বিষয়বস্তুতে চলুন

শিলাইদহ কাছারি বাড়ি

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
শিলাইদহ কাছারি বাড়ি
মানচিত্র
সাধারণ তথ্য
স্থাপত্য রীতিইন্দো-ইউরোপীয় স্থাপত্য
অবস্থানশিলাইদহ, কুমারখালী উপজেলা, কুষ্টিয়া জেলা
দেশ বাংলাদেশ
স্থানাঙ্ক২৩°৫৫′২১″ উত্তর ৮৯°১৩′২৯″ পূর্ব / ২৩.৯২২৫৭৯০° উত্তর ৮৯.২২৪৬৫৭৫° পূর্ব / 23.9225790; 89.2246575
খোলা হয়েছে১৮৯২; ১৩১ বছর আগে (1892)
পুনঃসংস্কারমে ২০২৩; ১ বছর আগে (2023-05)
স্বত্বাধিকারীপ্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর (বাংলাদেশ)
কারিগরী বিবরণ
তলার সংখ্যা
অন্যান্য তথ্য
কক্ষ সংখ্যা

শিলাইদহ কাছারি বাড়ি থেকে ঠাকুর পরিবারের জমিদারির কার্যক্রম পরিচালিত হতো। ১৮৯২ সালে এই কাচারি বাড়িটি নির্মিত হয়। এই কাছারি বাড়িটি রবীন্দ্র কাছারি ঘর নামেও পরিচিত।[১]

ইতিহাস[সম্পাদনা]

১৮৯২ সালে ৯.৯১৮ একর (০.০৪০১৪ কিমি) জমির উপর দ্বিতল ভবন বিশিষ্ট কাছারি বাড়িটি নির্মিত হয়। জমি থেকে প্রাপ্ত খাজনা ব্যবস্থাপনা এই কাছারি বাড়ি থেকে পরিচালিত হতো। উল্লেখ্য যে ঠাকুর পরিবার শিলাইদহ কুঠিবাড়ি বসবাসের জন্য ব্যবহার করলেও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কুঠিবাড়িতে বসেই জমিদারি পরিচালনা করতেন। তিনি বিশেষ কারণ ছাড়া কাছারি বাড়িতে যেতেন না।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর জমিদারি গ্রহনের পূর্বে কাছারি বাড়ির প্রজা সমাবেশে হিন্দুমুসলমানের বসার ব্যবস্থা পৃথক ছিল। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এই প্রথা বাতিল করেন। জমিদারির খাজনা আদায় ছাড়াও এই ভবনের মাঠে মেলা অনুষ্ঠিত হতো। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এই মেলা পরিদর্শন করতেন।

ভবনটি কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসনের অধীনে ছিল। ২০২০ সালে কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসন ভবনটি প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের নিকট হস্তান্তর করে। ভবনটি বেশকিছু দিন শিলাইদহ ইউনিয়নের ভূমি কার্যালয় ছিল। ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ার কারণে বর্তমানে ভবনটি পরিত্যক্ত। ২০২৩ সালে মে মাস থেকে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর ভবনটি সংস্কারের কাজ শুরু করে।[২]

গঠনশৈলী[সম্পাদনা]

কাছারি বাড়িতে একটি পুকুর ও স্টাফ কোয়ার্টার রয়েছে। পূর্ব দিকে একটি দিঘি রয়েছে, এই দিঘির পশ্চিম পাড়ে ঘোড়ার আস্তাবল ছিল। আস্তাবলের কিছু ধ্বংসাবশেষ এখনও দৃশ্যমান। নিরাপত্তার স্বার্থে প্রবেশপথে একটি লোহার দরজা নির্মিত হয়েছিল কিন্তু এটিও আর নেই।

দ্বিতল ভবনটির নিচতলায় ৪টি কক্ষ ও উপরের তলায় ৩টি কক্ষ রয়েছে। এর স্থাপত্য নকশা ইন্দো-ইউরোপীয় তবে খুবই সাধারণ। ভবনটি পূর্ব-পশ্চিমে ১৯.৪৭ মিটার দীর্ঘ ও প্রস্থ ৯ মিটার।

গ্রন্থপঞ্জিকা[সম্পাদনা]

  • মোঃ রেজাউল করিম (ডিসেম্বর ২০২২)। কুষ্টিয়ার প্রত্ননিদর্শন। ৩৮/২ক বাংলাবাজার, ঢাকা ১১০০: গতিধারা। পৃষ্ঠা ১০৯, ১১০। আইএসবিএন 978-984-8950-41-8 

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. কাঞ্চন কুমার, কুষ্টিয়া প্রতিনিধি (২০১৭-১০-২০)। "রবি ঠাকুরের কাচারি বাড়ির বেহাল দশা"বাংলাদেশ জার্নাল। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৫-২৮ 
  2. প্রতিনিধি, কুষ্টিয়া (২০২৩-০৫-০৫)। "শিলাইদহে রবীন্দ্রনাথের স্মৃতিবিজড়িত কাচারী বাড়ির সংস্কার কাজ শুরু"যমুনা টেলিভিশন। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৫-২৮