি।[১০] কাতারের মোট জনসংখ্যা ১.৮ মিলিয়ন। কাতার বিশ্বের অন্যতম সর্বোচ্চ মাথাপিছু আয়ের রাষ্ট্র। সৌদি আরব, ওমান এর পর কাতার অন্যতম রক্ষণশীল রাষ্ট্র। কাতারের নাগরিক সুযোগ সুবিধার মান খুবই উন্নত।

প্রশাসনিক অঞ্চলসমূহ

[সম্পাদনা]

কাতার আটটি পৌরসভায় বিভক্ত হয়েছে

  • আদ-দাওয়াহ (দোহা) (রাজধানী দোহা'র সাথে যুক্ত আল রাইয়ান ও দায়্যান মিউনিসিপ্যালিটি)
  • আল রাইয়ান
  • আল ওয়াকর‍্যা
  • আল খোর
  • আল-শাহানিয়া
  • উম্মে সালাল
  • দায়্যান - লুসাইল শহর এখানেই অবস্থিত
  • আল সামাল

অর্থনীতি

[সম্পাদনা]

তেল আবিষ্কারের আগে কাতারি অঞ্চলের অর্থনীতিটি মাছ ধরা এবং মুক্তো শিকারের দিকে মনোনিবেশ করেছিল। ১৯২০ এবং ১৯৩০ এর দশকে জাপানি চাষ করা মুক্তো বিশ্ব বাজারে প্রবর্তনের পরে, কাতারের মুক্তো শিল্প ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল। ১৯৪০ সালে কাতারের দুখনে তেলআবিষ্কৃত হয়েছিল। এই আবিষ্কার রাজ্যের অর্থনীতিকে রূপান্তরিত করে। এদেশে বৈধ নাগরিকদের জীবনযাত্রার উচ্চমান রয়েছে। আয়কর না নেয়াতে কাতার বিশ্বের অন্যতম নিম্ন হারের দেশ। জুন ২০১৩-তে বেকারত্বের হার ছিল ০.১%। কর্পোরেট আইন হুকুম দেয় যে, কাতারি নাগরিকদের যে কোনও উদ্যোগের ৫১% থাকতে হবে।

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল অনুসারে ২০১৬ সাল পর্যন্ত কাতারের মাথাপিছু চতুর্থ সর্বোচ্চ জিডিপিতে রয়েছে। অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি করতে বিদেশী শ্রমের উপর প্রচুর নির্ভর করতে হয়। অভিবাসী শ্রমিকরা জনসংখ্যার ৮৬% এবং শ্রমশক্তির ৯৪% রচনা করেছেন। ১৯৪০ সালে শুরু হওয়া পেট্রোলিয়াম এবং প্রাকৃতিক গ্যাস শিল্পের উপর ভিত্তি করে কাতারের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি প্রায় একচেটিয়াভাবে করা হয়েছে। তরল প্রাকৃতিক গ্যাসের শীর্ষ রফতানিকারী দেশ কাতার। ২০১২ সালে, অনুমান করা হয়েছিল যে কাতার আগামী দশ বছরে জ্বালানি খাতে $ ১২০ বিলিয়ন ডলারের বেশি বিনিয়োগ করবে। দেশটি পেট্রোলিয়াম রফতানিকারী সংস্থাগুলির (ওপেক) সদস্য রাষ্ট্র ছিল, ১৯৬১ সালে যোগদান করে এবং ২০১৯ এর জানুয়ারী মাসে বের হয়ে যায়।

২০১২ সালে, কাতার বিশ্বের তৃতীয়বারের জন্য (মাথাপিছু আয় অনুসারে) শীর্ষে থাকা দেশটির খেতাব অর্জন করে। ২০১০ সালে প্রথম লুক্সেমবার্গকে পেছনে ফেলেছে। ২০১২ সালে কাতারের জিডিপি ১৮২ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছে এবং জানা যায় যে গ্যাস রফতানি ও তেলের উচ্চমূল্যের কারণে এটি সর্বকালের উচ্চতায় পৌঁছেছিল।

জনসংখ্যা

[সম্পাদনা]

