কাতারের জাতীয় প্রতীক
কাতারের জাতীয় প্রতীক | |
---|---|
আর্মিজার | কাতারের আমির |
গৃহীত | ১৯৭৬ |
কাতারের জাতীয় প্রতীক (আরবি: شعار قطر) হল কাতার রাষ্ট্র (আরবি: دولة قطر, প্রতিবর্ণীকৃত: দাওলাত কাতার) কর্তৃক ব্যবহৃত একটি বিশেষ প্রতীক। ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের আশ্রিত রাজ্য হতে মুক্ত হয়ে শেখ আহমদ বিন আলী আল থানির অধীনে একটি দেশ হিসাবে আত্মপ্রকাশ করার ছয় বছর পর এই জাতীয় প্রতীকটি গৃহীত হয়। কাতারের আমীর খলিফা বিন হামাদ আল থানির শাসনামলে ১৯৭৬ সালে প্রতীকটি নকশা করা হয়।[১][২]
প্রতীকটির মাঝে একটি হলুদ বৃত্তে আড়াআড়িভাবে রাখা দুটি সাদা রঙের বাঁকা তলোয়ার দেখা যায়। এর উপরে ডানে রয়েছে দুটি খেজুর গাছ বিশিষ্ট একটি দ্বীপ এবং এর পাশে নীল এবং সাদা রঙে অঙ্কিত ঢেউয়ের উপর একটি চলমান পাল তোলা জলযান (দাও) আছে। এই হলুদ বৃত্তটিকে ঘিরে রয়েছে একটি বলয় যা অনুভূমিকভাবে দুটি অংশে বিভক্ত। কাতারের জাতীয় পতাকার রং অনুসারে এ অংশ দুটির রং মেরুন ও সাদা। উপরের সাদা অংশে কাতার রাষ্ট্রের নাম কালো রঙে আরবি ভাষায় লেখা হয়েছে; আর নিচের মেরুন অংশে দেশটির সরকারি নাম সাদা রঙে ইংরেজি ভাষায় লেখা রয়েছে।[৩]
পতাকার প্রভাব
[সম্পাদনা]জাতীয় প্রতীকটির বাইরের বলয় মূলত কাতারের জাতীয় পতাকার প্রতিনিধিত্ব করে। কাতারের ইতিহাসে একাধিকবার প্রতীকের নকশা পরিবর্তনের নজির রয়েছে। সর্বশেষ ১৯৬০ সাল থেকে এটি একই হয়েছে, যখন শেখ আলী বিন আবদুল্লাহ আল থানির শাসনে চূড়ান্ত পরিবর্তন ঘটেছিল। এরপরে ১৯৭১ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কাতারের স্বাধীনতার স্বীকৃতি প্রদান করে। কাতার প্রথমদিকে মূলত কাপড়ের রং (ডাই) উৎপাদনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছিল এবং এই রঙটিকে মধ্যপ্রাচ্যে "কাতার মেরুন" হিসেবে উল্লেখ করা হয়। এই মেরুন রঙটিই প্রতীকের বাইরের বলয়ে এবং নৌকার রঙের জন্য প্রতীক হিসাবে ব্যবহৃত হয়।
কাতারের জাতীয় পতাকার সাদা এবং মেরুন অংশের বিভাজন রেখায় মোট নয়টি খাঁজ রয়েছে এবং জাতীয় প্রতীকের বাইরের বলয়েও দুই পাশের বিভাজন রেখায় নয়টি করে খাঁজ ব্যবহার করা হয়েছে। এই নয়টি খাঁজ "সংযুক্ত আমিরাত"-এর ৯ম সদস্য হিসেবে কাতারের পরিচয়কে সূচিত করে।
চিত্রশালা
[সম্পাদনা]-
১৯৬৬ থেকে ১৯৭৬ সাল পর্যন্ত ব্যবহৃত কাতারের প্রতীক[১]
-
১৯৭৫ থেকে ১৯৭৭ সাল পর্যন্ত ব্যবহৃত কাতারের প্রতীক
-
কাতারের আমিরী দিওয়ানের লোগো
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ ক খ "Zpravodaj Vexilolog č. 49, říjen"। vexilologie.cz (চেক ভাষায়)। ২০১৩।
- ↑ "Key Facts and Information About the State of Qatar"। আমীরি দিওয়ান (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১১-২৫।
- ↑ "Qatars flagg og våpen"। Store Norske Leksikon (নরওয়েজীয় ভাষায়)। ২০ অক্টোবর ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ ডিসেম্বর ২০২০।
বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]- উইকিমিডিয়া কমন্সে কাতারের জাতীয় প্রতীক সম্পর্কিত মিডিয়া দেখুন।
- "State of Qatar"। ফ্ল্যাগস অফ দ্য ওয়ার্ল্ড (ইংরেজি ভাষায়)।