ভাতের ভিটা ঢিবি

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
ভাতের ভিটা ঢিবি
প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপনা
ডাকনাম: ভাতের ভিটা
দেশবাংলাদেশ
বিভাগখুলনা
জেলামাগুরা জেলা
উপজেলামাগুরা সদর উপজেলা

ভাতের ভিটা ঢিবি বাংলাদেশের মাগুরা জেলায় অবস্থিত একটি প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপনা। এটি মাগুরা সদর উপজেলার দক্ষিণ-পশ্চিমে মঘি ইউনিয়নের ফটকী নদীর উত্তর তীরে টিলা গ্রামে অবস্থিত। মাগুরা সদর উপজেলা থেকে এই ঢিবির দূরত্ব ১২ কিলোমিটার।[১]

ইতিহাস[সম্পাদনা]

ভাতের ভিটা সম্পর্কে কিংবদন্তি আছে যে, কোন সময় অলৌকিক ক্ষমতাধর একজন দরবেশ রাতে এই পথ দিয়ে যাওয়ার সময় এই স্থানে একটি মসজিদ নির্মাণ শুরু করেন। কিন্তু নির্মাণ কাজে নিয়োজিতদের ভাত রান্না শেষ হয়ে গেলেও মসজিদ নির্মাণ শেষ হয় নি। ইতিমধ্যে ভোরের পাখ-পাখালী ডাকতে শুরু করলে দরবেশ নির্মাণ কাজ অসমাপ্ত রেখে চলে যান। সকালে গ্রামের লোকজন দেখতে পায় এখানে একটি অসমাপ্ত মসজিদ নির্মিত হয়েছে। এছাড়া দেখতে পায় ঢিবির উপর রান্না করা ভাত ও ঢিবি থেকে ভাতের ফ্যান গড়িয়ে একটি পুকুর তৈরি হয়েছে। সেই থেকে এই স্থানের নাম ভাতের ভিটা।[২]

বাংলাদেশ সরকারের প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর এখানে খনন কাজ শুরু করে। খনন চালিয়ে এখান মোর্য্য থেকে গুপ্ত সাম্রাজ্যের একটি বৌদ্ধ সংঘের অস্তিত্ব খুঁজে পায়।

নামকরণ[সম্পাদনা]

গ্রামের লোকজন সকালে অসমাপ্ত মসজিদের পাশে ঢিবিতে রান্না করা ভাত দেখতে পায় বলে এই ঢিবির নাম দেয় ভাতের ভিটা ঢিবি। এছাড়া ভাতের ফ্যান গড়িয়ে যে পুকুর তৈরি হয়েছিল সেই দিঘীর নাম রাখা হয় ফ্যানঘালী পুকুর।[৩]

বিবরণ[সম্পাদনা]

ভাতের ভিটায় একটি মসজিদ নির্মাণ করা হয়, যেখানে প্রতিদিন ৫ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা হয়। পাশে রয়েছে ফ্যানঘালী পুকুর। এছাড়া পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার সাদৃশ ছোট বহুকক্ষবিশিষ্ট ইমারতের অস্তিত্ব পাওয়া যায়।

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "ভাতের ভিটা"বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন। ১৭ নভেম্বর ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১১ অক্টোবর ২০১৬ 
  2. "দেশবীক্ষণ"যায়যায়দিন। অক্টোবর, ১৬, ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ১১ অক্টোবর ২০১৬  এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |তারিখ= (সাহায্য)
  3. "ভাত ভিটা (মাগুরা)"যশোর ইনফো। ১৫ আগস্ট ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১১ অক্টোবর ২০১৬