২০১৭ সাল পর্যন্ত কাতারের মোট জনসংখ্যা ২৬ লক্ষ ৪১ হাজার ৬৬৯ জন। কাতারের মোট জনসংখ্যার মাত্র ১৪ শতাংশ কাতারের বাসিন্দা। আর বাকি ৮৬ শতাংশ লোকই বিদেশী। তারা বিভিন্ন কাজকর্মের জন্য সেখানে বসবাস করে। পৃথিবীর মধ্যে কাতারই এক মাত্র দেশ যেখানে প্রায় ১৫০টি দেশের বেশি লোক বসবাস করে। [১১]আরবি ভাষা কাতারের সরকারি ভাষা। এখানকার প্রায় ৫৬% লোক আরবি ভাষাতে কথা বলেন। প্রায় এক-চতুর্থাংশ লোক ফার্সি ভাষায় কথা বলেন। বাকীরা ভারতীয় উপমহাদেশেরফিলিপিন দ্বীপপুঞ্জের অন্যান্য ভাষাতে কথা বলেন। আন্তর্জাতিক কাজকর্মে ইংরেজি ভাষা ব্যবহার করা হয়। ।

শিক্ষা, সংস্কৃতি ও সংগঠন

[সম্পাদনা]

কাতারে শিক্ষিতের হার প্রায় ৫৮ শতাংশ। কাতারে ছেলেদের তুলনায় মেয়েদের সংখ্যা খুবই কম। সেখানে মোট জনসংখ্যার মাত্র ২০ শতাংশ মেয়ে বসবাস করে। কাতার একটি ইসলামিক রাষ্ট্র হওয়ায় সেখানে কিছু নিয়ম রয়েছে যা সবাইকে মেনে চলতে হয়। যেমন সেখানে মেয়েদের ছোট ছোট পোশাক পড়া একদমই নিষেধ। তাছাড়া পাবলিক প্লেসে মদ্যপান, সেখানে মদ কেনাবেঁচা সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ। সেখানে পর্নোগ্রাফিও সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। [১১]

ইসলামের দ্বারা উল্লেখযোগ্যভাবে প্রভাবিত হয়ে কাতারের সংস্কৃতি পূর্ব আরবের অন্যান্য দেশের মতোই। কাতার জাতীয় দিবস, ১৮ ডিসেম্বর প্রতিবছর অনুষ্ঠিত হয়, জাতীয় পরিচয়ের অনুভূতি বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এটি জসিম বিন মোহাম্মদ আল থানির সিংহাসনে উত্তরাধিকার এবং তার পরবর্তী সময়ে দেশের বিভিন্ন উপজাতির একীকরণের স্মরণে দেখা যায়। ২০০৮ সালের ১ জুলাই থেকে হামাদ বিন আবদুল আজিজ আল কাওয়ারি কাতারের সংস্কৃতি, কলা ও ঐতিহ্য মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন।

কাতারে বাংলাদেশি কিছু সংগঠন আছে। যেমন, বাংলাদেশ কুরআন সুন্নাহ পরিষদ, আল হেরা শিল্পীগোষ্ঠী ইত্যাদি।

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. "Population structure"। Ministry of Development Planning and Statistics। ৩১ জানুয়ারি ২০১৭। ২৬ জুন ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৫ জুন ২০১৭ 
  2. "Populations"। Qsa.gov.qa। ৯ জুলাই ২০১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ অক্টোবর ২০১০ 
  3. "Report for qatar (PPP valuation of country GDP)"। IMF। অক্টোবর ২০১৬। 
  4. "Report for Selected Countries and Subjects (PPP valuation of country GDP)"। IMF। অক্টোবর ২০১৬। 
  5. "GINI index"। World Bank। সংগ্রহের তারিখ ২২ জানুয়ারি ২০১৩ 
  6. "2015 Human Development Report" (পিডিএফ)। United Nations Development Programme। ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ১৪ ডিসেম্বর ২০১৫ 
  7. "List of left- & right-driving countries - World Standards"। সংগ্রহের তারিখ ৫ জুন ২০১৭ 
  8. Johnstone, T. M. (২০০৮)। "Encyclopaedia of Islam"Ķaṭar। Brill Online। সংগ্রহের তারিখ ২২ জানুয়ারি ২০১৩  (সদস্যতা প্রয়োজনীয়)
  9. "Indices & Data | Human Development Reports"। United Nations Development Programme। ১৪ মার্চ ২০১৩। ১২ জানুয়ারি ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ জুন ২০১৩ 
  10. "কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ আব্দুল্লাহর পদত্যাগ"। বাংলাদেশ প্রতিদিন। সংগ্রহের তারিখ ২৮ জানুয়ারি ২০২০ 
  11. "কোটিপতিদের দেশঃ কাতার" 

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]